বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যা
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে আরমান মিয়া নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।  শনিবার (২২ জুন) গভীর রাতে জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরমান উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরেরগাঁও গ্রামের প্রবাসী সুমন আহমদের ছেলে। আহত রফিক মিয়া একই গ্রামের তৈমুছ আলীর ছেলে। আটক চারজন হলেন- গরেরগাঁও গ্রামের ইয়াজ মিয়া, তার দুই ছেলে তানভীর আহমেদ ও তুহিন আহমেদ এবং প্রতিবেশি তাজ উদ্দিন। জানা গেছে, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে শনিবার গভীর রাতে গরেরগাঁও গ্রামের প্রবাসী সুমন আহমদের ছেলে আরমানকে পাশের বাড়ির তানভীর আহমদ ওরফে নাইফার মুন্না ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তানভীর ও তার সঙ্গে থাকা জাহাঙ্গীর আলম ও ইয়াজ উদ্দিনসহ কয়েকজন মিলে ছুরিকাঘাত করে।  আরমানের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আরমান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত রফিক মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরমানের মা বলেন, আমার ছেলেকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। জুড়ী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা গভীর রাতে খুনের বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে যাই। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসি। আরমানের গলার নিচে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জুড়ী থানার ওসি এসএম মাইন উদ্দিন কালবেলা বলেন, হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক চারজনকে আদালতে সোপর্দ করেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যা
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে আরমান মিয়া নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।  শনিবার (২২ জুন) গভীর রাতে জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরমান উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরেরগাঁও গ্রামের প্রবাসী সুমন আহমদের ছেলে। আহত রফিক মিয়া একই গ্রামের তৈমুছ আলীর ছেলে। আটক চারজন হলেন- গরেরগাঁও গ্রামের ইয়াজ মিয়া, তার দুই ছেলে তানভীর আহমেদ ও তুহিন আহমেদ এবং প্রতিবেশি তাজ উদ্দিন। জানা গেছে, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে শনিবার গভীর রাতে গরেরগাঁও গ্রামের প্রবাসী সুমন আহমদের ছেলে আরমানকে পাশের বাড়ির তানভীর আহমদ ওরফে নাইফার মুন্না ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তানভীর ও তার সঙ্গে থাকা জাহাঙ্গীর আলম ও ইয়াজ উদ্দিনসহ কয়েকজন মিলে ছুরিকাঘাত করে।  আরমানের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আরমান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত রফিক মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরমানের মা বলেন, আমার ছেলেকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। জুড়ী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা গভীর রাতে খুনের বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে যাই। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসি। আরমানের গলার নিচে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জুড়ী থানার ওসি এসএম মাইন উদ্দিন কালবেলা বলেন, হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক চারজনকে আদালতে সোপর্দ করেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
২৩ জুন, ২০২৪

ঈদের রাতে দুই যুবককে হত্যা মোটর শ্রমিক নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪
বগুড়ায় ঈদের রাতে শরীফ ও রুমন নামে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ছাত্রলীগ ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ২৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন নিহত শরীফ শেখের মা হেনা বেগম। এরপর এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু (৬০), ছাত্রলীগ কর্মী আজবিন রিফাত (১৯), নাঈম হোসেন (২৮) ও শেখ সৌরভ (২৬)। এর মধ্যে মিঠুকে র‌্যাব এবং অন্য তিনজনকে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহিনুজ্জামান শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বগুড়া শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়ার দুদু শেখের স্ত্রী হেনা বেগমের দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুকে। এ ছাড়া মিঠুর ভাই বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপুসহ আরও তিন ভাই, বগুড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শাহ মেহেদী হাসান হিমুকেও আসামি করা হয়েছে। নিহত শরীফের বাবা দুদু মিয়া জানান, ঈদের দিন রাতে বাসায় খাবার খাওয়ার পর এক বন্ধুর ফোন পেয়ে রাত ১২টার দিকে বের হয়ে যায় শরীফ। পরে এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনে তারা বাইরে গিয়ে দেখেন অন্তত ২০ জনের একটি দল পালিয়ে যাচ্ছে।
২০ জুন, ২০২৪

বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মাদকসংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মো. হৃদয় নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত মো. হৃদয় যাত্রাপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। ঘাতক রুবেলও একই গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, হৃদয় ও রুবেলের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সকালে হৃদয়কে ডেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় একই গ্রামের রুবেল। এ সময় বাড়ির উঠানে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করে রুবেল। পরে স্থানীয়রা হৃদয়কে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পররে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যায় সে।  নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সকালে আমার ছেলে হৃদয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রুবেল। কিছুক্ষণ পরে আমার মেয়ের জামাইয়ের ফোনে জানতে পারি আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে। পরে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে হৃদয় মারা যায়। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আটক রুবেলের মা লালু বেগম বলেন, বাড়ির উঠানেই হৃদয়ের সঙ্গে রুবেলের হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে রুবেল হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করে। আমার এ ছেলে মাদকাসক্ত, তার অত্যাচারে আমার পরিবারটি ধ্বংস হয়ে গেছে। সে যেন জেল থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে, আমি তার কঠিন শাস্তি দাবি করছি।   আশুগঞ্জ থানার ওসি নাহিদ আহম্মেদ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদকের টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ ছিল। হত্যার সঙ্গে জড়িত রুবেলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।  
১৩ জুন, ২০২৪

মোটরসাইকেলের শব্দ নিয়ে তর্ক, ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
চট্টগ্রামেরা পতেঙ্গায় মোটরসাইকেলের সাইল্যান্সারের বিকট শব্দ নিয়ে তর্কের জেরে মো. মনিরুজ্জামান রাফি নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৯ জুন) ভোরে নগরীর পতেঙ্গা থানার সি-বিচ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মনিরুজ্জামান রাফি বন্দর থানার উত্তর হালিশহর এলাকার বাসিন্দা।   স্থানীয়রা জানান, ভোরে দুপক্ষের কথাকাটাকাটি হলে বিষয়টি সমাধান করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর একপক্ষের কয়েক যুবক বঙ্গবন্ধু টানেলের মুখে অপরপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। পতেঙ্গা থানার ওসি কবিরুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মোটরসাইকেলের সাইল্যান্সারের বিকট শব্দ নিয়ে দুপক্ষের প্রথমে কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে দুপক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। আহত রাফি ও রায়হান নামের দুজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য রাফির লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।
০৯ জুন, ২০২৪

টাকা না দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
সিলেট নগরীর মানিকপীরের টিলায় ছুরিকাঘাতে আবুল হাসান সাবিল নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় শাহীন নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে সিলেট নগরীর মানিকপীর কবরস্থানের ভেতরে টিলার রেলিংয়ের পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত যুবক আবুল হাসান সাবিল জকিগঞ্জ উপজেলার আব্দুল হান্নান শিমুলের পুত্র। তিনি সিলেট মহানগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডে বসবাস করতেন। আটক শাহীন নগরীর কাজিটুলা এলাকার বাসিন্দা। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন  জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে সিলেট নগরের মানিকপীর কবরস্থানের অভ্যন্তরে টিলার রেলিংয়ের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক যুবককে আটক করেছে। আটক শাহিন নিহত সাবিলের সঙ্গে ডেলিভারির কাজ করত। শাহিনের মা তার কাছে বাড়িভাড়া চাইলে সে সাবিলের কাছে টাকা চায়। সাবিল টাকা না দেওয়ায় শাহিন তাকে ছুরিকাঘাত করে। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, শাহীনের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আবুল হাসান সাবিল। যুবকের লাশ মানিকপীর কবরস্থানের অভ্যন্তর থেকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, খুনের ঘটনার পর আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে শাহীন গ্রেপ্তার করেছি।
০৭ জুন, ২০২৪

জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
নাটোরের গুরুদাসপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মনোয়ার হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সাগর ইসলাম বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমি কুমারখালী গ্রামের মোল্লা বাড়ির সামনে মনোয়ারকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মনোয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাজিব হোসেন বলেন, বুকের বামপাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কারণে মারা গেছেন মনোয়ার। এ ছাড়া নিহত মনোয়ারের ছোট ভাই আব্দুল মমিনের মাথায়ও ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। নিহত মনোয়ারের ছোট ভাই আব্দুল মমিন বলেন, জমি নিয়ে প্রতিবেশি আশরাফুলদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ ওই চার শতাংশ জমিতে তাদের ঘরবাড়ি রয়েছে। প্রতিপক্ষরা মামলায় হেরে গিয়ে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। আবার মামলা করে তারা। এ বিষয়ে জানতে গিয়ে আশরাফুলের ছেলে হায়দার অর্তকিতভাবে আমার ভাই মনোয়ারের ওপর হামলা চালান। এ সময় হায়দার আমার ভাই মনোয়ারের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করেন। তারপর সারা শরীরে কুপিয়ে জখম করেন। আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।   নিহতের পিতা আব্দুস সালাম বলেন, যে জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ আশরাফুলদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে, সেটি আমার পৈতৃক সম্পত্তি। জোরপূর্বক দখল করতে না পেরে আমার দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। এতে আমার ছোট ছেলে মমিন বেঁচে গেলেও মারা গেছেন বড় ছেলে মনোয়ার। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই। গুরুদাসপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছেন।
২৪ মে, ২০২৪

