জুনে উৎপাদনে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র
প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চলতি জুন মাসে উৎপাদনে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র। ৯ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ থাকলেও ১০ দিন আগেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে।   আগামী ৩০ জুন এ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটির সিওপিতে (কমার্শিয়াল অপারেশন ডেট) যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এটি চালু হলে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে ৬৮ মেগাওয়ার বিদ্যুৎ। প্রতি কিলোওয়াট ১১.২ টাকায় কিনে নেবে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি)।  সরেজমিনে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু ও নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর পশ্চিম পাড়ে যমুনা নদীর অববাহিকায় বাংলাদেশ ও চীনের দুটি কোম্পানির যৌথ অর্থায়নে বিশাল এই সোলার পার্কটির নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় স্লোপ প্রটেকশন কাজ সম্পন্ন করার পর যমুনা নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত অকৃষি জমির উপর সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছে বড় বড় আকৃতির সোলার প্যানেল। পাশেই কনস্ট্রাকশন ভবনগুলো নির্মাণের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশের এনডব্লিউপিজিসিএল (নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লি.) এবং চীনের সিএমসি (চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন) যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ‘সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক’ নামে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৮৮০ কোটি টাকা।  চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের (সিএমসি) ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যমুনাপাড়ের অব্যবহৃত কৃষি জমি বাংলাদেশ ও চীনের দুটি কোম্পানি বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি লি. (বিসিআরইসিএল) নামে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২১৪ একর জমি ২৫ বছর মেয়াদে লিজ নেয়। এরপর ৯ জানুয়ারি ২০২৩ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির পিপিএ (পাওয়ার পার্সেজ এগ্রিমেন্ট) এবং আইএ (ইমপ্লেমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষরিত হয়। দ্রুতগতিতে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলে। এ প্রকল্পে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক মিলে প্রায় ৪ শতাধিক জনবল রাত-দিন কাজ করছে। প্রকল্প পরিচালক তানভীর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু করি। প্রকল্প শেষ হওয়ার মেয়াদ ছিল ৯ জুলাই ২০২৪। আমরা নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদনে যাচ্ছি। উৎপাদন শুরু হলে জাতীয় গ্রিডে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১০ দশমিক ২ ইউএস সেন্ট মূল্যে পিডিবির কাছে বিক্রি করা  হবে।  
২৪ জুন, ২০২৪

উৎপাদনে প্রস্তুত পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়েছে পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। সেপ্টেম্বরে এ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর ডিসেম্বরে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে বাকি ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সে লক্ষ্যে চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। এ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যোগ হওয়া বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের জন্য এটি মাইলফলক বলে মনে করছেন এই প্রকল্পের কর্মকর্তারা। ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নোরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরএনপিএল) যৌথ বিনিয়োগে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করে।  জেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে ৯১৫ একর জমির উপর ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরে এর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। করোনাসহ নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে টারবাইন, চুল্লি, কোল স্টোর, স্টিল স্ট্রাকচার, বয়লার, ওয়াটার ফিড ও জেনারেটর বসানোর কাজ। বর্তমানে দ্রুতগতিতে চলছে কনস্ট্রাকশন ও রঙের কাজ। ৪ হাজার বাঙালি ও দেড় হাজার চাইনিজ শ্রমিক এ নির্মাণ কাজ করছেন। ইতোমধ্যে বয়লারে ফায়ারিংও করা হয়েছে। মোট কথা বর্তমানে বিদুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত এ পাওয়ার প্লান্ট। এ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে নিজস্ব অর্থায়নে ২০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন, ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন ও পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলায় একটি সুইচিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। এ সুইচিং স্টেশনের কাজও ৯২ ভাগ শেষ। বর্তমানে শেষ পর্যায়ের টেস্টিং ও কমিশনিংয়ের কাজ চলমান। জুলাই মাসে ব্যাক ফিড পাওয়ার পেলে সেপ্টেম্বরে প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট ও ডিসেম্বরে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করতে চায় প্রকল্পটি। পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (তড়িৎ) আসিফ আহমেদ জানান, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ২০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন, ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন ও পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলায় একটি সুইচিং স্টেশন তৈরি করেছি। এ সুইচিং স্টেশনের কাজও ৯২ ভাগ শেষ হয়েছে। অপর নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) শওকত ওসমান বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের প্রথম ইউনিটের সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা বয়লারে ফায়ারিংও করেছি। মোটকথা আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।  পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমরা আশা করছি, জুলাই মাসে ব্যাক ফিড পাওয়ার পাব। এ ব্যাক ফিড পাওয়ার পেলে সেপ্টেম্বরে ৬৬০ মেগাওয়াট ও ডিসেম্বরে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করতে পারব বলে আশা করছি। 
২২ জুন, ২০২৪

