শাহবাগ অবরোধে কোটাবিরোধীরা, মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ 
সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামোর ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির) মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটাপদ্ধতি বহালে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষ থেকে ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পুরোদমে চলছে।  এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করেছেন তারা। অন্যদিকে, একই সময়ে ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টার আগে থেকেই কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সমবেত হতে থাকেন। একই সময়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের শীর্ষ পদের নেতাকর্মীরাও মধুর ক্যান্টিনে আসতে থাকেন। এসময় তাদেরক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোটাবিরোধী আন্দোলনে যেন হলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্যই একই সময়ে ছাত্রলীগ তাদের এই কৌশলগত কর্মসূচি দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের এক কর্মী কালবেলাকে বলেন, আমরা যেন কোটা আন্দোলনে যেতে না পারি সেজন্য ছাত্রলীগ আমাদের এই প্রোগ্রামে যেতে বলেছে। মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে ছাত্রলীগের সাথে ছবি তুলে কিছুক্ষণ থাকার পর আমি শাহবাগ চলে যাব কোটা আন্দোলনের যোগ দিতে।
১৫ ঘণ্টা আগে

চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ কোটাবিরোধীদের
সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামোর ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির) মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহালে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। এ প্রেক্ষিতে চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেছেন তারা।  বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শত শত শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কলাভবন, ভিসি চত্বর ও টিএসসি হয়ে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান শুরু করলে পুরো এলাকা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। এ সময় তাদের ‘কোটা প্রথা বাতিল চাই বাতিল চাই’; ‘আঠারোর পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে’; ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’; ‘৫২-এর হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’; ‘ছাত্র সমাজের একশন ডাইরেক্ট একশন’; ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘মেধা যার, চাকরি তার’; ‘সারা বাংলায় খবর দে কোটাপ্রথা কবর দে’; ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে’; ‘সংবিধানের মূলকথা সুযোগের সমতা’; ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’; ‘৭১-এর হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’; ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি সংবলিত স্লোগান দিতে দেখা যায়। আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৮ সালে সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে অন্যায্য ও অযৌক্তিক ৫৬ শতাংশ কোটার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরি (নবম-ত্রয়োদশ গ্রেড) থেকে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে পরিপত্র জারি করে। কোটাবৈষম্য নিরসন ছিল শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রাণের দাবি। গত ছয় বছর ধরে সেই অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হচ্ছে এবং একটি মেধাভিত্তিক দক্ষ প্রশাসন তৈরিতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রস্তুত করছে। তারা বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় গত ৫ জুন মহামান্য হাইকোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে রায় দিয়েছে এবং ২০১৮ সালে জারিকৃত সরকারের পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। আমরা মনে করি, হাইকোর্টের রায়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। পুনরায় কোটা ফিরে আসা মানে দেশের লাখ লাখ তরুণ-তরুণীদের দাবি ও আন্দোলনের সঙ্গে প্রহসন। মুক্তিযুদ্ধের যে মূলমন্ত্র- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার তা নিশ্চিত করতে এবং একটি দক্ষ প্রশাসন গড়তে মেধাভিত্তিক নিয়োগের বিকল্প নেই। তারা আরও বলেন, এ কোটাবৈষম্য নিরসন এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানাচ্ছি। সেগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রসঙ্গত, একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের কোটা ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখেন উচ্চ আদালত। এই রায়ের বিপক্ষে সেদিন থেকেই আন্দোলনে নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবারও রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। সেই কর্মসূচি থেকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে একই স্থানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা আসে।
০৪ জুলাই, ২০২৪

কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন বিক্ষোভকারীরা
সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামোর ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির) মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটাপদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহালে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা রাস্তা ছেড়েছেন। স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচলও। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে পুনরায় রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়ে বুধবারের (৩ জুলাই) কর্মসূচি সমাপ্ত করেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকেই শত শত শিক্ষার্থী কোটার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের দিকে এসে জড়ো হতে থাকে। এরপর বেলা ৩টার দিকে মিছিল নিয়ে কলাভবন, ভিসি চত্বর, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট ও মৎস্যভবন এলাকা হয়ে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান শুরু করলে পুরো এলাকা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। এসময় তাদের ‘কোটা প্রথা বাতিল চাই বাতিল চাই’; ‘আঠারোর পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে’; ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’; ‘৫২-এর হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’; ‘ছাত্র সমাজের একশন ডাইরেক্ট একশন’; ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘মেধা যার, চাকরি তার’; ‘সারা বাংলায় খবর দে কোটাপ্রথা কবর দে’; ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে’; ‘সংবিধানের মূলকথা সুযোগের সমতা’; ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’; ‘৭১-এর হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’; ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি সংবলিত স্লোগান দিতে দেখা যায়। এর আগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে একই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে পদযাত্রা নিয়ে নীলক্ষেত, নিউমার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোড হয়ে শাহবাগে এসে তারা অবস্থান নেন। তখন আন্দোলনরকারীরা আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৮ সালে সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে অন্যায্য ও অযৌক্তিক ৫৬ শতাংশ কোটার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরি (নবম-ত্রয়োদশ গ্রেড) থেকে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে পরিপত্র জারি করে। কোটাবৈষম্য নিরসন ছিল শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রাণের দাবি। গত ছয় বছর ধরে সেই অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হচ্ছে এবং একটি মেধাভিত্তিক দক্ষ প্রশাসন তৈরিতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রস্তুত করছে। তারা বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় গত ৫ জুন মহামান্য হাইকোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে রায় দিয়েছে এবং ২০১৮ সালে জারিকৃত সরকারের পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। আমরা মনে করি, হাইকোর্টের রায়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। পুনরায় কোটা ফিরে আসা মানে দেশের লাখ লাখ তরুণ-তরুণীদের দাবি ও আন্দোলনের সঙ্গে প্রহসন। মুক্তিযুদ্ধের যে মূলমন্ত্র- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার তা নিশ্চিত করতে এবং একটি দক্ষ প্রশাসন গড়তে মেধাভিত্তিক নিয়োগের বিকল্প নেই। তারা আরও বলেন, এ কোটাবৈষম্য নিরসন এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানাচ্ছি। সেগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আবাসিক হলগুলোতেও একত্রিত হয়ে কোটাবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়।
০৩ জুলাই, ২০২৪

স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণে সরে যাচ্ছে শাহবাগ থানা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কারণে শাহবাগ মোড় থেকে শাহবাগ থানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। থানা ভবনটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীতের সাকুরা রেস্তোরাঁর পেছনে স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়, প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প এলাকা থেকে শাহবাগ থানা স্থানান্তরের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ফিরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য শাহবাগ থানা সরিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের উল্টো পাশে নেওয়া হবে। বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন : বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইন, ২০১৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আইনের খসড়াটি ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু ওই মেয়াদে সংসদের শেষ অধিবেশনে সেটি উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। গতকাল সোমবার খসড়াটি উপস্থাপন করা হলে মন্ত্রিসভা আবারও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। এ ছাড়া বৈঠকে ‘জাতীয় জীব নিরাপত্তা নীতি, ২০১৪’ খসড়ারও অনুমোদন দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জীব নিরাপত্তা বিধিমালা ২০২২ ছিল। কিন্তু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বারবার বলা হচ্ছিল নীতিমালা করার জন্য। সেজন্যই এটি করা হয়েছে।
০৪ জুন, ২০২৪

