নিলামে তোলা হচ্ছে জাপানি ১০৭ রিকন্ডিশন গাড়ি
আমদানির পর দীর্ঘদিন ধরে মোংলা বন্দরের জেটিতে পড়ে থাকা ১০৭টি নামিদামি ব্র্যান্ডের রিকন্ডিশন গাড়ি অবশেষে নিলামে বিক্রি হচ্ছে। নিলামে ওঠা এসব গাড়ির মধ্যে নিশান, পাজেরো, এক্সিও হাইব্রিড, পিয়ার্স হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, এ্যাকোয়া হাইব্রিড, টয়োটা হাইব্রিড, করোলা ফিলটার, হাইয়েচ, মাইক্রো ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ১৯৯৩, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯, ২০০৬, ৭, ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৭, ১৮. ১৯, ২০, ২১ ও ২২ সালের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি। মোংলা কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, জাপান থেকে মোংলা বন্দরে আমদানি করা রিকন্ডিশন এ গাড়িগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় না হওয়ায় মোংলা কাস্টম হাউস গাড়িগুলো বিক্রির জন্য নিলামে তুলেছে। যে কেউ নিলামে ওঠা এসব গাড়ি কিনতে চাইলে বুধবার (৫ জুন) সকাল থেকে আগামীকাল (৬ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ কাস্টমসের ই-অকশন ওয়েবসাইটে নিবন্ধন ও বিড করতে পারবেন। এ ছাড়া সরাসরি অফিসে এসেও গাড়িগুলোর নিলামে অংশ নেওয়া যাবে। গেল সোমবার (৩ জুন) মোংলা কাস্টমস হাউসের ওয়েবসাইটে নিলামের জন্য গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের চূড়ান্ত ক্যাটালগ প্রকাশ করা হয়। অনলাইনে প্রকাশ হওয়া গাড়ি ছাড়াও কিছু গ্যাস সিলিন্ডার এবং অন্যান্য পণ্যও এবারের নিলামে বিক্রি করা হবে। মোংলা কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা তা করেনি। এরপর আমদানিকারকদের আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়ার পরও গাড়ি ছাড় না করানোর কারণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে এসব গাড়ি নিলামে বিক্রি করছে। গাড়ির নিলামে অনলাইন থেকে অথবা সরাসরি অংশ নিয়ে বিড করা যাবে। এ ছাড়া নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর গাড়িগুলো বিক্রি হবে। মোংলা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, মোংলা কাস্টমের রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্র্যাফিক ম্যানেজার মো. কুদরত আলী বলেন, জাপান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হয় ২০০৯ সালের ৩ জুন। প্রথম চালানে এ বন্দর দিয়ে ২৫৫টি গাড়ি আমদানি করা হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে এক লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৯টি গাড়ি আমদানি করা হয়। যা বাংলাদেশে মোট আমদানিকৃত গাড়ির শতকরা ৬০ ভাগ।
০৪ জুন, ২০২৪

মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে আজ
অবশেষে অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। আজ শনিবার (০১ জুন) থেকে খুলনা-মোংলা রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৭৩ বছর পর রেল যোগাযোগে যুক্ত হবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা। তবে সোয়া চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা এই রেলপথে চলবে মাত্র একটি ট্রেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১০ সালে। প্রকল্পটি তিনটি ভাগে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় মূল লাইনসহ রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৮৬.৮৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৬৪.৭৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ। আর রূপসা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ৫.১৩ কিলোমিটার রেলসেতু। জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন, রেলসেতু নির্মাণসহ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৭২১ কোটি টাকা। ২০২১ সালে আবারও সময় ও ব্যয় দুটিই বাড়ানো হয়। তখন দাঁড়ায় চার হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ধরা হয়। ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি এই রেলপথ উদ্বোধন করেন। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হয়। কিন্তু স্থায়ী জনবল নিয়োগসহ নানা জটিলতায় যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালু করা যায়নি। এবার যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী। রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম কালবেলাকে বলেন, এটা আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন মোংলা বন্দরকে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত করা। নানা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ ও উদ্বোধন করা না গেলেও এবার এই পথটি আমরা ১ জুন থেকে যাত্রী চলাচলের জন্য ওপেন করে দেব। উল্লেখ্য, দেশের বৃহত্তম দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত মোংলা খুলনা শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে পশুর নদী ও মোংলা নদীর সংযোগস্থলে বন্দরের অবস্থান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর দিয়ে দ্রুত কম খরচে মালামাল নিতে পারবেন। গতিশীল হবে মোংলার সঙ্গে যাতায়াত সুবিধা। সব ঠিক থাকলে ১ জুন থেকে ওই রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী। তিনি জানান, নতুন এই রুটে ‘মোংলা কমিউটার’ নামে একটি ট্রেন চলাচল করবে। খুলনা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত চলাচল করে বেতনা এক্সপ্রেস নামে একটি লোকাল ট্রেন। সেই ট্রেনটি ফেরার পথে খুলনার ফুলতলা জংশন থেকে মোংলার দিকে যাত্রা করবে, তখন ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ট্রেনটি ‘মোংলা কমিউটার’ নাম ধারণ করে চলবে। তিনি আরও জানান, ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন মঙ্গলবার। খুলনা থেকে ভোর সোয় ৬টায় ছেড়ে বেনাপোলে পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮টা মিনিটে। বেনাপোল থেকে ছেড়ে মোংলা পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। ফুলতলা থেকে যাওয়ার পথে মোংলা কমিউটার মোহাম্মদনগর, কাটাখালী, চুলকাটি বাজার রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতি দেবে। মোংলা থেকে বেলা একটায় ছেড়ে বেনাপোল পৌঁছাবে সাড়ে ৪টায়। ভারত সরকারের ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এলঅ্যান্ডটি এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
০১ জুন, ২০২৪

মোংলা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু
‘ঘূর্ণিঝড় রিমাল’ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করায় মোংলা বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত থেকে নামিয়ে স্থানীয় সতর্ক সংকেত ৩ দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব অ্যালার্ট ৪ নম্বর থেকে ১-এ নামিয়ে এনে বন্দরের পণ্য ওঠানামার কাজ শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান মুন্সি জানান, বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত বিদেশি জাহাজগুলো নিরাপদে রয়েছে। জেটি এরিয়ায় সংরক্ষিত শেড, ওয়্যার হাউস এবং ইয়ার্ডে রাখা গাড়ি, মেশিনারিজ ও কনটেইনারগুলো নিরাপদে রয়েছে। বন্দর জেটিতে অপারেশনাল কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বাতাসের বেগ কিছুটা তীব্র এবং নদী উত্তাল থাকার কারণে মোংলা বন্দরের ভিটিএমআইএসের মাধ্যমে চ্যানেলের নৌযানগুলোকে নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
২৯ মে, ২০২৪

মোংলা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু
ঘূর্ণিঝড় রিমাল বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করায় মোংলা বন্দরকে ১০নং মহাবিপৎসংকেত থেকে নামিয়ে স্থানীয় সতর্কসংকেত ৩ নম্বর দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর ফলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব অ্যালার্ট ৪নং থেকে ১নং-এ নামিয়ে বন্দরের পণ্য ওঠানামার কাজ শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু হয়। বন্দর কর্তৃপকৃষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান মুন্সি জানান, বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত বিদেশি জাহাজসমূহ নিরাপদে রয়েছে। জেটি এরিয়ায় সংরক্ষিত শেড, ওয়্যার হাউস এবং ইয়ার্ডে রাখা গাড়ি, মেশিনারিজ ও কন্টেইনারগুলো নিরাপদে রয়েছে। বন্দর জেটিতে অপারেশনাল কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বাতাসের বেগ কিছুটা তীব্র এবং নদী উত্তাল থাকার কারণে মোংলা বন্দরের ভিটিএমআইএসের মাধ্যমে চ্যানেলের নৌযানসমূহকে নিরাপদে থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার কারণে মোংলা বন্দর ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সক্ষম হয়েছে। এর আগে আবহাওয়া অফিস কর্তৃক মোংলা বন্দরে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি করলে বন্দরের পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রাখা হয়।
