বাড়িতে ঢুকে তরুণের হাত-পায়ের রগ কাটল প্রতিপক্ষ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে বেলাল হোসেন ওরফে সাকিব নামে এক তরুণের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার (২৯ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার আমানউল্ল্যাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাচিহাটা গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বেলাল হোসেন ওরফে সাকিব আমানউল্ল্যাপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কাচিহাটা গ্রামের মুহম্মদ শহীদুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় সুলতানপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।   স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৮ জুন) রাত সোয়া ১০টার দিকে ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে কাচিহাটা গ্রামের মো. তামিম, মো.জাকির হোসেন ও সাকিবসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন একই গ্রামের শাহাদাত হোসেন সাপিম নামে এক তরুণকে গুলি করে বলে অভিযোগ করেন তারেক ও তার সঙ্গীরা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে সাপিমের অনুসারী তারেক বাহিনীর প্রধান তারেক ও শান্তসহ ১০-১২ জন সাকিবের বাড়িতে হামলা চালায়।  এ সময় তারা সাকিবকে বাথরুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বাহিরে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নোয়াখালী জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।    অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার সাপিম ও তারেকের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।     বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কুতুব উদ্দিন লিয়ন কালবেলা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
২৯ জুন, ২০২৪

মতলব উত্তরে ব্যবসায়ীর পায়ের রগ কাটল সন্ত্রাসীরা
মতলব উত্তর উপজেলার বড় ঝিনাইয়া গ্রামের মৃত মুকবুল হোসেন প্রধানের ছেলে ব্যবসায়ী মো. ইদ্রিছ প্রধানের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার কাছে থাকা ৪২ হাজার ৩৫০ টাকা ও ২ ভরির ১টি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় তারা। গত শুক্রবার রাতে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড় ঝিনাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় মো. ইদ্রিছ প্রধানকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ইদ্রিছ প্রধান জানান, আমি ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মো. রাজিব, মো. রাসেল মিয়া প্রকাশ বিল্লাল, মো. আশরাফুল প্রকাশ দিপুসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রায়ই আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। আমি যেন সামাজিক কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত না হই, মাদকের বিরুদ্ধে কোনো কথা না বলি। তারই ধারাবাহিকতায় বড় ঝিনাইয়া জামে মসজিদে আহলে হাদিসের মৌলভি নিয়োগ করার চেষ্টা করে। আমি তাতে বাধা দিই। বাড়ি থেকে নামাজ পড়ার জন্য বড় ঝিনাইয়া জামে মসজিদের উদ্দেশে রওনা দিই। ঘটনাস্থলে পৌঁছা মাত্রই পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বাম পায়ের গোড়ালির রগ কেটে জখম করে।
১৬ জুন, ২০২৪

যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটল যুবদল নেতা 
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় সরকারি ঘর বিক্রির টাকা ফেরত চাওয়ায় আয়নাল হক নামের এক যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা ও ইউপি সদস্য রমজান আলীর বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) গভীর রাতে কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আয়নাল উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি এলাকার ছেলে। সে কাকিনা ইউনিয়ন যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। অভিযুক্ত রমজান আলী কাকিনা ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি ও ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। জানা গেছে, ইউপি সদস্য রমজান আলী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর ভূমিহীন মানুষের নিকট বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। সোমবার ঘর না পাওয়া একজন ইউপি সদস্য রমজান আলীর কাছে টাকা ফেরত চায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রমজান ও তার বাহিনী যুবলীগ কর্মী আয়নালের ওপর হামলা করে তাকে হাতুরি ও বল্লম দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আহত আয়নালকে স্থানীয়রা উদ্বার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা গুরুতর দেখে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। বতর্মানে আয়নাল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, রমজান আলী ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় গড়ে তুলেছেন ‘রমজান বাহিনী’ নামে সন্ত্রাসী বাহিনী। এই রমজান বাহিনী চরের জমিদখলসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি তবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি ইমতিয়াজ কবীর বলেন, ঘটনাটি শুনেই প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

কৃষককে কুপিয়ে দুই পায়ের রগ কাটল দুর্বৃত্তরা
মাদারীপুরের কালকিনিতে কৃষককে কুপিয়ে দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আহত ব্যক্তি মো. মিরাজ সরদার (৩৫) উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের আবদুল জব্বার আলী সরদারের ছেলে। তিনি জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর বা পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে ওই ঘটনা ঘটে। মিরাজ সরদার বাড়ির পাশে নিজ ধানের জমিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ বিষয়ে কালকিনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন থেকে কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

