ম্যানেজার পদে যমুনা গ্রুপে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির কাস্টমস বন্ড ‘ম্যানেজার/এজিএম’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : যমুনা গ্রুপ পদ ও বিভাগের নাম : ম্যানেজার/এজিএম, কাস্টমস বন্ড আবেদনের বয়সসীমা : কমপক্ষে ৩২ বছর পদসংখ্যা : ০১টি কর্মস্থল : ঢাকা বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ১০ বছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ০১ জুলাই, ২০২৪ কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদনের শেষ তারিখ : ৩১ জুলাই, ২০২৪ শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অন্যান্য যোগ্যতা : গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, গ্রুপ অব কোম্পানি, স্পিনিং, কাস্টমস বন্ডসংক্রান্ত বিষয়ে গভীর জ্ঞান, ভালো যোগাযোগ ও সামাজিক দক্ষতা, পরিকল্পনা ও সাংগঠনিক দক্ষতা, চাপের মধ্যে কাজ করার ক্ষমতা, শক্তিশালী দল গঠন ও নেতৃত্বের দক্ষতা থাকতে হবে। অন্যান্য সুবিধা : যোগ্য প্রার্থীর জন্য প্রতিযোগিতামূলক পারিশ্রমিক প্যাকেজ দেওয়া হবে। কাজের ভালো পরিবেশ ছাড়াও কোম্পানির নীতি অনুযায়ী বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হবে। বি.দ্র. শুধু  সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। যে কোনো প্ররোচনা আবেদনকারীদের আবেদন অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হবে। যেভাবে করবেন আবেদন : আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
০২ জুলাই, ২০২৪

নৌকাই ভরসা যমুনা চরাঞ্চলের মানুষের
বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। সেই সঙ্গে বাড়ছে নৌকার সংখ্যাও। নদীবিধৌত চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের বাহন নৌকা। বর্ষা কিংবা শুষ্ক মৌসুমে চরাঞ্চলে এক গ্রাম হতে অন্য গ্রামে যেতে হয় নৌকায় চড়ে। এ ছাড়া উপজেলা শহরে যেতেও নৌকাই ভরসা এসব চরাঞ্চলবাসীর। তবে শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি না থাকায় ঘোড়ার গাড়ি এমনকি মোটরসাইকেলেও চলাচল করা যায়। জামালপুর ইসলামপুর উপজেলার গুঠাইল ঘাট এলাকায় দেখা গেছে, সারিবদ্ধভাবে নৌকাগুলো নদী পাড়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এসব নৌকায় চরাঞ্চল ছাড়াও সাপধরী, প্রজাপতি, বরুল, সারিয়াকান্দীসহ বিভিন্ন রুটের চলাচল। আবার কিছু নৌকা শুধু নদী পারাাপারের জন্য ব্যবহৃত হয়। যমুনা নদীতে পানি কম থাকায় এবং নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন অংশে চর জেগে উঠেছে। এসব জেগে উঠা চরে আবাদ হচ্ছে নানা ফসল। জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের আগে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র নদীপথ ছিল বাহাদুরাবাদ ঘাট। ঘাটে সে সময় জাহাজসহ বড় বড় কয়লার জাহাজ ভিড়ত। পরে এসব কয়লা গাড়িযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যেত। তখন ঘাটকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল রমরমা। বাহাদুরাবাদ ঘাট নামে পরিচিত যমুনাপাড়ে গড়ে উঠেছিল ভাসমান থাকার হোটেল। নদী পার হওয়ার জন্য আসা লোকজন ঘাটে লঞ্চ না পেলে হোটেলেই একরাত থেকে পরেরদিন গন্তব্যে চলে যেত। সেই সময় নদীতে গভীরতা যেমন ছিল তেমনই স্রোত ছিল নদীতে। সে সময় প্রতি বছর ঘাট ইজারা দিত বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। ঘাটে স্টিমার, শত শত লঞ্চ ও নৌকা থাকত। কিন্তু কালের বিবর্তনে বতর্মানে ঘাটের সেই জৌলস বা লঞ্চ বা স্টিমার নেই। তবে কিছু নৌকা ঘাট থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচল করছে। বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের ফলে যমুনা নদী মৃতপ্রায়। বর্ষা ছাড়া নদী শুকিয়ে ধু ধু বালু চরে পরিণত হয়। এ ছাড়া সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে লঞ্চ ও স্টিমার চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার কারণে বেকার হয়ে যায় ওই এলাকা মানুষজন। দীর্ঘ বছর ধরে নদী সংরক্ষণ ও খননের কাজ না করায় বর্ষা মৌসুমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নতুন নতুন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। এদিকে চরাঞ্চলে বসবাস করা মানুষজনকে এখনো নৌকাযোগে নদী পারাপার হতে হয়। শুধু তাই নয়, চরাঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরাও নৌকায় নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে যান। মন্নিয়াচরের মনির হোসেন বলেন, চরের বসতি যারা, তাদের শুষ্ক বা বর্ষা মৌসুম নেই। নদী পারাপারে