আদর্শ-ভক্তের লড়াই যেভাবে দেখবেন
ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের মঞ্চে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বনাম কিলিয়ান এমবাপ্পে— একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে মাঠের বাইরে সিআরসেভেনের ভক্ত ফরাসি তারকা। দুই মহাতারকার জীবনেও আশ্চর্য মিল। প্রবল আর্থিক সংকটের কারণে রোনালদোকে পৃথিবীতে আনতে চাননি তার মা মারিয়া সান্তোস। কাজ করতেন গৃহ পবিচালিকার। অন্যদিকে প্যারিসে কুখ্যাত অঞ্চলে জন্ম এমবাপ্পের। যেখানে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় আগ্নেয়াস্ত্র। সেই আঁধারের জগত থেকে বেরিয়ে আসতে এনগোলো কান্তে, পল পগবাদের এমবাপ্পেও হাতিয়ার বানান ফুটবলকে। আট বছর আগে ২০১৬ সালে ফ্রান্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরো কাপের শিরোপা জেতে পর্তুগাল। সেবার পর্তুগিজ তারকাকে শুনতে হয়, ‘রোনালদো দুর্দান্ত, তবে সময়ের সেরা লিওনেল মেসিই। প্রতিবার আঘাত পেয়ে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। নিজেকে প্রমাণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন, আঁধার থেকে বারবার ফিরে আসেন আলোতে। চলতি আসরে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ১০৫ মিনিটে পেনাল্টি মিস করে কান্না করে সমালোচনা ও বিদ্রুপ মন্তব্যের শিকার হন রোনালদো। ৩৯ বছর বয়সি পর্তুগিজ তারকা বলেন, ‘ফুটবল আমাকে শিক্ষা দিয়েছে যারা ব্যর্থ হয়, তারাই উঠে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করে ঘুরে দাঁড়ানোর।’ চলতি ইউরোয় এখন পর্যন্ত গোল করতে পারেননি তিনি। তবে প্রতিপক্ষ ফ্রান্স হওয়ায় পর্তুগালকে নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী নন ফুটবল বিশ্লেষকরা। একই মনোভাব ফরাসি তারকার। শেষ আটের দ্বৈরথের আগে এমবাপ্পে বলেন, ‘আমরা ক্ষুধার্ত হয়ে রয়েছি সেমিফাইনালে ওঠার জন্য। পর্তুগাল দারুণ শক্তিশালী। ওরা যে ইউরোপের অন্যতম সেরা দল তা শেষ আটে উঠেই প্রমাণ করেছে। আমার মনে হয়, দারুণ আক্রমণাত্মক খেলা হবে।’ দুই তারকার দ্বৈরথ নতুন নয়। ২০১৭-১৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় প্রথমবার মুখোমুখি হন রোনালদো-এমবাপ্পে। তখন রিয়াদ মাদ্রিদে রোনালদো আর পিএসজির জার্সিতে এমবাপ্পে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলে জিতেছিল রোনালদোর দল।         View this post on Instagram                       A post shared by Uptown Lounge & Club (@uptown_jhamsikhel) পর্তুগিজ অধিনায়কের পথে হেঁটেই ফরাসি তারকা যোগ দিয়েছেন রিয়ালে। সিআরসেভেনের কাছে স্প্যানিশ ক্লাবটি এখন অতীত। আর এমবাপ্পের কাছে ভবিষ্যৎ। শনিবারের রাতে (বাংলাদেশ সময়) দ্বৈরথে যত না ফ্রান্স-পর্তুগালের, তার চেয়েও বেশি আদর্শ রোনালদোর বিপক্ষে ভক্ত এমবাপ্পের লড়াই। ম্যাচ শুরু কখন   •    শহর : হামবুর্গ, জার্মানি •    স্টেডিয়াম : ভক্সপার্কস্ট্যাডিয়ন •    তারিখ : শনিবার ৬ জুলাই •    ম্যাচ শুরুর সময় : রাত ১টা      পরিসংখ্যান   •    ম্যাচ : ২৫ •    পর্তুগাল : ৬ •    ফ্রান্স : ১৬ •    ড্র : ৩ দুদলের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচ   •    ২৩ জুন ২০২১, পর্তুগাল ২-২ ফ্রান্স •    ১৪ নভেম্বর ২০২০, পর্তুগাল ০-১ ফ্রান্স •    ১১ অক্টোবর ২০২০, ফ্রান্স ০-০ পর্তুগাল •    ১০ জুলাই ২০১৬, পর্তুগাল ১-০ ফ্রান্স •    ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, পর্তুগাল ০-১ ফ্রান্স যেভাবে দেখবেন   •    যুক্তরাজ্য : বিবিসি ওয়ান, বিবিসি স্পোর্ট ওয়েব •    যুক্তরাষ্ট্র : ফক্স নেটওয়ার্ক, ফক্স স্পোর্টস অ্যাপ •    কানাডা : টিভিএ স্পোর্টস •    ভারত : সনি নেটওয়ার্ক •    বাংলাদেশ : টি স্পোর্টস, টি স্পোর্টস অ্যাপ দুদলের সম্ভাব্য একাদশ   পর্তুগাল (৪-২-৩-১) : কোস্তা; ক্যানসেলো, ডায়াস, পেপে, মেন্ডেস; ভিটিনহা, পালিনহা; বার্নার্দো সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, লিও; রোনালদো ফ্রান্স (৪-৩-৩) : মেগানান, কুন্দে, উপামেকানো, সালিবা, হার্নান্দেজ, কান্তে, চৌয়ামেনি, গ্রিজম্যান, দেম্বেলে, কোলো মুয়ানি, এমবাপ্পে।
৩ ঘণ্টা আগে

মেসিকে নিয়ে সেমিতে ওঠার লড়াই আর্জেন্টিনার
অনেক জল্পনা-কল্পনার পর লিওনেল মেসিকে একাদশে রেখেই ইকুয়েডরের বিপক্ষে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নেমেছে আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়েছিলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় খেলানো হয়নি পেরুর বিপক্ষে। তবে একাদশের বাইরে রাখা হয়েছে ডি মারিয়াকে। ফলে সুযোগ পেয়েছেন নিকোলাস গঞ্জালো। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে একাদশ সাজালেও বিপক্ষে ৪-৪-২ রণকৌশল ঠিক করেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। Our starting XI to face Ecuador in the quarterfinals!#ArgentinaNT pic.twitter.com/fR6t4ds2VB — Selección Argentina in English (@AFASeleccionEN) July 5, 2024 লিওনেল মেসির সঙ্গে আক্রমণে থাকছেন এবারের কোপায় সর্বোচ্চ গোলদাতা লাউতারো মার্তিনেজ। আর্জেন্টিনার একাদশ (৪-৪-২)   গোলকিপার: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ রক্ষণ ভাগ: নাহুয়েল মোলিনা, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, লিসান্দ্রো মার্তিনেজ, নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকো মাঝমাঠ : এনজো ফার্নান্দেজ, রদ্রিগো ডি পল, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, নিকোলাস গঞ্জালেজ স্ট্রাইকার : লাউতারো মার্তিনেজ, লিওনেল মেসি (অধিনায়ক)। প্রধান কোচ : লিওনেল স্কালোনি
১৪ ঘণ্টা আগে

গাজার রাস্তায় রাস্তায় তীব্র লড়াই
