রাজপথ আবার সরগরম হচ্ছে : মান্না
শিক্ষক ও ছাত্রদের আন্দোলনের দিকে ইঙ্গিত করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, রাজপথ আবার সরগরম হচ্ছে। আবারও বিরোধী দল মাঠে নামছে।  বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।   অষ্টম সংসদের বিরোধীদলের প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে পুলিশি হামলায় ১৪ বছরেও দোষীদের বিচার না হওয়ার প্রতিবাদে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে জয়নুল আবদিন ফারুক উপস্থিত থাকলেও কোনো বক্তব্য দেননি। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারকে যেতে হবে। কারণ, এটা কোনো সরকারই নয়। সামনে আমরা এমন আন্দোলন গড়ে তুলবার চেষ্টা করছি, যাতে এই সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হয়। একটা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে- সেই দাবিতে আমরা আন্দোলন করব ইনশাআল্লাহ।    তিনি বলেন, একটা সরকারের আমলে যাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছে সেই সরকারই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দিয়েছে, যাকে প্রধান সেনাপতি বানানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে, যিনি পুলিশ বাহিনীর প্রধান ছিলেন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কাহিনি এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এটা একটা সরকার হলো? জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারে না, আমার-আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। কিন্তু কোর্টকে দিয়ে কোটা তুলে দিতে পারে, কোর্টকে দিয়ে এমন এমন কাজ করে যাতে জনগণের অধিকার খর্ব হয়। পেনশন নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা নতুন পেনশন স্কিম করেছে সেটা মানে না, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ। কোনো মন্ত্রী কোনো কথা বলছেন না। পত্রিকায় দেখলাম, আজকে না কি সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের সঙ্গে বসবেন, কিন্তু পরে শুনলাম তা স্থগিত করা হয়েছে। কোটা বাতিল করবার পরে গতকালকের (বুধবার) মিছিল দেখেন, শিক্ষকদের ধর্মঘট দেখেন- রাজপথ আবার সরগরম হচ্ছে।  সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারকসমূহ প্রসঙ্গে মান্না বলেন, সরকার সামগ্রিকভাবে বলছেন এটা চুক্তি নয়। কিন্তু যখন সমঝোতা স্মারক করা হয়- তার মানে বুঝানো হয়, এটা চুক্তিতে গড়াবে। আমরা বলছি, এসব বাতিল করেন। অন্যথায় সরকারের পরিণতি খারাপ হবে এককথায়।  মান্না আরও বলেন, এই সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না। জিনিসের দাম কমাতে পারে না, জনগণের ভরণ-পোষণ দিতে পারে না। এরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় না, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করে। এখন পর্যন্ত জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার বিচার করা হয়নি। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। সংগঠনের সভাপতি মনজুর রহমান ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
০৪ জুলাই, ২০২৪

রাজপথ ছাড়বে না কোটাবিরোধীরা
সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির) মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহালে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণপদযাত্রা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। গতকাল বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাবি গ্রন্থাগারের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রা নিয়ে আন্দোলনকারীরা নীলক্ষেত, নিউমার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোড হয়ে শাহবাগে এসে অবস্থান নেন। এরপর সেখানে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করার পর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ের রাস্তা ছেড়ে দেন। এদিকে তাদের অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফার্মগেট-শাহবাগ, শাহবাগ-পল্টন-মগবাজার রোড, শাহবাগ-সায়েন্সল্যাব রোড এবং শাহবাগ এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, দাবি আদায়ে আজ (বুধবার) দুপুর আড়াইটায় তারা আবারও ঢাবি গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একই ব্যানারে একই সময়ে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান তিনি। গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে অবরোধ তুলে নিয়ে মিছিলসহকারে আন্দোলনকারীরা ঢাবি উপাচার্যের বাসভবন অভিমুখে রওনা হন। সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা বুধবার ঢাবির গ্রন্থাগার খোলা রাখার দাবি জানান। সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে দুদিন ধরে গ্রন্থাগারটি বন্ধ রয়েছে। এদিকে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ এই কোটা পদ্ধতি সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতি একটি অবিচার। ঢাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাতিল হওয়ার পর গত ৫ জুন সেই কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক। একই দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলা ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়। সেটি প্রধান সড়ক ঘুরে মেইন ফটক দিয়ে বেরিয়ে ক্যাম্পাসের সামনের বাহাদুর শাহ পার্ক ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ এলাকায় যায়। আবার প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশ হয়। কোটা পদ্ধতি বাতিলসহ চার দফা দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর, পুরোনো প্রশাসনিক ভবন, পরিবহন চত্বর, চৌরঙ্গী, ছাত্রী হল সড়ক হয়ে প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ২০ মিনিট প্রতীকী অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে বুধবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন তারা। কোটা বাতিলের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে চাকসু, কলা ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও জিরো পয়েন্ট হয়ে রেলস্টেশন এলাকায় যান। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও একই দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝালচত্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মিছিলটি বের হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডায়না চত্বরের সামনে গিয়ে এটি শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি জানান। এগুলো হলো পরবর্তী সময়ে সরকার কোটা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করার সুযোগ বন্ধ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
০৩ জুলাই, ২০২৪

