চট্টগ্রামে কবিরাজ সুলাল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে রাউজান থানার চিকদাইর গ্রামে কবিরাজ সুলাল চৌধুরী হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম শফিকুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় অপরজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মিঠু চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. এরশাদ হোসেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন সুদীপ চৌধুরী এবং মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন ইলিয়াস ইলু।  চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘রাউজানের কবিরাজ সুলাল হত্যা মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার রায় দেয় আদালত। রায়ে চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অন্য এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘রায় ঘোষণার সময় শুধু মো. দেলোয়ার হোসেন ও সুদীপ চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত রায় ঘোষণা শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করে জেল হাজতে প্রেরণ করে এবং পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।’ আদালত সূত্র জানায়, সুলাল চৌধুরী রাউজান উপজেলার আজাদী বাজারের যুগিরহাট চাউল বাজারে অভয়া উষধালয় নামে একটি ফার্মেসি চালাতেন এবং কবিরাজি পেশায় ছিলেন। ২০১৬ সালের ২৫ জুন রাতে ফার্মেসির কাজ শেষে রিকশায় বাড়ি ফেরায় ফেরার পথে নোয়াজিশপুর চিকদাইর সড়কের নীল কমল কবিরাজের বাড়ি সংলগ্ন প্রিয়তোষ চৌধুরী চেয়ারম্যান বাড়ির পশ্চিমে পৌঁছলে মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রকাশ ইলুসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা তার গলায়, মাথায় ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রাস্তার পাশের ডোবায় ফেলে চলে যায়। ওইদিন রাত ১০টায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার ছেলে রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর ছয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
১০ ঘণ্টা আগে

স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার চান্দিনায় মোছা. মলেকা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে তার স্বামী জামাল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামাল হোসেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ছায়কোট গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে জামাল হোসেন নিজ ঘরে তার স্ত্রী মোছা. মলেকা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
০১ জুলাই, ২০২৪

কোহিনুর হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুর শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকার ভূঁইয়া বাড়িতে কোহিনুর হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (৩০ জুন) বিকেলে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলো নাজমা আক্তার নয়ন ও মো. রফিক। হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২২ আগস্ট রাত ৮টায় কোহিনুর বেগম আসামিদের কাছ থেকে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা তাকে ধারালো বঁটি দিয়ে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যা করে। মামলায় ১৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রঞ্জিত রায় চৌধুরী কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের এ রায়ে কোহিনুরের পরিবার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
৩০ জুন, ২০২৪

স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার চান্দিনায় মোছা. মলেকা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে তার স্বামী জামাল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (৩০ জুন) দুপুর ১২টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামাল হোসেন কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার ছায়কোট গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক।  হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে জামাল হোসেন নিজ ঘরে তার স্ত্রী মোছা. মলেকা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে রশি দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই খোরশেদ আলম বাদী হয়ে জামাল হোসেনসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় ২-৩ জনকে আসামি করে চান্দিনা থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামি জামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।  তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আসামি জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন ও রাষ্ট্রপক্ষের ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি জামাল হোসেনের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. নুরুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মোছা. মলেকা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আমরা আশাবাদী, উচ্চ আদালত রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. জামাল হোসেন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
৩০ জুন, ২০২৪

