খালেদা জিয়ার মুক্তি রাজনৈতিক বিষয় নয়
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও বিএনপি মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসা গ্রহণ শেষে বাসায় ফিরে গেছেন। বিএনপি নেত্রীর মুক্তি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। এটা আইনগত বিষয়। আইনগত বিষয়ে বিএনপি আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা না করে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ-সংক্রান্ত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করছে। কিন্তু সেই আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপি জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুকে প্রাধান্য না দিয়ে একটি অরাজনৈতিক বিষয়কে রাজনৈতিক ইস্যু করার অপচেষ্টা করছে। তিনি বলেন, মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। তাদের মিথ্যাচার ও অপপ্রচার জনগণের সামনে প্রকাশিত হওয়ায় বিএনপি বারবার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বিএনপি কখনোই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে পারেনি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অবস্থান সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মেরুতে। বিএনপি ও তাদের দোসররা সেই আদর্শগত অবস্থান পরিবর্তন না করায় আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরাজমান সংকটের সমাধান দুরূহ। এ সংকট মোকাবিলায় মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি যখনই তাদের তথাকথিত আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামে, তখন তারা তাদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনীকে সক্রিয় করে। আর এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করতে সক্ষম হতো বা তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে পারত, তাহলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সৎসাহস দেখাতে পারত। সেটা না থাকার কারণে বরাবরই বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যারা গণতান্ত্রিক পন্থার ব্যত্যয় ঘটাতে সন্ত্রাস-সহিংসতাকে উসকে দেওয়ার পাঁয়তারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
০৫ জুলাই, ২০২৪

১৫ আগস্ট ভারতে মুক্তি পাচ্ছে চঞ্চলের ‘পদাতিক’
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। গতবছর ভারতের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনের বায়োপিকে নাম লেখিয়ে হইচই ফেলে দেন। এবার জানা গেল সিনেমাটির মুক্তির তারিখ। আগামী ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পাবে ‘পদাতিক’। এটি নির্মাণ করেছেন সৃজিত মুখার্জি। ‘পদাতিক’ সিনেমায় মৃণাল সেন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। ইতোমধ্যেই পোস্টার ও টিজারে প্রশংসিত হয়েছেন এই অভিনেতা। তবে পর্দায় কিংবদন্তিকে ধারণ করা যে সহজ ছিল না তার প্রমাণ মিলেছে সিনেমার শুটিং শুরু হবার পর থেকেই। সিনেমায়  মৃণালের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মনামী ঘোষ। এ ছাড়া এতে আরও অভিনয় করেছেন কোরাক সামান্থা, সম্রাট চক্রবর্তী এবং জিতু কমলসহ অনেকে।  
০৩ জুলাই, ২০২৪

কস্তার বীরত্বে লজ্জা থেকে মুক্তি রোনালদোর
বর্তমানে পৃথিবীতে পর্তুগালের গোলকিপার দিয়েগো কস্তাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে কে? উত্তরটা হবে পর্তুগালের স্ট্রাইকার ও অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কারণ চলমান ইউরোর রাউন্ড অফ ১৬-এ পর্তূগালের এই গোলকিপারই যে রোনালদোকে বাঁচিয়েছে লজ্জার হাত থেকে। দিয়েগো কস্তা আজ না থাকলে রোনালদোকে যে দেশের হয়ে পেনাল্টি মিসের তকমা নিয়ে বিদায় নিতে হতো। তবে কস্তা সেটি হতে দেননি। স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে এই গোলকিপারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই যে সিআরসেভেনদের কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়েছে। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২ জুন) ইউরোর রাউন্ড অব ১৬-এ স্লোভেনিয়াকে পেনাল্টি শুট আউটে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল। টাইব্রেকে টানা তিনটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান পর্তুগীজ গোলকিপার কস্তা। