হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা নিহত
লেবাননের ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় ইতাই গালিয়া নামে ইসরায়েলের এক সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তিনি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি ইউনিটের ডেপুটি কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। তিনি গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনেও অংশ নিয়েছিলেন। সম্প্রতি তাকে লেবানন সীমান্তে পাঠানো হয়। সেখানেই হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় প্রাণ হারান তিনি। ৩৮ বছর বয়সী এই কর্মকর্তা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ৬৭৯ তম আর্মার্ড ব্রিগেডের ৮৬৭৯তম ইউনিটের ডেপুটি কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর ব্যাপক হামলার সময় ইসরায়েল-অধিভুক্ত গোলান মালভূমিতে একটি রকেট আঘাত হানলে তিনি নিহত হন।
১৪ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলে দুই শতাধিক রকেট হামলা লেবাননের যোদ্ধাদের
ইসরায়েলে দুই শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। নিজেদের এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যার জবাবে এ হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি। বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে নিশানা করে এ হামলা চালানো হয়।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  জানা গেছে, বুধবার লেবাননের টাইরে শহরে হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় হিজবুল্লার জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ নাসের নিহত হন। এর আগে গত জুনে ইসরায়েলি হামলায় আরেক সিনিয়র কমান্ডার নিহত হন। এ ঘটনার পর ওই সময়ে গত ৯ মাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ড্রোন ও রকেট হামলা চালায় হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।  حرائق كبيرة تلتهم أراضي بالجولان المحتل إثر صواريخ ومسيرات أطلقها حزب الله من جنوب #لبنان#حرب_غزة #فيديو pic.twitter.com/H3czaBKIqC — الجزيرة فلسطين (@AJA_Palestine) July 4, 2024 এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার জবাবে তারা দেশটিতে ২০০-এর বেশি বিভিন্ন ধরনের রকেট হামলা চালিয়েছে। গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলের ৫টি ঘাঁটিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।  হিজবুল্লাহ আরও জানিয়েছে, জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে তারা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর  ৮টি অবস্থানকে লক্ষ্য করে তারা বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন হামলা চালিয়েছে। গোলান মালভূমিসহ সীমান্তবর্তী এলাকার ইসরায়েলি ঘাঁটিতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃস্পতিবার লেবাননের সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি ভূখণ্ড ও গোলান মালভূমি এলাকায় রকেট এবং বিমান হামলার সাইরেন বেজেছে। সেখানকার বিভিন্ন এলাকায় ৯০ মিনিটির মধ্যে অন্তত ১৭ বার সাইরেন বাজতে শোনা গেছে।   #BREAKING Several fires erupted in northern Israel after one of the heaviest attacks by Hezbollah while Israeli aircraft attacks in Southern Lebanon pic.twitter.com/2eJMsU7TDA — Guy Elster (@guyelster) July 4, 2024 গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে দিনের পর দিন ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যকার পরিস্থিতি ২০০৬ সালের ইসরায়েল হিজবুল্লাহ যুদ্ধের চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এমনকি বিভিন্ন দেশ পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।  বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত ৯ মাসে দুই দেশের মধ্যকার হামলা পাল্টা হামলায় হিজবুল্লাহর ৩০০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ সময় প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ৮৭ জন বেসামরিক লোক। অন্যদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের ১৮ সেনা ও ১০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। 
০৪ জুলাই, ২০২৪

ইসরায়েলে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রকেট হামলা
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল লক্ষ্যে অন্তত ২০টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এসব রকেটের কয়েকটি ঠেকিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তবে কিছু রকেট ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।  ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গত সাত মাসের মধ্যে গাজা থেকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চালানো সব থেকে বড় হামলা এটি।  ইসরায়েল সেনাবাহিনী বলছে, গাজা উপত্যকার খান ইউনিস থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় অন্তত ২০টি প্রজেক্টাইল রকেট ব্যবহার করেছে ফিলিস্তিনিরা। তবে এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা জানায়নি ইসরায়েল।   সোমবারের এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদ হামাস। হামাসের আল কুদস ব্রিগেড এক বিবৃতিতে বলেছে, ইহুদিবাদি শত্রুর অপরাধের জবাবে তারা দক্ষিণ ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ করেছে।    এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজা শহরের শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের। লড়াইয়ের চতুর্থ দিনেও এ এলাকায় বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি বিমান। এ ছাড়া গাজার মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা এলাকাতেও হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। আল আরাবিয়া নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উপত্যকার সর্বত্র লড়াইয়ের কথা স্বীকার করেছেন। নেতানিয়াহু বলেছেন, তার বাহিনী কঠিন লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা সুড়ঙ্গের ওপরে ও নিচে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বিধ্বস্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ বলেছে, গত বৃহস্পতিবার শুজাইয়ায় যুদ্ধ শুরুর পর ৬০ থেকে ৮০ হাজার লোক এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি বিষয়ে আলোচনায় তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানা গেছে। হামাস শনিবার বলেছে, মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা যে সংশোধিত নতুন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে তাতে নতুন কিছু নেই। হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে পুরোপুরি ইসরায়েলি সৈন্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু ইসরায়েল হামাসের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করছে। নেতানিয়াহু রোববার বলেছেন, আমাদের জিম্মি মুক্তির পথে একমাত্র বাধা হামাস।
০১ জুলাই, ২০২৪

