অফিস সহায়ক করল অপারেশন রোগীর মৃত্যু
শেরপুরের শ্রীবরদীতে ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ময়দান আলী (৫৫) নামে এক রোগীর অপারেশন করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক মো. শাহীন। এতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ময়দান আলী উপজেলার মামদামারী গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ময়দান আলীর ছেলে মোস্তফা কামাল শ্রীবরদী থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এরপর পুলিশ শামিম ও জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে। তবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের এখানে অপারেশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো সরঞ্জামও নেই। ড্রেসিং করবে বলে রোগীকে এখানে আনা হয়। যেহেতু শাহীন হাসপাতালে চাকরি করে তাই তাকে রোগীর ড্রেসিং করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ ও স্বজনরা জানান, দুই সপ্তাহ আগে ময়দান আলীর বুকের বাম পাশে ছোট একটি ফোড়া হয়। দুদিন আগে তাকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে শেরপুর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে কিছু দালালের খপ্পরে পড়ে শনিবার দুপুর দেড়টায় তাকে ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসেন স্বজনরা। সেখানে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক মো. শাহীন রোগীর স্বজনদের সঙ্গে দরদাম করে পাঁচ হাজার টাকায় অপারেশন শুরু করে এবং কয়েকটি ইনজেকশন দেয়। এ সময় রোগীর প্রচণ্ড খিঁচুনি শুরু হয়। একপর্যায়ে রোগীর মৃত্যু ঘটে। এরপর শাহীন স্বজনদের বলে, রোগীকে শেরপুর নিতে হবে। আমি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনছি বলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মীরাও গা ঢাকা দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে শ্রীবরদী থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সেখানে অপারেশনের কোনো সুযোগ নেই। তা ছাড়া একজন অফিস সহায়ক এসব কাজ করতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদেরও শিগগির গ্রেপ্তার করা হবে।
২৪ জুন, ২০২৪

লিফটে আটকে নয়, রোগীর মৃত্যু ধাক্কাধাক্কিতে
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে থেকে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় রোগীসহ লোকজনের ধাক্কাধাক্কিকে দায়ী করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই ধারণা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে ‘লিফটে আটকে পড়া রোগীসহ লোকজন দরজা ধাক্কাধাক্কি করায় লিফটের দরজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কাজ করেনি’ বলে দাবি করা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, লিফটে রোগীসহ অন্যরা ৪৫ মিনিট নয়, মাত্র ১০-১৫ মিনিট আটকে ছিলেন। চিঠি পাঠানোর বিষয়ে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চিঠিটি গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে যা বলা হয়েছে, এটি তাদের প্রাথমিক ধারণা। এ বিষয়ে হাসপাতালে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। লিফটে যারা কাজ করেন তারা গণপূর্ত বিভাগের কর্মী। ব্যাপারটি তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফট মমতাজ বেগম নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। মেডিসিন বিভাগ থেকে কার্ডিওলজি বিভাগের সিসিইউতে স্থানান্তরের সময় লিফটে ৪৫ মিনিট আটকে তিনি মারা যান বলে অভিযোগ পরিবারের।
১৪ মে, ২০২৪