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না : টুকু
যুবদলের সদ্য কারামুক্ত সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, জেল-জুলুমের পরোয়া আমরা করি না। একটি অনির্বাচিত অবৈধ সরকার দেশের মানুষকে জেলে রেখে, অত্যাচারে করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার চক্রান্ত করছে। সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে আমরা তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবোই। যতদিন পর্যন্ত গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি না পাবে, ততদিন আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না। জামিনে কারামুক্তির পর বুধবার (৫ জুন) রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক তাৎক্ষণিক সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন। টুকু বলেন, আজকে ক্ষুদ্র কারাগার থেকে বৃহৎ কারাগারে প্রবেশ করেছি। দেশনেত্রীকে দীর্ঘদিন কারাগারে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশান্তরী করে রাখা হয়েছে। দেশের জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে বাক স্বাধীনতা। জাতিকে এসব থেকে উদ্ধার করতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকে আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করবো ইনশাআল্লাহ।   এর আগে বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। কারামুক্তির পর যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জেল গেটের বাইরে টুকুকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর গাড়িবহরসহ যুবদলের নেতাকর্মীরা সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে নিয়ে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। সেখানে মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে যুবদলের নেতাকর্মীরা টুকুকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, কামরুজ্জামান দুলালসহ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে টুকুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে মুক্তির আগ পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন টুকু। জানা যায়, কারাগারে যাওয়ার আগে টুকুর বিরুদ্ধে ৩১৩টি মামলা হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলায় আদালত তাকে সাড়ে সাত বছরের সাজা দেয়।
০৫ জুন, ২০২৪

জনগণের প্রতিদান দিতে রাজপথ ছাড়ব না : আমিনুল হক 
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেছেন, জনগণ আমাদের আন্দোলনে সাড়া দিয়ে ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করেছে। জনগণ আমাদের কথা রেখেছে। তাদের কথার প্রতিদান আমাদের দিতে হবে। এজন্য রাজপথ ছাড়া যাবে না। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই ফিরিয়ে আনতে হবে বাকস্বাধীনতা, দেশবাসীকে ফিরিয়ে দিতে হবে তাদের ভোটাধিকার।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাড্ডা থানাধীন ২১, ৩৭, ৩৮, ৪১, ৪২, ৯৭ নং ওয়ার্ড এবং রামপুরা থানাধীন ২৩, ৯৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের সুস্থতা কামনায় এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করে বাড্ডা ও রামপুরা থানা বিএনপির নেতারা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে আয়োজিত পৃথক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিরা এতে সভাপতিত্ব করেন। আমিনুল হক বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রকামী মানুষকে পদদলিত করে রেখেছে। সারা দেশকে বদ্ধ কারাগারে পরিণত করেছে। তাদের দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় পতিত হয়েছে। রাজনৈতিক সহবস্থান আজ রূপকথার গল্পে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি আজ একা নয়। জনগণসহ দেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল আজ ঐক্যবদ্ধ। বিদেশি প্রভুদের আশীর্বাদ নিয়ে এ সরকার টিকে রয়েছে। বিনিময়ে সরকার বিদেশিদের কাছে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে। আমিনুল হক বলেন, এবার প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ গড়ে তেলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে। প্রয়োজনে এ দেশের জনগণের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত।  কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, এজিএম শামসুল হক, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য তুহিরুল ইসলাম তুহিন, জাহাঙ্গীর মোল্লা, ফয়েজ আহমেদ ফরু, হাজী মো. ইউসুফ, বাড্ডা থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আব্দুল কাদের বাবু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুল হক এমদাদ, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ রাজ্জাক, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সোহেল রানা ভূইয়া, রেজাউল করিম বড় মিয়া, নিলুফা ইয়াসমিন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. তৌহিদ, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান নজরুল ইসলাম, ৪১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নবী হোসেন, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর বাবুসহ থানা, ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ মার্চ, ২০২৪

