স্ত্রী সাথে অভিমান, শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরে যুবকের আত্মহত্যা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পারিবারিক কলহের জেরে শাকিল খান (২৫) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের পশ্চিম লালানগর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে। গত শনিবার (২৯ জুন) সে বিষপান করলে তিন দিন পর সোমবার রাত ৩ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য দিদারুল আলম সিদ্দিকী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের পশ্চিম লালানগর গ্রামের শাকিল খানের সাথে একই গ্রামের আনিকার সাথে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। তাদের ঘরে দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। স্থানীয়ভাবে তাদের পারিবারিক কলহ সমাধানের চেষ্টা করলেও কিন্তু বারে বারে ব্যর্থ হয় স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে শাকিব খানের স্ত্রী আনিকা তার বাপের বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু স্বামী শাকিল খান অনেক চেষ্টা করলেও তাকে তার বাপের বাড়ি থেকে আনতে পারেননি। এই অভিমানে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরার পথে শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজার থেকে ঘাস নিধনের একটি বিষ বাজার থেকে কিনে সবার চক্ষুর আড়ালে সে পান করে। বিষ পানের প্রায় এক ঘন্টা পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ৩ টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন।  সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।  
০২ জুলাই, ২০২৪

মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় যুবকের আত্মহত্যা
মাদারীপুরের শিবচরে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (২৪ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে শিবচর থানা পুলিশ। আত্মহত্যা করা ওই যুবকের নাম রুহান মোল্লা (২২)। সে উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের সাড়ে বিশ রশি গ্রামের আলতাফ মোল্লার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুহান মূলত কোনো কাজকর্ম করত না। এলাকায় ঘুরে বেড়ানো আর আড্ডা দেওয়া ছিল তার কাজ। সকালে নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে রুহান। এরপর দুপুরে হঠাৎ রুহানকে ঘরের একটি লোহার দণ্ডের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন রুহানের বাবা। পরে তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে রুহানের লাশ নামিয়ে রেখে পুলিশে খবর দেন। রুহানের বাবা আলতাফ মোল্লা কালবেলাকে বলেন, আমার পাঁচ সন্তানের মধ্যে রুহান সবার ছোট। আমরা গরিব পরিবার। বেশ কিছুদিন যাবৎ ও আমাকে বলত- আব্বা একটা ছোট মোটরসাইকেল কিনে দাও। কিন্তু আমার তো সে সামর্থ নাই। আমি বলেছি, হাতে টাকা হলে কিনে দেব। আজ হঠাৎ কী কারণে ও এমন কাজ করে আমাকে কষ্ট দিয়ে নিজে মরে গেল তা আমার জানা নাই। স্থানীয় সামাদ নামে একজন জানান, আজ সকালে ও নিজের মোবাইল নিজেই ভেঙে ফেলেছে। বাড়িতে কয়দিন যাবৎ মোটরসাইকেলের জন্য চাপাচাপি করছে। কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে এমনটা করেছে কিনা সেটাও এখন বলতে পারছি না। তবে মোটরসাইকেলের জন্য চাপাচাপি করেছে। এ ব্যাপারে শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর আইনানুগভাবে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে।
২৪ জুন, ২০২৪

ঋণ শোধ করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ঋণ শোধ করতে না পেরে ফয়সাল শেখ নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের গুঘালিয়া হাটবাড়ি গ্রামের তার নির্মাণাধীন ছাদ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফয়সাল শেখ ফুকরা ইউনিয়নের গুঘালিয়া হাটবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। ফয়সালের স্ত্রী জানান, আমার স্বামী কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে কিস্তি দিতে পারেনি বলে এ সপ্তাহে দেওয়ার কথা ছিল। টাকাটা জোগাড় করতে পারেনি বলে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে আমাদের কাউকে কিছু বুঝতে দেননি। আমার স্বামী ভ্যানযোগে ভাঙারি জিনিসপত্র কেনাবেচা করতেন। ঋণ করার মতো হাতে তেমন কোনো টাকা ছিল না। কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মামুন কালবেলাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ফয়সাল এনজিও থেকে নেওয়া টাকা পরিশোধ করতে না পেরে এবং বেকার থাকায় সংসারের জোগান দেওয়ার চাপে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। মিলটন খান 
১১ জুন, ২০২৪

