শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
বেনাপোলে রাজস্ব আদায় ৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা
সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউসে রাজস্ব আদায় গত অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে। এ সময় আদায় হয়েছে ৬ হাজার ১৬৪ দশমিক ৫৯ কোটি টাকা রাজস্ব। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ বন্দর থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৫ হাজার ৭৮৬ দশমিক ২৩ কোটি টাকা। বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭৮০ টন পণ্য। এ অঙ্ক গত বছরের তুলনায় ২ লাখ ৮১ হাজার ৯৭০ টন কম। আমদানি কমলেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে। ভারতের সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ হয় এই বন্দর দিয়ে। বিদায়ী অর্থবছর সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে ফেব্রিক্স, পচনশীল পণ্য, ইংগড, ট্রাক চেচিস, মটরপার্টস এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাঁচামাল থেকে। এ বিষয়ে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, সাজেদুর রহমান জানান, বেনাপোল স্থলবন্দরে নানা অব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়েও আমদানি-রপ্তানি গতিশীল আছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত এ বন্দর। এসব সমস্যা সমাধান করা গেলে আগামীতে রাজস্ব আদায় আরও বাড়বে। আমদানিকারক রয়েল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রয়েল হোসেন জানান, বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের সংকট সত্ত্বেও রাজস্ব আয় বেড়েছে। বন্দর ও কাস্টমসে অনিয়ম দূর করা গেলে আগামীতে রাজস্ব আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মির্জা রাফেজা সুলতানা জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুশাসন, বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনারের স্বচ্ছ দিকনির্দেশনা, বেনাপোল কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টা এবং অংশীজনের সহযোগিতায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে। কাস্টম হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম কালবেলাকে জানান, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি কমলেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে স্বচ্ছতার কারণে।
০৩ জুলাই, ২০২৪

চট্টগ্রামে ছুটির দিনেও চলবে রাজস্ব আদায়
অর্থবছরের শেষদিকে নাগরিকদের গৃহকর ও ট্রেড লাইসেন্স ফি পরিশোধের সুবিধার্থে বন্ধের দিনেও রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এই সিদ্ধান্ত অনুসারে শনিবার (২৯ জুন)  চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে। তবে, ২৯ জুনের পর আবারও সপ্তাহে ৫দিনের কার্যক্রমে ফিরবে চসিকের রাজস্ব বিভাগ। চসিকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৮টি সার্কেল অফিসের অধীনে চট্টগ্রাম নগরের ৪১ ওয়ার্ডে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম চালায় চসিক। অর্থবছরের শেষ দিকে নাগরিকদের বিশেষ সুবিধার কথা বিবেচনায় এসব অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। রাজস্ব বিভাগ ছাড়া অন্যান্য বিভাগের কার্যক্রম আগের নিয়মেই চলবে। নাগরিকরা সারচার্জ বিহীন বকেয়াসহ হালনাগাদ, গৃহকর ও ট্রেড লাইসেন্স ফি স্ব-স্ব এলাকার আঞ্চলিক কার্যালয়ে পরিশোধ করতে পারবেন। টাইগারপাস চসিক কার্যালয় থেকে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার দপ্তর থেকে এসব কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে। চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, অর্থবছরের শেষ মাস জুন সমাপ্তির দিকে থাকায় নাগরিকরা যাতে কর ছাড়ের সুবিধা পান সেজন্য এই শনিবারও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব বিভাগের ৮টি আঞ্চলিক কার্যালয় খোলা থাকবে। 
২৯ জুন, ২০২৪

চট্টগ্রামে ছুটির দিনেও রাজস্ব আদায়
অর্থবছরের শেষ দিকে নাগরিকদের গৃহকর ও ট্রেড লাইসেন্স ফি পরিশোধের সুবিধার্থে বন্ধের দিনেও রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। সে অনুযায়ী আজ শনিবার চসিকের রাজস্ব বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে। তবে, আজকের পর আবারও স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবে বিভাগটি। কর্মকর্তারা জানান, আটটি সার্কেল অফিসের অধীনে নগরের ৪১ ওয়ার্ডে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম চালায় চসিক। অর্থবছরের শেষ দিকে নাগরিকদের বিশেষ সুবিধার কথা বিবেচনায় এসব অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। তবে, অন্যান্য বিভাগের কার্যক্রম আগের নিয়মেই চলবে। নাগরিকরা সারচার্জ বিহীন বকেয়াসহ হালনাগাদ, গৃহকর ও ট্রেড লাইসেন্স ফি নিজ এলাকার আঞ্চলিক কার্যালয়ে পরিশোধ করতে পারবেন। টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার দপ্তর থেকে সেসব কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে।
২৯ জুন, ২০২৪