গান-সিনেমা দেখায় গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
বিদেশি গান বা সিনেমা দেখলেই পেতে হচ্ছে কঠোর সাজা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সেসব গান-সিনেমা পশ্চিমাদের প্রোপাগান্ডা।  তাই যারাই গান শুনছেন বা সিনেমা দেখছেন, তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে। শরিয়া আইনে পরিচালিত না হয়েও বছরের পর বছর এমনই কাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে এশিয়ারই এক দেশ। আর নীরবে এসব ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে দেশটির নাগরিকরা। এমনই কয়েকজন চাক্ষুস সাক্ষীর চাঞ্চল্যকর বয়ান সামনে আসতেই হইচই পড়ে গেছে। বিদেশি গান শোনা বা সিনেমা দেখা যাবে না, দেখলেই গুলি খেয়ে মরতে হবে। এমন ভীতিকর পরিবেশ থেকে বাঁচতে প্রাণ নিয়ে পালিয়েছেন অনেকে। আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী দেশে। এরপর প্রকাশ্যে এনেছেন এসব ঘটনা। উত্তর কোরিয়ার এসব ঘটনা দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন মন্ত্রণালয়। দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনা বা সিনেমা দেখায় নিজ দেশের নাগরিকদের পাখির মতো গুলি করে মারছেন কিম জং উন। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ চলছে উত্তর কোরিয়ার। তাই দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো কিছুই সহ্য করতে পারেন না কিম জং উন। প্রতিবেশী দেশের ‘প্রোপাগান্ডায়’ ভরা গান বা সিনেমা, তাদের দেশের সংস্কৃতি নষ্ট করছে, তাই কারও কাছে দক্ষিণ কোরিয়া গান-সিনেমা পেলেই কার্যকর করা হয় মৃত্যুদণ্ড। ২০২০ সালে করা একটি আইনের বলে এমন সাজা কার্যকর করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। জনপ্রিয় কে-পপ শোনা, সিনেমা দেখা এবং সেগুলো শেয়ার করার অপরাধে দুই বছর আগে ২২ বছরের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে কিম জং উনের প্রশাসন। উত্তর কোরিয়ার একজন দেশত্যাগীর বর্ণনার ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, প্রকাশ্যে বন্দুকের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ওই যুবককে। বিদেশির সংস্কৃতি দেশের ভেতর আনার অপরাধে ওই শাস্তি কার্যকর করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার রিপোর্ট-২০২৪ প্রকাশ করে। সেখানে উত্তর কোরিয়ার ৬৪৯ জন দেশত্যাগীর সাক্ষ্য রয়েছে। একটি সাক্ষ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার ৭০টি গান শোনায়, তিনটি সিনেমা দেখায় এবং সেগুলো বিতরণ করায় ২০২২ সালে দক্ষিণ হোয়ানঘায়ে প্রদেশে ২২ বছরের এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল উত্তর কোরিয়ায় কে-পপ নিষিদ্ধ করেছিলেন। পশ্চিমা ও তাদের মিত্রদের সংস্কৃতির ‘খারাপ প্রভাব’ থেকে নিজ দেশের জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিম জং ইল। তার ছেলে কিম জং উন ক্ষমতায় কড়াকড়ি আরও বৃদ্ধি করেন। পাশাপাশি কঠোর একটি আইনও তৈরি করেন। তবে উত্তর কোরিয়ার সরকার সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, দেশটির নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এটি একটি ষড়যন্ত্র।
২৯ জুন, ২০২৪

খুলনায় স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামী মো. কায়েদে আযমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক আব্দুস সালাম খান এই আদেশ দেন। ওই মামলার অন্য ছয় আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলো মো. কায়েদে আযমের বাবা আবু তালেব গাজী, ভাই ইসরাফিল, ভাবি মাফিয়া খাতুন, বন্ধু মো. মনি, রজব আলী ও জহুরুল। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে কয়রা উপজেলার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবু তালেব গাজীর ছেলে মো. কায়েদে আযমের সঙ্গে একই এলাকার ফজর ঢালীর মেয়ে নাজমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে নাজমা খাতুনের ওপর নির্যাতন চালাত কায়েদে আযম ও তার পরিবারের সদস্যরা। এই নিয়ে এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে বেশ কয়েকবার সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে স্ট্যাম্পে লিখিত অঙ্গীকার করে কায়েদে আযম। কিন্তু প্রতিবারই সে তার অঙ্গীকার ভঙ্গ করে নাজমা খাতুনের ওপর নির্যাতন চালাত।
২৭ জুন, ২০২৪

চাচিকে কুপিয়ে হত্যায় ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে চাচিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ভাতিজা মো. রাকিবুল হাসান টিটুকে (৩৪) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে জয়পুরহাট জ্যেষ্ঠ জেলা দায়রা জজ মো. নূর ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ আসামিকে জয়পুরহাট কারাগারে প্রেরণ করে। মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) বদরুল হোদা। আদালত ও মামলা সূত্রে  জানা গেছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রকিবুল ইসলাম টিটু জয়পুরহাট শহরের খনজনপুর মহল্লার আবু সুফিয়ানের ছেলে। আসামি টিটু তার চাচি মাসুমা বেগমের কাছ থেকে সুদে ২ হাজার টাকা নেন। এ টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চাচি মাসুমা বাড়ির আঙিনায় কাপড় শুকানোর জন্য দড়ি বাঁধতে গেলে টিটু তাকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন। গুরুত্বর আহত মাসুমাকে আশঙ্কাজনক অকস্থায় জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত মাসুমার মেয়ে বিউটি বেগম বাদী হয়ে ওই দিন টিটুকে একমাত্র আসামি করে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই তহিদুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল আসামি টিটুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আসামি টিটু গ্রেপ্তার হয়ে নিজেকে জড়িয়ে দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষের ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় প্রদান করেন।
০৬ জুন, ২০২৪

