মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১
ব্যাংক ডাকাতি মামলায় রুমা ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতিসহ ন্যাশনাল কুকি-চিনের (কেএনএফ) সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার রাতে রুমার মুনলাইপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার সাতজন হলেন রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভান নুন নোয়াম বম, কেএনএফ সহযোগী লাল নুন নোয়াম, লাল দাভিদ বম, চমলিয়ান বম, লাল পেক লিয়ান, লাল মিন বম ও ভান বিয়াক লিয়ান বম। তারা সবাই রুমার মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা। বান্দরবান আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রিয়েল পালিত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই সাতজনকে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় এখন পর্যন্ত ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করল যৌথ বাহিনী। এদিকে গ্রেপ্তারের আগে কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বান্দরবান পার্বত্য জেলা শাখার জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধমূলক ও সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার মতো কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ থাকায় রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হলো। এদিকে ভান মুন নোয়াম বমের বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীতে তথ্য প্রচার, চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কেএনএফের ৭ সহযোগী কারাগারে
বান্দরবানে যৌথ অভিযানে রুমা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতিসহ পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৭ সহযোগীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম এমরানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা হলেন, ভান নুন নোয়াম (৩৩), বান্দরবানের রুমা উপজেলার মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা লাল নুন নোয়াম (৬৮), লাল দাভিদ বম (৪২), চমলিয়ান বম (৫৬), লাল পেক লিয়ান (৩২), লাল মিন বম (৫০) এবং বান্দরবান সদর উপজেলা লাইমি পাড়ার বাসিন্দা ভান বিয়াক বম (২৩)। বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক বলেন, রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, হামলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার ৭ জনকে দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত অভিযোগ শুনে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সোমবার রাতে ভান মুন নোয়াম বমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পুলু মারমা বলেন, কেএনএফের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে, এজন্য তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

রুমা সভাপতি, নার্গিস সম্পাদক নির্বাচিত
কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের ছয় সদস্যের নতুন আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে রুমা আক্তার সভাপতি ও শাহীনুর নার্গিস সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সুরাইয়া বেগম সিনিয়র সহসভাপতি, রেহানা ইয়াসমিন ডলি সহসভাপতি, হোসনে আরা লিজা সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এবং সালেহা বেগম সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে কণ্ঠভোটে তারা নির্বাচিত হন। রুমা আক্তার দক্ষিণের বিদায়ী কমিটির আহ্বায়ক এবং শাহীনুর নার্গিস সদস্য সচিব ছিলেন। এর আগে সকালে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে নিয়ে বেলুন উড়িয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। রুমা আক্তারের সভাপতিত্বে এবং শাহীনুর নার্গিসের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। রুমা আক্তারকে আহ্বায়ক এবং নাসিমা আক্তার কেয়াকে সদস্য সচিব করে ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের ১০ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর কেয়াকে অব্যাহতি দিয়ে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীনুর নার্গিসকে সংগঠনটির সদস্য সচিব করা হয়। এদিকে এই সম্মেলনে দুঃসময়ে দলের সঙ্গে বেইমানি করা, অযোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ এনে ত্যাগী, যোগ্যদের দিয়ে নতুন কমিটি গঠনে হস্তক্ষেপ কামনা করে গত রোববার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন মহিলা দলের সাবেক নেত্রী ও সাবেক কাউন্সিলর মনি বেগম। মহিলা দলের একাধিক নেতা জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দল সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাসের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। বাধ্য হয়ে এটা সবাই মেনে নিয়েছে। সুতরাং তিনি যাদের চেয়েছেন, তারাই দক্ষিণের নতুন কমিটিতে এসেছেন, সম্মেলন ছিল আইওয়াশ মাত্র।