রাজস্ব আদায় বাড়াতে হচ্ছে নতুন কর অঞ্চল
করজাল বাড়াতে নতুন ২৮টি কর অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব কর অঞ্চলের জন্য ৪ হাজার ৬০০টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় নতুন করে ১০টি কর অঞ্চল হচ্ছে। চালু হচ্ছে কর অঞ্চলের মতো পৃথক তিনটি ইউনিটও। এগুলো হলো কর গোয়েন্দা ও তদন্ত, ই-ট্যাক্স ব্যবস্থাপনা এবং উৎসে কর ব্যবস্থাপনা ইউনিট। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পরের ধাপে বিভিন্ন এলাকায় কর অঞ্চল করা হবে। ক্যাডার কর্মকর্তাদের (সহকারী কর কমিশনার থেকে কর কমিশনার) পদোন্নতি দিয়ে নতুন কর অঞ্চলে পদায়ন এবং কর্মচারী পদে নতুন লোকবল নিয়োগ হবে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আয়কর প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর। এর অংশ হিসেবে নতুন কর অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এখন ঢাকায় নতুন ১০টি কর অঞ্চল এবং তিনটি নতুন ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। পরের ধাপে আয়কর বিরোধ ব্যবস্থাপনা ইউনিট, আন্তর্জাতিক কর ইউনিট, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনায় তিনটি করে, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও রংপুরে একটি করে মোট ১০টি নতুন কর অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। উপজেলা পর্যায়ে করজাল বিস্তৃত করতে কর অঞ্চলের পাশাপাশি গ্রোথ সেন্টার স্থাপন করা হবে। আয়কর বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, কর প্রশাসন ঢেলে সাজানোর মূল লক্ষ্য রাজস্ব আহরণ বাড়ানো। একই সঙ্গে মনিটরিং থেকে শুরু করে সব ধরনের আয়কর-সংক্রান্ত কার্যক্রম সহজ হবে। একই সঙ্গে করদাতারা পাবেন সর্বোচ্চ সেবা। ২০১১ সালে সর্বশেষ আয়কর প্রশাসনের কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে ৩১টি কর অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই সময়ের তুলনায় এখন করদাতার সংখ্যা ৬ গুণ বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিটি কর অঞ্চলে গড়ে ২ লাখ ৬ হাজার করদাতা রয়েছেন। সার্কেল হিসেবে প্রতিটি সার্কেলে করদাতা আছেন প্রায় ১০ হাজার। তাদের সেবা দিতে প্রতিটি সার্কেলে গড়ে ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন। এত কম জনবল দিয়ে মানসম্মত সেবা দেওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি জনবল সংকটে সঠিকভাবে কর আদায়, করজাল বৃদ্ধি এবং কর ফাঁকি প্রতিরোধসহ অন্য কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

