চারঘাট মডেল থানায় রাসেলস ভাইপার
সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে এখনো রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক বিরাজ করছে। এবার যোগ হলো চারঘাট মডেল থানা। গত সোমবার রাতে হঠাৎ থানায় দেখা মেলে রাসেলস ভাইপার সাপের। এতে থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরে সাপটি মেরে ফেলা হয়েছে। মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন জানান, সোমবার রাতে থানার ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি রাসেলস ভাইপার সাপ সামনে পড়ে। পরে থানার ফোর্সদের সহযোগিতায় সাপটি মেরে ফেলা হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা কুঠিপাড়া, পিরোজপুর এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা যায়। দিলেও এই প্রথম চারঘাট থানা চত্বরে দেখা গেল সাপটি। ধারণা করা হচ্ছে, পদ্মা নদীর কাছাকাছি হওয়ায় সাপটি থানা চত্বরে চলে এসেছে। এলাকাবাসীকে বাড়ির আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন।
০৩ জুলাই, ২০২৪

রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক নয় রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম
রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। দেশে অ্যান্টিভেনমের সংকট নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে ‘রাসেলস ভাইপার: ফেরার ভার্সেস ফ্যাক্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সাপে কাটা রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য এমপিদের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছি। এতে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর। বক্তারা বলেন, দেশের ২৭ জেলায় বহুল আলোচিত রাসেলস ভাইপার সাপ পাওয়া গেছে। এ সাপ নিয়ে অনেক বেশি গুজব ছড়ানো হয়েছে। রাসেলস ভাইপার সাপ কখনো তেড়ে এসে মানুষকে কামড়ায় না। সে বিপদের পড়লে কিংবা ঝুঁকি দেখলেই আত্মরক্ষার্থেই শুধু কামড় দেয়। বর্তমানে দেশে এর অ্যান্টিভেনম রয়েছে। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর অ্যান্টিভেনম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
২৮ জুন, ২০২৪

অবশেষে রাসেলস ভাইপার ধরে মিলল পুরস্কার
ফরিদপুরে রাসেলস ভাইপার ধরে আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ পেয়েছেন রেজাউল খান নামে এক ব্যক্তি। নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে অবশেষে জেলা আওয়ামী লীগ তাদের দেওয়া কথা রাখল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওই ব্যক্তির হাতে পুরস্কারের অর্থের চেক তুলে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ। পুরস্কার পাওয়া রেজাউল খান জানান, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা পেয়ে খুব খুশি। কথা রাখার জন্য জেলা আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ বলেন, সাপ সম্পর্কিত পুরস্কারের ঘোষণাটি আমরা প্রত্যাহার করেছি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। তবে আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী ওই ব্যক্তিকে পুরস্কার বাবদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ তাদের কথা রেখেছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে গত ২০ জুন প্রথমে রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) মারতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক। এ নিয়ে সমালোচনা হওয়ার এক দিন পর গত ২১ জুন জেলা আওয়ামী লীগ ওই ঘোষণা থেকে কিছুটা সরে আসে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানায়, নিজে সুরক্ষিত থেকে জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরে বন বিভাগে জমা দেওয়া হলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ঘোষণার পর রাসেলস ভাইপার জীবিত ধরার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায় ফরিদপুর সদরসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে। জীবিত রাসেলস ভাইপার নিয়ে রেজাউল নামের এক কৃষক প্রেসক্লাবে আসে, পরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করে বন বিভাগে সাপটি জমা দেয়। পরে ২৩ জুন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক তার ফেসবুক পোস্টে জানান, জীবিত বা মৃত কোনো ধরনের রাসেলস ভাইপারের জন্য কোনো পুরস্কার নেই এবং তার কিছু সময় পরে দপ্তর সম্পাদক আশরাফ আলীর স্বাক্ষরিত জেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করা হয়।
২৬ জুন, ২০২৪

দুটি রাসেলস ভাইপার পিটিয়ে মারল এলাকাবাসী
নওগাঁর ধামইরহাটে দুটি রাসেলস ভাইপার পিটিয়ে মেরেছে এলাকাবাসী। সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে উপজেলার নেউটা ও রাঙ্গামাটি এলাকার ঝোপঝাড় থেকে সাপ দুটি বেড়িয়ে আসলে স্থানীয়রা পিটিয়ে মারে। নেউটা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল হক বলেন, ধামইরহাট এলাকায় এর আগেও রাসেলস ভাইপার উদ্ধার হয়েছে। আত্রাই নদীর তীরবর্তী এলাকা হওয়ায় মাঝেমধ্যেই রাসেলস ভাইপার পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলার পাইকবান্দা বনবিট কর্মকর্তা ফরহাদ জাহান বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত এ অঞ্চলে প্রায় ১০টি রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া উদ্ধার হয়েছে। কয়েক বছর আগে ধামইরহাট উপজেলার রাঙ্গামাটি এলাকায় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে এক কৃষক আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হোন। বেশ কিছুদিন পর আবারো এ সাপের উপদ্রপ বেড়েছে। তাই সকলকে সচেতন থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, সাপের উপদ্রপ থেকে রক্ষায় জেলাজুড়ে সতর্ককরণ প্রচারণা চালানো হবে। জেলার প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রতিষেধক মজুত রাখা হয়েছে। 
২৫ জুন, ২০২৪

নোয়াখালীতে মিলল বিষধর রাসেলস ভাইপার
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার একটি মাছঘাটে বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলেছে। সাপটি আক্রমণ করতে এলে তাৎক্ষণিক আত্মরক্ষায় সাপটি মেরে ফেলেন স্থানীয়রা। রোববার (২৩ জুন) রাত ২টায় উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের তমরদ্দি ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত বছর ১২ ডিসেম্বর হাতিয়া উপজেলা চানন্দী ইউনিয়নে সাঈদপুর গ্রামের আজাদের বাড়ির পাশে ধানক্ষেত থেকে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা হয়েছিল। সাপটি তখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মাছঘাটের দায়িত্বে থাকা আলাউদ্দিন ও মেহেরাজ বলেন, গতকাল রাত আনুমানিক রাত দেড়টার সময় এক লোক নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে বাজারে যাচ্ছিলেন। তখন রাসেলস ভাইপার সাপটি দেখতে পান। সাপটি তাকে আক্রমণ করতে এলে সঙ্গে সঙ্গে লোকটি চিৎকার করে অনেক লোক জড়ো করে ফেলেন। তখন তারা সাপটিকে ঘিরে ফেলে এবং আক্রমণ করতে এলে মেরে ফেলে। মিলন হোসেন নামে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, খুবই দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে, রাসেলস ভাইপারের মতো বিষধর সাপ তমরদ্দি মাছঘাটে এসেছে। বিভিন্ন খবরে এমনিতেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে আছি। নিজ এলাকায় এই সাপটি দেখেও আমরা আতঙ্কিত। জানা যায়, রাসেলস ভাইপার সাপটি খুবই বিষধর। ২০১৩ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বরেন্দ্র গ্রামে এক কৃষককে এবং গত বছর রাজশাহীর তানোর এবং নওগাঁর ধামইরহাটে আরও দুজনকে এই সাপটি কামড় দেয়। চিকিৎসাধীন থাকার পরও তাদের শরীরে পচন ধরে যায়। পচন ধরা অংশ কেটে ফেলার পরও তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপটি খুবই বিষধর এবং দুর্লভ সাপ। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় এটি দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি নোয়াখালীতেও দেখা গেল। তমরদ্দি মাছ ঘাটে পিটিয়ে মারা সাপটি রাসেলস ভাইপার। এর আগে ডিসেম্বর মাসে প্রথম হাতিয়ায় সাপটি দেখা মেলে। আমরা জীবিত উদ্ধার করে গবেষণার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছি। এ ধরনের বিষধর সাপ দেখতে পেলে বিশেষজ্ঞদের জানানোর পরামর্শ দিচ্ছি। সাধারণ মানুষকে সাপের কাছে না যাওয়ার অনুরোধ। এদিকে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে রাসেলস ভাইপার সন্দেহে বেশ কয়েকটি সাপ পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। সব মিলিয়ে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় বিষাক্ত সাপ রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক বিরাজ করছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, জরুরিভিত্তিতে জেলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল ও আট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম মজুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে হাতিয়ায় ৫০ ভায়াল (১০ ইনজেকশনে এক ভায়াল) মজুত রয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী শাজাহান সাজু বলেন, শুক্রবার রাতে আমাদের পাশের এলাকা চরকাঁকড়ার উকিলপাড়া এলাকার মসজিদের পাশে মুসল্লিরা একটি সাপ পিটিয়ে মারে। যা দেখতে অবিকল রাসেলস ভাইপারের মতো। এরপর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, প্রত্যেক উপজেলা হাসপাতালসহ নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম মজুত রাখা হয়েছে। সাপ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, প্রয়োজন সচেতনতা। সাপ কাটলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। তবে ওঝা বা ঝাড়ফুঁকের অপেক্ষা করে কালক্ষেপণ করা যাবে না। সাপে কাটা স্থানে কোনো মলম বা মালিশ লাগানো উচিত না। অনতিবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে এক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
২৪ জুন, ২০২৪

এবার ২৯টি জীবিত বাচ্চাসহ পাওয়া গেল রাসেলস ভাইপার
নীলফামারীর জলঢাকায় একটি রাসেলস ভাইপার ধরা পড়ায় এলাকাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে। সোমবার (২৪ জুন) সকাল ১১টায় উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের আলশিয়া পাড়া তিস্তার বাঁধে একটি নৌকার নিচ থেকে রাসেলস ভাইপার সাপটির দেখা মেলে।  পরে স্থানীয়রা খোঁচা দিয়ে সাপটিকে মেরে ফেলেছে। সাপটিকে মেরে ফেলার পর সাপটির পেট থেকে একে একে ২৯টি বাচ্চা বের করা হয়। তবে সাপটি মেরে ফেললেও উপজেলার সর্বত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে রাসেলস ভাইপার সাপের আতংক দেখা দিয়েছে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কয়েক দিন ধরে উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী চরাঞ্চলে বসবাস করা মানুষেরা নৌকা ব্যবহার করতে পারেনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া খবরে এ সাপের আতংকে সজাগ রয়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষজন। তবুও জীবন-জীবিকার তাগিদে নৌকা সরাতে গেলে ফুঁসে ওঠে একটি সাপ। তারপর খোঁচা, বল্লম নিয়ে সাপটিকে আঘাত করলে সাপটি মারা যায়। পেটের ভেতর কিছু নড়াচড়া করতে দেখে সাপটির পেট কেটে ফেলা হয়। পেট কাটতেই বেরিয়ে আসে ২৯টি তাজা বাচ্চা। যা রীতিমতো আতংকিত করেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।  নৌকার মালিক মো. তাজমুল হোসেন বলেন, নৌকা সরাতে গেলে একটি সাপ বেরিয়ে আসে। দুই-তিনজন মিলে তাকে মেরে ফেলি। তারপর পেট কেটে ২৯টি বাচ্চা বের করা হয়। বাচ্চাগুলো জীবিত ছিল।  রহমতুল্লাহ নামের একজন জানান, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় একটি সাপ মেরে ফেলি। পরে শুনলাম এটি নাকি রাসেলস ভাইপার সাপ।  কৈমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. হাফিজুল ইসলাম (হাফি) তার এলাকায় রাসেলস ভাইপার সাপ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শোনামাত্রই সবাইকে কল দিয়েছি। আমি নিশ্চিত এটা রাসেল ভাইপার সাপ। উপজেলা বন কর্মকর্তাকে কল দিয়েছি কিন্তু কেউ আসেনি। যেহেতু এলাকার মানুষ আতংকিত তাই এ বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছি।  এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফেরদৌসুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন।  জলঢাকা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জোবায়ের আলমের মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন বলে ফোন কল কেটে দেন।
২৪ জুন, ২০২৪

রাসেলস ভাইপার নিয়ে যা বলছেন বেদেরা
দেশজুড়ে আলোচিত রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন সাভারের বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন। তাদের দাবি, এটি নতুন কোনো প্রজাতি নয়, বহুকাল ধরেই দেশের নানা অঞ্চলে এই সাপের বসবাস ছিল। তবে সম্প্রতি এর প্রাদুর্ভাব কিছুটা বেড়েছে।  তাদের দাবি, এই সাপটি বিষধর হলেও এর কামড়ে নির্ঘাত মৃত্যু এই কথাটি সত্য নয়। এই সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার একেবারেই কম বরং রাসেলস ভাইপারের চেয়েও আরও বিষধর সাপ বাংলাদেশে রয়েছে। আর এই সাপটিকে বিভিন্ন মাধ্যমে যেভাবে ভয়ংকর আক্রমণাত্মক হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে সেটি সঠিক নয়। মূলত এই সাপটি খুবই অলস প্রকৃতির হয়ে থাকে। এই সাপ কখনোই কাউকে তেড়ে এসে কামড় দেয় না। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাপুড়ে সর্দার রঙ্গু মিয়া বলেন, চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে কেউ আক্রান্ত হলে কোনো ওঝা বা কবিরাজের কাছে না গিয়ে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। সঠিক সময়ে অ্যান্টিভেনম গ্রহণ করলে এই সাপের বিষ থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। আরেক সাপুড়ে স্বপন সর্দার বলেন, আমরা ছোট থেকেই সাপ নিয়ে চলাফেরা করি সাপের সাঙ্গেই আমাদের বসবাস। ইদানীং শুনতেছি রাসেলস ভাইপার নামে এক সাপ নিয়ে মানুষ অনেক আতংকিত। তবে এই সাপটির নাম মূলত চন্দ্রবোড়া। এটি অনেক আগে থেকেই আমাদের দেশে বসবাস করে। এটা খুব শান্ত ধরনের সাপ। কেউ বিরক্ত না করলে এটা কাউকে কামড়ায় না। আর এই সাপের বিষের ওষুধও আছে। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও বেদে পল্লির বাসিন্দা রমজান আহমেদ জানান, সারা দেশে রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে আতংক বিরাজ করলেও আমাদের এই বেদে পল্লিতে এর কোনো প্রভাব পরেনি। এটি নিয়ে কারও মধ্যে কোনো আতংক বা ভয় কাজ করছে না। পাশাপাশি আমাদের সরকারি হাসপাতালে এই সাপের পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম ও চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই কেউ যদি এই সাপের কামড়ে আক্রান্ত হন তাহলে কোনো ওঝার কাছে না গিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাবার পরামর্শ রইল। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে কেউ আক্রান্ত হলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুত নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারলে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এখন পর্যন্ত সাভারে কোনো রাসেলস ভাইপারের কামড়ে আক্রান্ত রোগীর দেখা মেলেনি। তবে আমাদের সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিভেনম ও সাপের কামড়ের অন্যান্য ওষুধের মজুদ রয়েছে।
২৪ জুন, ২০২৪

রাসেলস ভাইপার ধরে প্লাস্টিকের কৌটায় ভরলেন কৃষক