২৮ মে, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মোংলা বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মোংলা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এর ফলে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকতে বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  শনিবার (২৫ মে) বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম। বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত ৬টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ অবস্থানে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  শনিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বিপদ সংকেত জারির পর থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান। এর আগে শনিবার বিকেলে মোংলা উপজেলায় ১০৩টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পরেও রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে কোনো মানুষ আশ্রয় নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না জানিয়েছেন, আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ অবস্থান নিলে তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়লে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদে সাইক্লোন সেল্টারে নেওয়া ও প্রচার প্রচারণার কাজে নেমে পড়ে ১৩২০ জন সেচ্ছাসেবক। শনিবার সন্ধ্যা থেকে এসব সেচ্ছাসেবক ও মোংলা পোর্ট পৌরসভার ডিজিটাল সেন্টার থেকে জনসাধারণকে সচেতন ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ অবস্থানে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। রাত সাড়ে ১০টা পর থেকে মোংলা উপকূলে গুটি গুটি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। এর আগে সন্ধ্যার পর কিছু সময় গুটি গুটি বৃষ্টি হয় মোংলায়। নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে নিরাপদ অবস্থানে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪টি যুদ্ধ জাহাজ।
২৬ মে, ২০২৪

মোংলা বন্দরের সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী
পদ্মা সেতুর কারণে সহজ হয়েছে মোংলা বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ। ফলে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে জাহাজ আগমন, কার্গো হ্যান্ডলিং, রাজস্ব—এ বন্দরের সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী। বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিলে মোংলা বন্দরটিতে জাহাজ ভিড়েছে ৬৩টি। গত অর্থবছরের একই সময়ে ভিড়েছিল ৫২ জাহাজ। এ ছাড়া গত মাসে ৬ দশমিক ৩৭ লাখ টন কার্গো পণ্য পরিবহন হয়েছে, যা গত অর্থবছরের এপ্রিলে ছিল ৪ লাখ ৬৭ হাজার টন। অর্থাৎ এবার ১ লাখ ৭০ হাজার টন বেশি কার্গো পণ্য পরিবহন হয়েছে। এপ্রিলে ২ হাজার ১৮৯টি কনটেইনার পরিবহন করা হয়েছে বন্দরটিতে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৮২২টি। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত মোংলায় আদায় হয়েছে ২৪ কোটি ১৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা রাজস্ব। এ অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২০ কোটি ১২ লাখ ৬১ হাজার টাকা। আর এবার শুধু এপ্রিলে আদায় হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা রাজস্ব। এ সময় মোংলা বন্দরে কনটেইনার জাহাজ ভিড়েছে ৮টি, যা রেকর্ড। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে এ বন্দরে ভিড়েছে ৭২৬ জাহাজ। গত অর্থবছরের একই সময় এ সংখ্যা ছিল ৭০৮। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে সব সূচকে এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক অবস্থানে আছে মোংলা বন্দর। বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মাকরুজামান মুন্সি জানান, নানা সংকটে বিশ্বে অর্থনীতি এখন অস্থিতিশীল। তা সত্ত্বেওও সব সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে মোংলা বন্দর সব সূচকে এগিয়ে। সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে মোংলা বন্দর দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে আরও ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমরা আশা করছি।
২৪ মে, ২০২৪

মোংলা বন্দরের সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী
বিশ্ব অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতিতে সব সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলছে মোংলা সমুদ্রবন্দর। জাহাজ আগমন, কার্গো হ্যান্ডলিং, রাজস্ব আয় সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় রয়েছে এই সমুদ্রবন্দরে। বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের গত এপ্রিল মাসে মোংলা বন্দরে জাহাজ এসেছে ৬৩টি। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপ্রিল মাসে জাহাজ ভিড়েছিল ৫২টি। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসে কার্গো হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৬.৩৭ লাখ টন। অন্যদিকে গত অর্থবছরের এপ্রিল মাসে ৪.৬৭ লাখ টন কার্গো হ্যান্ডল করা হয়েছিল। অর্থাৎ এ বছরের এপ্রিল মাসে ১.