জীবন বাজি রেখে সীমান্ত রক্ষার শপথ
দীর্ঘ ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ। এবার দেশের সীমান্ত রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়ার পালা। কঠোর প্রশিক্ষণের শেষ দিন তাই দৃপ্ত শপথ—‘নিজের জীবন বিপন্ন করে হলেও দেশের সীমান্ত রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হয়ে থাকব।’ গতকাল বৃহস্পতিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৫৫৬ জন নতুন সৈনিক এই শপথ নেন। ‘মনোবল, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও দক্ষতা’—বিজিবির এই মূলমন্ত্র চিত্তে ধারণ করে নবীন এই সৈনিকরা সীমান্ত রক্ষায় জীবন বাজি রেখে অর্পিত দায়িত্ব পালনের শপথ নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রাঙ্গণ ছাড়েন গতকাল। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) প্যারেড গ্রাউন্ডে ১০১তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে তারা বিজিবির সৈনিক জীবনে প্রবেশ করলেন। এ ব্যাচে ৫২০ জন পুরুষ সৈনিকের পাশাপাশি রয়েছেন ৩৬ নারী সৈনিকও। ১৪ জানুয়ারি বিজিটিসিঅ্যান্ডসিতে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। এ সময় বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় অসামরিক প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সকালে বিজিবি মহাপরিচালককে সশস্ত্র সালাম প্রদানের মধ্য দিয়ে নবীন সৈনিকদের শপথ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ শেষে বিজিবি মহাপরিচালক নবীন সৈনিকদের উদ্দেশে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন। বিজিবি মহাপরিচালক আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই বাহিনী সাফল্যের পথপরিক্রমায় আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার দেশপ্রেমিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে দেশমাতৃকার অখণ্ডতা রক্ষা, সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধ, নারী ও শিশু পাচারসহ যে কোনো আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অসামরিক সহায়তা প্রদান এবং যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি ও দুর্যোগ মোকাবিলায় বিজিবির ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত। বিজিবির নানা উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ পৃষ্ঠপোষকতা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় আজ এই বাহিনী একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, অত্যাধুনিক ত্রিমাত্রিক সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিজিবি আজ জল, স্থল ও আকাশপথে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম। নবীন সৈনিকদের উদ্দেশে মহাপরিচালক বলেন, শৃঙ্খলাই সৈনিকের মূল ভিত্তি। আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনো পিছপা হয় না, সে-ই প্রকৃত সৈনিক, বীরযোদ্ধা। সীমান্তে তোমাদের স্মার্ট সৈনিক হিসেবে দেখতে চাই। সীমান্তে তোমরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে, এজন্য কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অনৈতিক অর্থ উপার্জন ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে হবে। সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। বিজিবি হবে ‘সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক’—এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। বিজিবি মহাপরিচালক ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর বাহিনীর তৃতীয় ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের বিদায়লগ্নে নবীন সৈনিকদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদত্ত ভাষণের কথা স্মরণ করে বলেন, জাতির পিতার এই চোরাচালানবিরোধী ও প্রেষণামূলক অমূল্য কথাগুলোকে হৃদয়ে ধারণ করে তোমাদের দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে ১০১তম রিক্রুট ব্যাচের সব বিষয়ে সেরা চৌকস রিক্রুট হিসেবে প্রথম স্থান অধিকারী মো. মিনহাজ হোসেন রাফি, শারীরিক উৎকর্ষতা (পুরুষ) প্রথম স্থান অধিকারী সিপাহি আবু হুরায়রা এবং সব বিষয়ে তৃতীয় ও শারীরিক উৎকর্ষতা (মহিলা) বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকারী সিপাহি ছাবাতুন উল্লাহ জীম এবং ফায়ারিংয়ে শ্রেষ্ঠ সিপাহি মো. শাহিন উদ্দিনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। পরে বিজিবির প্রশিক্ষিত সদস্যদের অংশগ্রহণে আকর্ষণীয় ট্রিক ড্রিল এবং বিজিবির সুসজ্জিত বাদক দল মনোজ্ঞ ব্যান্ড ডিসপ্লে প্রদর্শন করে।
২৮ জুন, ২০২৪