ইসরায়েলের ৯টি সামরিক লক্ষ্যে হিজবুল্লাহর রকেট ও ড্রোন হামলা
ইসরায়েলের নয়টি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। গতকাল শুক্রবারের এ ঘটনায় লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো উত্তেজনা বিরাজ করছে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় তাদের এক জ্যেষ্ঠ ফিল্ড কমান্ডার হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়। গত অক্টোবরে ইসরায়েল গাজা যুদ্ধ শুরু করার পর এটিই হিজবুল্লাহর সবচেয়ে বড় হামলা। এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, তারা ইসরায়েলের নয়টি সামরিক ঘাঁটিতে কাতিউশা ও ফালাক রকেট নিক্ষেপ করেছে। এসব লক্ষ্যে শতাধিক রকেট ছোড়া হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের নর্দার্ন কমান্ডের সদর দপ্তর, একটি গোয়েন্দা সদর দপ্তর এবং একটি সামরিক ব্যারাকে ড্রোন হামলা চালানো হয়।
১৫ জুন, ২০২৪

ইসরায়েলে দেড় শতাধিক রকেট হামলা
ইসরায়েলে মুহুর্মুহু হামলা চালিয়েছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি হামলায় দলটির সিনিয়র ফিল্ড কমান্ডার নিহতের প্রতিবাদে এ হামলা চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে দেড় শতাধিক রকেট হামলা করেছে হিজবুল্লাহ। সিরিয়ার অধিকৃত গোলান মালভূমি ও আপার গ্যালিলিও এলাকায় এ হামলা করা হয়েছে।  বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের শহরে বিমান হামলার সাইরেন বেজেছে। বিকালের দিকে লেবানন থেকে প্রায় ৪০টি বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কানের প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, লেবাননের সীমান্ত থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে সাফেদসহ বিভিন্ন শহরে অসংখ্য রকেট প্রতিহত করা হয়েছে।  ইসরায়েলের জাতীয় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের শার্পনেলের আঘাতে দুজন হয়েছেন। লেবানন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র খোলা মাঠে পড়েছে। এতে বেশ কয়েকটি এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।  এর আগে গতকাল ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একই দিনে ১৭০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। সকাল থেকে দফায় দফায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।  ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গত ৮ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে এটি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর চালানো অন্যতম বড় রকেট হামলা। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, লেবানিজ গোষ্ঠীটির এবারের হামলায় লক্ষ্য করা হয়েছে তাইবেরিয়াসকে। চলমান যুদ্ধে এর আগে এই অঞ্চলে কোনো রকেট ছোড়েনি হিজবুল্লাহ। রকেট হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। এর আগে গতকাল রাতে লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে দখলদার ইসরায়েল হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যা করে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই হামলার প্রতিবাদেই একসঙ্গে এত রকেট ছোড়া হয়েছে। হিজবুল্লাহর রকেট হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তারা জানিয়েছে, লেবানন থেকে অন্তত ৯০টি রকেট উত্তর ইসরায়েল প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে কিছু রকেট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে ধ্বংস করা হয়েছে। আর কিছু রকেট কয়েক জায়গায় আঘাত হেনেছে।
১৩ জুন, ২০২৪