নির্বাচনী বছরে লক্ষ্যমাত্রার রাজস্ব আদায় চ্যালেঞ্জের
আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তার আগেই দেশে ডলার সংকট আর ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি ঝেঁকে বসেছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে চলছে স্থাবিরতা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বর্তমানে অর্থনীতির গতি কম। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার রাজস্ব আদায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। আয়কর তথ্যসেবা মাস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন আশঙ্কার কথা জানান। গতকাল মঙ্গলবার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য ড. সামসুদ্দিন আহমেদ, কর প্রশাসনের সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ, শুল্ক নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনী বছরে ডলার সংকট চলছে, আমদানি কমে গেছে ও ব্যবসায় ধীরগতি, এই অবস্থায় রাজস্ব আদায় বড় চ্যালেঞ্জ। দুই ধাপে এনবিআর চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের কাজের মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি ২০২০-এর জানুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়েছি। তার পর থেকেই করোনার তাণ্ডব শুরু হয়। এরপর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ সময়ে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে তেমন কিছু করতে পারিনি। পলিসি লেভেলে কিছু সংস্কার করেছি। অটোমেশনের ক্ষেত্রে চেষ্টা করেছি। আয়কর আইন করেছি, কাস্টমস আইন সংসদে উপস্থাপিত হবে। অফিস পলিসি নিয়ে কাজ করেছি। অর্থনীতির এই করুণ অবস্থার মধ্যে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে তেমন কিছুই করতে পারিনি। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়তে বাজেটে কিছু বিষয় যুক্ত করেছি। কোনো সেবা না পেলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সেবা না পেলে লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেন। ব্যবসায়ীদের অযথা সুপারিশ কেন শুনবো? শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির তদন্ত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের জন্য যৌক্তিক সময় লাগতেই পারে। সে সময়টি দেওয়া হচ্ছে তদন্ত কমিটিকে। আয়কর মেলা নিয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টানা তৃতীয়বারের মতো চলতি বছরও আয়কর মেলা আয়োজন না করে করদাতাদের সুবিধার্থে কর অঞ্চলে নভেম্বরজুড়ে আয়কর তথ্যসেবা মাস অনুষ্ঠিত হবে। আয়কর মেলার আদলে কর অফিসে করদাতারা পাবেন ‘ওয়ানস্টপ’ সেবা। এ ছাড়া অনলাইনে বিকাশ, রকেট, নগদ কিংবা ইউক্যাশ ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর দেওয়ার সুবিধা পাবেন করদাতারা। নভেম্বর মাসব্যাপী প্রতিটি কর অঞ্চলে মেলার পরিবেশে করদাতারা আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ সব ধরনের সেবা নিতে পারবেন। এ ছাড়া করদাতাদের তথ্য সরবরাহ করার জন্য কর অঞ্চলগুলো ছাড়াও সচিবালয়, অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে অস্থায়ীভাবে কর তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করা হবে। এসব কেন্দ্রেও আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ অন্যান্য করসেবা ও কর-সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে। এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, বর্তমানে দেশে টিআইএনধারী রয়েছেন ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৯ জন। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এই টিআইএনধারীদের মধ্যে রিটার্ন জমা পড়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯৯টি, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ২৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনেও রিটার্ন দাখিলের পরিমাণ বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে অনলাইনে রিটার্ন জমা পড়ে ৬১ হাজার ২০৩টি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৮১টি রিটার্ন জমা পড়েছে। তিনি আরও জানান, চলতি বছর প্রথমবারের মতো করশূন্য রিটার্ন দাখিলকারী করদাতাদের জন্য অনলাইনে এক পৃষ্ঠার রিটার্ন দাখিল করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যবস্থায় একই সঙ্গে পাওয়া যাবে প্রাপ্তি স্বীকার ও সনদ। ফলে এই শ্রেণির করদাতাদের কর অফিসে যাওয়ার আর প্রয়োজন হবে না। আর ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন বুথে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন করদাতারা ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও বর্তমান করদাতারা রি-রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে এনবিআরের ওয়েবসাইটে আয়কর-সংক্রান্ত বিভিন্ন ফরম, পরিপত্র, রিটার্ন পূরণের নির্দেশিকা, ভিডিও টিউটোরিরিয়ালসহ অন্যান্য তথ্য থাকবে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টানা তৃতীয়বারের মতো চলতি বছরও আয়কর মেলা আয়োজন না করে করদাতাদের সুবিধার্থে কর অঞ্চলে নভেম্বরজুড়ে মিনি করমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
০১ নভেম্বর, ২০২৩

‘নির্বাচনী বছরে রাজস্ব আদায় চ্যালেঞ্জ হবে’
চলতি অর্থবছরে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। দেশে চলছে ডলার সংকট, ব্যবসা-বাণিজ্যে রয়েছে ধীরগতি। এমন অবস্থায় রাজস্ব আদায় চ্যালেঞ্জের হবে বলে মনে করনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়কর তথ্যসেবা মাস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য ড. সামসুদ্দিন আহমেদ, কর প্রশাসনের সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ, শুল্ক নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ এনবিআরের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।  এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনী বছরে ডলার সংকট চলছে, আমদানি কমে গেছে ও ব্যবসায় ধীরগতি, এই অবস্থায় রাজস্ব আদায় বড় চ্যালেঞ্জ। দুই ধাপে এনবিআর চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের কাজের মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি ২০২০ এর জানুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়েছি। তারপর থেকেই করোনার তাণ্ডব শুরু হয়। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে তেমন কিছু করতে পারিনি। পলিসি লেভেলে কিছু সংস্কার করেছি। অটোমেশনের ক্ষেত্রে চেষ্টা করেছি। আয়কর আইন করেছি, কাস্টমস আইন সংসদে উপস্থাপিত হবে। অফিস পলিসি নিয়ে কাজ করেছি। অর্থনীতির এই করুণ অবস্থার মধ্যে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে তেমন কিছুই করতে পারিনি। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়তে বাজেটে কিছু বিষয় যুক্ত করেছি। কোনো সেবা না পেলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সেবা না পেলে লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেন। ব্যবসায়ীদের অযথা সুপারিশ কেন শুনবো? শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির তদন্ত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের জন্য যৌক্তিক সময় লাগতেই পারে। সেই সময়টি দেওয়া হচ্ছে তদন্ত কমিটিকে। আয়কর মেলা নিয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টানা তৃতীয় বারের মতো চলতি বছরও আয়কর মেলা আয়োজন না করে করদাতাদের সুবিধার্থে কর অঞ্চলে নভেম্বরজুড়ে আয়কর তথ্যসেবা মাস অনুষ্ঠিত হবে। আয়কর মেলার আদলে কর অফিসে করদাতারা পাবেন ‘ওয়ানস্টপ’ সেবা। এ ছাড়া অনলাইনে বিকাশ, রকেট, নগদ কিংবা ইউক্যাশ ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর দেওয়ার সুবিধা পাবেন করদাতারা। নভেম্বর মাসব্যাপী প্রতিটি কর অঞ্চলে মেলার পরিবেশে করদাতারা আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ সব ধরনের সেবা নিতে পারবেন। এ ছাড়া করদাতাদের তথ্য সরবরাহ করার জন্য কর অঞ্চলগুলো ছাড়াও সচিবালয়, অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে অস্থায়ীভাবে কর তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করা হবে। এসব কেন্দ্রেও আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ অন্যান্য করসেবা ও কর সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে।  এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, চলতি বছর প্রথমবারের মতো করশূন্য রিটার্ন দাখিলকারী করদাতাদের জন্য অনলাইনে এক পৃষ্ঠার রিটার্ন দাখিল করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পাওয়া যাবে প্রাপ্তি স্বীকার ও সনদ। ফলে এই শ্রেণির করদাতাদের কর অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। আর ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন বুথে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন করদাতারা ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও বর্তমান করদাতারা রি-রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে এনবিআরের ওয়েবসাইটে আয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন ফরম, পরিপত্র, রিটাটার্ন পূরণের নির্দেশিকা, ভিডিও টিউটোরিরিয়ালসহ অন্যান্য তথ্য থাকবে বলে জানান তিনি।
৩১ অক্টোবর, ২০২৩