জরুরি বিভাগে ডাক্তার অনুপস্থিত, রোগীর মৃত্যু
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক না থাকায় একই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১২ মে), সকালে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। কর্মচারী মৃত্যুর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক কর্মবিরতি ঘোষণা করে হাসপাতালের কর্মচারীরা।  মারা যাওয়া কর্মচারী শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শহীদুল ইসলামকে হাতিয়ার ২০ শয্যাবিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করেছে কর্তৃপক্ষ।   হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত দু-দিন ধরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হানিফ। রোববার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি বেশি অসুস্থতা বোধ করলে তাকে পুনরায় সকাল ৯টা ১০মিনিটের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়।  এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শহীদুল ইসলাম সৈকত ইমার্জেন্সিতে না থাকায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান হানিফ। পরে অন্য আরেকজন ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকের দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ এনে তখনই আধা ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।      মৃত মো.হানিফ (৫৫) ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। তিনি নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিনারায়ণপুর এলাকার মসজিদ বাড়ির মান্নাছ মিয়ার ছেলে। নিহতের মেয়ে ঝুমুর অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে ডাক্তার ছিল না। ফলে তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা পাননি।   ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, সকালে হানিফকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার অবস্থা খারাপ দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার ছিল না। এরপর তাকে দ্রুত ওয়ার্ডে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।   ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, রোগীকে ঢাকা নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা না নিয়ে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। তখন তাকে ইমার্জেন্সিতে আনা হলেও সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার ছিল না। তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মৃত্যুর ঘটনায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জরুরিভাবে অভিযুক্ত ডাক্তারকে হাতিয়ার ২০ শয্যাবিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। পরে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৩ মে, ২০২৪

হাসপাতালের লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যু
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে থাকার পর এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটি হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রোববার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের লিফটে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের মেয়ে শারমিন বলেন, আমার মা সকালে অসুস্থ হয়ে যায়। পরে সকাল ৬টায় তাজউদ্দীন হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রথমে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায় হার্টে সমস্যা। পরে ১১তলা থেকে থেকে লিফটে চারতলার হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার কথা বলে। তিনি বলেন, তাদের কথামতো লিফটে উঠলে ৯ তলার মাঝামাঝি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আমি, মামা, ভাইসহ কয়েকজন মাকে নিয়ে ভেতরে ছিলাম। আমাদের দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা লিফটে থাকা তিনজন লিফটম্যানকে ফোন দেই। কিন্তু তারা গাফিলতি করে। ফোনে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। শারমিন আরও বলেন, ৪৫ মিনিট আমরা ভেতরে অবস্থান করেছি। উপায় না পেয়ে ৯৯৯ ফোন দেই। ফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার করে। লিফটম্যানদের গাফিলতির কারণে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে কোনো দায়িত্ববোধ নেই। গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম কালবেলাকে বলেন, সকালে মমতাজ বেগমকে বুকে ব্যথা অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগ হতে ৪ তলায় নেওয়ার জন্য লিফটে তোলা হয়। এ সময় লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে দীর্ঘ সময় লিফট আটকে থাকে। তিনি বলেন, খবর পেয়ে লিফটম্যান ও ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে সবাইকে উদ্ধার করে। লিফটে আটকে থাকা সবাই সুস্থ ছিল কিন্তু মমতাজ বেগম মারা গেছেন। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এর আগে শুক্রবার (১০ মে) হাসপাতালের ১২ তলার নামাজের কক্ষের দেয়ালের পাশের ফাঁকা স্থান দিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে হাসপাতালে চিকিসাধীন জিল্লুর রহমান নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ করেন স্বজনরা।
১২ মে, ২০২৪

হাসপাতালের ১২ তলার ফাঁকা দিয়ে পড়ে রোগীর মৃত্যু
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১২ তলার নামাজ কক্ষের দেয়ালের পাশের ফাঁকা স্থান দিয়ে নিচে ১০ তলায় পড়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জিল্লুর রহমান (৭০) গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া এলাকার কাসেম আলীর ছেলে। তিনি ব্রেইন স্ট্রোক আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালের ১২ তলার মেডিসিন বিভাগের বারান্দায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান রুবিনা ইয়াসমিনকে প্রধান করে ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক মো. কামরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জিল্লুর রহমান নামাজ পড়ার স্থানে পায়চারি করছিলেন। একপর্যায়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি সেখানে মাথা ঘুরে কক্ষের দেয়ালের পাশে ফাঁকা স্থান দিয়ে ১২ তলা থেকে ১০ তলায় পড়ে যান এবং গুরুতর জখম হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী আসলাম হোসেন জানান, নামাজ কক্ষের দরজা তালাবদ্ধ ছিল না। ওই কক্ষের দেয়ালের পাশে থাকা লম্বালম্বি দেড় থেকে দুই ফুট প্রস্থের ফাঁকা স্থানটি নেট দিয়ে আটকানো থাকলে এ দুর্ঘটনা ঘটত না। এ ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা রয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগকে একাধিকবার জানালেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। জেলার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এসিডিও শাওন চৌধুরী বলেন, হাসপাতালের ‘ইলেকট্রিক ডাক্ট’ হিসেবে লম্বালম্বি দেড়-দুই ফুট প্রস্থের স্থানটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। কিন্তু স্থানটি এভাবে উন্মুক্ত থাকার কথা নয়। সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে আবদ্ধ থাকার কথা। গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিউল করিম জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
০৫ মে, ২০২৪