ফিলিস্তিনের গাজা শহরের শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের। লড়াইয়ের চতুর্থ দিনেও এ এলাকায় বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি বিমান। এ ছাড়া গাজার মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা এলাকাতেও হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।  আল আরাবিয়া নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উপত্যকার সর্বত্র লড়াইয়ের কথা স্বীকার করেছেন। নেতানিয়াহু বলেছেন, তার বাহিনী কঠিন লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা সুড়ঙ্গের ওপরে ও নিচে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বিধ্বস্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে নিরপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ বলেছে, গত বৃহস্পতিবার শুজাইয়ায় যুদ্ধ শুরুর পর ৬০ থেকে ৮০ হাজার লোক এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি বিষয়ে আলোচনায় তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানা গেছে। হামাস শনিবার বলেছে,মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা যে সংশোধিত নতুন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে তাতে নতুন কিছু নেই। হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে পুরোপুরি ইসরায়েলি সৈন্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু ইসরায়েল হামাসের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করছে। নেতানিয়াহু রোববার বলেছেন, আমাদের জিম্মি মুক্তির পথে একমাত্র বাধা হামাস। 
০১ জুলাই, ২০২৪

ভোরে টিকে থাকার লড়াই ব্রাজিলের
টিকে থাকতে দুদলের জন্য ম্যাচটা সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্যারাগুয়ে-ব্রাজিল, দুদলের প্রথম লক্ষ্য কোপা আমেরিকার ৪৮ আসরের প্রথম জয়। নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার জন্য গোলশূন্য ড্র করে সেলেসাওরা। অন্যদিকে কলম্বিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় প্যারাগুয়ে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের ৫২ নম্বরে থাকা কোস্টারিকার বিপক্ষে গোল পায়নি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো এবং রাফিনিয়াদের নিয়ে গড়া তারকাখচিত ব্রাজিল। এ জন কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি সেলেসাওদের। নিজ অঞ্চলের দল প্যারাগুয়ের বিপক্ষে সহজ জয়ের প্রত্যাশা সমর্থকদের। লাতিন এ দলটির বিপক্ষে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অতীত রেকর্ড বেশ ভালো। প্যারাগুয়েকে ৯-০ গোলে হারানোর রেকর্ড রয়েছে ২০১৯ কোপার শিরোপা জয়ীদের। এ ছাড়া সবশেষ চার ম্যাচের সবগুলোতে জিতেছে দরিভার জুনিয়রের দল। ম্যাচ শুরুর সময়   ভেন্যুঃ লাস ভেগাস, নেভাদা স্টেডিয়ামঃ অ্যালিজিয়েন্ট স্টেডিয়াম তারিখঃ শনিবার, ২৯ জুন (বাংলাদেশ সময়) সময়ঃ সকাল ৭টা প্যারাগুয়ে-ব্রাজিল ম্যাচের পরিসংখ্যান   ম্যাচঃ ৮৩ ব্রাজিলঃ ৫১ প্যারাগুয়েঃ ১৩ ড্রঃ ১৯ সবশেষ ম্যাচঃ ব্রাজিল ৪-০ প্যারাগুয়ে (বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২) যেভাবে দেখবেন   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রঃ এফএসওয়ান, ফক্স স্পোর্টস অ্যাপ, ফুবো   যুক্তরাজ্যঃ প্রিমিয়ার স্পোর্টস ওয়ান   বাংলাদেশঃ টি স্পোর্টস, টি স্পোর্টস অ্যাপ দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ   কোপা আমেরিকার ডি-গ্রুপে এখন পর্যন্ত কোনো পয়েন্ট পায়নি প্যারাগুয়ে। পয়েন্ট টেবিলের সবার নিচে রয়েছে তারা। কলম্বিয়ার কাছে ২-১ গোলের হারের পর টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে ব্রাজিলের বিপক্ষে অন্তত একটি পয়েন্ট সংগ্রহ করার লক্ষ্য তাদের। কোস্টারিকার বিপক্ষে নিজেদের ম্যাচের পারফরম্যান্স দরিভাল জুনিয়রের দলকে ঘিরে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। সেলেকাওয়ের আক্রমণগুলোকে বিচ্ছিন্ন বলে মনে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত, তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার মতো পারফরম্যান্স করতে পারেননি ব্রাজিলিয়ানরা। আগামী সপ্তাহে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে কোপা আমেরিকায় জয় চান ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়র। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে শুরুর একাদশ পরিবর্তন আনতে পারেন তিনি। প্যারাগুয়ের সম্ভাব্য একাদশঃ (৪-৩-৩) মোরিনিগো (গোলকিপার), ভেলাজকুয়েজ, বালবুয়েনা, আলডেরেট, এস্পিনোজা, রোজাস, কিউবাস, কাবালেরো; রোমেরো, আর্সে এবং এনসিসো ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশঃ (৪-২-৩-১) অ্যালিসন, দানিলো, মিলিতাও, মারকুইনহোস, আরানা, গুইমারেস, লুইজ, রাফিনিয়া, পাকুয়েতা, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো।
২৮ জুন, ২০২৪

কীভাবে ফ্রিতে দেখবেন বাংলাদেশ-ভারত লড়াই
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট শুরু করে ভারত। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের মাধ্যমে সেরা আটের লড়াই শুরু হয় বাংলাদেশের। এবার সুপার এইটে বাংলাদেশ-ভারতের গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। সেমিফাইনালের আশা-প্রত্যাশা বাঁচিয়ে রাখার লড়াই নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। অন্যদিকে শেষ চারে দৌড়ে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করার লড়াই টিম ইন্ডিয়ার। কখন, কোথায়, কীভাবে দেখবেন দুই দলের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ? ICC Men's T20 World Cup | Super Eight Bangladesh India | 22 June, 2024 | Time: 08:30 PM (BST) Venue: Sir Vivian Richards Stadium, North Sound, Antigua Photo Credit: ICC/Getty#BCB #Cricket #BANvIND #T20WorldCup pic.twitter.com/UPMMgx2H0l — Bangladesh Cricket (@BCBtigers) June 21, 2024 ম্যাচের ভেন্যু : অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম ম্যাচের সময় : শনিবার (২২ জুন) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টা। এর ৩০ মিনিট আগে হবে ম্যাচের টস। যেভাবে দেখবেন : বাংলাদেশ-ভারত লড়াই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৪৭তম ম্যাচ। স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে প্রায় সবগুলো চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করবে এ ম্যাচ। ইংরেজি ও হিন্দি ছাড়াও ভারতীয় অন্যান্য ভাষায়ও উপভোগ করা যাবে এ ম্যাচ। এ ছাড়া বাংলাদেশের নাগরিক টেলিভিশনও সরাসরি সম্প্রচার করছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ। অনলাইনে যেভাবে দেখবেন : ভারতীয়রা ডিজনি প্লাস হটস্টারে বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন এ ম্যাচ। বাংলাদেশে টফি অ্যাপে এবং ওয়েব সাইটে দেখা যাবে বাংলাদেশ-ভারত লড়াই। দুই দলের পুরো স্কোয়াড   বাংলাদেশ : তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান, জাকের  আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শরীফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার। ভারত : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, ঋষভ পান্ত, সঞ্জু স্যামসন, আর্শদীপ সিং, জসপ্রীত বুমরা ও মোহম্মদ সিরাজ।