১২ মার্চ, ২০২৪

ঢাকা নগর দক্ষিণ মহিলা দলের সভাপতি রুমা সম্পাদক শাহীনুর
কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের ছয় সদস্যের নতুন আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রুমা আক্তার সভাপতি ও শাহীনুর নার্গিস সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সুরাইয়া বেগম সিনিয়র সহসভাপতি, রেহান ইয়াসমিন ডলি সহসভাপতি, হোসনে আরা লিজা সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক এবং সালেহা বেগম সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের কাউন্সিলে কণ্ঠভোটে তারা নির্বাচিত হন। রুমা আক্তার দক্ষিণের বিদায়ী কমিটির আহ্বায়ক এবং শাহীনুর নার্গিস সদস্য সচিব ছিলেন। এর আগে সকালে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে নিয়ে বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। রুমা আক্তারকে আহ্বায়ক এবং নাসিমা আক্তার কেয়াকে সদস্য সচিব করে ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের ১০ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর কেয়াকে অব্যাহতি দিয়ে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহীনুর নার্গিসকে সংগঠনটির সদস্য সচিব করা হয়। একইসঙ্গে নাসিমা আক্তার কেয়াকে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সদস্য করা হয়। পরে দক্ষিণের ৩১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
১১ মার্চ, ২০২৪

ভিটেমাটি বেদখল, মন্দিরের জমিতে থাকেন এমপি মনোনয়ন পাওয়া রুমা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনে সিলেট বিভাগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেটের রুমা চক্রবর্তী। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চূড়ান্ত হওয়া ৪৮ জন নারীর নাম ঘোষণা করেন। সব জল্পনা কল্পনার পর সিলেট থেকে দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুমা রায় চৌধুরী (রুমা চক্রবর্তী)। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপত্র বিক্রি করে আ.লীগ। তিন দিনে মোট ১৫৪৯ ফরম বিক্রি করেছে দলটি, যা থেকে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মূলত জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি। একেকটি রাজনৈতিক দল ছয়টি আসনের বিপরীতে একটি করে সংরক্ষিত নারী আসন পান। এ হিসেবে নিজেদের এবং স্বতন্ত্রদের সমর্থন পাওয়ায় আ.লীগ পাবে মোট ৪৮ আসন। একনজরে রুমা চক্রবর্তী সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার কালিগঞ্জের মৌজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রুমা চক্রবর্তী। বাবা রবীন্দ্র রায় চৌধুরী ও মাতা সরুজু বালা রায় চৌধুরীর পাঁচ কন্যার মধ্যে চতুর্থ। বাবা বরীন্দ্র রায় চৌধুরী সিলেট পৌরসভায় ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত (আমৃত্যু) এমবি ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অবিভক্ত ভারতে কাকা (চাচা) গিরিন্দ্র রায় চৌধুরী নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসুর ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগদান করেন। গোপন বিপ্লবী আন্দলনের সাথে যুক্ত থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনি নিখোঁজ হন। রুমা চক্রবর্তী একাত্তরে স্কুল ছাত্রী ছিলেন। দেশের টানে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন তিনি। এ ছাড়া আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য আগে থেকেই নিজেকে তৈরি করেন এই সাহসী নারী। বিয়ের পর থেকে তিনি রুমা চক্রবর্তী হিসেবে পরিচিত। বাবা রবীন্দ্র রায় চৌধুরী এবং মা সরজ বালা চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন রুমা রায়। তিনি ঢাকায় বড় বোনের বাসায় থেকে পড়াশোনা করার কারণে তৎকালীন আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। রুমা মিরপুর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার প্রশিক্ষণ নেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়েও নার্সিং প্রশিক্ষণ নিয়ে সহকারী সেবিকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাঠের বন্দুক নিয়ে প্রশিক্ষণ নেন কিশোরী রুমা রায়।   