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নুর হাওলাদার নামে এক কৃষকের পুকুরের জালে পাঁচ ফুট দৈর্ঘ্যের রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে। সোমবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের বৌলতলী গ্রাম থেকে ওই সাপটি উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, কৃষক নুর হাওলাদারের পুকুরের ওপর পাতা জালে আটকে যায় সাপটি। পরে ওই লাঠি দিয়ে আঘাত করে ওই সাপটিকে আহতাবস্থায় প্লাস্টিকের বড় কৌটায় জীবিত সংরক্ষণ করেন। এ সময় সাপটিকে এক নজর দেখতে ভিড় জমান ওই এলাকার উৎসুক জনতা। তবে সাপটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্যরা। কৃষক নুর হাওলাদার বলেন, সাপটি আমাদের জালে আটকা পড়ার বিষয়টি আমার স্ত্রী প্রথমে দেখে। পরে আমাকে জানালে আমি এটি উদ্ধারের চেষ্টা করি। এ সময় আমার স্ত্রীর কথায় সাপটির ওপর লাঠি দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করি। তবে এটি এখনো জীবিত আছে। এরপর একটি প্লাস্টিকের কৌটায় সংরক্ষণ করেছি। তবে বন বিভাগ বা কেউ সুস্থ করে এটিকে বনে অবমুক্ত করে দিতে পারলে তাকে দিয়ে দেব। সাপটি দেখতে আসা নয়াকাটা গ্রামের শাহিন চৌকিদার বলেন, এই প্রথমবারের মতো রাসেলস ভাইপার সাপ দেখলাম। এর আগে ইউটিউব ও ফেসবুকে এই সাপের ছবি দেখেছি। এটি একটি বিষাক্ত সাপ। তারিকাটা গ্রামের ইউসুফ ভূইয়া বলেন, ‘আমি রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে শুনে এখানে দেখতে আসলাম। সাপটি দেখতে সুন্দর হলেও এটি তীব্র বিষধর সাপ। আমার মতো এখানে শত শত মানুষ সাপটিকে এক নজর দেখতে এসেছেন। তবে সাপটিকে মারা ঠিক হয়নি। এটা অনেকটা আহত। বাঁচানো যায় কিনা সন্দেহ রয়েছে। সাপটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বনে অবমুক্তের অনুরোধ জানাচ্ছি।’ এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্য বায়জিদ মুন্সী বলেন, আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল যাচ্ছে। সাপটি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বন বিভাগে হস্তান্তর করবো। তিনি আরও বলেন, সবাইকে সাপ দেখে আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের খবর দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।  সর্প দংশনের শিকার হলে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। এ ছাড়া সাপ ধরার রেসকিউ টিমের সদস্যদের খবর দিলেও হবে। সাপ আসলে আমাদের জীববৈচিত্র্যের জন্য অনেক উপকারী বন্ধু, যা খাদ্যশৃঙ্খলে  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২৪ জুন, ২০২৪

সারদা পুলিশ একাডেমিতে মিলল ১৬টি রাসেলস ভাইপার
রাজশাহীর পদ্মানদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে রাসেলস ভাইপার সাপের আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন অনেকেই। এবার নতুন করে আতংক সৃষ্টি হয়েছে পদ্মার তীরবর্তী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ১৬টি রাসেলস ভাইপার সাপের বাচ্চা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে।  রোববার (২৩ জুন) পুলিশ একাডেমির ভেতরে ছোট-বড় ১৬টি রাসেলস ভাইপার সাপ একে একে বেরিয়ে আসে। পরে সাপগুলোর কয়েকটিকে স্থানীয় লোকজন মেরেও ফেলেছে।  সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে সাপ উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একাডেমির পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ আলম। তিনি কালবেলাকে বলেন, সাপ উদ্ধার হয়েছে এটি শুনেছি। তবে উদ্ধার হওয়া সাপগুলো এখন কী অবস্থায় কোথায় আছে এটি আমার জানা নেই। কারণ আমি বাইরের ডিউটিতে ছিলাম। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলার লোকালয়ে এই সাপ দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার সকাল থেকে দুই দফায় রাসেলস ভাইপার সাপের বাচ্চাগুলো জনসমক্ষে বের হয়ে আসে। প্রথমে সকাল ১০টার দিকে ৯টি সাপের বাচ্চা বের হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৭টি সাপের বাচ্চা দেখা যায়। সাপগুলো পুলিশ একাডেমির ভেতরেই ছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি সাপ স্থানীয়রা মেরে ফেলেছে। বাকি কয়েকটি সাপ বন বিভাগে নাকি কোথায় রয়েছে তা বলতে পারছি না। সাপ উদ্ধারের বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রহমান ভূঁইয়ার (অতিরিক্ত আইজিপি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভি হয়নি।