আবারও ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের রকেট হামলা
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে তিন সেনা নিহতের দুই দিনের ব্যবধানে আবারও একই ধরনের রকেট হামলা হয়েছে। তবে এবার কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর (আইডিএফ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৭ মে) গভীর রাতে রাফা এলাকা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলের কারাম সালেম ক্রসিং ও রেইমের বসতি লক্ষ্য করে প্রায় ১৮টি রকেট ছোঁড়া হয়। এ সময় সাইরেন বেজে উঠলে ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে উঠে। আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা হলো। হামলাকারীরা সেনা ফাঁড়ি ও ত্রাণবাহী যানের অবস্থান লক্ষ্য করে রকেট ছুড়ছে। এতে ক্রসিংয়ের কার্যক্রম বন্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এ ধরনের রকেট নিক্ষেপ গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। (আইডিএফ) বলছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য কারাম সালেম ক্রসিং পুনরায় চালু করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ চলছে। এর আগে রোববার (৫ মে) হঠাৎ গাজার সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের কারাম আবু সালেমে একটি ফাঁড়িতে মুহুর্মুহু রকেট হামলা হয়। এতে ইসরায়েলি তিন সেনা নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। হামাস এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ নিয়ে চলমান গাজা যুদ্ধে ২৬৬ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হলেন। আনাদুলু এজেন্সি জানায়, এসব হামলার সঙ্গে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড জড়িত। তারা দক্ষিণ ইসরায়েলের জনবসতির দিকে অন্তত ৩০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে। এতে অনেক স্থানে আগুন লেগে যায়। ইসরায়েল দাবি করে আসছে, রাফায় শরনার্থীদের আড়ালে হামাস ঘাঁটি গেড়েছে। এ অভিযোগে সেখানে প্রাথমিক স্থল অভিযান শুরু করে তারা। মঙ্গলবার (৭ মে) গাজার ‘লাইফলাইন’ খ্যাত রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখলের পর সেখানে আর্টিলারিসহ বিপুল ইসরায়েলি সেনা অবস্থান নিয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের অভিযানের উদ্দেশ্যে সেনাবহরটি জনবসতির দিকে এগোনোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের ফাঁড়িতে হামাস হঠাৎ হামলা শুরু করেছে। এতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রাফায় হামলার যুক্তি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে।
০৮ মে, ২০২৪

ইসরায়েলি ঘাঁটিতে কয়েক ডজন রকেট নিক্ষেপ
ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা লেবাননের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ‘বেশ কয়েকটি কাতিউশা রকেট’ হামলা চালিয়েছে। লেবাননে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সোমবার গোলান মালভূমির ইসরায়েলি ওই ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। খবর এএফপির।  এর আগে, লেবাননের সরকারি মিডিয়া জানায়, দেশটির পূর্বাঞ্চলে সোমবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় তিন বেসামরিক লোক আহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তাদের নিক্ষিপ্ত রকেটগুলো হিজবুল্লাহর একটি ‘সামরিক কম্পাউন্ডে’ আঘাত হেনেছে।  এদিকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েলের নাফাহ ঘাঁটিতে গোলান বিভাগের সদর দপ্তর লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে। গ্রুপটি এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি লেবাননের বেকা অঞ্চলকে লক্ষ্য করে শত্রুর হামলার জবাব।  গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে স্বাধীনতাকামী হামাসের হামলার প্রেক্ষিতে গাজা উপত্যকায় উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহ’র মধ্যে আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় অব্যাহত রয়েছে।  সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হামাস-মিত্র হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে আর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবানন ভূখণ্ডের গভীরে হামলা চালিয়েছে। লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শত্রুর (ইসরায়েলি) যুদ্ধবিমানগুলো আজ মধ্যরাতের দিকে সিফ্রির একটি কারখানায় হামলা চালালে তিন বেসামরিক লোক আহত ও ভবনটি ধ্বংস হয়।  
০৬ মে, ২০২৪

ইসরায়েলে রকেট হামলা, ৩ সেনা নিহত
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে রকেট হামলায় তিন সেনা নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। হামাস এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ নিয়ে চলমান গাজা যুদ্ধে ২৬৬ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হলেন। দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (৫ মে) হঠাৎ গাজার সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের কারাম আবু সালেমে একটি ফাঁড়িতে মুহুর্মুহু রকেট হামলা হয়।  ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) বলছে, রাফা থেকে এ হামলা হয়েছে। এর পরই কারাম আবু সালেম সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণসহায়তা বন্ধ করে দেয় তারা। আইডিএফ নিহত তিন সেনার ছবিসহ পরিচয় প্রকাশ করেছে। তারা হলেন, জিভাতি ব্রিগেডের রুবেন মার্ক মোর্দোশাই অ্যাসুলিন (১৯), আইদো তেস্তা (১৯) এবং নাহাল ব্রিগেডের তাল শাভিত (২১)। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে ৯৩১তম ব্যাটালিয়নের দুজন ও সেকেদ ব্যাটালিয়নের একজনের অবস্থা গুরুতর। ইসরায়েলের দাবি, রাফা থেকে ১০টির বেশি রকেট ইসরায়েলে আঘাত হানে। বেশির ভাগ রকেট সীমান্ত ক্রসিংয়ের আশপাশে বিস্ফোরিত হয়। সেখানে সেনারা জড়ো হয়ে অবস্থান করছিলেন। যখন এ হামলা হয় তখন শত শত ট্রাক গাজায় ত্রাণসহায়তা নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় ছিল। হামলার পর ত্রাণসরবরাহ কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রয়েছে। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এতে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদিকে গাজায় ত্রাণসহায়তার কাজে মোতায়েন বিদেশি সেনাদের ওপরও হামলার হুমকি এসেছে। পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) এক বিবৃতিতে জানায়, গাজা উপত্যকার ভূমি অথবা উপকূলজুড়ে ব্রিটেন কিংবা যে কোনো দেশকে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে সতর্ক করা হচ্ছে। জানা গেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য উপকূলে ৩২০ মিলিয়ন ডলারের ভাসমান বন্দর নির্মাণ করছে মার্কিন সেনাবাহিনী। এ ছাড়া সেখানে ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তায় ব্রিটিশ সেনাও মোতায়েন হতে পারে।  আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, অস্থায়ী ওই বন্দর নির্মাণের পর সেখানে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য মোতায়েন করা হবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মার্কিন সেনাসদস্য। এর সঙ্গে যোগ দেবে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। এমন অবস্থায় এসব সেনারা যদি গাজার মাটিতে পা রাখে তাহলে তাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার হুমকি দিয়েছে গাজার যোদ্ধারা।
০৬ মে, ২০২৪