থাপ্পড় দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা করল কিশোর গ্যাং
ঢাকার সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছুরিকাঘাতে সাজ্জাদ হোসেন নামে এক রংমিস্ত্রিকে হত্যা করেছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে সাভার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আরাপাড়ার বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত সাজ্জাদ হোসেন সাভারের রায়েরবাজার ছাতা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। তিনি আরাপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন। সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্জামান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। বেপরোয়া কিশোর গ্যাংকে থামাতে পুলিশের চেষ্টা ও আন্তরিকতার অভাব নেই। নিহতের খালু নজরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, সাজ্জাদ হেমায়েতপুরের একটি ফার্নিচারের দোকানে রংমিস্ত্রির কাজ করত। সাজ্জাদের বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পারি, ওই এলাকায় সাজ্জাদ ও তার বন্ধুরা আড্ডা দিচ্ছিল। তিনি বলেন, এ সময় স্বপন গ্যাংয়ের দুই সদস্য রিকশা দিয়ে যাওয়ার সময় সাজ্জাদ ও তার বন্ধুদের পরিচয় জানতে চায়। পরে তাদের সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই কিশোরকে থাপ্পড় মারে সাজ্জাদসহ তার বন্ধুরা। কিছুক্ষণ পরে স্বপনসহ  আরও ৭/৮ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে সাজ্জাদকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। নজরুল ইসলাম আরও বলেন, গুরুতর আহত সাজ্জাদকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

নামাজের জন্য ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যা
নামাজের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, পূর্ববিরোধের জেরে নিহতের বন্ধুরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।   রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম হোসেন আলী (২২)। তিনি কুনিয়া তারগাছ এলাকার নুর নবীর ছেলে।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হোসেন আলী এক সময় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। মাঝে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বেকার ছিলেন। এ অবস্থায় এলাকার বখাটে বলে পরিচিত কিছু যুবকের সঙ্গে তার চলাফেরা ছিল। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। পূর্ববিরোধের জেরে তারই কিছু বখাটে বন্ধু গতকাল রাত ১০ দিকে তার বাড়িতে গিয়ে নামাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে আসেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুনিয়া তারগাছ মৎস্য খামারের পাশে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় হোসেন আলীকে পড়ে থাকতে থেকে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তারা ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে গাছা থানা পুলিশ রাতেই  উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  গাজীপুরের গাছা থানার ওসি মো. শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের গলায়, কানে ও পেটে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার বন্ধুরা পূর্ব-বিরোধের জের ধরে তাকে পরিকল্পিতভাবে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গুলির পর হাত-পা কেটে রোহিঙ্গা যুবককে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এবার ঘরে হামলা চালিয়ে মোহাম্মদ ইয়াছিন নামের এক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে গুলি করে এবং পরে তার হাত-পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয়। রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১৫ নম্বর ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াছিন ওই ক্যাম্পের সি ব্লকের বাসিন্দা। জানা গেছে, ১৫ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) নেতা মৌলভী মঞ্জুরের আধিপত্য থাকার কারণে আরসা ওই ক্যাম্পে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। মঞ্জুরের ওপর ক্ষোভ মেটাতেই ইয়াছিনকে  হত্যা করে ক্ষোভ ঝেড়েছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ঘটনাটি নিশ্চিত করে এপিবিএন-৮ এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর জানান, একদল অস্ত্রধারী হামলা চালিয়ে ওই যুবককে হত্যা করে। তবে কারা হামলা চালিয়েছে সেই বিষয়ে এপিবিএন এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানান। স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, রাত ১০টার দিকে তার বাসার সামনে হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী। এ সময় অস্ত্রধারীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। পরে অস্ত্রধারীরা ধারালো দা দিয়ে প্রথমে তার হাত কেটে নেয়, এরপর হাঁটুর ওপর থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে একটি পা। হাত-পা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর চলে যায় অস্ত্রধারীরা। এই ঘটনায় পুরো ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪
X