২২ জুন, ২০২৪

রাত পোহালে অজি-আফগান লড়াই
সেন্ট ভিনসেন্টের আরনস ভ্যালি গ্রাউন্ডে রাত পোহালেই খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া আর আফগানিস্তান। কে ফেভারিট তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়েছে মিচেল মার্শের দল। অন্যদিকে ভারতের কাছে বাজেভাবে হেরেছে আফগানরা। তবে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে হারলেও রশিদ খানের দল নিজেদের দিনে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন। দলে এমন কিছু ক্রিকেটার আছেন, যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত। তবু অস্ট্রেলিয়া যোজন ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে। অস্ট্রেলিয়া দলে তারকার অভাব নেই। আর সবাই ভালো ফর্মেও আছে। আইপিএল ফাইনালের স্মৃতি যাদের মনে আছে, তারা জানেন কি দুরন্ত স্পেলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। প্যাট কামিন্স গতকালই বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন। কামিন্স ১৮তম ওভারের শেষ দুটি বলে পরপর মাহমুদউল্লাহ এবং মেহেদি হাসানকে আউট করেন। এর পর ২০তম ওভারের প্রথম বলেই তুলে নেন তৌহিদ হৃদয়ের উইকেট। সঙ্গে দুরন্ত ফর্মে আছেন অ্যাডাম জাম্পা। ট্রাভিস হেড আর ডেভিড ওয়ার্নারের ওপেনিং জুটি চলতি বিশ্বকাপের ভয়ংকরতম। এমন জুটিকে ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে রশিদ খানদের।
২২ জুন, ২০২৪

আওয়ামী লীগের লড়াই সংগ্রাম আঘাত, ষড়যন্ত্র ও ঘুরে দাঁড়ানো
১৯৪৯-১৯৬৪ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার হওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হওয়া শেখ মুজিবের নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিয়ে তাকে এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২৭ জুন তিনি আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা হিসেবে জেল থেকে বের হন।  নিজের দূরদর্শিতা এবং নেতৃত্বগুণে মাত্র ৩০ বছর বয়সেই দলের অপরিহার্য মুখ হয়ে পড়েন শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবের উদ্যোগে প্রাদেশিক দল থেকে পুরো পাকিস্তানের জাতীয় দলে পরিণত হয় আওয়ামী লীগ। ভাষা আন্দোলনে সামনে থেকে ভূমিকা রাখার কারণে কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার কারণে বিভিন্ন অযুহাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হতো। দলকে গুছিয়ে জাতীয় দলে পরিণত করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জনমত সৃষ্টি করছে এই ভয় থেকে ১৯৫০ সালে শেখ মুজিবকে আবারো গ্রেপ্তার করা হয়। ২৬ মাস পর ১৯৫২ সালের এপ্রিলে জেল থেকে বের হয়ে দেশের অধিকাংশ জেলায় রাজনৈতিক সফর করেন তিনি।  পাকিস্তানিদের নানা ষড়যন্ত্র ও জেল-জুলুমকে ডিঙিয়ে প্রায় চার মাসব্যাপী নিরলস পরিশ্রম করে সারা দেশের কমিটি পুনর্গঠন করে তরুণ নেতা শেখ মুজিব মাত্র ৩২ বছর বয়সে দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের পোস্টারে পরিণত হন তিনি। ১৯৫৩ সালের ৯ জুলাই আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিলে মাওলানা ভাসানীকে সভাপতি ও শেখ মুজিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে (পূর্ব পাকিস্তান) আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্ট ১৯৫৪ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেয়। আওয়ামী লীগের ওপর ভর করে ১৯৫৪ সালের ৩ এপ্রিল সরকার গঠন করে যুক্তফ্রন্ট। কিন্তু পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের কারণে মাত্র দুই মাসের কম সময়ের ব্যবধানে, ১৯৫৪ সালের ৩১ মে, যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বরখাস্ত করা হয়।  শেখ মুজিবসহ পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের ৩৫ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৫৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তফ্রন্ট ভেঙে যায় এবং একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িকতার প্রতি বাংলার মানুষের গণরায়ের ওপর ভিত্তির করে, ১৯৫৫ সালের ২২-২৩ অক্টোবর আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটিকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর ১৯৫৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রাদেশিক পরিষদের সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। মন্ত্রিসভায় শেখ মুজিবকে শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতিরোধ ও গ্রামীণ সহায়তাবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু দুলকে শক্তিশালী করার জন্য মে মাসের শেষে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। দেশজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার কাজে নিমগ্ন হয়ে যান তিনি। ১৩ মাস সরকার পরিচালনার পর প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জার ষড়যন্ত্রের কারণে আওয়ামী লীগ মন্ত্রিসভার পতন হয়। ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে সামরিক আইন জারি করেন তিনি। ১২ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয় শেখ মুজিবকে। দেশে রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ২৭ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দখল নেন সেনাপ্রধান আইয়ুব খান। জেল থেকে বের হয়ে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৩ সালের শেষের দিকে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর, একক নেতৃত্বে দলকে পুনর্জীবন প্রদান করেন শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবের সাহসী উদ্যোগে ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব জেলায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয়। কয়েক বছরের রাজনৈতিক স্থবিরতা ভেঙে এক নতুন আওয়ামী লীগের পথচলা শুরু হয়। ১৯৬৬-১৯৭১ ১৯৬৬ সালের ১৮ ও ১৯ মার্চের কাউন্সিলে শেখ মুজিবকে সভাপতি ও তাজউদ্দীন আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠিত হয়। ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উত্থাপন করের আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান। দেশজুড়ে ছয় দফার পক্ষে গণ প্রচার শুরু হলে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক ও রাজনীতিকরা অস্ত্রের ভাষায় এই গণজাগরণ মোকাবিলার চেষ্টা করলে এর প্রতিবাদে ৭ জুন হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। বিপরীতে সেদিন ১৪৪ ধারা জারি করে পাকিস্তানিরা। কিন্তু ছাত্র-জনতার পাশাপাশি শ্রমিকরাও রাজপথে নেমে আসে ছয় দফার সমর্থনে। জান্তাদের গুলিতে প্রাণ হারায় ১১ জন। এরপর গণগ্রেপ্তার শুরু হয়। একের পর এক আটক হতে থাকেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এসব গ্রেপ্তার, হত্যা ও ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে মাত্র দেড় মাসে বিভিন্ন জেলায় ৩২টি জনসভা করেন শেখ মুজিব।  এরপর ১৯৬৬ সালের ৮ মে তাকে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘমেয়াদে জেলে রাখা হয়। ১৯৬৭ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আবুল হাসনাত মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক গতিপ্রবাহ নিশ্চিত করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক এই ছয় দফার পরপরই বাংলার রাজনীতির গতিপথ বদলে যায়। শেখ মুজিব হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির একমাত্র কণ্ঠস্বর। আর আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠে স্বাধীনতার অমিয় স্বাদ এনে দেওয়ার মতো একটি মাত্র দল। কারণ ছয় দফায় ছয়টি দাবি থাকলেও মূল দাবি আসলে ছিল একটি, আর সেটি হলো বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তি।  ছয় দফার গণজাগরণে ভীত হয়ে পড়ে পশ্চিম পাকিস্তানিরা। বঙ্গবন্ধুর অসম সাহসী নেতৃত্ব ও গগনচুম্বী জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে ১৯৬৮ সালের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর নামে দায়ের করা হয় 'রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব এবং অন্যান্য' নামের একটি মামলা (আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা)। এ সময় দেশজুড়ে মানুষ স্লোগান দিতে থাকে 'জেলের তালা ভাঙব, শেখ মুজিবকে আনব।' বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একসঙ্গে একাকার হয়ে যেতে থাকে বাঙালির মানসপটে।  প্রবল জনরোষের মুখে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সামরিক সরকার। পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার বিমূর্ত প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসভায় 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এই গণ-আন্দোলনের পথ ধরেই ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ আইয়ুব খানের পতন হয়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে একচ্ছত্র হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগ।  ১৯৭০-১৯৭১ জেল থেকে বের হয়ে সাত কোটি জনতাকে সঙ্গে নিয়ে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠে আওয়াজ তোলেন বঙ্গবন্ধু। প্রচণ্ড গণদাবির মুখে ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি জান্তারা। সেই নির্বাচনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একচেটিয়াভাবে ভোট দেয় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে। যার ফলে, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সংরক্ষিত ৭ আসনসহ ৩১৩টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে সরাসরি ভোটে জিতে পুরো পাকিস্তানের এক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ।  এ ছাড়াও পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদে সংরক্ষিত ১০ আসনসহ ৩১০টি আসনের মধ্যে সরাসরি ভোটে ২৯৮টি আসন লাভ করে বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার একমাত্র আস্থার জায়গা অর্জন করে বাংলার জনগণের কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। কিন্তু পাকিস্তানিরা ষড়যন্ত্র করে জনগণের রায়কে প্রত্যাখান করার পাঁয়তারা করতে থাকে। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে কৌশলে দেশবাসীকে স্বাধীনতার চূড়ান্ত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে শুরু করেন বঙ্গবন্ধু।  ১ মার্চ ইয়াহিয়া খান অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় পরিষদের বৈঠক স্থগিতের ঘোষণা দিলে সারা বাংলায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দেশজুড়ে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। ৭ মার্চ রেসকোর্সের জনসমুদ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি অঘোষিত কিন্তু বিকল্প সরকার পরিচালিত হতে শুরু করে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের আর কোথাও পাকিস্তান সরকারের কোনো আদেশ মানা হলো না। সব স্থান থেকে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে উড়ানো হয় বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত লাল-সবুজের নিশান। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে গ্রামে গ্রামে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে উঠতে থাকে সংগ্রাম পরিষদ। কিন্তু এরমাঝেই সব নিয়ম-নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে ২৫ মার্চের কাল রাতে ঘুমন্তু বাঙালি জাতির ওপর গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানি জান্তারা। ফলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্পষ্ট ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। এর পরপরই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানের নির্জন জেলে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার পর জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন আপামর বাঙালি।  এরই পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি ও সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করে ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের সরকার গঠন করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরের মুক্তাঙ্গনে শপথ নেন তারা। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ ও উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম দায়িত্ব নেন। অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে দিয়ে গঠন করা হয় স্বরাষ্ট্র, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়। 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে রণাঙ্গন।  দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা যুদ্ধে মহান বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। এরপর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন মহাকাব্যের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের হাত ধরে হাজার বছরের দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলে বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে মহান স্বাধীনতা। ১৯৭২-১৯৮১ আওয়ামী লীগের হাত ধরে হাজার বছরের দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলে বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে মহান স্বাধীনতা। জাতির পিতার নেতৃত্বে সীমাবদ্ধ সম্পদ নিয়ে চলতে থাকে অবকাঠামো নির্মাণ। দীর্ঘমেয়াদে সুন্দর জাতি গড়ার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয় বিভিন্ন জাতীয় নীতিমালা। এরমধ্যেই ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে প্রণয়ন করা হয় সংবিধান। জাতীয় ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ সমাজব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে’ ঘোষণা করা হয় জাতীয় চার নীতি হিসেবে।  মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে অনেক অভ্যন্তরীণ দুর্বৃত্তায়ন এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে প্রায় গুছিয়ে আনেন তিনি। কিন্তু এরমধ্যেই বাংলার আকাশে নামে দুর্ভোগের ঘনঘটা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয় সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।  বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে খুনি মোশতাক-জিয়া চক্র নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে । স্বৈরশাসকদের হিংস্র থাবায় বিক্ষত হতে থাকে সোনার বাংলা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নেমে আসে সীমাহীন দুর্ভোগ। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার।  ঠিক তেমনি এক ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।  সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সাঙ্গেই স্বাধীন বাংলার মাটিতে আবারো নবজীবন লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ ছয় বছরের অচলাবস্থা কাটিয়ে স্বৈরাচার ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে আবারো রাজপথে সক্রিয় হয়ে ওঠে স্বাধীনতার নেতৃত্ব দানকারী দল আওয়ামী লীগ। ১৯৮১-২০০১  সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরা পর কয়েক বছর ধরে সারা দেশের প্রতিটি প্রান্ত ঘুরে গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তব জীবনচিত্র উপলব্ধি করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, একই সঙ্গে বহুমুখী প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে পিতা মুজিবের হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগকে নতুনভাবে সুসংগঠিত করে তোলেন। তার নেতৃত্বে নব্বইয়ের দশকে তীব্র স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন গড়ে ওঠে। এ সময় গণতন্ত্রের পথে এগোতে থাকা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে থামিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র সফল করার জন্যে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়, প্রাণ ঝরে শতাধিক নেতা-কর্মীর। দেশ বিরোধী অপশক্তি ও স্বৈরাচারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র, হামলা এবং বুলেট-বোমার ভয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিচলিত না হয়ে জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন আরো জোরদার করেন।  ফলশ্রুতিতে পতন ঘটে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার। কিন্তু সূক্ষ্ম কারচুপি ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের কারণে সংখ্যায় বেশি ভোট পেয়েও আসন সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ। তখন আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে বিরোধী দলের আসনে বসে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন শেখ হাসিনা। ফলে বাধ্য হয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় গণতন্ত্র বাস্তবায়নে বাধ্য হন খালেদা জিয়া। রাজপথে শেখ হাসিনার সাহস ও জনপ্রিয়তা এবং তার সুদক্ষ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সুদৃঢ় অবস্থান দেখে ভীত হয়ে পড়ে খালেদা জিয়ার সরকার। এ কারণে স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের লোক দেখানো ভোটের স্টাইলে ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি নাটকীয় ভোট করে জোর করে ক্ষমতায় থাকার অপচেষ্টা করে বিএনপি।  কিন্তু প্রহসনের এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে রাজপথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন খালেদা জিয়া। এরপর জুন মাসের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। অদম্য শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে।  প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই অন্ধকারে নিমজ্জিত দেশকে এগিয়ে নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ফলে কয়েক বছরের মধ্যেই ১৯৯৯ সালে খাদ্য উৎপাদনে প্রথমবারের মতো স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। সরকার গঠনের পর গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ১৯৯৬ সালেই নিশ্চিত করেন। ১৯৯৭ সালে দেশের পার্বত্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের জন্য সম্পাদন করেন ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তি। এ ছাড়াও সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিঃস্বার্থ সেবাদানের কারণে ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগ মোকাবিলার মডেলে পরিণত করেন।  এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে ষড়যন্ত্র, কারচুপির ও ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে আবারও আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা হয়। ২০০১-২০০৮ ৫ বছর দেশ পরিচালনার পর ২০০১ সালের ১৩ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণভাবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এরপরই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। সারা দেশে শুরু হয় হামলা-খুন-নির্যাতন। নিরীহ মানুষের আর্তনাদে ভারি হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তী ৫ বছর প্রতিহিংসার নির্মমতা দেখেছিল বাংলাদেশ, ভয়ে শিউরে উঠেছিল মানুষ। দেশে আইনের শাসন ছিল না। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত সময়কে তাই আখ্যা দেওয়া হয়েছিল ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’ নামে।  বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসেই চিরতরে আওয়ামী লীগকে খতম করার পরিকল্পনা করে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর শুরু হয় নৃশংস ও নির্মম নির্যাতন। বাংলাদেশকে এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে ‘একাত্তরের এদেশীয় ঘাতক-দালাল ও তাদের উত্তরসূরি এবং পৃষ্ঠপোষকদের’ দ্বারা গঠিত সেই সরকার। বিএনপি-জামায়াত সবসময় আওয়ামী লীগকে তালেবানি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করে।  বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সংখ্যালঘু, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর রাষ্ট্রীয় মদদে নৃশংস নির্যাতনের ৪০৯২টি ঘটনা ঘটে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের পত্রিকাগুলোর সংবাদ শিরোনামেই দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সমাবেশ বা কর্মসূচির আগে গণগ্রেপ্তার করা হতো। একেক দিনে ৮-১০ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  আওয়ামী লীগ নেতা বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সেলিম সামাদ, শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুনের মতো ব্যক্তিদের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। সমাবেশে গ্রেনেড ছুড়ে আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে হত্যার মতো সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশ হলেই রাষ্ট্রীয় মদদে পুলিশি অ্যাকশন শুরু হয়ে যেত। কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানো হতো কুকুরের মতো। এমনকি নারী নেত্রীদের শরীর থেকে কাপড় খুলে নেয়ার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে এই বিএনপি-জামায়াত।  ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে আওয়ামী লীগের ডাকা সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা সারাবিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল। সে যাত্রায় গ্রেনেড হামলা থেকে অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। কিন্তু নেত্রী বেঁচে ফিরলেও এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতা-কর্মী এবং এর সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা নিহত হন এবং আহত হন ৫শ জনেরও বেশি নেতা-কর্মী। নিহতদের মধ্যে ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মরহুম প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ।  এই সময়েই আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ১৮ বারের বেশি চেষ্টা চালানো হয়। এজন্য বিএনপি-জামায়াত হুজি ও জেএমবির মতো চরমপন্থি গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে এবং হত্যাকাণ্ডের মতো নৃশংসতার জন্য তাদের রাজনৈতিক নিরাপত্তাও প্রদান করে।  বিএনপি-জামায়াত সরকারের মেয়াদ শেষ। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর, নিয়ম অনুযায়ী একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা তাদের। কিন্তু লুটপাট অব্যাহত রাখার জন্য অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে খালেদা জিয়ার পরামর্শে, ২৯ অক্টোবর রাতে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন বিএনপি সমর্থিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। ফলে সৃষ্টি হয় সাংবিধানিক সংকট।  এসবের প্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি, সুশীল সমাজের ছদ্মবেশে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সামরিক বাহিনীর কতিপয় সদস্য। মাইনাস টু ফর্মুলার নামে দেশের বৃহত্তম দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর অপচেষ্টা শুরু হয়। ১৬ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাকে। মিথ্যা মামলায় ২০০৭ সালে দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে জেলে ঢোকানোর পর, একের পর এক মোট ১৩টি মামলা সাজানো হয় তার নামে। ২৪ জুলাই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।  জেলে বন্দি অবস্থায় শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘদিন স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ রাখা হয়। তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। গ্রেনেড হামলায় আহত কান ও চোখ চিকিৎসার অভাবে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। মানসিকভাবে শক্ত থাকলেও, শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে স্লো-পয়জনিং করা হচ্ছে বলেও আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তার অসুস্থতা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে যায়। অবশেষে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা টানা ২০ দিন চিকিৎসার পর তাকে আপাত স্বাভাবিক করে তোলেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দেন।   এদিকে বিএনপি-জামায়াত চক্র এবং কতিপয় সামরিক সদস্য নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আটক ও হয়রানি শুরু হয়। ২০০৮ সালের ২৩ মে, আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলের ৭২টি সাংগঠনিক শাখার তৃণমূল নেতারা শেখ হাসিনার প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন এবং তাকে জেল থেকে মুক্ত করার জন্য দেশজুড়ে চলমান আন্দোলন জোরদার করার ঘোষণা দেন। ২৭ ও ২৮ মে, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত হয়- শেখ হাসিনাকে নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে। আওয়ামী লীগের এই ঘোষণার পর দেশজুড়ে শুরু হয় গণগ্রেপ্তার। প্রায় ২০ হাজার মানুষকে জেলে ঢোকানো হয়। কিন্তু তবুও শেখ হাসিনার পক্ষে গণজোয়ার থামানো যায়নি।  