‘পৃথিবী থেকে বিদায়, ভালো থাকো সবাই’ পোস্ট দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
নওগাঁর সাপাহারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পৃথিবী থেকে বিদায়, ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ স্ট্যাটাস দিয়ে তৌফিক রানা নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১৯ মে) ভোরে সাপাহার টি অ্যান্ড টি পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তৌফিক রানা টি অ্যান্ড টি পাড়া এলাকার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাপাহার টি অ্যান্ড টি পাড়ার মোস্তফা হোসেনের ছেলে তৌফিক রানা শনিবার (১৮ মে) রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পৃথিবী থেকে বিদায়, ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ একটি পোস্ট করে। এ ছাড়া তার বন্ধুদের এ মেসেজ পাঠায়। এর মধ্যে রাতের কোনো একসময় ঘরের গলায় ওড়না বেঁধে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহতের বাবা মোস্তফা হোসেন কালবেলাকে বলেন, রোববার ভোর ৫টার দিকে তৌফিকের মা ঘুম থেকে উঠে দেখে ছেলের ঘরের দরজা খোলা। ঘরের দিকে এগিয়ে গেলে ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং পুলিশে খবর দেই আমরা। তিনি বলেন, আমার দুই ছেলে এক মেয়ে। তার মধ্যে তৌফিক সবার ছোট। প্রায় ৮ মাস আগে শিবগঞ্জ থানা এলাকায় ছেলেকে বিয়ে করিয়েছি। ছেলের নতুন বউ ১ মাস সংসার করার পর আর করবে না বলে বাবার বাড়ি চলে যায়। এ নিয়ে আমার ছেলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। সাপাহার থানার ওসি পলাশ চন্দ্র দেব কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
১৯ মে, ২০২৪

কীটনাশক পানে যুবকের আত্মহত্যা
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ইয়াসিন মিয়া (২৬) নামে এক যুবক কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে পৌরসভার নয়ানগরে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহননকারী ইয়াসিন মিয়া নোয়ানগরের যুগল মিয়ার ছেলে।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নিজের সাত মাস বয়সী ছেলের জন্য কলা ও অন্যান্য বাজার কিনে বাড়ি ফিরে ইয়াসিন। এর কিছুক্ষণ পর নিজের ঘরে প্রবেশ করে বমি করতে থাকেন তিনি। পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হয়। পরে চিকিৎসক তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে ইয়াসিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়।  স্থানীয় কাউন্সিলর নেকদার আলী মিয়া জানান, কীটনাশক পানে ইয়াসিন মিয়ার আত্মহত্যার বিষয়টি সকালে জানতে পেরেছি।  আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কোনো কারণ জানা যায়নি। লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   
১৭ মে, ২০২৪

স্ত্রীর পঞ্চম বিয়ে, শোকে যুবকের আত্মহত্যা
স্ত্রীকে আকড়ে ধরে রাখতে কত চেষ্টায় না করে মানুষ। তাকে পেতে কত ত্যাগ আর কত ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় অনেকে। এবার সামনে এসেছে ঠিক তেমনি একটি ঘটনা। স্ত্রী বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন পঞ্চমবার। এজন্য নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন এক যুবক।  রোববার (১৪ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, স্ত্রীর সাথে বিরোধের পর গায়ে আগুন দিয়েছেন এক যুবক। সপ্তাহখানেক আগে পঞ্চমবারের মতো স্ত্রী বিয়ের পিঁড়িতে বসায় তিনি গায়ে আগুন দেন। পরে শনিবার তার মৃত্যু হয়েছে।  পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই যুবক চতুর্থ স্বামী ছিলেন। তবে তার আত্মহত্যার পেছনে বিয়ে না কি অন্য কারণ ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  পুলিশ ইনসপেক্টর শীলেন্দ্র সিং জানান, নিহত যুবকের নাম সুনীল লোহানি। ২০১৮ সালে তিনি এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তবে গত বছর থেকে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে তিনি তার বাবা মায়ের সাথে থাকতে শুরু করেন। যৌতুক নেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ রয়েছে।  পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সুনীল নিজের স্ত্রীর পঞ্চম বিয়ের খবর জানতে পারেন। এরপর স্ত্রীর সাথে তার তুমুল অশান্তি শুরু হয়। অতপর তিনি নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।  সুনীলের বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছেম নিজের স্ত্রীর পঞ্চম বিয়ের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। 
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার বাড়িতে যুবকের আত্মহত্যা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার বাড়ি গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন দুলু মিয়া নামের এক প্রেমিক। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে বিয়ের দাবিতে উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের উত্তর ধুবনী এলাকার হাজীর মোড় গ্রামে প্রেমিকার বাড়িতে যা দুলু মিয়া। বিষপানের পর তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  প্রেমিক দুলু মিয়া উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের উত্তর ধুবনী এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে। জানা গেছে, ওই এলাকার প্রতিবেশী এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রেমিক দুলু মিয়ার। তারা বিয়ে করতে চাইলে দুই পরিবারের কেউই রাজি হয়নি। শুক্রবার রাতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক দুলু মিয়া প্রেমিকার বাড়িতে যায়। তবে বাড়িতে প্রেমিকা দেখা না পেয়ে সেখানে বিষপান করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে প্রেমিক দুলু মিয়া। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মৃত্যু হয়।  এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

জামালপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা
জামালপুরের বকশীগঞ্জের বগারচর ইউনিয়নে বগারচর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিজ ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জামালপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফুল মারা যায়। একই দিন দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরধরে সে বিষপান করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান মাসুম প্রামানিক। জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বগারচর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (২৮) বিষপানের পূর্বে তার নিজ ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেয় ‘শূন্যহাতে এসেছিলাম, শূন্যহাতে চলে গেলাম। পারলে সবাই দোয়া কইরো এই পাপির জন্য।’ ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার পর বিষপান করে আশরাফুল। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফুল ইসলাম মারা যায়। এ ব্যাপারে বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান মাসুম প্রামানিক জানান, আশরাফুল ইসলাম বগারচর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। সে বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। পারিবারিক কলহের জেরে অভিমান করে সে বিষপান করে। বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, আশরাফুল ইসলাম জামালপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বিষয়টির তদন্ত চলমান। আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৩

ঋণের বোঝা সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা
ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় জামির হোসেন নামের ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশাচালক কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষ পানের পর রাত ৯টায় তিনি মারা যান। সে উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের ছাতিয়ানি এলাকার বাসিন্দা। ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। থানা পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় লোকজন সূত্র জানায়, জামির হোসেন (৩৪) একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। এ ছাড়াও তিনি স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কে টাকা ধার নিয়েছিলেন। স্থানীয় লোকজন ও এনজিও কর্মীরা ওই ঋণের টাকা আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে জামির হোসেন দিশাহারা হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ঋণের বোঝা সইতে না পেরে রোববার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টায় সবার অজান্তে জামির তার নিজ বাড়িতে জমিতে দেওয়ার কীটনাশক (বিষ) পান করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। কুমেকে নেওয়ার পথে পার্শ্ববর্তী বুড়িচং উপজেলা সদর বাজারে পৌঁছার পর জামির হোসেন মারা যান। সেখান থেকে স্বজনরা জামিরের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানাপুলিশ ওই রাতেই নিহতের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের বড় ভাই মো. জাকির হোসেন জানান, ‘দুটি এনজিও থেকে জামির হোসেনের ঋণ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন লোকজন তার কাছে বিভিন্ন অঙ্কে ধারের টাকা পেত। তার ঋণের পরিমাণ আনুমানিক চার লাখ টাকার মতো হবে। এসব ঋণের চাপ সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আমার ভাই জামির হোসেন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।’ ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, ‘অটোরিকশাচালক জামির হোসেন বিষ পানে রাত ৯টায় মারা যায়। খবার পেয়ে থানা পুলিশ ওই রাতেই লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে জামিরের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে।’
২৩ অক্টোবর, ২০২৩

সিরাজগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় দুই যুবকের আত্মহত্যা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শনিবার রাতে দাম্পত্য কলহে জেরে বিয়ের এক মাসের মাথায় রবিউল করিম নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পৃথক এক ঘটনায় একই দিন ভোর রাতে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে অভিমানে সবুজ মুন্সী নামের আরেক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তাড়াশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম আত্মহত্যা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আর দুটি ঘটনায় রোববার (১ অক্টোবর) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। জানা গেছে, শনিবার রাতে মাধাইনগর ইউনিয়নের ভিকমপুর গ্রামের সেলিম উদ্দিনের ছেলে রবিউল করিম (১৭) গলা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবক গত আগস্ট মাসে বিয়ে করেন। আর বিয়ের পরই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়। পরে অভিমানে রবিউল আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। অপরদিকে একই দিন ভোর রাতে সগুনা ইউনিয়নের নওখাদা গ্রামের মৃত শফিকুল মুন্সীর ছেলে সবুজ মুন্সীর (২০) সাথে তার স্ত্রীর পারিবারিক কহল বাধে। তারা ওই রাতে ঝগড়া করে ঘুমিয়ে যায়। পরে শেষ রাতের দিকে সবুজ মুন্সী গলায় ফাঁস করে আত্মহত্যা করেন।  তাড়াশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।  
০১ অক্টোবর, ২০২৩
X