রাজপথ দখলে আবারও মাঠে নামছে ইমরান খানের পিটিআই
পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে সারা দেশে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। আগামী ২ মার্চ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে দলটি। তাদের সঙ্গে এবার অন্যান্য রাজনৈতিক দলও অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে পিটিআই। খবর জিও নিউজের। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রথম, পিএমএল-এন দ্বিতীয় ও পিপিপি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। তবে কোনো কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও ভোট কারচুপির অভিযোগ করছে আসছে পিটিআই। দলটির দাবি, অনেক আসনে তাদের সমর্থিত প্রার্থীকে ফল পরিবর্তনের মাধ্যমে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে নির্বাচনের পর থেকে দেশজুড়ে সমমনা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছে পিটিআই। এমনকি নির্বাচনে কারচুপি ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আদিয়ালা কারাগারে বন্দি পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ওমর আইয়ুব ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে বড় ধরনের কারচুপির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করবে পিটিআই। শুধু একটা কলমের খোঁচায় আমাদের আসন চুরি করে নেওয়া হয়েছে। জনগণ সাবেক পিটিআই চেয়ারম্যানকে ম্যান্ডেট দিয়েছে। জাতির ম্যান্ডেট ও আমাদের আসন আক্রমণের শিকার হয়েছে। আদিয়ালা কারাগারের বাইরে প্রথম আরেক সংবাদ সম্মেলেন পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতা শের আফজাল মারওয়াত বলেছেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান শনিবার (২ মার্চ) সারা দেশে বিক্ষোভ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পিটিআই-এর নির্বাচিত সদস্যরা ২৯ ফেব্রুয়ারি শপথ নিতে সংসদে যাবেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আন্দোলনরত দলগুলো রাজপথ ছাড়বে না
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনরত দলগুলো রাজপথ ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা জানান। মঈন খান বলেন, দেশে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতি কোনোদিন চলবে না। এ সরকার যে গায়ের জোরে, বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় আছে, এ কথা আজকে আমরাই বলছি না, সারা বিশ্বের মিডিয়া, বিভিন্ন রাষ্ট্রের বক্তব্যে সেটার প্রতিধ্বনি হয়েছে। কাজেই আজকে এটা দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র মৃত। তিনি বলেন, আমাদের একটি মাত্র লক্ষ্য, আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনরত বিরোধী দল রাজপথ ছাড়বে না। অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে না, এটা ভোট হয়নি। আমরা সই সংগ্রহ করছি রাজপথের লড়াই আরও মজবুত করার জন্য। আমরা সেরকম লড়াই গড়ে তোলার চেষ্টা করছি, যে লড়াইয়ের সামনে ক্ষমতাসীনরা মাথানত করতে বাধ্য হবে। নাগরিক ঐক্যের এই গণস্বাক্ষর ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে, জেলা-উপজেলায় এবং আন্তর্জাতিকভাবে অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসীদের সই সংগ্রহ করা হবে বলে আয়োজকরা জানান। দলটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, গণঅধিকার পরিষদের বাবুল বিশ্বাস, নেজামে ইসলাম পার্টির এ কে এম আশরাফুল হক প্রমুখ। এদিকে দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় গণতন্ত্রকামী বিরোধীদলীয় শক্তিকে সরকার ‘আইএস’ বানানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, তাদের সরকার তালেবানি চিত্র দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিরোধীদের আগুন সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি বলছে। গত ২৮ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সরকার এমন চেষ্টা অনেক করেছে; কিন্তু এই অপচেষ্টা এবার সফল হবে না। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবদিনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামালসহ অন্যরা।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

সরকার পতনের আন্দোলন চলবেই, রাজপথ ছাড়ব না : মঈন খান
সরকার পতনের একদফা আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলতেই থাকবে। যতক্ষণ না দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ফিরিয়ে দিতে না পারব ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।  শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে 'প্রহসনের নির্বাচন মানি না, গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর' উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বক্তব্যে শেষে ড. মঈন খান সবাইকে নিয়ে স্বাক্ষর করেন।  তিনি বলেন, ভোটবিহীন এই সরকার কোনোদিন জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। এ দেশ সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্র ও দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। আজকে এই সরকারকে প্রশ্ন করতে চাই, এই সরকার নিজেদের দাবি করে তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। যে সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে এবং সমস্ত সম্পদ কুক্ষিগত করে, সেই সরকার কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে? ড. মঈন খান বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, দেশে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতি চলবে না। এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। আজকে শুধু আমরা এ কথা বলছি না, বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়া এবং রাষ্ট্রের বক্তব্য দেখুন? এই প্রহসনের নির্বাচন সম্পর্কে বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা বিরোধী দলগুলো যেসব কথা বলে এসেছি, তারা (বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র) সেই কথার প্রতিধ্বনি করছে।  নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা সারা দেশে এই কর্মসূচি করব। অনলাইন এবং অফলাইনেও এই কর্মসূচি করব। এখন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিদিন একবেলা এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করব। এরপরে ঢাকায় বিভিন্ন নগরে বহর নিয়ে যাব, জনসাধারণকে স্বাক্ষর করতে বলব।  এ সময় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২০ জানুয়ারি, ২০২৪