ঢাকায় ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে নয়াদিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এর আগে, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নয়াদিল্লির ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) জয়দীপ মজুমদার, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।  এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গত রোববার বিভিন্ন দেশের অতিথিদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যোগ দেন। এ ছাড়াও রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি একান্তে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই নেতা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে আরও দৃঢ় করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সংক্ষিপ্ত বৈঠকে দুই নেতা একে অপরের খোঁজখবর নেন। এরপর মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাঙ্কোয়েট হলে যান এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নৈশভোজে যোগ দেন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস ও শেসেলের শীর্ষ নেতারাও মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।
১০ জুন, ২০২৪

শেখ হাসিনা-মোদি শুভেচ্ছা বিনিময়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে তার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মঞ্চে গিয়ে শেখ হাসিনাসহ বিদেশি নেতারা একে একে মোদিকে শুভেচ্ছা জানান। সাক্ষাতের সময় মোদি শেখ হাসিনার দিকে হাত বাড়িয়ে দেন এবং তারা হ্যান্ডশেক করেন। সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতে দুই নেতা একে অপরের খোঁজখবর নেন। এরপর মোদি শেখ হাসিনাকে সঙ্গে করে রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাঙ্কোয়েট হলে যান  এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেন। শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস ও সিসিলির শীর্ষ নেতারাও মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি বিশিষ্টজনের রেকর্ড উপস্থিতি দেখা গেছে। আজ (সোমবার) বিকেলে তিনি ঢাকার উদ্দেশে ভারতের রাজধানী ত্যাগ করবেন। এবারের সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বেশ কয়েক কর্মকর্তা।        
১০ জুন, ২০২৪

মন্ত্রিসভায় মোদির সঙ্গে শপথ নিলেন যারা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তার সঙ্গে পরপর শপথ নিয়েছেন নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও অন্তত ৭০ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন।  বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের মন্ত্রিসভায় এখন পর্যন্ত শপথ নিয়েছেন ৩০ জন মন্ত্রী, ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী ও স্বতন্ত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন পাঁচজন। তবে কাকে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।  রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শুরু হয় নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান। তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের নেতা নরেন্দ্র মোদি। এরপর একে একে শপথ নেন মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও। শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।  হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন মতে, মোদির পরেই শপথ নেন বিদায়ী মন্ত্রিসভার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এরপর শপথ নেন বিদায়ী মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের পর শপথ নেন বিদায়ী মন্ত্রিসভায় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। তারপরই মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা, প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হলেন তিনি।   এরপর শপথ নেন মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং ওই রাজ্যেরই বিদিশা কেন্দ্রের নির্বাচিত সংসদ সদস্য শিবরাজ সিং চৌহান। শিবরাজের পর শপথ নেন বিদায়ী মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য নির্মলা সীতারামন। নির্মলার পর শপথ নেন বিদায়ী মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ সদস্য এস জয়শঙ্কর। জয়শঙ্করের পর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং এবার হরিয়ানার কার্নাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয় পাওয়া প্রবীণ বিজেপি নেতা মনোহরলাল খট্টর। এরপর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার ছেলে জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী। এবার কর্নাটকের মান্ড্য কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি।   কুমারস্বামীর পর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিদায়ী মন্ত্রিসভায় ক্রেতাসুরক্ষা, খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এরপর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ সদস্য এবং বিদায়ী মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।   এ ছাড়াও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এনডিএর শরিক দল হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার (হাম) নেতা জিতনরাম মাঝিঁ। এরপর শপথ নেন এনডিএর শরিক দল জেডিইউ-র রাজিবরঞ্জন সিং। নীতিশের দলের এই নেতা বিহারের মুঙ্গের আসন থেকে জয়ী হয়েছেন।   