ইনজেকশনে ওষুধের পরিবর্তে পানি, ১০ রোগীর মৃত্যু
ফেন্টানাইল ওষুধের পরিবর্তে ইনজেকশনে পানি ব্যবহার করায় সংক্রমণ ছড়িয়ে অন্তত ১০ রোগী মারা গেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন রাজ্যের একটি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মেডফোর্ডের আসান্তে মেডিকেল সেন্টার নামে ওই হাসপাতালে সিউডোমোনাস নামে ক্ষতিকর এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে এসব রোগীর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের একজন সিনিয়র নার্সের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। তবে এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি। জানা যায়, মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত শুরুর পর ইনজেকশনে পানি ব্যবহার করার মতো ভয়ংকর কাণ্ডের গন্ধ পায় পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার প্রথম এই খবরটি প্রকাশ করে। এরপর দেশটির আরেকটি গণমাধ্যম এনবিসি ফাইভ এ নিয়ে একটি বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে একজন নার্সের কারণে। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের রোগীদের ইনজেকশনে ফেন্টানাইলের বদলে কলের পানি দেন সেই নার্স। আর সেই পানি থেকেই সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত হয়ে মারা যান রোগীরা। অভিযোগ করা হয়, সেই নার্স হাসপাতালে ব্যথার ওষুধ, বিশেষত ফেন্টানাইল সরবরাহের অপব্যবহার গোপন করার চেষ্টা করেছিলেন। বেশ কয়েকজন রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতালটিকে তদন্তের আওতায় নিয়েছে মেডফোর্ড পুলিশ। এই ঘটনায় তাদের তদন্ত চলমান বলে নিশ্চিত করলেও বিশদ তথ্য জানায়নি তারা। এ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে এখনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিষ্কার পানিতে সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। দুর্বল স্বাস্থ্যের ব্যক্তিদের জন্য এই সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। ইনজেকশনে ফেন্টানাইল ওষুধের পরিবর্তে পানি ব্যবহার করার বিষয়টিকে ‘ড্রাগ ডাইভার্সন’ বলে অভিহিত করছেন তারা। এর অর্থ হলো একটি নিয়ন্ত্রিত পদার্থকে বৈধ থেকে অবৈধ পথে বিতরণ বা ব্যবহার করা। এটি যে কোনো মানুষের জন্যই ভীষণ ক্ষতিকর।
০১ জানুয়ারি, ২০২৪