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত গোলের দেখা না পাওয়া রোনালদো টুর্নামেন্টে তার প্রথম গোলের জন্য খুঁজছিলেন। তবে আজকের ম্যাচে তাকে একটি রোলারকোস্টার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে । অতিরিক্ত সময়ে তার পেনাল্টি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের গোলরক্ষক জান ওবলাক বাঁচানোর পর, রোনালদো দৃশ্যত মুষড়ে পড়েছিলেন। তবে, তিনি দ্রুত পুনরুদ্ধার করে শুটআউটে পর্তুগালের প্রথম পেনাল্টি স্কোর করেন এবং একটি স্মরণীয় সমাপ্তির জন্য মঞ্চ তৈরি করেন। গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তা পর্তুগালের জন্য নায়ক ছিলেন, স্লোভেনিয়ার তিনটি পেনাল্টির সবগুলোই তিনি ঠেকান। এরপর ম্যানচেস্টার সিটির বার্নার্ডো সিলভা নিখুঁতভাবে শেষ কিকটি নেট করে জয় নিশ্চিত করেন, পর্তুগিজ খেলোয়াড় এবং ভক্তদের মধ্যে উল্লাসের ঝড় তোলে। ম্যাচটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্তেজনায় পূর্ণ ছিল। নিয়মিত সময়ের শেষ মিনিটে রোনালদো একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু সোজা ওবলাকের দিকে শট করেন। অবিরাম চাপ এবং অসংখ্য ক্রস সত্ত্বেও, পর্তুগাল নিয়মিত সময়ের মধ্যে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিল। প্রথমার্ধে জোয়াও পালিনহা পোস্টে আঘাত করেন, যা পর্তুগালের আধিপত্যকে হাইলাইট করে। তবে, স্লোভেনিয়া দৃঢ়তা এবং সহনশীলতার সাথে রক্ষা করেছিল। বেনজামিন সেসকো অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু কস্তা দ্বারা প্রতিহত হন, যা স্লোভেনিয়ার রাতের অপচয়ের সারমর্ম তুলে ধরে। শেষ পর্যন্ত, পর্তুগালের অধ্যবসায়ের ফলাফল পায় যখন স্লোভেনিয়া শুটআউটে ভেঙে পড়ে। কস্তার বীরত্ব নিশ্চিত করে যে রোনালদোর ইউরো জয়ের স্বপ্ন এখনও জীবিত রয়েছে। এই জয়ের মাধ্যমে পর্তুগাল শুক্রবার হ্যামবার্গে ফ্রান্সের সাথে কোয়ার্টার-ফাইনালে মুখোমুখি হবে। রোনালদো, সব সময়ের মতো এই ম্যাচেও কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। তার অপ্রতিরোধ্য প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিনি ম্যাচের সময় নেটটি খুঁজে পাননি। তার হতাশা স্পষ্ট ছিল যখন তিনি মূল সুযোগগুলো মিস করেন, যার মধ্যে বাঁচানো পেনাল্টি তাকে অশ্রুসিক্ত করে তোলে। তবে, তার দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং শুটআউটে সফল পেনাল্টি তার দৃঢ়তা প্রদর্শন করে। স্লোভেনিয়া, যারা একটি বড় টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে প্রথমবারের মতো উপস্থিত হয়েছিল, সাহসী লড়াই করেছিল। তাদের ভক্তরা দুই ঘন্টা আগে পতাকা, ড্রাম এবং স্লোগান দিয়ে একটি প্রাণবন্ত পরিবেশ তৈরি করেছিল। তারা ওবলাকের পেনাল্টি সেভকে ফ্লেয়ার দিয়ে উদযাপন করেছিল এবং তার পূর্ববর্তী সুযোগগুলো মিস হওয়ায় ব্যঙ্গ করেছিল।
০২ জুলাই, ২০২৪

জুলাইয়ে মুক্তি পাচ্ছে ‘হৈমন্তীর ইতিকথা’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প থেকে বাংলাদেশে অনেক নাটক টেলিফিল্ম হলেও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র খুব বেশি হয়নি। ‘শাস্তি’ ও ‘সুভা’ ছোটগল্প থেকে চাষী নজরুল ইসলাম নির্মাণ করেছেন দুটি চলচ্চিত্র। ‘কাবুলিওয়ালা’ ছোটগল্প থেকে কাজী হায়াৎ নির্মাণ করেছেন একটি এবং ‘সমাপ্তি’ ছোটগল্প অবলম্বনে ‘অবুঝ বউ’ নির্মাণ করেছেন নারগিস আক্তার। এবার ‘হৈমন্তী’ ছোটগল্প অবলম্বনে ‘হৈমন্তীর ইতিকথা’ নির্মাণ করলেন মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন। এই চলচ্চিত্রের সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই। এটি মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৭ জুলাই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হৈমন্তী’ ছোটগল্পটি দীর্ঘসময় ধরে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত থাকায় দেশের অনেকেই এই গল্প সম্পর্কে জানেন। এই গল্পে যেমন উঠে এসেছে যৌতুক প্রথার ভয়াবহ রূপ, একজন নবীন গৃহবধূর নিষ্ঠুর-নির্মম মানসিক যন্ত্রণার উপাখ্যান। আরও উঠে আসে পরিণত বয়সের স্বামী-স্ত্রীর যাপিত জীবনের কামনা-বাসনা প্রেম রোমাঞ্চের অনবদ্য কিছু মুহূর্ত। শত বছর আগের এই গল্পের পোশাক-পরিচ্ছদ ও পরিবেশ তৈরি করে এই চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন বেশ জটিল ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সবকিছুই নির্মাতাকে অত্যন্ত দক্ষতা ও সতর্কতার সঙ্গে আয়োজন করতে হয়েছে। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রটি লাভ করেছে আনকাট সেন্সর সনদপত্র। এই চলচ্চিত্রের নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন নবাগত চিত্রনায়িকা ঐশিকা ঐশি। অপু চরিত্র করেছেন চিত্রনায়ক সাইফ খান। অন্যান্য চরিত্র রূপায়ণ করেছেন ঝুনা চৌধুরী, রাশেদা চৌধুরী, খলিলুর রহমান কাদেরী, মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন, মুনা আক্তার, অরূপ কুণ্ডু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, আনিছুর রহমান, শিশুশিল্পী সিমন্তিনী চৌধুরী প্রমুখ। চলচ্চিত্রে সংযুক্ত কয়েকটি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ড. অণিমা রায়, মামুন জাহিদ, শিমু দে ও জয়ন্ত আচার্য্য। সংগীতায়োজন করেছেন দীনবন্ধু দাশ, আবহসংগীত করেছেন অমিত চ্যাটার্জি। নির্মাতা মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন ইতোপূর্বে নির্মাণ করেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হরিজন, ভাঙন, একজন মহান পিতা, অপুর বসন্তসহ জীবনমুখী কিছু চলচ্চিত্র।
০১ জুলাই, ২০২৪

বিএনপির অগ্রাধিকারে খালেদা জিয়ার মুক্তি
জাতীয় নির্বাচনের পর বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কর্মসূচি পালন করলেও এবার ‘গুরুতর অসুস্থ’ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জোরালোভাবে মাঠে নামতে চায় বিএনপি। দীর্ঘদিনেও দলীয় চেয়ারপারসনকে মুক্ত করতে না পারায় অনুতপ্ত নেতারা এই ইস্যুতে ধারাবাহিক আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেইসঙ্গে দুর্নীতি, লুটপাট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ চলমান কিছু ইস্যুকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তিন দিনের চলমান কর্মসূচির পর আরও কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। অবশ্য নতুন কর্মসূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, অবস্থান, অনশনের মতো কর্মসূচি দলের হাইকমান্ডের বিবেচনায় রয়েছে। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পর্যায়ক্রমে এসব কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এর মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ত্বরান্বিত হবে। নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির স্বার্থে কারও সঙ্গে কোনো আপস হবে না। আমরা তাকে মুক্ত করে ছাড়ব। নেত্রীর মুক্তির লক্ষ্যে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে, এরপর আরও কর্মসূচি আসবে। আমরা বহুদিন পর প্রথম খালেদা জিয়াকে নিয়ে মুখ খুলেছি, এই মুক্তির আন্দোলন থামবে না।’ দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন তিনি। ওই সময় আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকাসহ দেশব্যাপী মানববন্ধন, অবস্থান, গণঅনশন, লিফলেট বিতরণ, বিক্ষোভ সমাবেশ, সমাবেশসহ নানান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। পরে করোনা মহামারির সময় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাময়িক স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। কারামুক্তির পর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থাকছেন শারীরিকভাবে অসুস্থ খালেদা জিয়া। এমন অবস্থার মধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২১ জুন গভীর রাতে খালেদা জিয়াকে বাসা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। বিএনপি নেতারা জানান, দলের নেতাকর্মীদের কাছে খালেদা জিয়া প্রবল আবেগের নাম। তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন জোরদার করা দলের প্রতিটি স্তরের দাবি। এ কারণেই দলের স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে দলীয় চেয়ারপারসনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত শনিবার ঢাকায় সমাবেশ করে বিএনপি। নির্বাচনের পর খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশসহ দু-একটি কর্মসূচি হলেও শনিবারের সমাবেশ ছিল বৃহৎ সমাবেশ। দলটির দাবি, ঢাকা মহানগর বিএনপিসহ পার্শ্ববর্তী জেলা ও মহানগরগুলো থেকে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল, বড় সমাবেশের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পুনর্গঠন, ঢাকা