১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্লান্টের চুক্তি সই
জামালপুরের মাদরগঞ্জে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনে বি-আর পাওয়ারজেন কোম্পানি লিমিটেড ও সিআরইসি ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড (সিআইআরই) চায়নার মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে বি-আর পাওয়ারজেনের পক্ষে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দূর্জোটি প্রসাদ সেন ও আইআরইসির পক্ষে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝিউসেন ওয়াং স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ হাজারো বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে কাজ করছে। ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ পরিষ্কার জ্বালানি হতে উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করা যাচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। সিআইআরই, চায়না এবং বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেডের জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানির শেয়ার সিআইআরইর ৭০ শতাংশ ও বি-আর পাওয়ারজেনের ৩০ শতাংশ। চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রটি আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আসবে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
১৪ জুন, ২০২৪

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার
নেপাল থেকে পাঁচ বছরের জন্য ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে সরকার। এই বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের জন্য ব্যয় হবে ৮ টাকা ১৭ পয়সা।  মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে পণ্য ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ জলবিদ্যুৎ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।  বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) মাহমুদুল হোসাইন খান।  তিনি বলেন, ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে আসবে এই বিদ্যুৎ। ভারত হয়ে আসবে বলে ভারতকে ট্রেডিং মার্জিন হিসেবে ইউনিট প্রতি দশমিক ০৫৯ রুপি এবং ট্রান্সমিশন খরচও দিতে হবে। তবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। এই বিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ৫ বছরের জন্য ৬৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে।  জানা গেছে, গত বছরের মে মাসে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী নেপালের ত্রিশুলি প্রকল্প থেকে ২৪ মেগাওয়াট এবং অন্য একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৬ মেগাওয়াটসহ মোট ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে। ভারত হয়ে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় জাতীয় গ্রিডে এ বিদ্যুৎ আসবে। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ খাত উন্নয়ন ও আমদানি’ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বৈঠকে বসে। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওই কমিটির প্রধান ছিলেন। বৈঠকে আ হ ম মুস্তাফা কামাল নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ট্যারিফ জানতে চাইলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, নেপাল থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের দাম দেশে কয়লাভিত্তিক উৎপাদিত বিদ্যুতের দামের তুলনায় কম পড়বে। 
১১ জুন, ২০২৪

‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সেচ পাম্পে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয়’
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।  শনিবার (১ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি। শনিবার (১ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের আয়োজনে ২য় ঢাকা নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, সরকার গ্রিন, ক্লিন ও জলবায়ু সহিষ্ণু অর্থনীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। জমির স্বল্পতার কারণে পুকুর বা জলশয়ে ভাসমান সোলার প্যানেল করে নিচে মাছ চাষ করার অথবা বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দেশে কৃষিজমির সেচের পাম্প নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে পারলে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতে পারে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করেছে। এই লক্ষ্যটি জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে সমাজের সব খাতের মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে, সৌর, বায়ু, বায়োমাস এবং জলবিদ্যুৎ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অপরিহার্য। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করতে, আমাদের আর্থিক প্রণোদনা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নত বিশ্বের কাছে, লোন নয় অনুদান প্রত্যাশা করি। এই খাতে গবেষণা ও উন্নয়নের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার এবং সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে আমাদের জাতির অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি করতে পারি। বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষ রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ খাসেইফ আলহুমুদ, পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের অধ্যাপক এ. কে. এনামুল হক, চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
০১ জুন, ২০২৪