আল-শিফার আইসিইউর সব রোগীর মৃত্যু
গাজা উপত্যকার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনী এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল থেকে রোগীদের চলে যাওয়ার আলটিমেটামের পর এখন সেটি জনমানবহীন হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের ইনকিউবেটরে কয়েক ডজন শিশুসহ মুমূর্ষু শত শত রোগী ছিলেন। তারা হাসপাতাল চত্বর ও করিডোরে পড়ে আছেন। তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তারা। হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, তিনিসহ অল্প কয়েকজন স্টাফ ও রোগী বর্তমানে হাসপাতালে আছেন। বাকিরা চলে গেছেন। এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী তিন দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সব রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে গাজার একটি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আল-ফাখুরা স্কুলে গতকাল শনিবার এই হামলা চালানো হয়। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, হাসপাতালটি এখন পুরোপুরি জনশূন্য বলা যায়। রোগী ও ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ করিডোরে শুয়ে আছেন। হাসপাতালের মূল কেন্দ্র ইসরায়েলি বাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে। হাসপাতালে থেকে যাওয়া অল্প কয়েকজন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। অনেক রোগীর অবস্থা গুরুতর। তাদের মধ্যে সদ্যোজাত শিশু ও কিডনি রোগীও রয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে তারা যে কোনো সময় মারা যাবেন। হাসপাতালের খাবারও ফুরিয়ে এসেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক ওমর জাকৌত বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী চিকিৎসক, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত মানুষসহ সবাইকে আল-ওয়েহদা সড়ক দিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে মেডিকেল ভবন খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছে, তারা হাসপাতালের পরিচালকের এক অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন। সেখান থেকে চলে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিরাপদে বের হওয়ার পথ করে দিতে অনুরোধ জানান হাসপাতালের পরিচালক। আমাদের সৈন্যরা রোগীদের স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বারশ বলেন, প্রায় ৪৫০ রোগীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালে ১২০ জনের মতো রোগী এখনো আছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য পাঁচজন চিকিৎসক এবং আর কয়েকজন রয়েছেন। এই রোগীরা মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন। এদিকে গতকাল গাজার আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটি ছিল কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আবাসস্থল। এ ছাড়া গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আবাসিক এলাকায় তিনটি ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার উত্তরাঞ্চল ঘিরে ফেলার পর এবার ইসরায়েলি বাহিনী ভূখণ্ডটির দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান শুরু করেছে। গতকাল রাতে খান ইউনিসের একটি ব্যস্ত আবাসিক এলাকায় দুটি বহুতল ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছেন। ইয়াদ আল-জামী নাকে এক ফিলিস্তিনি বলেন, খান ইউনিসে হামলায় তার এক ফুপু, তার সন্তান এবং নাতি-নাতনিরা নিহত হয়েছে। ইসারায়েলি বাহিনী এখন দক্ষিণ গাজা থেকে বেসামরিকদের সরে যেতে বলেছে। ফলে হামলার ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে যে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি গাজা সিটিসহ গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণে পালিয়ে গিয়েছিল, তাদের এখন আবার উত্তরে ফিরে আসতে হবে। দক্ষিণের সর্ববৃহৎ শহর খান ইউনিসে সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। তাদেরসহ শহরটির চার লাখের বেশি বাসিন্দাকেও এখন বাড়িঘর ছাড়তে হচ্ছে। শহরটিতে চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।
১৯ নভেম্বর, ২০২৩

খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু
খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। ডেঙ্গুতে মৃতরা হলেন- বাগেরহাট জেলা সদর এলাকার শাহীন (৬৫) এবং নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পদ্মবিল এলাকার কমলা (৩২)। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফোকালপারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত দুজন রোগী মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন। এ নিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭১০ জন। হাসপাতালে বর্তমানে ২৮৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন। ২৪ ঘণ্টায় ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬ জন।
২৫ অক্টোবর, ২০২৩

দিনাজপুরে হাসপাতালের ছাদ থেকে পড়ে রোগীর মৃত্যু
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে আমিনা খাতুন (৮০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার ভবনের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, নিহত আমিনা খাতুন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর শালন্দর (নয়াপাড়া) গ্রামের আফছার আলীর স্ত্রী। দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে আমিনা খাতুনকে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ করেই আমিনা খাতুনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সঙ্গে থাকা বড় ছেলের স্ত্রী মোশরেবা খাতুন রাতেই তার স্বামীকে বিষয়টি জানান। পরে সকাল ৮টার দিকে শাশুড়ি আমিনা খাতুনের মরদেহ হাসপাতালের নিচে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X