মহানগর বিএনপি ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন সামনে রেখে এই সমাবেশকে নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্র হিসেবেও দলের বিবেচনায় ছিল। ওই দিনের সমাবেশে যুবদল নেতা মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়ন, এসএম জাহাঙ্গীর, মামুন হাসান, মহানগর উত্তর বিএনপির আমিনুল হক, সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণ বিএনপির নবীউল্লাহ নবী, রফিকুল আলম মজনু, তানভীর আহমেদ রবিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা জেলা বিএনপির নিপুণ রায় চৌধুরীসহ অনেকেই ব্যাপক শোডাউন করেন। সমাবেশ থেকে দীর্ঘদিনেও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারায় অকপটে নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। এমন অনুধাবন থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামীতে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিএনপির এই সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ইস্যুতে যুগপতের শরিকদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়ে। তাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে একত্রীভূত করে সোচ্চার আওয়াজ তুলতে বলেন বিএনপি নেতারা। খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে সরকারকে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা। ঢাকার সমাবেশ মূল্যায়ন করতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল কালবেলাকে বলেন, ‘২৯ জানুয়ারির সমাবেশের বেশ কয়েকটি সফল দিক আছে। গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর প্রথম ঢাকায় এত বড় সমাবেশ হলো। বৃষ্টি ও গরম উপেক্ষা করে সমাবেশে নেতাকর্মীদের উপচে পড়া উপস্থিতি লক্ষণীয়, যা সামনের আন্দোলনকে আরও বেগবান করবে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন আর ত্বরান্বিত হবে।’ নির্বাচনের পর সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচন দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। জানা গেছে, সংগঠন পুনর্গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি এই দুই ইস্যুকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের আগামী দিনের সেই আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য আবার প্রস্তুত করছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকার সমাবেশে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি দলকে আশাবাদী করে তুলেছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, বিগত আন্দোলন ঘিরে শত অত্যাচার-নির্যাতন, হতাশা সত্ত্বেও কেউ দল ছেড়ে যায়নি। ঢাকার সমাবেশে ব্যাপক উপস্থিতি সেটা ফের প্রমাণ করেছে। বিএনপিই যে তাদের আশ্রয়স্থল, সেটাও প্রমাণিত হয়েছে। এটাই দলের বড় সম্পদ। ঢাকা ও সিলেট ছাড়া সব মহানগরে সমাবেশ আজ:খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার ঢাকা বাদে সব মহানগরে একযোগে সমাবেশ করবে বিএনপি। এ ছাড়া আগামী বুধবার দেশব্যাপী জেলা শহরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এসব সমাবেশ সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা নিজ নিজ জেলায় কর্মসূচিতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ করবেন। আর সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা কর্মসূচি সফল করতে সার্বিকভাবে সমন্বয় করবেন। এসব সমাবেশ ঘিরে জেলা জেলায় দলের সিনিয়র নেতারা যাবেন। জানা গেছে, গাজীপুর মহানগর ও জেলার সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন মির্জা আব্বাস। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়; ময়মনসিংহ মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় সেলিমা রহমান; চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী; খুলনা মহানগর ও জেলায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি; বরিশাল মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় আলতাফ হোসেন চৌধুরী; কুমিল্লা মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় মো. শাহজাহান; রংপুর মহানগর ও জেলায় শামসুজ্জামান দুদু; ফরিদপুর মহানগর ও জেলায় নিতাই রায় চৌধুরী এবং রাজশাহী মহানগর ও জেলায় রুহুল কবির রিজভী প্রধান অতিথি থাকবেন। তবে বন্যাকবলিত হওয়ায় সিলেট মহানগর ও জেলায় এই ধাপে সমাবেশ হবে না।