অবশেষে জননেত্রীর জনপ্রিয়তা ও ব্যক্তিত্বের সামনে কুচক্রীদের সব রকমের ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। ২০০৮ সালের ১১ জুন, বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনাকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তারা। জেল থেকে বের হয়ে, গণমানুষের ভাগ্য বদলের জন্য 'দিন বদলের সনদ' ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও দুঃসাহসী নেতৃত্বে ভর করে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আয়োজিত জাতীয় নির্বাচনে একচেটিয়া জয় লাভ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জোট। জোটের মোট অর্জিত ২৬৭ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগই পায় ২৩০টি। ২০০৯-২০২৪ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রেখে এবং সাফল্য ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনেও জয়লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিরলসভাবে কাজ করতে থাকা এই দলটিকে এর মাঝেও নানা ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূলতার মোকাবেলা করতে হয়েছে।  যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে যেয়ে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের অভয়রাণ্য বিএনপি-জামাত জোটের নানামুখী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত ছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আদালতের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে যুদ্ধাপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করে বাংলার মাটিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে।  ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করার অপচেষ্টাও করেছে এই স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। ২০১৪ সালের ৫ মে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে আগুন হরতাল, অবরোধের নামে অবৈধভাবে আগুন সন্ত্রাস ও বোমাবাজি করে অনেককে নিহত ও আহত করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত সরকার শক্তহাতে সেসবকে দমন করে দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।  দক্ষিণ বঙ্গের মানুষের প্রাণের দাবি ও আমাদের স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণ বন্ধ করে দেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগসহ বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে খুনি রাষ্ট্র ইসরায়েল ও তাদের মদদদাতা মার্কিনিদের নিয়ে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করার অপচেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আদালতে দুর্নীতির এ অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছিল। এতসব চক্রান্তের পরও বঙ্গবন্ধুকন্যা দমে যাননি। ২০১২ সালের ৪ জুলাই জাতীয় সংসদে অদম্য শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করার কথা বলেন এবং সফলভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন করে ২৫ জুন ২০২২ এর শুভ উদ্বোধন করেন।  ২০১৮ ও ২০২৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপি-জামায়াত জোট নানামুখী চক্রান্ত করে। দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্রকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মোকাবেলা করে ২০১৮ ও ২০২৪ এর জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এগিয়ে চলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।  আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এই পথচলা কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্টকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে প্রথমে বঙ্গবন্ধু এবং তার অবর্তমানে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নীতি ও আদর্শে অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী থেকে সুখে-দুঃখে- দুর্যোগে দুর্বিপাকে- সর্বদা গণমানুষকে সঙ্গে নিয়ে- হামলা, মামলা, আঘাত ও ষড়যন্ত্রসহ সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। 
২১ জুন, ২০২৪

লড়াই করে প্রোটিয়াদের কাছে হারল যুক্তরাষ্ট্র
লক্ষ্যটা সহজ ছিল না। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলতে নেমেই দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ক্রিকেট পরাশক্তির সামনে পড়েছিল ক্রিকেটে নবাগত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রোটিয়াদের দেওয়া বিশাল এই লক্ষ্যে বিচলিত হয়নি আমেরিকার ব্যাটাররা।১৯৫ রানের লক্ষ্যে প্রায় কাছাকাছি চলে গিয়েছিল এবারের বিশ্বকাপের সহআয়োজকরা। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ১৮ রানে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে ইউএসএর।  বুধবার (১৯ জুন) অ্যান্টিগুয়ার নর্থ সাউন্ডে স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৮ রানে হেরেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলে প্রোটিয়ারা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট ১৭৬ রান পর্যন্ত যেতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন ওপেনার আন্দ্রেই গোউস। আর প্রোটিয়াদের পক্ষে কিসোগে রাবাদা নেন ৩ উইকেট।   রান তাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের শুরুটা ভালো হয়। ৩ ওভার ৩ বলে ৩৩ রান করে ফেলেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই ওপেনার। তবে ওপেনার স্টিভেন টেইলর রাবাদার বলে আউট হওয়ার পরই খেই হারিয়ে ফেলে ইউএসএর ব্যাটাররা। ৭৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মনে হচ্ছিল যে বড় হার দিয়েই সুপার এইট শুরু করবে পাকিস্তানকে বিদায় করা দলটি। তবে ষষ্ঠ উইকেটে আন্দ্রে গোউস ও হারমিত সিংয়ের ৯১ রানের জুটির মনে ছিল অন্য ভাবনা।  একসময় মনে হচ্ছিল অসম্ভব এই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে শেষে যখন ২ ওভারে ২৮ রান দরকার ছিল তখন আর পেরে উঠেনি তারা। শেষে ১৮ রানে পরাজয়ই মেনে নিতে হয় তাদের।  এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করেছিল প্রোটিয়ারা।
২০ জুন, ২০২৪

ইউরো লড়াই শুরুর প্রতীক্ষা...