৭০ লাখ টন কার্গো বেশি হ্যান্ডল করা হয়েছে। এ ছাড়া গেল মাসে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয় ২১৮৯ টিইইউজ। অন্যদিকে আগের অর্থবছরে এপ্রিল মাসে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল ১৮২২ টিইইউজ। সব মিলিয়ে চলতি অর্থ বছরের এপ্রিল মাসে মোংলা বন্দর রাজস্ব আদায় করেছে  ২৪ কোটি ১৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে গত অর্থবছরের এপ্রিল মাসে ২০ কোটি ১২ লাখ ৬১ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। অর্থাৎ এ বছরের এপ্রিল মাসে ৪ কোটি ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা রাজস্ব বেশি আদায় হয়। গত এপ্রিল মাসে মোংলা বন্দরে কন্টেইনার জাহাজ ভিড়েছে  মোট ৮ টি, যা মোংলা বন্দরের ইতিহাসে এক মাসে এতগুলো কন্টেইনার জাহাজ ভেড়ার এক অনন্য রেকর্ড। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের গত দশ মাসে মোংলা বন্দরে জাহাজ ভিড়ে মোট ৭২৬টি। অন্যদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৭০৮টি জাহাজ এসেছিল। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১৮টি জাহাজ বেশি এসেছে। চলতি অর্থবছরের সবকটি সূচকে এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক বৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজামান মুন্সি জানান, যুদ্ধসহ নানা কারণে সারা বিশ্বে এখন অর্থনৈতিক মন্দা যাচ্ছে। এরই মধ্যে সব সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে মোংলা বন্দর এখনো সব সূচকে ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে রয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ও মোংলা বন্দর আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে আরও ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
২৩ মে, ২০২৪

ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মোংলা ইপিজেডে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর
বাগেরহাটের মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ (ইপিজেড) এলাকায় একটি কারখানা পুলিশ ও ইপিজেডের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে কর্মসূচি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।  বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, ভিআইপি নামক একটি প্রতিষ্ঠান হঠাৎ ১৭০০ শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করে কারখানায় মধ্যে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পরে শ্রমিকরা কারখানা থেকে বেরিয়ে এসে ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে । এতে কতর্বরত আনসার সদস্যরা বাধা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেপজার নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বেশ কয়েকজন শ্রমিক ও পুলিশ আহত হন। বিকাল ৩টার পর শ্রমিকরা ইপিজেড এলাকা ত্যাগ করে চলে যান।  মোংলা ইপিজেডে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রায় ৮ হাজারের অধিক শ্রমিক এসব কারখানায় কর্মরত ছিল। করোনাকালীন সময় কিছু শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়। পরে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দা ডলার সংকটসহ নানা কারণ দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সময় শ্রমিক ছাঁটাই করে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে উল্লেখ করে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান বলেন, মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি নামের কারখানার শ্রমিকদের ছাঁটাই কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। তবে নিয়মের মধ্যে থেকেই কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মী ছাঁটাই করছে বলে জানিয়েছে। তবে শ্রমিকদের দাবি, যথাযথ পাওনা তারা বুঝে পাননি। এটা নিয়েই অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান, মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহিম তুষার ও মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। 
২৫ মার্চ, ২০২৪

ছাড়পত্র জটিলতায় অকেজো হচ্ছে শতাধিক গাড়ি
