মা-বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত মোহাম্মদ রফিক
বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত হলেন আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কাব্যিক রসদ জোগানো একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিক। গতকাল সোমবার সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার চিতলী-বৈটপুর এলাকায় জানাজা শেষে কবির দাফন সম্পন্ন হয়। গতকাল কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে তার গ্রামের বাড়িতে যান সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, কবির বোনজামাই শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আমিনুল হক, বোন গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সেলিনা পারভীন, ভাই প্রকৌশলী মো. শফিক, ছোট ছেলে অধ্যাপক ড. শুদ্ধসত্ত্ব রফিক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সবিতা ইয়াসমিন, লেখক অধ্যাপক প্রশান্ত মৃধা, সামছউদ্দিন নাহার ট্রাস্টের প্রধান সমন্বয়ক সুব্রত কুমার মুখার্জি প্রমুখ। কবির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
০৮ আগস্ট, ২০২৩

অনন্তলোকে কবি মোহাম্মদ রফিক
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কাব্যিক রসদ জুগিয়ে বিখ্যাত হওয়া কবি মোহাম্মদ রফিক আর নেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল থেকে ঢাকা আনার পথে গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে মারা গেছেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। কবির পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। কবির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কবি মোহাম্মদ রফিকের মরদেহ বাগেরহাটে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হচ্ছে। এর আগে রোববার সকালে তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলীতে অবস্থানকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে তাকে বাগেরহাট এবং পরে বরিশাল নেওয়া হয়। বরিশালের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে বিভিন্ন পরীক্ষার পর বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা ধরা পড়লে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে রোববার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা কবিকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রওনা হন। পথেই তার মৃত্যু হয়। কবি মোহাম্মদ রফিকের জন্ম ১৯৪৩ সালে ২৩ অক্টোবর বাগেরহাট জেলার বেমরতা ইউনিয়নের চিতলী-বৈটপুর গ্রামে। একাধারে একজন কবি, লেখক ও দীর্ঘদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন তিনি। ষাটের দশকে ছাত্র আন্দোলন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে এবং আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কাব্যিক রসদ জুগিয়ে বিখ্যাত হয়ে আছেন কবি মোহাম্মদ রফিক। তিনি দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জেমকন সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন স্বীকৃতি ও পুরস্কার অর্জন করেছেন কবি মোহাম্মদ রফিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ‘কপিলা’, ‘খোলা কবিতা, ‘গাওদিয়া’, ‘মানব পদাবলী’, ‘আত্মরক্ষার প্রতিবেদন’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
০৭ আগস্ট, ২০২৩
X