এ ছাড়া মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সংসদ সদস্য বীরেন্দ্র কুমার, এনডিএর শরিক দল টিডিপির নেতা কে রামমোহন নাইডু, কর্নাটকের ধারওয়াড় কেন্দ্রের বিজেপি সংসদ সদস্য প্রহ্লাদ জোশি ও ওড়িশার সুন্দরগড়ের বিজেপি সংসদ সদস্য জুয়েল ওরাওঁ। আরও শপথ নিয়েছেন বিদায়ী মন্ত্রিসভার গ্রামোন্নয়নবিষয়কমন্ত্রী এবং বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিং, বিদায়ী মন্ত্রিসভার রেলমন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ সদস্য অশ্বিনী বৈষ্ণব, মধ্যপ্রদেশের গুনা আসনে বিজেপি সংসদ সদস্য এবং বিদায়ী মন্ত্রিসভায় বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডে।     ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন মতে, এবার ২৭ জন পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় থেকে, ১০ জন তপশিলি নিম্নবর্গের হিন্দু সম্প্রদায় থেকে, পাঁচজন তপশিলি আদিবাসী সম্প্রদায়ের, পাঁচজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।   প্রসঙ্গত, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে এবার নরেন্দ্র মোদি হয়ে পড়েন পরনির্ভর। ফলে কিংমেকার হয়ে ওঠেন জোট সঙ্গী চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। দল দুটি যথাক্রমে ১৬টি ও ১২টি করে আসন জিতেছে। সুযোগ বুঝে নাইডু ও নীতিশ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে ব্যাপক দরকষাকষিতে নামেন। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, শেষ পর্যন্ত টিডিপি চারজন ও জেডিইউ দুজন করে মন্ত্রী পাচ্ছেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।   
০৯ জুন, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক এ শপথগ্রহণ করলেন তিনি। জওহরলাল নেহেরুর পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে টানা তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নজির গড়লেন নরেন্দ্র মোদি।  আজ (রোববার) ঠিক সন্ধ্যা ৭টা ২৩ মিনিট ২১ সেকেন্ডে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০টা বছর পার করে একাদশ বছরে পদার্পণ করলেন মোদি। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেহেরু। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। ১৯৫১-৫২ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ৪৮৯টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৬৪টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। ১৯৫৭ সালে ৪৮৯টি আসনের মধ্যে ৩৭১টিতে জিতেছিল। ১৯৬২ সালে ৩৬১টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস।  আর মোদি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ২০১৪ সালে। টানা ১০ বছরের কংগ্রেসের শাসনের পরে বিজেপির ঝড় উঠেছিল ভারতে। আর প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মোদি। যিনি এর আগে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।  ২০১৯ সালে বিজেপির আধিপত্য আরও বৃদ্ধি পায়। দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেছিলেন। আর ২০২৪ সালের ৯ জুন সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদি।  তবে ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালের মধ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে পারেনি বিজেপি। এবার লোকসভা নির্বাচনে ২৪০টি আসন পেয়েছে নরেন্দ্র মোদির দল। সেই পরিস্থিতিতে এনডিএ জোটের বিভিন্ন দলের সাহায্য নিয়ে ২৭২-র ম্যাজিক ফিগার পার করেছে বিজেপি। ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালে বিজেপি এককভাবেই ম্যাজিক ফিগার পার করে গিয়েছিল। সেই নিরিখে বিচার করলে তৃতীয় দফায় নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছেন মোদি।  এদিকে মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে তারকাদের ঢল নেমেছে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে। বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে সেখানে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচন্ড, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে।  এ ছাড়াও উপস্থিত আছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, সুপারস্টার শাহরুখ খান, রজনীকান্ত, মুকেশ আম্বানিদের মতো তারকারা।  
০৯ জুন, ২০২৪

মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাসহ থাকবেন যেসব রাষ্ট্রনায়ক
টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার (০৯ জুন) সন্ধ্যায় তার শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও অন্তত সাতজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত থাকবেন।  শনিবার (০৮ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নরেন্দ্র মোদিকে শপথ পাঠ করাবেন। অনুষ্ঠানটিকে স্বরণীয় করে রাখতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদেরও।  আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড। এমনকি সম্পর্কের টানপড়েন চলা দেশ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগয়াল ওয়াংচুক, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগনথ এবং পূর্ব আফ্রিকার দেশ সেশেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমদে আফিফকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।  সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় এসব অতিথির জন্য তাজ প্যালেস, দ্য ওবেরয়, দ্য লীলা প্যালেস এবং আইটিসি মৌর্যের মতো পাঁচ তারকা সব হোটেল বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তার কারণে যেকোনো সময় বদল করা হতে পারে অতিথিদের ঠিকানা। প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে আট হাজারের বেশি অতিথি থাকবেন।  ২০১৯ সালে শপথ অনুষ্ঠানে বিমসটেক গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি। আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলাদেশ, ভুটান, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধান। দশ বছর আগে ক্ষমতায় আসার পরেই প্রথম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্ক সদস্য দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানান মোদি। সেবারের শপথ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও। ২০১৯ সালে মোদির সঙ্গে শপথ নেন ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ৯ জন প্রতিমন্ত্রী। তবে এবার নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে মোদির মন্ত্রিসভায় এ বার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেখা যেতে পারে টিডিপি এবং জেডিইউ-এর মতো দলগুলোকে।  
০৯ জুন, ২০২৪

মোদির সঙ্গে শপথ নেবেন আরও যেসব মন্ত্রী
টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার (০৯ জুন) সন্ধ্যায় তার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে কেবল মোদি নয়, তার সঙ্গে শপথ নিতে পারেন ভারতের কয়েক ডজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীও।  রোববার (০৯ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি আজ শপথ নিলেও তার সঙ্গে পূর্ণ মন্ত্রিসভা শপথ নেবেন না। ৩০ জনের মতো মন্ত্রিসভার সদস্য আজ শপথ নিতে পারেন। এ ছাড়া পূর্ণ মন্ত্রিসভায় ৭৮ থেকে ৮১ জন সদস্য থাকতে পারেন।  আজ শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের সম্ভাব্য সংখ্যা বলা হলেও ঠিক কোন কোন মন্ত্রী শপথ নেবেন তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, মোদির সঙ্গে সরকারের শীর্ষ মন্ত্রী যেমন  স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শপথ নিতে পারেন। আর এসব মন্ত্রীর সবাই হবেন মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য। এ ছাড়া ইস্পাত, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং খনির মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরাও শপথ নিতে পারেন।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ৭টা ১৫ থেকে ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে শপথ অনুষ্ঠিত হতে পারে। অর্থাৎ শপথ অনুষ্ঠান ৪৫ মিনিটের মতো দীর্ঘ হবে। রোববার সকাল থেকে সরকারের পক্ষ থেকে শপথের জন্য মন্ত্রীদের ফোনকল করা হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।  টানা ১০ বছর পর এবারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ফলে সরকার গঠনে এবার জোটবদ্ধ হয়েছে তারা। যার মধ্যে রয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দেশ পার্টি এবং নীতিশ কুমারের জনতা দল। ফলে মন্ত্রিসভায়ও এর প্রভাব পড়বে। জোটের সদস্যরাও মন্ত্রীপদ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য দরকষাকষি শুরু করেছে। এর আগে সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, এবারের মন্ত্রিসভায় নীতিশ কুমারের দল সরকারের দুটি মন্ত্রণালয় বাগিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনে দলটি ১২ আসন পেয়েছে। অন্যদিকে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল জেডিইউ বাগিয়ে নিয়েছে চারটি মন্ত্রণালয়। তারা নির্বাচনে ১৬ আসন পেয়েছে। তবে আজ  এসব মন্ত্রীদের শপথ হবে কিনা তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি।  ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। এর আগে জওহরলাল নেহরু টানা তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৫২, ১৯৫৭ এবং ১৯৬২ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।   
০৯ জুন, ২০২৪

সন্ধ্যায় মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় শপথ নেবেন তিনি। শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস এবং সেশেলসের শীর্ষ নেতারাও মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ৮ হাজারের বেশি বিশিষ্টজনের রেকর্ড উপস্থিতি দেখা যাবে। খবর বাসসের। শপথ অনুষ্ঠান চলাকালীন রাষ্ট্রপতি ভবনে এবং বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দিল্লিকে একটি বহু-স্তর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় রাখা হয়েছে। এই শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার (৮ জুন) সকাল সোয়া ১০টার দিকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে ১০ জুন দুপুরে দেশে ফিরবেন তিনি। অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া এ সফরে বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যসম্পাদন ও রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। সোমবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন রাত ৮টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। এর আগে গত বুধবার টেলিফোনে আলাপকালে তার সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান মোদি। শেখ হাসিনা সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত, ভারতের নির্বাচন কমিশনের ফলাফলে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে ২৪০টি এবং তার নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯২টি আসন।