চাঁদপুরে বিউটিশিয়ানকে জবাই ও পায়ের রগ কেটে হত্যা
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিউটিশিয়ান মমতাজ বেগম রিক্তাকে (৩৫) জবাই ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর কম্বল পেঁচিয়ে ঘরের ভেতর টয়লেটে রেখে দেওয়া হয়েছে তার লাশ। সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছেন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমান্দারি এলাকার বেপারী বাড়িতে নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রিক্তা বেপারী বাড়ির মৃত এমদাদ উল্লাহর ছোট মেয়ে। জানা যায়, রিক্তা স্থানীয় গৃদকালিন্দিয়া বাজারের বধূবরণ বিউটি পার্লারের মালিক ও বিউটিশিয়ান। প্রতিদিনের মতো বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে ফেরেন। স্বামী প্রবাসে এবং তার কোনো সন্তান না থাকায় মৃত বোনের একমাত্র ছেলে বাপ্পিকে (১৮) নিয়ে বসবাস করতো। বাপ্পি গৃদকালিন্দিয়া বাজারে একটি দোকানে মোবাইল দোকানে মোবাইল মেরামতের কাজ শিখছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে বাপ্পি বাড়ি ফিরে তার খালা রিক্তাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখে বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানায় এবং বাড়ির লোকজনসহ ঘরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে রিক্তার চাচাতো ভাই মাহফুজুর রহমানের মেয়ে ঐশী আক্তার তার মা ও বাপ্পিসহ ঘরে প্রবেশ করে বহু খোঁজাখুঁজি করার পর টয়লেটের ভেতরে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। এ ঘটনা ঐশী তার বাবা মাহফুজুর রহমানকে জানালে তিনি জাতীয় জরুরী সেবা (৯৯৯) ফোন করে পুলিশকে অবহিত করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রিক্তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। রিক্তার বোনের ছেলে বাপ্পি জানায়, আমার জন্মের পর মা মারা যাওয়ায় এই খালার কাছেই বড় হয়েছি। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার সময় খালামনিকে দেখেছি বাজার থেকে পুরি নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছে। আমি রাত ৮টার সময় বাজার থেকে বাড়িতে এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। খালাকে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার লক মোড়া দিলেই দরজা খুলে যায়। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। ঘরে প্রবেশ করে দেখি ঘরের মেঝেতে খালার বোরখা রক্তমাখা‌। আমি চিৎকার করে পাশের ঘরের মাহফুজ মামার স্ত্রী লাকি মামিকে ডেকে আনি। পরে ওই মামি ও তার মেয়ে ঐশীসহ ঘরের ভেতরে খুঁজে না পেয়ে টয়লেটের দরজা খুলে দেখি খালা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। একই বাড়ির মাহফুজুর রহমান জুয়েল বলেন, এই ঘটনা দেখেই আমি জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে জানাই। রিক্তা আমার চাচাতো বোন। আমার জেঠা ও জেঠি মারা যাওয়ার পর থেকেই বাবার বাড়িতে থাকে। তিনি আরো বলেন, গত প্রায় দশ বছর পূর্বে চট্টগ্রামে রিক্তার বিয়ে হয়েছে। রিক্তার স্বামী রাকিবুল হাসান দুবাই প্রবাসী। গত দুই মাস পূর্বেও সে ছুটি কাটিয়ে গেছে। রিক্তার কোনো সন্তান নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ূন কবির জানান, রিক্তা আমার চাচাতো বোন। রাতে ৮টা ৫৭ মিনিটের সময় একই বাড়ির ইসমাইল মাস্টার ফোন করে জানিয়েছেন রিক্তাকে কারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। তিনি আরো বলেন, আমি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। রিক্তার মামা মো. আমিনুর রহিম পাটওয়ারী বলেন, আমার বাড়ি রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকার আলা বক্স পাটওয়ারী বাড়ি। আমার ভাগ্নি রিক্তা খুন হওয়ার ঘটনা শুনে এসেছি। তিনি আরো বলেন, ১০-১২ দিন পূর্বে আমার বাড়িতে গিয়ে বলেছে তার ভাই মালেক ও তার ছেলে মেহেদী হাসান এবং ভাবী শিউলি রিক্তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আর এখন রিক্তাকে ঘরেই খুন করেছে। আমি আমার ভাগ্নির খুনের বিচার চাই। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত)  প্রদীপ মন্ডল জানান, খুনের বিষয়ে মাহফুজুর রহমান নামক ব্যক্তি জাতীয় জরুরী সেবা (৯৯৯) ফোন করে। তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে এসে মমতাজ বেগম রিক্তার লাশ উদ্ধার করেছি। এটি একটি হত্যাকাণ্ড এবং এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

বাগেরহাটে যুবলীগ কর্মীর হাত-পা ভেঙে রগ কাটল দুর্বৃত্তরা
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তৌহিদুল ইসলাম (৪২) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে কুপিয়ে হাত-পা ভাঙার পাশাপাশি পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।  মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বৌ বাজার এলাকায় এ মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৩টার দিকে স্বজনেরা তৌহিদুলকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলীম জনান, কামলা গ্রামের আমির হোসেন হাওলাদারের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ঢাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের ঠিকাদারি কাজ করে। সে যুবলীগের ত্যাগী কর্মী। রাতে পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা করা হয়েছে।  তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, ঘটনার সময় ৫ মাস বয়সী শিশু সন্তানের জন্য ওষুধ কেনার জন্য নিকটস্থ বাজারে গেলে দুর্বৃত্তরা তৌহিদুলের ওপর হামলা করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনার জের ধরে আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ৯টার দিকে কামাল বাজার এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে দু’দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এখনো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।  এ বিষয়ে থানার ওসি মো সাইদুর রহমান বলেন, মারপিটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। পরিস্থিতি শান্ত আছে।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