এবার সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে রকেট হামলা
মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের খবরদারি আর দেখতে চায় না ইরান। তাই তো ইরাক-সিরিয়ায় একের পর এক মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে নাস্তানাবুদ করছে যুক্তরাষ্ট্রকে। এবার সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইরাক থেকে এই হামলা কারা চালিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোই এই হামলা করেছে। সব শেষ গেল ফেব্রুয়ারিতে ইরানে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল। এরপর বেশকিছু দিন বন্ধ ছিল মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা। কিন্তু ইসরায়েলের সাথে ইরানের উত্তেজনার মধ্যে নতুন করে সিরিয়ার মার্কিন ঘাঁটিতে চালানো হয়েছে ড্রোন হামলা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, ইরাকের জুম্মার শহর থেকে পাঁচটি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ শিয়া এলা সুদানি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করে দেশে ফেরার পরই এ হামলার ঘটনা ঘটে। বলা হচ্ছে, ইরাকে মার্কিন সামরিক জোটের কার্যক্রম শেষ করার আলোচনা ধীরগতিতে আগানোর ফলে ইরাকের সশস্ত্র বাহিনী তিন মাস হামলার বন্ধ রাখার পর পুনরায় হামলা শুরু করেছে। কিন্তু কারা এই হামলা চালাল সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে তা স্বীকার করেনি তেহরান। নাম না প্রকাশের শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরাক থেকে সিরিয়ার রুমালিয়ানে একটি জোট ঘাঁটিতে পাঁচটির বেশি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে এতে কোনো মার্কিনি আহত হয়নি। রকেট হামলা নির্দিষ্ট স্থানে আঘাতে হানার আগেই সেগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েলে হামলা শুরু
ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে ইরান, এমন আশঙ্কার মধ্যেই ইসরায়েল ভূখণ্ডে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫০টিরও বেশি রকেট হামলা করেছে বলে জানায় ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইরান-ইসরায়েলের চরম উত্তেজনার মধ্যে হিজবুল্লাহর এই রকেট হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে হামলার ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলে ইরানের হামলা একটি ‘বাস্তব ও গ্রহণযোগ্য’ হুমকি হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। শুক্রবার সিবিএস নিউজকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, শিগগিরই ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা হতে পারে। ইসরায়েল বলেছে, আত্মরক্ষা ও আক্রমণ উভয় দিক দিয়েই প্রস্তুত রয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি শুক্রবার বলেন, ‘কোন আকারে, কোন মাত্রায় এবং কোন সুযোগ নিয়ে হামলা হতে পারে, তা আমি বলতে পারছি না।’ তবে ইরানের হামলার হুমকি ‘কার্যকর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ‘খুব নিবিড়ভাবে বিষয়টি দেখছে।’ মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, হামলায় রাইসি প্রশাসন ১০০টি ড্রোনে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। তা ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে বলেও জানান মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে শেষ মুহূর্তে ইরান হামলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে বলেও ধারণা তাদের। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর ইরানের নেতারা। তবে ইরান যেন ইসরায়েলে হামলা না করে এ জন্য বারবার সতর্ক করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রসঙ্গত, ইরানের মদদে মধ্যপ্রাচ্যে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি এবং গাজার হামাস নিজেদের তৎপরতা চালায়। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, ইরান এই তিন গোষ্ঠীর মাধ্যমে নিজেদের প্রয়োজনীয় প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে আসছে।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪
X