২৪ জুন, ২০২৪

পুরস্কারের আশায় রাসেলস ভাইপার নিয়ে প্রেসক্লাবে কৃষক
জীবিত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে পারলে পুরস্কার পাবেন। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফের এ ঘোষণা অনুযায়ী পুরস্কারের আশায় জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরলেন রেজাউল খান নামে এক কৃষক। এ সাপ নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে হাজির হয়েছেন তিনি। শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় ‌ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সামনে জীবিত ‌রাসেলস ভাইপার সাপ দেখান।  রেজাউল খান সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার মনোরুদ্দিন খানের ছেলে।  রেজাউল খান কালবেলাকে বলেন, শনিবার বিকেলে মাছ ধরতে গিয়ে এ সাপটি দেখতে পাই। পরে তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে সাপটিকে ধরে ফেলি। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় সাপটিকে পাতিলে রেখে দেই। এরপর প্লাস্টিকের নেটের ‌আবরণ দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দিয়ে নিয়ে আসি। দুদিন আগেও একটি রাসেল ভাইপার সাপ মেরেছি আমি।   তিনি বলেন, স্থানীয় মুরব্বিদের কাছে জেনেছি, জীবিত রাসেল ভাইপার সাপ ধরতে পারলে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের নেতারা পুরস্কার দেবেন। সে জন্যই জীবিত ধরেছি। সাপ বাচ্চা হোক আর পূর্ণবয়ষ্ক হোক বিষ কিন্তু একই থাকে, সেটা জানেন কিনা এমন প্রশ্ন করলে রেজাউল বলেন, তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে নিয়েছিলাম তো। পৌরসভার স্থানীয় ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন তনু বলেন, কৃষক রেজাউল খান রাসেল ভাইপার ধরে নিয়ে আসেন। সে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ঘোষিত পুরস্কারের দাবিদার। আমি তাকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে প্রেস ক্লাবে এবং পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। বন কর্মকর্তারা যদি প্রমাণ করেন এটা রাসেলস ভাইপার তাহলে পুরস্কার দেওয়া হবে।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ কালবেলাকে বলেন, ওরা সাপ নিয়ে আসছিল। ওদের ওই সাপটি নিয়ে বন বিভাগে জমা দিতে বলেছি, সাপটি সত্যিই রাসেল ভাইপার হলে আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে।  ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, এ ধরনের পুরস্কার ঘোষণা করাই তো অবৈধ। মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা। আমরা এটা প্রমাণ করতে যাব কেন? ওই কৃষকের উচিত হবে যেখান থেকে সাপটি ধরেছে ওই স্থানে ছেড়ে দেওয়া।  এর আগে গত ২০ জুন জেলা আওয়ামী লীগের এক বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ রাসেলস ভাইপার সাপ মারতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন। সেই ভিডিও এবং সংবাদ প্রচার হলে একদিন পরেই সেই অবস্থান থেকে সরে আসেন ইশতিয়াক আরিফ।  পরেরদিন ২১ জুন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আলি আশরাফ পিয়ারের স্বাক্ষরিত এক সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কেউ যদি রাসেলস ভাইপার সাপ জীবিত ধরতে পারেন তাহলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। আগের বক্তব্যটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে বিকৃত করে প্রকাশ হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
২৩ জুন, ২০২৪
X