স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন, প্রেমিকসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পরকীয়ার কারণে স্বামী আশিক মিয়াকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টার দায়ে স্ত্রী মিনা বেগমকে যাবজ্জীবন ও তার প্রেমিকসহ ৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।  মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় দেন।  একই সঙ্গে স্ত্রী মিনা বেগকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ওই ৩ আসামির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গলায় রশি দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি তিন হলো বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুটিবাড়ির ছফু খাঁর ছেলে ও পরকীয়া করা শিবলু ওরফে ফকির (২৪), রামনগর (তরফদার বাড়ি) গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম তরফদারের ছেলে শান্ত মিয়া ওরফে নয়ন ওরফে সিয়াম (২৩) ও আমতলী দক্ষিণপাড়ার তরিকুল মণ্ডলের ছেলে নাইম (২৫)। রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।  রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, মৃত আশিক মিয়ার সঙ্গে চার বছর আগে মিনা বেগমের বিয়ে হয়। এ দম্পতির মহিন (৩) নামের একটি ছেলে আছে। এদিকে আসামি ফুফাতো ভাই শিবলুর সঙ্গে মিনা বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং তার স্বামীর চোখেও পড়ে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনার জের ধরে ২০২০ সালের ২ অক্টোবর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামিরা আশিককে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ এবং গোপনাঙ্গে আঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে এসিড দিয়ে মুখ পুড়িয়ে নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া হয়।  ঘটনার দুদিন পর ৪ অক্টোবর সারিয়াকান্দি উপজেলার ছাগলধরা গ্রামে বাঙালি নদী থেকে আশিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন নিহতের ভাই আনিছ উদ্দিন বাদী হয়ে সাজাপ্রাপ্ত চারজনকে আসামি করে সারিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পরই আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ওই চারজকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে তিনবছর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত রায় ঘোষণা করে। মামলায় আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাড. মন্তেজার রহমান. অ্যাড. আবু বক্কর সিদ্দিক. অ্যাড. বাবলু। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, সমাজের স্বাভাবিক নীতি যারা নষ্ট করে নৈতিক মূল্যবোধ ভাঙ্গতে চায় এ রায় তাদের জন্য দৃষ্টান্ত। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।
০৪ জুন, ২০২৪

শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ১১ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় জেলহাজতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ আইনের ১৯(৪) (খ) ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩০২ ধারায় আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাসেল সিকদার (২৩) বোয়ালমারী থানার ইছাডাঙ্গা গ্রামের মনোয়ার সিকদারের ছেলে।  আদালত সূত্রে জানা যায়, শিশুটি আসামি রাসেল সিকদারের চাচাতো বোন হতো। শিশুটি তখন পাশের এইট বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তারা একে অন্যের প্রতিবেশী ছিল। ঘটনার দিন ২০২২ সালের ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় শিশুটিকে রাসেলদের বাড়ি থেকে পাওনা দেড়শ টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। রাসেল তখন বাড়িতে একাই ছিল। শিশুটি রাসেলের বাড়িতে টাকা আনতে গেলে রাসেল পাশের গোসল খানায় নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের কথা জানাজানি হওয়ার ভয়ে শিশুটিকে হাত পা বেঁধে, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে পরিবার শিশুটিকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি ও মসজিদে মাইকিং করতে থাকে এবং ৯৯৯ কল করে পুলিশকে খবর দেয়। সে সময় রাসেল পালানোর চেষ্টা করলে তাকে কৌশলে আটক করা হয়। পরে তার দেখানো মতে গোসল খানার ভেতর শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা মো. মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় একটি ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাসেলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে রাসেল হত্যার বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। বোয়ালমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আজাদ হোসেন ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিলে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) স্বপন কুমার পাল বলেন, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে। এ রায়ের ফলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।
০৪ জুন, ২০২৪

যৌতুক দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী আব্দুর রহিমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুর রশিদ। দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম (২৮) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মাইলাব মার্জিনা গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে। আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রকিবুদ্দিন আহমেদ জানান, রূপগঞ্জ উপজেলার মোস্তফা মিয়ার মেয়ে ফাতেমার (১৯) একই উপজেলার আব্দুর রহিমের সঙ্গে বিয়ে হয়। ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর আব্দুর রহিম ফাতেমার কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করে মারধরের পর হত্যা করে। এরপর হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ওই ঘটনায় নিহত ফাতেমার বাবা মোস্তফা বাদী রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী রহিমকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
০৩ জুন, ২০২৪
X