সরে যাচ্ছে শাহবাগ থানা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কারণে শাহবাগ মোড় থেকে শাহবাগ থানা স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্থানান্তর করে থানার ভবনটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীত দিকে সাকুরা রেস্তোরাঁর পেছনে স্থাপন করা হবে।  সোমবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।  এ জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়, প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প এলাকার অভ্যন্তর থেকে শাহবাগ থানা স্থানান্তরের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।  বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ফিরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কারণে ওখানে যে থানাটা আছে, সেটা স্থানান্তর করার দরকার ছিল। মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, থানাটা এখন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের উল্টাপাশে সাকুরার পেছনে যে জায়গাটা রয়েছে, সেখানে যাবে।
০৩ জুন, ২০২৪

শাহবাগ থানায় গাড়ির ডাম্পিংয়ে আগুন
রাজধানীর শাহবাগ থানার ডাম্পিং ইয়ার্ডে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে থানার পেছনে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। জানা গেছে, তাৎক্ষণিক থানার পুলিশ, আনসার সদস্য এবং স্থানীয়রা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এদিকে কয়েক মিলোমিটার দূর থেকে আগুনের কালো ধোঁয়া দেখা যায়। এর আগে, চলতি বছরের ৫ মার্চ শাহবাগ থানার পেছনে পুলিশের জব্দ করা পুরোনো গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তখনো আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। 
১৩ মে, ২০২৪

সেতুমন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়ায় শাহবাগ থানায় জিডি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ওরফে খোকন শাহবাগ থানায় এ জিডি করেন। জিডি নম্বর-১৪২৭।  জিডিতে বলা হয়েছে, ২০ এপ্রিল বেলা ১১টায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই। একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই, সেহেতু মন্ত্রী মহোদয় ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।  জিডিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। যাতে মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। সরকারের ক্ষমতায় থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে। মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। ওনার এই মিথ্যাচারের বক্তব্য যমুনা টেলিভিশন, আরটিভি, অন্যান্য স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ওনার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। 
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

শাহবাগ থানার মামলায় পাঁচ আইনজীবী গ্রেপ্তার
হাইকোর্টে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়। এই মামলার এজহারভক্ত পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (৯ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোড ডিবির কার্যালয় ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেপ্তাররা হলো এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি আইনজীবী কাজী বশির আহমেদ, ৯ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট তুষার,  ১১ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট তরিকুল, আট নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট সুমন ও ৬ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট উসমান। হারুন ওর রশীদ বলেন, যে যত বড়ই শক্তিশালী হোক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না। শাহবাগ থানা মামলা হওয়ার পরে ডিবিপুলিশ ছায়া তদন্ত করে রাজধানীর বনানীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে।
০৯ মার্চ, ২০২৪

শাহবাগ থেকে জঙ্গি গ্রেপ্তারের দাবি
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেপ্তারকৃত ওই সদস্যের নাম মো. আবরার হোসাইন (১৮)। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) গেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এটিইউর মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার মাহফুজুল আলম রাসেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটিইউর পুলিশ সুপার শিরীন আক্তার জাহান জানান, আবরার এবং তার অন্য সহযোগীরা অনলাইনে জঙ্গিবাদের প্রচারসহ রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে তথাকথিত খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেপ্তার আবরার কারাবন্দি শীর্ষ জঙ্গিদের সঙ্গে বাইরে থাকা বিভিন্ন জঙ্গির যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করত। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শাহবাগ থানার সামনে পরিত্যক্ত বাসে আগুন 
রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে শিকড় পরিবহনের ওই বাসে আগুন লাগে। বাসটি শাহবাগ থানার সামনে ডাম্পিং এলাকায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল। শাহবাগ থানার এসআই নীলকোমল চক্রবর্তী কালবেলাকে জানান, রাত ১২টার দিকে হঠাত করেই বাসে আগুন লেগেছে বলে জানা যায়। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে দ্রুত আগুন নেভায়। এই আগুন লাগার কারণে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, বাসটি থানার পাশে অন্ধকার জায়গায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল। কিভাবে আগুন লেগেছে বলা যাচ্ছে না। সেটি নাশকতা নাকি অন্য কিছু সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪
X