০১ জুলাই, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি / ১৩ মাস পর মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা চাঁদ
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করা মামলায় গ্রেপ্তারের ১৩ মাস ৫ দিন পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। রোববার (৩০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। এদিকে আবু সাঈদ চাঁদের স্ত্রী শাহানা বেগম (৬০) শনিবার দুপুরে মারা গেছেন। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে রোববার বিকেলে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই আবু সাঈদ চাঁদ স্ত্রীর মরদেহ দেখতে ছুটে যান। এর আগে গত ২৪ মার্চ চাঁদের মা আশরাফুন্নেসা মারা যান। সেদিন আড়াই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নেন বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ। গত বছরের ১৯ মার্চ রাজশাহীর পুঠিয়ায় জেলা বিএনপির এক সমাবেশে আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।’ তার এ বক্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মামলা হতে শুরু করে। এরপর ২৫ মে রাজশাহী মহানগর পুলিশ নগরীর ভেড়িপাড়া মোড় থেকে বিএনপির এই নেতাকে গ্রেপ্তার করে। চাঁদের আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন জানান, চাঁদের বিরুদ্ধে মোট ২১টি মামলা হয়েছিল। সব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে হয়েছে। সবশেষ ঈদের আগে ফরিদপুরের একটি মামলায় চাঁদের জামিন হয়। এরপর থেকে তিনি মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন। রোববার দুপুরে উচ্চ আদালত থেকে জামিনের আদেশ রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছায়। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেয়।
৩০ জুন, ২০২৪

‘বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হলেই গণতন্ত্রের মুক্তি হবে’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আওয়ামী সরকার দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে গৃহবন্দি করে রেখেছে। তার ওপর নির্মম নির্যাতন হয়েছে, তার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার লালিত স্বপ্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে। বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হলেই গণতন্ত্রের মুক্তি হবে। শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে নগরের কাজীর দেউরির নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আগামী ১ জুলাই (সোমবার) বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি সোমবার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান। এ সময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে এ জনবিচ্ছিন্ন সরকার ভয় পায়। এ জন্যই তার ওপর এত জুলুম নির্যাতন নেমে এসেছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সাহসের বাতিঘর। বন্দি থাকা অবস্থায় সুচিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা আরও তীব্র হয় এবং তার জীবন হুমকির মুখে পড়ে। তিনি বলেন, আইনগতভাবে বারবার তার জামিনের আবেদন করা হলেও সরকারের হস্তক্ষেপে জামিন দেওয়া হয়নি। এ ডামি সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র সমার্থক। সরকার জনগণের দাবিকে অগ্রাহ্য করে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রেখেছে। মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন ও নগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সাবেক সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুনসহ আরও অনেকে।
২৯ জুন, ২০২৪

বাংলাদেশেও মুক্তি পাবে মিলনের হলিউড সিনেমা 