সব সময়ই নৌকার প্রয়োজন হয়। তবে বর্ষা মৌসুমে বেশি দরকার। নদীতে পানি না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে তাদের দুর্ভোগ বেশি পোহাতে হয়। নদীতে পানি থাকলে নৌকা নিয়ে অনেকেই বাড়ির কাছে নামতে পারেন। প্রজাপতি এলাকার ওয়াহাব বলেন, উপজেলা শহরে যেতে নৌকার বিকল্প নেই। শুষ্ক মৌসুম তাই অনেক মানুষ হেঁটে নদী পাড়ে এসে আবার নৌকায় চড়ে ঘাটে নামেন। চরের মানুষের কষ্টের শেষ নেই। তবে আগের মতো ঘাটে নৌকা পাওয়া যায় না। নদীর বিভিন্ন জায়গায় চর জেগে উঠায় নৌকা অনেক স্থানে আটকে যায়। কুলকান্দী ঘাট পাড়ের বাসিন্দা ইনছান আলী বলেন, যমুনা নদীর যৌবন এখন আর নেই। নদী শুকিয়ে চৌচির। নৌকাও বেশি চলে না। সেতু চালু হওয়ার পর ঘাটও নেই ঘাটলাও নেই। দুই চারটা করে নৌকা চলে এই ঘাট থেকে। যাত্রীবাহী নৌকার চেয়ে বালুবাহী নৌকার সংখ্যা বেশি নদীতে। আরেক নৌকার মাঝি আকরাম হোসেন বলেন, নৌকা বানাতে যে খরচ হয় সেই টাকা উঠানো যায় না। বেশিরভাগ নৌকা এখন বালু তোলার কাজে ব্যস্ত। এ ছাড়া চরাঞ্চলের দুই ইউনিয়নের মানুষজন নৌকায় চলাচল করে এই ঘাট দিয়ে। উপজেলা শহরের সঙ্গে একমাত্র ঘাট এই গুঠাইলবাসীর। বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মো. আ. মালেক বলেন, আমার ইউনিয়টি  যমুনার মধ্যবর্তী একটি ইউনিয়ন বেলগাছা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা-গ্রাম হবে শহর। সেটা বাস্তবায়নে এখন চরের অনেক রাস্তাই পাকা হয়েছে। তবে নদী-তীরবর্তী বালুময় রাস্তাগুলোতে চলাচল বা পণ্য পরিবহনের জন্য একমাত্র যানবাহন ঘোড়া গাড়ি। বন্যার সময় চরাঞ্চলের বাসীর যোগাযোগ বা চলার জন্য ইঞ্জিনচালিত নৌকা। 
২৬ জুন, ২০২৪

যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বাড়ছেই। ফলে প্লাবিত হচ্ছে যমুনার অভ্যন্তরীণ চরাঞ্চলের ফসলি জমি। গত পাঁচ দিন ধরেই একটানা পানি বাড়ছে যমুনায়। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নদনদীর পানিও বেড়ে চলেছে। পাউবো বলছে, আরও তিনদিন পানি বাড়বে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।  শনিবার (২২ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা: ১২ দশমিক ৯০ মিটার)।  অপরদিকে কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮২ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার)।  যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর ফসলি জমি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি। বন্যা আতংক বিরাজ করছে চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে।  সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আরও তিন দিন যমুনায় পানি বাড়বে। এতে বিপৎসীমা অতিক্রম করে ছোট থেকে মাঝারি বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২২ জুন, ২০২৪

ঈদের পর্যটন / সিরাজগঞ্জের যমুনা পাড়ে ঈদ আনন্দ
বর্ষার শুরুতেই অপরূপা হয়ে উঠেছে যমুনা। ঈদের ছুটির এই ক্ষণিক অবসরে তাই যমুনার পাড়ে ছুটেছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। ঈদুল আজহার বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ ও যমুনাবক্ষে নির্মিত চারটি ক্রসবার বাঁধ হাজার হাজার পর্যটকের কলরবে মুখর হয়ে ওঠে। রাক্ষসী যমুনা পরিণত হয় বিনোদনের প্রাণকেন্দ্রে। ঈদের তৃতীয় দিন বুধবার বিকেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরের ৩নং ক্রসবার বাঁধ এলাকায় আসেন ব্যাংকার শহিদুল ইসলাম। তার মতে, বিনোদনের জন্য যমুনা পাড়ের চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই। সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিয়াদ রহমান বলেন, সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় আগ্রাসী যমুনা এখন অপরূপা। এমনি সময়েই মানুষ এখানে আসে প্রকৃতির টানে। ঈদের ছুটিতে প্রকৃতি উপভোগে এখন যমুনার পাড়ে ভিড় একটু বেশি। স্কুলশিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, প্রত্যেক মানুষের কাজের পাশাপাশি চিত্তবিনোদনের প্রয়োজন। আর এর জন্য সিরাজগঞ্জের চারটি ক্রসবার বাঁধের মতো সুন্দর জায়গা আর হয় না। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বলেন, যমুনার ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ শহরকে রক্ষায় ১৯৯৯ সালে হার্ডপয়েন্ট নির্মাণ করা হয়। তখন থেকেই এটি বিনোদনের স্থানে পরিণত হয়। গত বছর হার্ডপয়েন্টের মাঝামাঝি স্থানে ‘মুজিব দর্শন’ নামে বঙ্গবন্ধুর বই ভাস্কর্য ও উত্তরের অংশে চলতি বছরের মে মাসে ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য। ফলে হার্ডপয়েন্ট এখন পরিপূর্ণ বিনোদনকেন্দ্র। এ ছাড়া নির্মিত চারটি ক্রসবার বাঁধও পর্যটকদের কাছে বাড়িয়ে দিয়েছে যমুনা পাড়ের আবেদন।