ইতালির দখলে থাকা মহাদেশীয় মুকুট কেড়ে নিতে ঝাঁপানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। আগামীকাল মিউনিখে শুরু হচ্ছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ, ১৫ জুলাই বার্লিনে নির্ধারিত হবে শিরোপা ভাগ্য। এবারের আসরে ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, পর্তুগাল ও স্পেনকে ফেভারিট মনে করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড কখনো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেনি। ২০২১ সালের আসরের ফাইনালে ইতালির কাছে পেনাল্টি শুটআউটে হেরে শিরোপার দুয়ার থেকে ফিরে এসেছে থ্রি-লায়নরা। বায়ার্ন মিউনিখে খেলা হ্যারি কেন ও সাবেক বরুশিয়া ডর্টমুন্ড তারকা জুড বেলিংহাম জার্মানিতে হোম ম্যাচের ফ্লেভার পাবেন; যা ইংল্যান্ডের জন্য ইতিবাচক। ইংলিশদের সম্ভাবনা সম্পর্কে মিডফিল্ডার ডেক্লান রাইস বলছিলেন, ‘আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করতে চাই। আমরা সব সময় এ নিয়ে কথা বলি। বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের একঝাঁক প্রতিভাবান ফুটবলার রয়েছে, যাদের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আছে দুর্দান্ত কোচ।’ ফ্রান্স সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট। গত ইউরোর শেষ ষোলোর লড়াইয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের পেনাল্টি মিস ফরাসিদের ছিটকে দিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানোর পর ফরাসি তারকা এবার নির্ভার। সে হিসেবে ফরাসিদের অন্যতম ফেভারিট ভাবা হচ্ছে। ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম নিজেদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘কিলিয়ান এমবাপ্পে আমাদের দলপতি, যোগ্য নেতা। আমরা তাকে সেরা রূপে দেখতে চাই।’ টানা দুটি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পরও জার্মানিকে অন্যতম ফেভারিট ভাবা হচ্ছে। প্রথমত, ঘরের মাঠে খেলবে তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। অতীত ব্যর্থতা ঝেড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশটি। টনি ক্রুজ-ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের মতো অভিজ্ঞদের পাশে তরুণ জামাল মুসিয়ালা-ফ্লোরিয়ান উইর্টজকে দেখা যাবে জার্মান দলে। নিজেদের সম্ভাবনা সম্পর্কে বায়ার্ন মিউনিখ তারকা জামাল মুসিয়ালা বলেন, ‘জাতীয় দলে আমরা কঠিন সময় কাটিয়ে এসেছি। তারপরও আমাদের ভালো করার সুযোগ রয়েছে।’ নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম বাজে সময় পার করছে ইতালি। তারপরও দলটিকে হিসাবের বাইরে রাখা যাবে না—এমনটাই বলছেন বোদ্ধারা। দেশটির কিংবদন্তি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফনও বর্তমান ইতালি দলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না, ‘বর্তমান ইতালি দলটি আন্ডাররেটেড, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দিক থেকে সামর্থ্যবান।’ ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালকেও অন্যতম ফেভারিট ভাবা হচ্ছে। ৩৯ বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দলের কান্ডারি মনে করা হচ্ছে। সৌদি প্রো-লিগে দারুণ মৌসুম কাটানো বর্ষীয়ান ফরোয়ার্ড জাতীয় দলের জার্সিতেও দারুণ উজ্জ্বল। ফেভারিট হিসেবে স্পেনের নাম সেভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে না। কিন্তু তরুণ প্রতিভায় ঠাসা দলটিকে হিসাবের বাইরে রাখা ভুল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতার দলসংখ্যা ২৪-এ উন্নীত হওয়ার কারণে জর্জিয়ার মতো ছোট দেশ ইউরোপিয়ান সর্বোচ্চ আসরে অভিষেকের প্রতীক্ষায় আছে। ইনজুরির কারণে ইউরো মিস করছেন মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং। তার বার্সেলোনা সতীর্থ রবার্ট লেভানডোভস্কি পোল্যান্ডের প্রথম ম্যাচ খেলতে পারছেন না চোটের কারণে।
১৪ জুন, ২০২৪
X