বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মার্কিন প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের যৌথ মহড়া শুরু
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের যৌথ অংশগ্রহণে ‘এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং’ (টিএল) শুরু হয়েছে। সোমবার রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিংয়ে (বিপসট) এ অনুশীলন উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমান। আগামী ২ মে পর্যন্ত এ যৌথ মহড়া চলবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের পক্ষ থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জসুয়া লং। স্বাগত বক্তব্য দেন বিপসটের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল নাসিম পারভেজ। আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শান্তিরক্ষা মিশন এলাকায় উদ্ভূত প্রতিকূল পরিবেশ ও আকস্মিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে অংশগ্রহণকারীদের দক্ষ করে তোলার উদ্দেশ্যে এ অনুশীলনের আয়োজন করা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

জাপান সাগরে রাশিয়া ও চীনের যৌথ মহড়া
কৌশলগত জলপথের নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে জাপান সাগরে রাশিয়ার নৌ ও বিমানবাহিনীর আকাশ ও সমুদ্র মহড়ায় অংশ নিচ্ছে চীনা নৌবাহিনীর একটি জাহাজের বহর। রোববার জাপান সাগরে চীনা সামরিক বাহিনীর জাহাজের মহড়ায় অংশ নেওয়ার এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর সিএনএনের। জাপান সাগরে নর্দান ইন্টারঅ্যাকশন-২০২৩ নামের এই মহড়া শুরু করেছে মস্কো। মহড়ার মাধ্যমে চীন-রাশিয়ার সামরিক সহযোগিতা যে আরও জোরদার হচ্ছে, সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে দেওয়া বিবৃতিতে রোববার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, পাঁচটি রণতরী ও চারটি হেলিকপ্টারবাহী জাহাজের সমন্বয়ে চীনের সামরিক বাহিনীর জাহাজের বহর পূর্বাঞ্চলীয় কিংডাও বন্দর ত্যাগ করেছে। জাহাজের এই বহর জাপান সাগরের ‘পূর্ব নির্ধারিত এলাকায়’ রুশ বাহিনীর সঙ্গে মিলিত হবে। এর আগে, শনিবার দেশটির এই মন্ত্রণালয় বলেছিল, জাপান সাগরে অনুষ্ঠিতব্য মহড়ায় রাশিয়ার নৌ ও বিমানবাহিনী অংশ নেবে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দুই রণতরী গ্রোমকি ও সোভারশেন্নি জাপান সাগরের ওই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে সাংহাইয়ে চীনা নৌবাহিনীর সঙ্গে সাগরে পারস্পরিক যোগাযোগ, বিপর্যকর মুহূর্তে উদ্ধারসহ বিভিন্ন বিষয়ে পৃথক প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। সাংহাইয়ের বন্দরে নোঙর করার আগে ওই রণতরী দুটি তাইওয়ান এবং জাপানের পাশ দিয়ে যাত্রা করে। পরে তাইপে ও টোকিও রাশিয়ার রণতরীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর কয়েক দিন আগে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বেইজিং-মস্কোর ‘সীমাহীন’ অংশীদারত্ব ঘোষণা করেছিলেন। ওই সময় তারা বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে তারা এই অংশীদারত্ব ঘোষণা করছেন। দুই দেশের অংশীদারত্বের অন্যতম একটি খাত পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লি শংফু চলতি মাসে বেইজিংয়ে রাশিয়ার নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিকোলাই ইয়েভমেনভের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উভয়পক্ষই নিজেদের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
১৭ জুলাই, ২০২৩
X