২০ জুন, ২০২৪

ভয়ংকর সেই যমুনা পাড়ে মজেছে মানুষ
যমুনা কখনো ভয়ংকর রাক্ষসী রূপে আবির্ভূত হয়ে দুকূলের স্থাপনা ও ভূমি নিজ উদরে পুড়ে নেয়, ভাসিয়ে দেয় গাঁয়ের পর গাঁ, মাঠের পর মাঠ। আবার তার উদরেই জন্ম নেওয়া সবুজ-সোনালি ফসলে ভরে ওঠে কৃষকের গোলা। কখনো স্বচ্ছ পানি, নির্মল বাতাসে যমুনার বুকে দোল খাওয়া কাশফুলে স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে দেয়। উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত সিরাজগঞ্জ জেলা যমুনা নদী দ্বারা বেষ্টিত। যমুনাকে ঘিরে সদরসহ জেলার পাঁচটি উপজেলা অবস্থিত। তাই যমুনার ভয়ংকর ও স্নিগ্ধ দুটি রূপই ভালোভাবেই দেখেছে জেলাবাসী। যুগের পর যুগ যমুনার করাল গ্রাসে গ্রাম ও মাঠ বিলীন হয়েছে। নিঃস্ব হয়েছে মানুষ। এসব কারণে প্রকৃতিকন্যা যমুনাকে আগ্রাসী, সর্বনাশী আবার কখনো রাক্ষসী নাম দেয় সিরাজগঞ্জের মানুষ। সেই ভয়ংকর যমুনাই এখন জেলাবাসীর বিনোদনের অন্যমত তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার বিনোদনপ্রেমীর মেলা বসে এখন যমুনার বুকে নির্মিত চারটি ক্রসবার বাঁধ ও শহর রক্ষা বাঁধে। দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বিকেল হলেই প্রকৃতিকন্যা যমুনার নির্মল বাতাসে গা ভাসিয়ে দিতে উদগ্রীব হয় মানুষ। তাই বিকেল হলেই জমে হাজারো মানুষ। রুপালি যমুনাও তার স্নিগ্ধ সমীরণ ঢেলে ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি প্রাণ জুড়িয়ে দেয় প্রকৃতি প্রেমীদের। বিশেষ করে ঈদের ছুটির পুরো সপ্তাহজুড়েই যমুনাপাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এ ছাড়া সাপ্তাহিক ছুটিসহ যে কোনো সরকারি ছুটির দিনে কয়েক গুণ মানুষ আসে এসব বাঁধ এলাকায়। দফায় দফায় ভাঙনে সিরাজগঞ্জ জেলা শহরটিকে প্রায় গ্রাস করতে বসেছিল যমুনা নদী। শহর রক্ষায় ১৯৯৯ সালে শহরের মতি সাহেবের ঘাট থেকে কাজিপুর নৌকাঘাট পর্যন্ত ২ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাঁধ নির্মাণ করা হয়। শহর রক্ষা এই বাঁধের উত্তরে যমুনার বাঁকে শক্তিশালী হার্ডপয়েন্ট নির্মাণ হয়। বাঁধটি নির্মাণের পরই যমুনার অভিশাপমুক্ত হয় সিরাজগঞ্জ শহর। যমুনার তলদেশে ১০০ থেকে ১২০ মিটার পর্যন্ত সিসি ব্লক দিয়ে গেঁথে তোলা বাঁধের উপরিভাগে নির্মাণ হয় ২০ মিটার প্রশস্ত পাকা সড়ক। বাঁধটি নির্মাণের পর এটি দেখতে সিরাজগঞ্জসহ আশপাশের জেলার বিপুলসংখ্যক মানুষ আসতে থাকে। এভাবেই এটি বিনোদনের তীর্থে পরিণত হয়। পরবর্তী সময়ে এই বাঁধটিকে পরিপূর্ণ বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত করতে বসার আসন, রাস্তার সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়। বাঁধের দক্ষিণে জেলখানা ঘাট এলাকায় নির্মিত হয় শিশুদের বিনোদনের জন্য শহীদ শেখ রাসেল স্মৃতি শিশু পার্ক। এভাবেই প্রকৃতিকন্যা ধ্বংসাত্মক যমুনাকে গড়ে তোলা হয়েছে বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে। এদিকে ২০১৭ সালে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের লক্ষ্যে যমুনার বুকে আড়াআড়ি ভাবে চারটি ক্রসবার নির্মাণ করা হয়। ক্রসবারগুলোর দৈর্ঘ্য এক থেকে প্রায় পৌনে দুই কিলোমিটারের মতো। এসব বাঁধও সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বিনোদনপ্রেমীদের প্রিয় স্থানে পরিণত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, আমরা যমুনার আগ্রাসন দেখেছি। নদীভাঙন, বন্যা দেখেছি। সেসব স্থান এখন বিনোদন কেন্দ্র। হাজার হাজার মানুষ এখানে এসে নির্মল আনন্দ উপভোগ করে। সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ডা. জহুরুল হক রাজা বলেন, জেলাবাসীর সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া যমুনা আজ আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহর রক্ষা বাঁধের পাশাপাশি ক্রসবারগুলোতে প্রতিদিন ভোর থেকেই মানুষের সমাগম হয়। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব বয়সী মানুষরা একটু প্রশান্তি পেতে আর যমুনার অপার সৌন্দর্য উপভোগ করেত ছুটে আসে এসব বাঁধ ও ক্রসবারে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বলেন, যমুনার ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ শহরকে রক্ষায় ১৯৯৯ সালে হার্ডপয়েন্ট নির্মাণ করা হয়। তখন থেকেই এটিকে বিনোদনের স্থান হিসেবে বেছে নেয় সিরাজগঞ্জবাসী। গত বছর হার্ডপয়েন্টের মাঝামাঝি স্থানে ‘মুজিব দর্শন’ নামে বঙ্গবন্ধুর বই ভাস্কর্য ও উত্তরের অংশে চলতি বছরের মে মাসে ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য। ফলে হার্ডপয়েন্ট এখন পরিপূর্ণ বিনোদন কেন্দ্রের পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া চারটি ক্রসবার বাঁধও বিনোদনের তীর্থ পরিণত হয়েছে।