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) জটিলতার কারণে মোংলা কাস্টম হাউসে অকেজো হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সময়ে আমদানি করা ১১৬টি গাড়ি। ছাড়পত্র না থাকার কারণে সেগুলো বিক্রিও করতে পারছে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আমদানি করা গাড়িগুলো পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো হওয়ায় বন্দরে পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রাংশ। এতে সরকারও রাজস্ব পাচ্ছে না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সূত্র আরও জানায়, আগের আমদানি করা গাড়ির সিপি জটিলতায় বন্দরে গাড়ির জট বেড়েছে। আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, সাধারণত ৫ বছরের পুরোনো গাড়ি আমদানির বিধান নেই। যেসব আমদানিকারক এ ধরনের গাড়ি এনেছেন সেগুলোই বন্দরে পড়ে আছে। এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দফায় দফায় চিঠি দিয়েও খালাসের অনুমতি মিলছে না। সর্বশেষ এই ১১৬ গাড়ির সিপি চেয়ে এনবিআরের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের আবেদন করে মোংলা কাস্টম কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে বলা হয়, আমদানি নিয়ন্ত্রিত এই গাড়িগুলো দীর্ঘসময় ধরে বন্দরে পড়ে থাকায় পণ্যজট তৈরি হয়েছে। আবার অনুমতি না মেলায় নিলামেও বিক্রি করা যাচ্ছে না। এর আগে সিপি-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকও হয়। সেখানে পাঁচ বছরের পুরোনো আমদানি গাড়ির তালিকা করে পারমিট পেতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই মধ্যে তালিকা তৈরি করে পাঠিয়েছে মোংলা কাস্টম হাউস। এ বিষয়ে কমিশনার আবু হোসেন খালেদ কালবেলাকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমদানি হওয়া ৫ বছরের পুরোনো শতাধিক গাড়ি বন্দরে পড়ে আছে। মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স পারমিট না থাকায় নিলামে বিক্রিও করা যাচ্ছে না। এতে পণ্যজট তৈরি হয়েছে। কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নিলামের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় থাকা গাড়িগুলো অনেকটা অকেজো হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন খোলা স্থানে পড়ে থাকতে থাকতে যন্ত্রাংশও নষ্ট হচ্ছে। দিন যত যাবে এসব গাড়ির বাজারমূল্যও তলানিতে গিয়ে ঠেকবে। কাস্টম হাউস চট্রগ্রামেও এই জটিলতার কারণে নিয়ন্ত্রিত আমদানি করা বেশ কিছু গাড়ি সর্বশেষ স্ক্র্যাপ হিসেবে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে হয়েছে। কিন্তু এবার গাড়িগুলো পুরোপুরি অকেজো হওয়ার আগেই বিক্রি করতে চায় মোংলা কাস্টম হাউস। যেগুলোর বর্তমানে আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকারও বেশি। সঙ্গে রাজস্ব যোগ করলে তা দাঁড়ায় ৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার গাড়ি নিলামে বিক্রি করলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আসবে বলেও জানান কাস্টম হাউস মোংলার একাধিক কর্মকর্তা।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

অনলাইনেই পরিশোধ করা যাবে মোংলা বন্দরের সব রাজস্ব
এখন থেকে মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীরা অনলাইনের মাধ্যমে বন্দরের সকল রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। স্মাট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক কর্মকাণ্ড ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।  বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা অনলাইন কার্যক্রম চালু হওয়ার ফলে স্মাট বন্দরে রূপান্তরে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল মোংলা। আর বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন,এ কার্যক্রমের ফলে সহজে রাজস্ব পরিশোধের সুবিধা পাবেন তারা। একই সাথে অনিয়ম দুর্নীতি কবে যাবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মুনসী মাকরুজ্জামান জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষের সকল ধরনের রাজস্ব অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদায়ের লক্ষ্যে গত ২ জানুয়ারি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মো. আসাদুজ্জামান, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) ড. কে এম আনিসুর রহমান, প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মো. সিদ্দীকুর রহমান ও ব্রাক ব্যাংক পিএলসির প্রতিনিধিরা। বন্দরের এ কর্মকর্তা বলেন, এখন থেকে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির সাথে জড়িত সকল ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। ব্যবসায়ীরা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসে বন্দর অনলাইনের মাধ্যমে তাদের বিল পেমেন্ট করার পাশাপাশি সকল সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে ব্যবসায়ীদের সুবিধা বাড়বে বলে তিনি আশা করেন। খুলনা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুলতান আহম্মদ খান জানান, অনলাইনের মাধ্যমে বন্দরের পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমবে। একই সাথে অনিয়ম দুর্নীতি শূন্যের কোটায় নেমে আসতে পারে। তবে এজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সদিচ্ছা থাকতে হবে।
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪
X