আসছে ৫ জুলাই বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন অভিনীত ‘বনইয়ার্ড’। নায়কের দ্বিতীয় হলিউড সিনেমা এটি। মেল গিবসনের মতো তারকার দেখে মিলবে সিনেমায়।  নতুন খবর হলো এই, বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও মুক্তি পাবে সিনেমাটি। দেশের প্রেক্ষাগৃহে বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই মুক্তি পাবে ‘বনইয়ার্ড’ চলচ্চিত্রটি।      বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ আনিসুর রহমান মিলন কালবেলাকে বললেন, আমি খুবই আনন্দিত। পরিচালক আমাকে জানিয়েছেন ‘বনইয়ার্ড’ বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হবে। এজন্য তিনি কাজ শুরু করেছেন। তবে ৫ জুলাই বাংলাদেশে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে না। শিগগিরই দেশের সিনেমা হলে কবে মুক্তি দেওয়া হবে সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। তিনি আরও বলেন, একজন সিরিয়াল কিলারকে নিয়ে বনইয়ার্ড’র গল্প এগিয়ে যায়। যার খোঁজ করতে মাঠে নামে মেল গিবসন। এখানে আমি নানাভাবে সাহায্য করি তাকে। এই সিনেমা নিয়ে আমি দারুণ আশাবাদী।  ‘বনইয়ার্ড’ পরিচালনা করেছেন আসিফ আকবর। তিনি বলেন, দেশের প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি রয়েছে। সেজন্য কাজও শুরু হয়েছে। মূলত বাংলা ও ইংরেজি ভাষাতে মুক্তির পরিকল্পনা থাকায় এই মুহূর্তে দেশের প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। একসঙ্গে দুই ভাষায় সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি দিতে চাই আমি।     এদিকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন মিলন। বাংলাদেশের দ্রুত যেন সিনেমাটি মুক্তি পায় বিষয়টি নিয়ে পরিচালককে সহায়তা করছেন তিনি। 
২৮ জুন, ২০২৪

হলিউডে মিলনের মুক্তি
দাপুটে অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। অভিনয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন বহুবার। নাটক কিংবা সিনেমা দুই পর্দাতেই অভিনয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন এই অভিনেতা। এবার মিলন অভিনীত ‘বনইয়ার্ড’ নামে হলিউডের সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আসছে ৫ জুলাই বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এতে মেল গিবসনের মতো তারকাও অভিনয় করেছেন। এটি নির্মাণ করেছেন আসিফ আকবর। সিনেমাটি নিয়ে মিলন বলেন, ‘আমার হলিউডে দ্বিতীয় সিনেমা বনইয়ার্ড। প্রযোজনা করেছে লায়ন্স গেট। কাজটি নিয়ে খুব আশাবাদী আমি। দর্শক আমাকে এত বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সিনেমায় দেখবেন। এ ছাড়া মেল গিবসনের সঙ্গে পর্দায় হাজির হবো, এটা অনেক বড় ব্যাপার আমার জন্য। একজন সিরিয়াল কিলারকে নিয়ে সিনেমাটির গল্প সাজানো হয়েছে, যার খোঁজ করতে মাঠে নামেন মেল গিবসন। এখানে তাকে আমি নানাভাবে সাহায্য করি।’ তবে বাংলাদেশে সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহে আসছে না। মিলন জানালেন, আগে থেকে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের যমুনা ব্লকবাস্টারের চুক্তি ছিল। তবে সম্প্রতি সেটা বাতিল হয়েছে বলে জেনেছেন তিনি। ফলে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে না ‘বনইয়ার্ড’। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন মিলন। ‘বনইয়ার্ড’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে সেটা এখন সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান মিলন। গেল সপ্তাহে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি।
২৮ জুন, ২০২৪

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ৬১০ কৃষিবিদের
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে অবিলম্বে তার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন ৬১০ কৃষিবিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন ও সদস্য সচিব অধ্যাপক জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। ৬১০ জন কৃষিবিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় কৃষিবিদ নেতা, সিনিয়র কৃষিবিদ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কৃষি, মৎস্য, পশুচিকিৎসক, পশুপালন, কৃষি অর্থনীতি ও কৃষি প্রকৌশলীরা। বিবৃতিদাতা কৃষিবিদদের অন্যতম হলেন ডিএইর সাবেক মহাপরিচালক মো. ইবরাহিম খলিল, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সাবেক মহাসচিব আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামিম, বিএডিসির সাবেক চেয়ারম্যান হাসান জাফির তুহিন ও মুখলেছুর রহমান; সাবেক ভাইস চ্যান্সেলরদের ড. মোশাররফ হোসাইন মিঞা, ড. মো. আব্দুল হালিম খান, ম. মুস্তাফিজুর রহমান, ড. এ. এম. ফারুক, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রমুখ।
২৮ জুন, ২০২৪
X