১৬ জুন, ২০২৪

শিমুলতাইড়ে ঘরবাড়ি-স্থাপনা সব গিলে খাচ্ছে যমুনা
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হতে চলেছে শিমুলতাইড় গ্রাম। এরই মধ্যে ভাঙন থেকে রক্ষা করতে শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবনটি নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে আতঙ্কগ্রস্ত এলাকাবাসী প্রাণভয়ে স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে গত শুক্রবার বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ভাঙনকবলিত শিমুলতাইড় গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। শিমুলতাইড় গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কেউ তুলছেন ঘরের খাম্বা, আবার কেউবা পরিবারের সব জিনিসপত্র ঘোড়ার গাড়িতে তুলছেন। আবার গ্রামের বেশ কয়েকজন একত্র হয়ে ঘরের চালাসহ পুরো ঘর ঘাড়ে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন। এই গ্রামটি গত কয়েকবছর ধরেই যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নে শিমুলতাইড় গ্রামের অবস্থান। কয়েক দফা ভাঙনের পর কিঞ্চিৎ অংশ সোনাতলা উপজেলার সীমানার কাছাকাছি অবশিষ্ট ছিল। সেখানে প্রায় ২০০ পরিবার বসতি গড়ে তুলেছিলেন। গ্রামটির শেষ সম্বলটুকুতেও গত বছর থেকে যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এ গ্রামের একমাত্র শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করে। সেখানে ফেলা হয় জিও এবং টিও ব্যাগ। ফলে এ বিদ্যালয়টি নদীভাঙনের হাত থেকে সাময়িক রক্ষা পায়। গত কয়েকদিনের পানি বৃদ্ধিতে এ বিদ্যালয়ের পাশে যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়। এতে বিদ্যালয়ের পাশের প্রায় ৫০ মিটার এলাকা ধসে গেছে। ফলে এ বিদ্যালয়টি যমুনা নদীতে বিলীন হতে যাচ্ছিল। কিন্তু বিদ্যালয়ের পাকা ভবনটি সম্পূর্ণ বিলীন না হয় তার জন্য ১ লাখ ২ হাজার টাকায় বিদ্যালয় ভবন নিলামে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গত সোমবার সকাল থেকেই স্কুলের পাকা ভবনটি ভাঙতে শুরু করে। এদিকে ভাঙন বৃদ্ধি পাওয়ায় ভিটেমাটি ছেড়ে বাড়িঘর নিয়ে স্থানীয় আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা মৃত আনিছুর রহমান শেখের ছেলে আব্দুল মালেক শেখ, মৃত আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী লাইলী খাতুন (৬৫)। ১৫ বছর আগে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে লাইলী খাতুনের স্বামী মারা গেছেন। সাত থেকে আটবার নদীভাঙনের শিকার হয়ে তিনি বসতি গড়ে তুলেছেন এ গ্রামে। এ কুলে তার কেউই নেই। আব্দুল মালেক এবং লাইলির মতো এ গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবার রয়েছেন ভাঙন আতঙ্কে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে গ্রামটিতে থাকা মুজিববর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। লাইলি খাতুন বলেন, এ জীবনে আমার শেষ সম্বল ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছুই নেই। আমার এ শেষ সম্বলটুকু যদি ভেঙে যায় তাহলে বাড়িঘর নিয়ে ভেসে যাওয়া ছাড়া আমার কোনো উপায় থাকবে না। চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বাদশা বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা নদীর শিমুলতাইড় গ্রামে ভাঙন শুরু করেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অতি দ্রুত এখানে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গ্রামটি যমুনায় বিলীন হয়ে যাবে। এদিকে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম শুক্রবার বিকেলে শিমুলতাইড় নদীভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ওই এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ভাঙন পরিস্থিতির কথা শোনেন। পরে তিনি বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ভাঙন প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে কিছু জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়েছিল। সেখানে ভাঙন রোধে বড় কোনো প্রকল্পের প্রয়োজন। এ বিষয়ে একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। একনেকের অনুমোদন পাওয়া গেলে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে।
১৬ জুন, ২০২৪

গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটেছে যমুনা রেফ্রিজারেটরে
লক্ষ্যই হলো ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে কাস্টমারের কাছে সেরা পণ্যটি পৌঁছে দেওয়া। সে লক্ষ্য সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেড ২০১৪ সালে বৃহৎ পরিসরে ইলেকট্রনিকস হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন শুরু করে। আধুনিক যন্ত্রপাতি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ জনবল, উন্নত কাঁচামাল ও প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী উৎকর্ষ সাধনের ফলে যমুনা আজ দেশের এক নম্বর কোয়ালিটি রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড। সব ধরনের ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী যমুনা রেফ্রিজারেটর বিভিন্ন সাইজ, ডিজাইন, ক্যাপাসিটি ও দামে পাওয়া যাচ্ছে। রেগুলার রেফ্রিজারেটর মডেল ছাড়াও আমাদের রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোলজির স্মার্ট ডাবল ডোর, টি ডোর ও ক্রস ডোর রেফ্রিজারেটর, যেগুলো এরই মধ্যে মার্কেটে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে কালবেলা: বাজারে দেশি ব্র্যান্ডের হরেক রকম ফ্রিজ ও রেফ্রিজারেটর রয়েছে। সেখানে ক্রেতা আকৃষ্টে যমুনা ব্র্যান্ডের আলাদা বিশেষত্ব কী? সুযোগ-সুবিধাই কী রয়েছে? সাজ্জাদুল ইসলাম: এটা ঠিক, বাজারে দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের হরেক রকম ফ্রিজ ও রেফ্রিজারেটর রয়েছে। তা সত্ত্বেও ফ্রিজ ও রেফ্রিজারেটরের জগতে ক্রেতার পছন্দের তালিকায় যমুনা ব্র্যান্ড এক অনন্য নাম। এর অন্যতম কারণ হলো, আমাদের ফ্যাক্টরিতে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে ফ্রিজ ও রেফ্রিজারেটর উৎপাদন করা হয়, যা আর কোনো দেশীয় ব্র্যান্ডের কোম্পানির নেই। সে কারণেই আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের ভিড়ে দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে যমুনা ভোক্তাদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ও স্বকীয় স্থান তৈরি করে নিয়েছে। আমরা সংখ্যাতত্ত্বে বিশ্বাসী নই—বরং গুণে ও মানে সেরা হতে চাই। আমাদের রেফ্রিজারেটরগুলোর বিক্রয়োত্তর সার্ভিস প্রায় নেই বললেই চলে (০.০১%)। প্রতি পাঁচ বছরে কম্প্রেসর পরিবর্তনের হার প্রায় ১ শতাংশের নিচে, যা বাজারে প্রচলিত রেফ্রিজারেটরের থেকে অনেক কম। একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেশের অধিকাংশ ক্রেতাই জানেন না, সিলিকন জেল দিয়ে আমাদের দেশের বাজারে প্রচলিত রেফ্রিজারেটরগুলো তৈরি হয়। এটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এবং খাদ্যমান নষ্ট করে। বাংলাদেশে একমাত্র যমুনা রেফ্রিজারেটরই তার উৎপাদন প্রক্রিয়ার কোথাও সিলিকন জেল ব্যবহার করে না। এ ছাড়া যমুনার ফ্রিজগুলোতে পরিবেশবান্ধব R600a গ্যাস ব্যবহৃত হয়, যা মানবদেহের ক্ষতি করে না। আন্তর্জাতিক গুণগত মান বজায় রাখতে গিয়ে আমাদের উৎপাদন ব্যয়ও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে; কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা বাজারের অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় সাশ্রয়ী মূল্যে রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। কেননা, আমাদের লক্ষ্যই হলো ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে কাস্টমারের কাছে সেরা পণ্যটি পৌঁছে দেওয়া। সে লক্ষ্য সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেড ২০১৪ সালে বৃহৎ পরিসরে ইলেকট্রনিকস হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন শুরু করে। আধুনিক যন্ত্রপাতি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ জনবল, উন্নত কাঁচামাল ও প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী উৎকর্ষ সাধনের ফলে যমুনা আজ দেশের এক নম্বর কোয়ালিটি রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড। সব ধরনের ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী যমুনা রেফ্রিজারেটর বিভিন্ন সাইজ, ডিজাইন, ক্যাপাসিটি ও দামে পাওয়া যাচ্ছে। রেগুলার রেফ্রিজারেটর মডেল ছাড়াও আমাদের রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোলজির স্মার্ট ডাবল ডোর, টি ডোর ও ক্রস ডোর রেফ্রিজারেটর, যেগুলো এরই মধ্যে মার্কেটে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কালবেলা: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। কোরবানি-পরবর্তী মাংস সংরক্ষণের বিষয় থাকে বলে প্রতি বছরই এ সময় বাজারে চাহিদা বেড়ে যায় ফ্রিজার ও