যেকোনো মূল্যে রাজপথ দখলে রাখবে আওয়ামী লীগ
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃত্বীয় দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে ময়মনসিংহে অবরোধ পালনে তেমন তৎপরতার দেখা মেলেনি। তবে শান্তি সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি ও মোটরসাইকেল মহড়ার মাধ্যমে রাজপথ দখলে রেখেছে আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন হয়েছে। ‘বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ, সর্বক্ষেত্রে প্রতিরোধ’- এই স্লোগানে একহাজার পাঁচশর বেশি মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ শোডাউন করেন নেতাকর্মীরা। মোটর শোভাযাত্রাটি উপজেলার দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ পৌসভার বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া ও অবস্থান করে এবং দলীয়  কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা যেকোনো মূল্যে রাজপথ দখলে রাখব। জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ চলবে। ত্রিশাল উপজেলায় ঢাকা-ময়মনিসংহ রোডে কোনো রাস্তায় তাদের নামতে দেওয়া হবে না। আমরা চাই, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা আবারও সরকার গঠন করবেন এবং সেই সরকার দেশ চালাবে।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩

আন্দোলনে বাধা দিলে রাজপথ প্রকম্পিত হবে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলের আন্দোলনে বাধা দিলে রাজপথ আরও প্রকম্পিত হবে। জনতার উত্তাল তরঙ্গ শুরু হবে। সভা-সমাবেশে বাধা দিলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে। অতএব বাধা না দিয়ে দ্রুত ক্ষমতা ছাড়ুন। গতকাল শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে রাসুল (সা.)-এর সিরাত’ শীর্ষক জাতীয় সিরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ, ইউনুছ আহমাদ, লিয়াকত আলী, গাজী আতাউর রহমান, ইমামুদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. রশীদ আহমাদ, মুহাম্মাদ যাইনুল আবেদীন, ওবায়দুল কাদের নদভী, ড. হুসাইনুল বান্না, অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু, আহমদ বদরুদ্দীন খান ও শামছুদ্দোহা আশরাফী। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি মুসা আল হাফিজ। সভাপতিত্ব করেন মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম। চরমোনাই পীর বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ও ৩ নভেম্বর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহাসমাবেশ ঘোষণা দিয়েছে। সরকার ভয়ে এসব সমাবেশে ঘিরে নানা অপকৌশল গ্রহণ করেছে। স্বৈরাচার সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে উঠেছে। ৩ নভেম্বরের আগে সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে ৩ নভেম্বর-পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতির সব দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।
২৮ অক্টোবর, ২০২৩

আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে রাজপথ
২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মহাসমাবেশ ও কর্মসূচিতে আমরা কখনো চাপ অনুভব করিনি। আমরা রাজপথের দল। ২৮ তারিখেও রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে ইনশাআল্লাহ। গতকাল রোববার সচিবালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু সমগ্র’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিবের ‘যে স্বপ্ন ও আশা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেটি আজ ধুলায় মিশে গেছে’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব কি আসলে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন—এটি আমার প্রশ্ন। কারণ তিনি কয়েক মাস আগে বলেছিলেন, পাকিস্তানই ভালো ছিল। তার বাবা পাকিস্তান সমর্থক ছিলেন, এটি দিবালোকের মতো সত্য। অর্থাৎ মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য বলে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্নই দেখেননি। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় জিয়াউর রহমান ঠিকভাবে চিত্রিত হননি—বিএনপির এ মন্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে বায়োপিক। বঙ্গবন্ধু কীভাবে খোকা থেকে শেখ মুজিব, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে উঠলেন এই ছবিতে সেটিই উঠে এসেছে। রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের উপকারভোগী সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনারা এখন যেভাবে ভাতা পাচ্ছেন, সেগুলো চালু রাখার জন্য আবারও শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে। যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে ভাতার পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে আবারও হাওয়া ভবন খুলে ভাতার ওপর ট্যাক্স বসাবে। ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সদস্য সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়াশী লীগের সহসভাপতি সাদেক নুর চৌধুরী টিপু, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বদিউল খায়ের চৌধুরী লিটন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচ প্রমুখ।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩
X