বানের পানিতে ভেসে এলো মেছো বিড়াল
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে বানের পানিতে কচুরিপানার সঙ্গে একটি মেছো বিড়াল ভেসে এসেছে। সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে স্থানীয় কয়েকজন যুবক বিড়ালটি উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে কালনী নদীতে কচুরিপানার উপর মেছো বিড়ালটি ভেসে কাকাইলছেও  ইউনিয়নের কামালপুরে চলে আসে। এ সময় খাবারের খোঁজে প্রাণীটি গ্রামের একটি বাড়ির পাশে গেলে স্থানীয় কয়েকজন কিশোর বাঘের বাচ্চা মনে করে ধাওয়া দেয়। পরে বিড়ালটি গাছের উপর উঠে পড়ে। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে কয়েকজন যুবক মেছো বিড়ালটিকে উদ্ধার করে।  কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জীবন বলেন, বিড়ালটি ক্ষুধার্ত অবস্থায় গ্রামে প্রবেশ করে। প্রাণীটিকে উদ্ধারের পর খাবার দেওয়া হচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন এসে এটিকে নিয়ে গেলে ভালো জায়গা পাবে। নয়তো মানুষ না বুঝে  কিংবা ভয়ে মারধর করবে।   স্থানীয় ইউপি সদস্য জোবাইর আহমেদ জাবেদ বলেন, মেছো বিড়ালটিকে এখন স্থানীয়দের জিম্মায় রয়েছে। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল ভৌমিক বলেন, বিষয়টি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে অবগত করা হয়েছে।  সিলেট বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মেছো বিড়ালটি ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জারের মাধ্যমে উদ্ধার করা হবে।
২৪ জুন, ২০২৪

প্রাণের ঝুঁকি থাকলেও তিন বাচ্চাকে ছেড়ে যায়নি মা মেছো বিড়াল
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক খুঁটির স্তূপ থেকে মা মেছো বিড়ালসহ তিনটি বাচ্চা বন বিভাগের সহযোগিতায় উদ্ধার করেছে স্থানীয় বন্যপ্রাণী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পাখি প্রেমিক সোসাইটি’র সদস্যরা। রোববার  (২৮ জানুয়ারি) রাত ৯টায় উপজেলার বাঘাসুরা ইউপির মানিকপুর গ্রামে তিনটি বাচ্ছাসহ মা মেছো বিড়ালটিকে উদ্ধার করা হয়।  জানা যায়, ওই গ্রামের শাহ আলম মিয়ার বাড়ির কাছে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর পর বাচ্চাগুলো অসহায় অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে প্রাণের ঝুঁকি থাকলেও মা বিড়ালটি বাচ্চাগুলোকে ছেড়ে যায়নি বরং সেখানেই অবস্থান করছিল। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় পাখিপ্রেমিক সোসাইটির সদস্যরা খবর পেয়ে বিষয়টি বন বিভাগকে জানায়। পরে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের পরামর্শে স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান, স্থানীয় সাংবাদিক ও পাখিপ্রেমিক সোসাইটি প্রতিনিধি সোহাগ মিয়া, শাহজীবাজারের ফরেস্ট গার্ড সৈয়দ হামিদুর রহমান, গ্রাম পুলিশ মোখলেছুর রহমান ও সাংবাদিক রুবেল আহমেদ রনি প্রমুখের সহযোগিতায় প্রাণীগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের স্থানীয় রঘুনন্দন পাহাড়ে অবমুক্ত করা হয়। হবিগঞ্জে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানান, বন্যপ্রাণী উদ্ধার আমাদের রেগুলার রুটিন কাজ। আজকে পাখিপ্রেমিক সোসাইটির সদস্যরা মেছো বিড়ালগুলোকে উদ্ধার করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল তাদের বিশেষ ধন্যবাদ জানালাম। বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, মেছো বিড়ালকে (Fishing Cat) অনেক এলাকায় মেছোবাঘ নামেও ডাকে। কিন্তু এর প্রকৃত নাম মেছো বিড়াল। অথচ বাঘ নামে ডাকার কারণে শুধু শুধু আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রাণীটি মানুষকে আক্রমণ করে না। বরং মানুষ দেখলে পালিয়ে যায়। তাই এটি নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই এই প্রাণীটি বিচরণ রয়েছে। জলাভূমি আছে এমন এলাকায় বেশি দেখা যায়। প্রাণীটি জলাভূমির মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ছাড়াও পোকামাকড় ও ইঁদুর খেয়ে কৃষকের উপকার করে। জনবসতি স্থাপন, বন ও জলাভূমি ধ্বংস, পিটিয়ে হত্যা ইত্যাদি কারণে বিগত কয়েক দশকে এই প্রাণীটির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। মেছো বিড়ালগুলো উদ্ধার করায় স্থানীয় জনতা ও  পাখিপ্রেমিক সোসাইটির সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে মেছো বিড়ালকে বিপন্ন প্রাণী প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন)। তাছাড়া বন্যপ্রাণী আইন-২০১২ অনুযায়ী এই প্রজাতি সংরক্ষিত। তাই এই প্রাণীটি হত্যা বা এর কোনো ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

সিলেটে মেছো বিড়াল উদ্ধারের পর বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর
সিলেটের উদ্ধার হওয়া একটি মেছো বিড়াল বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে সিলেট জেলা পুলিশ। সোমবার (০৬ নভেম্বর) সকালে বিশ্বনাথ পৌরসভাস্থ সুড়িরখাল গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা মেছো বিড়ালটি আটক করে। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মেছো বিড়ালটিকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। উদ্ধার হওয়া মেছো বিড়ালটি যেন প্রকৃতির নিরাপদ আশ্রয় লাভ করতে পারে সেজন্য বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বন বিভাগের পক্ষে বিরেশ চন্দ্র কর মেছো বিড়ালটি গ্রহণ করেন। এটি খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলা পুলিশের তৎপরতায় গোয়াইনঘাটে উদ্ধার হওয়া বিশাল আকৃতির একটি অজগর সাপ বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং সেটি খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা বলেন, প্রাণীটির প্রকৃত নাম মেছো বিড়াল (Fishing Cat)। কিন্তু অনেক এলাকায় এটিকে মেছোবাঘ নামেও ডাকে। বাঘ নামে ডাকার কারণে শুধু শুধু আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রাণীটি মানুষকে আক্রমণ করে না, বরং মানুষ দেখলে পালিয়ে যায়। তাই এটি নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই এই প্রাণীটি বিচরণ রয়েছে। জলাভূমি আছে এমন এলাকায় বেশি দেখা যায়। প্রাণীটি জলাভূমির মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ছাড়াও পোকামাকড় ও ইঁদুর খেয়ে কৃষকের উপকার করে। জনবসতি স্থাপন, বন ও জলাভূমি ধ্বংস, পিটিয়ে হত্যা ইত্যাদি কারণে বিগত কয়েক দশকে উপকারী এই প্রাণীটির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। জোহরা মিলা আরও বলেন, ২০০৮ সালে মেছো বিড়ালকে বিপন্ন প্রাণী প্রজাতির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন)। তাছাড়া বন্যপ্রাণী আইন-২০১২ অনুযায়ী এই প্রজাতি সংরক্ষিত। তাই এই প্রাণীটি হত্যা বা এর কোনো ক্ষতিকরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
০৮ নভেম্বর, ২০২৩
X