০৯ জুন, ২০২৪

মোদির শপথ রোববার / ৩ স্তরের নিরাপত্তাবলয়ে দিল্লি
টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি শপথ নেবেন আগামীকাল রোববার (৯ জুন)। রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে চরম ব্যস্ততা দিল্লিজুড়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে রাজধানীকে। এমনকি রাষ্ট্রপতি ভবন ও আশপাশের অঞ্চলকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতে জওহরলাল নেহরুর পরে তিনিই দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে টানা তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের উঠানে বিপুলসংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে শপথ নেবেন মোদি। গত ১ জুন সাত দফায় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর ৪ জুন দেশটির নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণা করে। এতে একক কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তবে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠনের অধিকার পায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাষ্ট্রপতি ভবনের উঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ শুরু হবে। এ উপলক্ষে শপথস্থল এবং আশপাশের অঞ্চলকে শনিবার থেকেই তিন স্তরের নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার প্রথম স্তরে আছে দিল্লি পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। দ্বিতীয় স্তরে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডোরা। এরপরের বলয়ে আছেন গোয়েন্দা বিভাগের উচ্চক্ষমতাধর কর্মকর্তারা এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসপিজি বাহিনী। এদিকে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা বিশেষ অতিথিরা তাজ, ওবেরয়, লীলা, মৌর্যসহ বিভিন্ন হোটেলে থাকবেন। সেখানেও নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। সূত্র বলছে, দিল্লির ওপর নজর রাখতে আকাশে ক্রমাগত চক্কর দেবে বিমানবাহিনীসহ অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনীর হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টারগুলোতে সেনা ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) কমান্ডোরা ভারী অস্ত্র হাতে থাকবেন। দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ বহুতল ভবনগুলোতে এনএসজি এবং সেনার স্নাইপারদের মোতায়েন করা হবে। মোদির সঙ্গে থাকা নিয়ে যা বললেন নাইডু টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। এ দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান এন চন্দ্রবাবু নাইডুর। যদিও তাকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল তবুও তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যারা এদিক-ওদিকে যেতে চান তাদের লাভ হয় না। আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা সবাই আপনার সঙ্গে থাকব, আপনার নেতৃত্বে কাজ করব।  বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের অন্য নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সকলে এগিয়ে যাবেন। আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা সবাই মোদির সঙ্গেই থাকব। উনি যা করবেন তা আমরা সবাই মিলে মেনে চলব। শুক্রবার সকালে এনডিএ জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এনডিএর এ বৈঠকে মোদির বাঁ পাশে ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু এবং তার পাশেই ছিলেন আরেক কিংমেকার নীতিশ কুমার। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নাম প্রস্তাব করা হলে তাতে সমর্থন জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জনতা দলের (জেডিইউ) প্রধান নীতিশ কুমার।
০৮ জুন, ২০২৪

মোদির শপথ  / ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৮ জুন) সকাল সোয়া ১০টার দিকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে ১০ জুন দুপুরে দেশে ফিরবেন তিনি। এ নিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন মোদি। অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া এ সফরে বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যসম্পাদন ও রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। সোমবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন রাত ৮টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। এর আগে গত বুধবার টেলিফোনে আলাপকালে তার সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান মোদি। শেখ হাসিনা সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত, ভারতের নির্বাচন কমিশনের ফলাফলে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে ২৪০টি এবং তার নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯২টি আসন।      
০৮ জুন, ২০২৪
X