ইপিজেডের ৩০ ভাগ জায়গায় ৩৩৩ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব
ইপিজেডের মাত্র ৩০ শতাংশ জায়গা ব্যবহার করে কমপক্ষে ৩৩৩ মেগাওয়াট অতিরিক্ত সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডেইলি স্টার সেন্টারে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সোলার নেট মিটারিংয়ের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নেট মিটারিং ব্যবস্থায় অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে হবে। এ ছাড়া সৌর উপকরণ আমদানির ওপর করের বোঝা কমানোর সুপারিশ করা হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ইশতিয়াক বারী। তিনি জানান, দেশে গত ৭ বছরে মাত্র ১১০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ নেট মিটারিং পদ্ধতিতে যুক্ত হয়েছে, যার শতকরা ৫৫ শতাংশ এসেছে বাণিজ্যিক ভবনের মাধ্যমে। গবেষণায় দেখা যায়, নেট মিটারিংয়ের মাধ্যমে ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ শিল্প উৎপাদনে কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ কমেছে। রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে নেট মিটারিংয়ের সুবিধা দেওয়া হলে মাত্র ৩০ ভাগ এলাকা থেকে প্রায় ৩৩৩ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সদস্য (পাওয়ার) আবুল খায়ের মোহাম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, ইপিজেড এলাকায় নেট মিটারিং বাস্তবায়নের জন্য হুইলিং চার্জের একটি অংশ যদি ইপিজেড কর্তৃপক্ষকে দেওয়া যায়, তাহলে উভয়পক্ষ লাভবান হবে। পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এরই অংশ হিসেবে টেস্টিং ল্যাব তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে অনেক দিন ধরেই নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে না। তাই বিকল্প হিসেবে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। সোলার ও রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী নূরুল আকতার বলেন, অনেক শিল্প উদ্যোক্তাই সোলার নেট মিটারিং সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন না। সম্ভাবনাময় এই সেক্টরে নেট মিটারিং প্রতিষ্ঠা করা গেলে, শিল্পকারখানায় বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই মিটবে। এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ বলেন, বেপজা নিজেই বিদ্যুৎ কারবারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট খাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এ ক্ষেত্রে অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতা ও করের বোঝা লাঘব করে নেট মিটারিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে রপ্তানি খাতে সহনশীল অগ্রগতি আনা সম্ভব। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক সাইফ উদ দৌলা, ডেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন মিয়া, শ্রেডার সাবেক সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের, পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান।
২৬ মে, ২০২৪

প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানি হচ্ছে দশ হাজার মেগাওয়াট
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশও দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। তা ছাড়া দেশে বেশ কয়েকটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র, একটি বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে এসেছে। এ ছাড়া একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র আগে থেকেই ছিল। কর্মকর্তারা জানান, সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা-২০২৩ অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০৫০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৫০ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ওয়াট/আওয়ার ক্লিন এনার্জি আমদানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ৬১ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইডের সমতুল্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ অবস্থায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন এ প্রসঙ্গে কালবেলাকে বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। বর্তমানে চাহিদা মেটাতে উচ্চমূল্যের ডিজেল চালিত কেন্দ্রগুলো চালাতে হচ্ছে। নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো গেলে উচ্চমূল্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে আসবে। এজন্য আমরা প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছি। কারণ দেশে এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে পরিমাণ স্থানের প্রয়োজন, তা আমাদের নেই। জানা গেছে, নেপাল থেকে প্রথমবারের মতো ৪০ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশটি থেকে আরও ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। ভারতীয় গ্রিড লাইনের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে। এ ছাড়া ভারতের রাজস্থান থেকে আরও এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। আগামী বছর এই বিদ্যুৎ দেশে আসবে। এ ছাড়া ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩

আশার আলো দেখছে না চাঁদপুরের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র
বহুল কাঙ্ক্ষিত চাঁদপুরের ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গেলো ১ বছরেও কোনোভাবেই আশার আলো দেখছে না। কর্তৃপক্ষের কতিপয়ের গাফিলতির ফলে অকেজো হয়ে পড়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশও। যদিও জানুয়ারিতে এটি পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বা: প্রকৌশলী) মোহাম্মদ নুরুল আবছার। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সরজমিনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গিয়ে এটি বন্ধ পাওয়া যায়। এক তথ্য মতে, চাঁদপুর জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৮৫ মেগাওয়াট হলেও সরবরাহ হচ্ছে শুধু মাত্র ১৪৫ মেগাওয়াট। এরমধ্যে চাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ এবং শহরের বাহিরে অর্থাৎ গ্রাম ও উপজেলাগুলোর দিকে বিদ্যুৎ সরবার করে চাঁদপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি ১ ও ২।  এসবের মধ্যে চাঁদপুর গ্রিডে চাহিদা ৮০ মেগাওয়াট এবং পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ এ নব্বই মেগাওয়াট এবং পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২ এ চুয়ান্ন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। তবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সংকট থাকায় চাঁদপুরে চাহিদার তুলনায় মাত্র ৫০% বিদ্যুৎ পাচ্ছে গ্রাহকরা। যার কারণে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং হচ্ছে। জানা যায়, ১ হাজার ২শ' কোটি টাকা ব্যয় ধরে ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। যা নির্মাণ করে চায়না চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর পর ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমদিকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা থাকলেও গ্যাসনির্ভর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিয়মিতভাবে ১৬০ থেকে ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছিলো। কিন্তু দিন দিন গ্যাসসহ বড় বড় যন্ত্রপাতি ও মেশিন অকেজো হয়ে যাওয়ার কারণে ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর হতে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যদিও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালুর কথা ছিল তবে এলসি সংক্রান্ত জটিলতায় তা একবছরেও চালু করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বা: প্রকৌশলী) মোহাম্মদ নূরুল আবছার বলেন, মূলত ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বন্ধ হয় এখানের দুটি ইউনিট। একটি ৫০ এবং আরেকটি ১০০ মেগাওয়াট। ১০০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি সংস্কার ও রক্ষাণাবেক্ষনের পরে ৭ ফেব্রুয়ারি চালু করার জন্য উদ্যোগ নেই। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে এটির গ্যাস বুস্টারটি চালু না হওয়ায় আমরা আর চালু করতে পারিনি। সে গ্যাস বুষ্টারটি আমরা দেশীয় লোকবল এবং দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষা করে চালু করার চেষ্টা করি। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায় এটি ভিতরগত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোহাম্মদ নূরুল আবছার আরও বলেন, আমরা সমস্যা সমাধান করার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া গ্রহণ সম্পন্ন করি। আমাদের প্ল্যান ছিল গ্যাস বুষ্টারটি সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন করে নভেম্বরের ১৫ তারিখ এটি চালু করবো। কিন্তু এলসি সংক্রান্ত জটিলতায় আমরা পিছিয়ে যাই। ব্যাংকের আর্থিক যে কার্যক্রম সেগুলো একটু বেশি সময় লাগায় আমাদের প্ল্যানমতো এগোতে পারিনি। তবে বর্তমানে আমাদের এলসি সংক্রান্ত কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। আমরা আশাকরি ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল স্টোরে এসে পৌঁছাবে। এরপর ৩ সপ্তাহ অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে ২য় সপ্তাহের মধ্যেই গ্যাস বুষ্টারের কাজ শেষ করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করতে পারবো।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির সিদ্ধান্ত
নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। কাঠমান্ডু ও ঢাকার কর্মকর্তারা নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ২৫ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হওয়ার কয়েক মাস পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ কিনবে। বৈঠকের আগে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদ ঢাকা সফর করেন এবং বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি নেপালের প্রায় ৬০ হাজার মেগাওয়াট পরিচ্ছন্ন জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে জলবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। জানা গেছে, ভারতের জাতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। এটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) আমদানি করা হবে। এটি আনতে ভেড়ামারার এইচভিডিসি সাব-স্টেশন ব্যবহার করা হবে।  
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

টানা বর্ষণে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ছাড়িয়েছে ২০০ মেগাওয়াট
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে পানি বাড়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়িয়েছে ২০০ মেগাওয়াট। পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ ১০১ এলএলএস ছাড়িয়েছে, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। যার ফলে পানির ওপর নির্ভরশীল কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবকটি ইউনিটে চালু রয়েছে এবং এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। শনিবার (১২ আগস্ট) কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট দিয়ে ২০০ থেকে ২০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, শনিবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টা পর্যন্ত কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে মোট ২০০-২০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এ ছাড়া পানি পরিমাণ আরও বাড়লে সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়বে। এদিকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। হ্রদে বর্তমানে ৯২ এমএসএল পানি থাকার কথা থাকলেও শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১০১ দশমিক ৪৫ এমএসএল পানি রয়েছে। প্রসঙ্গত, কাপ্তাই হ্রদের পানির নির্ভরশীল দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন সক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট।
১২ আগস্ট, ২০২৩
X