রেফ্রিজারেটরের। তার জোগানে ব্র্যান্ড হিসেবে যমুনার এবার কেমন প্রস্তুতি রয়েছে। বাজারে ক্রেতার কেমন সাড়া মিলছে? সাজ্জাদুল ইসলাম: পবিত্র ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ কেন্দ্র করে আমাদের দেশে ফ্রিজের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। সাধারণ প্রয়োজনের পাশাপাশি কোরবানির মাংস সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ বা ডিপ ফ্রিজ কেনেন ক্রেতারা। যমুনা ইলেকট্রনিকস ক্রেতাদের এই বর্ধিত চাহিদা পূরণে বেশ আগে থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। অতি সম্প্রতি আমরা বাজারে বেশ কিছু নতুন ডিজাইনের ডিপ ফ্রিজ ও গ্লাসডোর রেফ্রিজারেটর দিয়েছি এবং ভোক্তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি। কালবেলা: আপনাদের এসব ফ্রিজ কতটা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী? আপনারা ফ্রিজে কী ধরনের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এনেছেন? সাজ্জাদুল ইসলাম: ইনোভেশন বা উদ্ভাবন প্রযুক্তিগত যে কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাজার চাহিদা ও ভোক্তার রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে Latest Technological Advancement নিয়ে কাজ করছি আমরা আর যে কারণে আমাদের ব্র্যান্ডের Payoff Line ‘Innovation for Smarter Life’। উৎপাদনের প্রথম দিন থেকেই যমুনা রেফ্রিজারেটর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত কাঁচামাল, দক্ষ জনবল দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন ও বিপণন করছে। রেফ্রিজারেটর উৎপাদনে আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, যার ফলে আমাদের ফ্রিজে ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় এবং খাবারের মান সঠিক থাকে। আমরা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন ফিচার ও ডিজাইনের ফ্রিজ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করছি। আমাদের রয়েছে একদল মেধাবী ইঞ্জিনিয়ারের সমন্বয়ে গঠিত নিজস্ব আরএনডি টিম; যারা পণ্যের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ও মানোন্নয়নে সদা তৎপর। কালবেলা: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রায় সব দেশি ব্র্যান্ডই বিভিন্ন ধরনের অফার দিয়েছে। আপনারা কী ধরনের অফার রেখেছেন? সাজ্জাদুল ইসলাম: ভোক্তাদের চাহিদা, সন্তুষ্টি ও বিক্রয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা ‘ডাবল খুশি অফার’ নামে কনজ্যুমার প্রমোশন চালু করেছি, যার আওতায় সম্মানিত ক্রেতারা যমুনা রেফ্রিজারেটরসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিকস পণ্য কিনলে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় পেতে পারেন। এ ছাড়া পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, এসি, হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ অসংখ্য পুরস্কার জিতে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। কালবেলা: আপনাদের বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে বলবেন। সাজ্জাদুল ইসলাম: আমরা রেফ্রিজারেটরে ১০ বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছি। সাধারণত রেফ্রিজারেটর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ৭ থেকে ১০ শতাংশ ত্রুটি থাকে। কিন্তু যমুনা বাংলাদেশের একমাত্র রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড, যার উৎপাদন ত্রুটি বা Production Error ১ শতাংশের নিচে। সে কারণে রেফ্রিজারেটর বাজারজাত করার খুব অল্প সময়ের ভেতরেই ভোক্তাদের মনে ধারণা জন্মেছে যে, একমাত্র যমুনাই ৯৯ শতাংশ গুণগত মানসম্পন্ন রেফ্রিজারেটর সরবরাহ করে। ফলে যমুনার পণ্যের ক্ষেত্রে বিক্রয়-পরবর্তী অভিযোগের সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি। এর পরও ভোক্তাদের যে কোনো ক্রয়-পরবর্তী সমস্যা সমাধানে দেশব্যাপী আমাদের বিস্তৃত সার্ভিস সেন্টার রয়েছে, যেখান থেকে সহজেই তারা বিক্রয়োত্তর সেবা নিতে পারবেন। কালবেলা: যমুনা তার বিপণন নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনেক সচেতনভাবে কাজ করছে। এ ব্যাপারে একটু বিস্তারিত জানাবেন। সাজ্জাদুল ইসলাম: ইলেকট্রনিকস ইন্ডাস্ট্রিতে লক্ষ করা গেছে যে, নিজস্ব নেটওয়ার্ক ছাড়া পরিবেশক নেটওয়ার্কের স্থায়িত্ব খুবই কম। পরিবেশক ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে ব্যবসা দাঁড় করানো ও সম্প্রসারণের আগেই নিজেদের গুটিয়ে নেয়। একমাত্র যমুনা ইলেকট্রনিকস একটি শক্তিশালী ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সফলভাবে বাজারে ব্যবসা পরিচালনা করছে। একজন সফল ডিস্ট্রিবিউটরের রেফারেন্স থেকে আমরা আরও অনেক ডিস্ট্রিবিউটর পেয়েছি, যারা বিভিন্ন ট্রেড থেকে এসেছেন। তাদের প্রশিক্ষণ, দক্ষ জনবল প্রদান, সুষ্ঠু ব্যবসায়িক কাঠামো গড়ে দেওয়া থেকে শুরু করে অন্য আরও সাপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক অগ্রযাত্রার সঙ্গী হয়েছি। পরিবেশকের ব্যবসা সম্প্রসারণের সঙ্গে কোম্পানির পক্ষ থেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে তার ব্যবসায়িক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা বিপণন নেটওয়ার্ক সুন্দরভাবে এগিয়ে নিচ্ছি। কালবেলা: দেশে ফ্রিজের বাজার এখন কতটা বিস্তৃত হয়েছে? সাজ্জাদুল ইসলাম: মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, ফলে জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে, দেশব্যাপী এখন বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে গেছে। ফলে শহর কিংবা গ্রাম, উচ্চবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত, এমনকি নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরেও স্থান করে নিয়েছে ফ্রিজ। তা ছাড়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হওয়ায় দেশীয় ফ্রিজের দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে, এ বিষয়টিও ফ্রিজের বাজার বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ফলে দেশে দিন দিন ফ্রিজের ব্যবহার বাড়ছে। বাজার গবেষকদের মতে, বছরে এ বৃদ্ধির হার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। কালবেলা: ডলারের উচ্চমূল্য এবং গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে উৎপাদন খাত চাপে আছে। ফ্রিজের দামের ক্ষেত্রে এ পরিস্থিতি কোনো প্রভাব ফেলেছে কি? সাজ্জাদুল ইসলাম: ডলার সংকট ও দাম বৃদ্ধির ফলে পণ্য উৎপাদনে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ও স্থানীয়ভাবে জ্বালানি মূল্যের বৃদ্ধির ফলে পরিবহন ব্যয়সহ অন্যান্য খাতে উৎপাদন খরচ বহুগুণ বেড়ে গেছে, ফলে ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদনকারীদের মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া কোনো উপায় থাকছে না। তবে এমন বহুমুখী চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও যমুনা দেশ ও মানুষের সার্বিক কল্যাণে ব্যবসা পরিচালিত করে। পরিবর্তিত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও আমরা পণ্যের দাম না বাড়িয়ে ক্রেতাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা পণ্যটি তুলে দিচ্ছি।
১০ জুন, ২০২৪

হবিগঞ্জে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে যমুনা গ্রুপ
এসএসসি পরীক্ষা-২০২৪ এ জিপিএ-৫ পাওয়া ২০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্রান্ড ‘হুর’। এ সময় হবিগঞ্জে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম। শুক্রবার (৭ জন) বিকেলে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় যমুনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কৃতী শিক্ষার্থীদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যমুনা গ্রুপের অবদান অনস্বীকার্য। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির জন্য যুগোপযোগী জনবল তৈরির উদ্দেশেই হবিগঞ্জে একটি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে যমুনা গ্রুপ। বিশ্ববিদ্যালয়টি এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। সভাপতির বক্তব্যে যমুনা গ্রুপের পরিচালক ও গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্রান্ড ‘হুর’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম বলেন, ‘হুর’ অতি শিগগিরই সিলেটে একটা নতুন ব্রাঞ্চ করবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা সব সময় একটা বিশেষ ছাড় রাখব। তাছাড়া এখানে যারা কর্মচারী আছেন, তাদের ছেলেমেয়েদের স্কলারশিপ দিয়ে থাকি প্রতি বছর। যমুনা গ্রুপের যত প্রতিষ্ঠান আছে সব জায়গায়ই আমরা এই স্কলারশিপটা দিয়ে থাকি। গত ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিন বিকেল সোয়া ৪টায় কোরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রয়াত নুরুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। যমুনা গ্রুপের পরিচালক ও গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্রান্ড ‘হুর’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম ও টেন মিনিট স্কুলের সিইও আয়মান সাদিক। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন দৈনিক যুগান্তরের উপসম্পাদক বিএম জাহাঙ্গীর। উপস্থিত ছিলেন, যমুনা গ্রুপের পরিচালক ও গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্রান্ড ‘হুর’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলামের মেয়ে জেসেলিন হুরাইন হোসেইন ও যমুনা গ্রুপের হিউম্যান ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট বিজনেস অপারেশন্সের পরিচালক মো. আফসার উদ্দিন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক যুগান্তরের যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, হুরাইন হাইটেক ফেব্রিক্সের পরিচালক (অপারেশন) রাজীব দাস, যমুনা গ্রুপের সিএসআরের জিএম মো. শহিদুল ইসলাম, ‘হুর’-এর হেড অব অপারেশন্স মোহাম্মদ মেহমুদ গুঞ্জাল, হুরাইনের মার্কেটিং ডিরেক্টর লোকমান বিন আরিফ, হুরাইন ফেব্রিক্সের সিএমও আব্দুল হাকিম, যমুনা গ্রুপের অডিট অ্যান্ড ইন্টারনাল কন্ট্রোলের জিএম মো. জুলফিকার হায়দার, যমুনা গ্রুপের অ্যাকাউন্টসের জিএম সারোয়ার মজুমদার, ‘হুর’ জিন্স অ্যান্ড কোম্পানির হেড অব সেলস সৌমিত রঞ্জন মজুমদার, যমুনা ইলেক্টনিক অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেডের এজিএম রুহুল কে সাগর প্রমুখ। পরে প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম। আয়মান সাদিকের হাতে স্মারক তুলে দেন যমুনা গ্রুপের পরিচালক ও গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্রান্ড ‘হুর’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলামের মেয়ে জেসেলিন হুরাইন হোসেইন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যমুনা টেলিভিশনের উপস্থাপক জুলহাজ্জ জুবায়ের। সংবর্ধনা পেয়ে শিক্ষার্থীরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে। যমুনা গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্রান্ড ‘হুর’ এমন আয়োজন করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান শিক্ষক ও অভিভাবকরাও।
০৮ জুন, ২০২৪

সিরাজগঞ্জে দ্রুতগতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে। প্রতিদিনই ব্যাপকহারে পানি বৃদ্ধির ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে যমুনাপাড়ের মানুষজন।  বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬০ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৩০ টার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা: ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। গত চারদিন ধরে আশঙ্কাজনক হারে পানি বাড়ছে।  সোমবার (৩ জুন) ৩০ সেন্টিমিটার, মঙ্গলবার (৪ জুন) ৩৭ সেন্টিমিটার ও বুধবার (৫ জুন) ৫০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায়।  একই অবস্থা কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টেও। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে এই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২২ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৫৮ মিটার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার)। এখানে সোমবার (৩ জুন) ৩১ সেন্টিমিটার,  মঙ্গলবার (৪ জুন) ৪৪ সেন্টিমিটার এবং বুধবারেও ৪৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায়।    সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কী কেন্দ্রের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
০৬ জুন, ২০২৪

নবীনদের চাকরি দেবে যমুনা গ্রুপ, বেতন ১৫ হাজার
যমুনা সায়েন্টিফিক কোম্পানি সম্প্রতি জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘মার্কেটিং অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : যমুনা সায়েন্টিফিক কোম্পানি পদের নাম : মার্কেটিং অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস আবেদনের বয়সসীমা : ২২ থেকে ৩৫ বছর পদসংখ্যা : ৫টি কর্মস্থল : ঢাকা (মালিবাগ) বেতন : ১২,০০০-১৫,০০০ টাকা (মাসিক) অভিজ্ঞতা : ২ থেকে ৫ বছর, তবে ফ্রেশাররাও আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ২৯ মে, ২০২৪ কর্মক্ষেত্র : অফিস কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদনের শেষ তারিখ : ২৮ জুন, ২০২৪ শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি, স্নাতক/সম্মান ডিগ্রি বিভিন্ন সুবিধা : কোম্পানির নীতি অনুযায়ী যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ঠিকানা : ১১৬, আনারকলি সুপার মার্কেট, ৪র্থ তলা, সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা-১০০০
০১ জুন, ২০২৪
X