যুবলীগ নেতার হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা, আটক ৪
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাহিদুল ইসলাম নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে এবং হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখামারা ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জাহিদুল (৩৮) উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে জাহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেলে করে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পরে শাখামারা ব্রিজ এলাকায় দুর্বৃত্তরা তার পথরোধ করে। এ সময় তাকে কুপিয়ে তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। পরে তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত জাহিদুলকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু এ ঘটনার জন্য তিনি জামায়াত ও বিএনপিকে দায়ী করে বলেন, যে বা যারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকুক তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।  পরিদর্শন শেষে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামাল হোসেন উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ঘটনার পর পরই আমরা অভিযান চালিয়ে ঘটনার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারকৃতদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছি। একইসঙ্গে আমরা হত্যার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছি। আশা করছি অতিদ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এদিকে, জাহিদুলের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে স্থানীয় ছাইতানতলা বাজারে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
১৩ নভেম্বর, ২০২৩

কোপানোর পর কাটা হয় যুবলীগ নেতার হাত-পায়ের রগ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাহিদুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে এবং হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখামারা ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জাহিদুল উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, রাতে জাহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেলে করে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। শাখামারা ব্রিজ এলাকায় দুর্বৃত্তরা তার পথরোধ করে কোপায়। এ সময় তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় তারা। পরে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত জাহিদুলকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান বাসিন্দারা। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার জন্য তিনি জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেছেন। এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
১৩ নভেম্বর, ২০২৩

ছুরিকাঘাত ও রগ কেটে হত্যা কলেজছাত্রকে
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের ধানক্ষেত থেকে এক কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সৌরভ হোসেন (১৮) ওই গ্রামের বাসিন্দা। সে সরাইল আদর্শ বিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। প্রত্যক্ষদর্শী মিঠু মিয়া জানান, সকালে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বাড়ির পাশে ফসলের মাঠে লাশ দেখতে পাই। চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা সেখানে গিয়ে দেখেন লাশটি সৌরভের। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে ইউপি সদস্য মিনহাজুল ইসলামকে জানাই। নিহতের মা সামছুন্নাহার বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে খাবার খেয়ে পাশের ঘরে ছিলাম। ছেলে তখন মোবাইল ফোনে গেম খেলছিল। কিছুক্ষণ পরে সেখানে গিয়ে দেখি সৌরভ নেই। মোবাইলে কল ঢুকছে; কিন্তু সে রিসিভ করছে না। তখন প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করি। না পেয়ে রাত ২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। পরদিন ভোরে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে ছেলের লাশ পাওয়ার খবর পাই। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলেকে ধানক্ষেতে নিয়ে গলায় ছুরিকাঘাত ও বাঁ হাতের রগ কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা এ কাজ করেছে, তাদের বিচার চাই। পাঁচবিবি থানার ওসি মো. জাহিদুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।
০৭ অক্টোবর, ২০২৩

ধানক্ষেতে কলেজছাত্রের হাতের রগ কাটা মরদেহ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবির বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের ধানক্ষেত থেকে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত কলেজছাত্র সৌরভ হোসেন (১৮) পাঁচবিবি উপজেলার বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম খাজার ছেলে। তিনি সড়াইল আদর্শ বিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদপুর গ্রামের মিঠু মিয়া বলেন, ‘সকালে বাড়ির পাশে ফসলের মাঠে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় লাশটি দেখতে পাই। তখন পাড়ার ভেতরে এসে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে যান। পরে কাছে গিয়ে দেখতে পাই এটি সৌরভের লাশ। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য মিনহাজুল ইসলামকে জানাই।’ নিহতের মা সামছুন্নাহার বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে খাবার খেয়ে আমরা ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ছেলে তখন অন্য ঘরে মোবাইল ফোনে গেম খেলছিল। এর কিছুক্ষণ পরে রাত ১০টার দিকে ছেলের ঘরে গিয়ে দেখি সে নেই। ছেলের মোবাইল ফোন কলে কল দিলেও সে রিসিভ করেনি। তখন আশপাশের পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে রাত ২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে আমার ছেলের লাশ পাই। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলেকে ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে গলায় ছুরিকাঘাত ও বাম হাতের রগ কেটে দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমি বিচার চাই।’ পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।’
০৬ অক্টোবর, ২০২৩
X