স্বামীর ভিটামাটি বেদখল, থাকেন পতিত জমিতে রুমা চক্রবর্তী সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে অপরিচিত মুখ। রুমা চক্রবর্তী তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি ১৯৯৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯ নম্বর মুল্লাপুর ইউনিয়ন থেকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর পর্যায়ক্রমে পৌরসভার কমিশনার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সংসদ সদস্যের এ মনোনয়ন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। রুমার একটি বড় অপ্রাপ্তি নিজের স্বামীর ভিটাবাড়ি বেদখল হওয়া। তিনি বলেন,  ভিটাবাড়ি বেদখল থাকায় মন্দিরের পতিত জমিতে ঘর বানিয়ে অনেকটা আশ্রিত জীবনযাপন করছি।  তিনি বলেন, অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার মতো তৃণমূলের একজন কর্মীকে জাতীয় সংসদে স্থান দিয়েছেন, এটাই আমার কাছে জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। ঘর হারানোর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আমাদের সম্পত্তি একজন দখল করে নিয়ে যান। ভুয়া দলিল করে দখলদার ওই ব্যক্তি বলছেন, আমার শ্বশুর বিক্রি করেছেন। কিন্তু আমার শ্বশুর বলেছেন বিক্রি করেননি। এটা নিয়ে সমস্যা চলছে। আমরা এখন একটি মন্দিরের পতিত জায়গায় ঘর বানিয়ে থাকছি। আমার নিজস্ব কোনো সম্পত্তি নেই। মুক্তিযুদ্ধের ভাতা পাই ২০ হাজার টাকা। রুমা তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন আমার পরিকল্পনা হলো স্থানীয় যারা গরিব আছেন, তাদের স্বাবলম্বী করা। পাশাপাশি এখন যেহেতু পুরো বিভাগ নিয়ে কাজ করতে হবে, তাই আমার পরিকল্পনা হচ্ছে অবহেলিত নারী যারা আছেন তাদের নিয়ে কাজ করা। নারীরা যেন শিক্ষিত হয়ে চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়, সে বিষয়ে কাজ করব। রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজেও রুমার সরব বিচরণ রয়েছে। রাজনৈতিক ও সামাজিক কাজের জন্য রুমা চৌধুরী বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন। উপজেলা পর্যায়ে জয়িতা, নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক) কর্তৃক ‘স্থানীয় সরকারে নারী অধিকার ও প্রতিনিধিত্ব শক্তিশালীকরণ প্রকল্প’ পদক পেয়েছেন। এ ছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ থেকে সম্মাননাপত্রসহ স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কেএনএফের হুমকি রুমা ও থানচিতে বাস চলাচল বন্ধ
পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হুমকিতে বান্দরবানের রুমা ও থানচি সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীসহ পর্যটকরা। গতকাল রোববার সকাল থেকে দুই উপজেলার সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। পরিবহন শ্রমিকরা জানান, সকালে কেএনএফ সদস্যরা পরিবহন লাইনম্যান শ্রমিক লুপ্রু মারমাকে ধরে নিয়ে মারধর করে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এরই জের ধরে রুমা থানচি সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি রুমা উপজেলার রিজুক ঝরনাপাড়ার এক যুবককে গুলি করার অভিযোগ ওঠে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত কেএনএফের বিরুদ্ধে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন রুমা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন স্থানীয়রা। সেখানে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানকেও দেখা যায়। বান্দরবান-রোয়াংছড়ি- রুমা-থানচি মোটরযান পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আলম বলেন, রুমা ও থানছি স্টেশন থেকে সকাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে আসেনি। কেএনএফ বাস না চালানোর হুমকি দেওয়ায় বাস চলাচলের বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি। রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, তার ছোটভাই লুপ্রু (৫৩) মারমা দীর্ঘদিন ধরে রুমা বাসস্টেশনের লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন। সকালে বাড়ি থেকে বাসস্টেশনে যাওয়ার সময় পলিকা পাড়া শ্মশান এলাকায় কেএনএন সদস্যরা তার ভাই লুপ্রুকে ধরে নিয়ে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টার মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে লুপ্রুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রুমা ও থানচিতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
বান্দরবান জেলার রুমা ও থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পর্যটকদের দুর্গম এলাকায় যাওয়ার আগে উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এর ফলে রোয়াংছড়ি উপজেলা ছাড়া বান্দরবানের সব উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে আর কোনো বাধা থাকল না। গত বছর ১৭ অক্টোবর রাত থেকে পাহাড়ের কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আস্তানায় যৌথ বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযানের কারণে ভ্রমণে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
১৫ জুলাই, ২০২৩
X