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর / লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে রাজস্ব আদায়
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, এ সময় ৫৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরজুড়ে ডলার সংকট, এলসি জটিলতা ও পণ্য আমদানিতে ধীরগতির সমস্যা না থাকলে আরও রাজস্ব আদায় হতো। এ বন্দর দিয়ে তিন দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য হয়। বাংলাবান্ধা বন্দরের তথ্যমতে, ১৯৯৭ সালে নেপাল এবং ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে শুরু হয় বাণিজ্য কার্যক্রম। ২০১৬ সালে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হয়। ২০১৭ সালে ভুটান থেকে পাথর আমদানির মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা যোগাযোগ। এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর, মেশিনারিজ, প্লাস্টিক, ভুট্টা, অয়েল কেক (খৈল), আদা, গম, চাল ও ফল আমদানি হয়। নেপাল-ভুটান থেকে আমদানি হচ্ছে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত পণ্য। একইভাবে রপ্তানি হচ্ছে পাট ও পাটজাত পণ্য, আলু, ব্যাটারি, কোমল পানীয়, গার্মেন্ট সামগ্রী, ক্যাপ, হ্যাঙ্গার, সাবান, বিস্কুট, চানাচুর, জুস, কাচ, পার্টস, কটনব্যাগ, ওষুধ ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য। বাংলাবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, করোনাকাল থেকে উচ্চ শুল্ক হারের পণ্য আমদানি কমে গেছে। তা ছাড়া এ স্থলবন্দর থেকে ঢাকার দূরত্ব বেশি হওয়ায় খরচ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পণ্যের দাম বেশি পড়ে। এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন জানান, করোনার পর বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দা, ডলার সংকটসহ কিছু সমস্যা তৈরি হলেও ভালো রাজস্ব আদায় হচ্ছে। বন্দরের অবকাঠামোসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। সহকারী কমিশনার জেএম আলী আহসান জানান, শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তাদের পরিশ্রম, দক্ষতা ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বন্দরটির সম্ভাবনা অনেক। ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু হলে আরও রাজস্ব আসবে।
০২ আগস্ট, ২০২৩

৫৭৮৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়
সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ সময় আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা রাজস্ব, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা বেশি। ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রাজস্ব আদায় হয় ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থবছরজুড়ে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টন পণ্য। আর রপ্তানি ৪ লাখ ৯০ হাজার ৪৮১ টন পণ্য। রপ্তানি খাত থেকে আয় হয়েছে ১০ হাজার ২২৬ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা। রপ্তানি আয়ও গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ৬৪০ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা বেশি বলে কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, স্বপ্ন সেতুর কারণে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। আগে বেনাপোল থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় পৌঁছতে দুই থেকে তিন দিন লাগত; কিন্তু এখন লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা বলেন, পদ্মা ও মধুমতী সেতু চালু হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। ফলে আমদানি বেড়ে রাজস্ব আদায় বাড়ছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানিতে গতিশীলতা অনেক গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বেনাপোলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামীতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি আরও বাড়বে। অন্যদিকে বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. শাফায়েত হোসেন জানান, গত অর্থবছরের তুলনায় এবার আমাদের ২৬ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
১৩ জুলাই, ২০২৩
X