জাবিতে শিক্ষার্থীকে আটকে ধর্ষণচেষ্টা, মুক্তিপণ দাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে দুই শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, নারী শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণচেষ্টা’ ও ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে দুই বহিরাগতকে পুলিশে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন মনপুরা এলাকার প্রবেশপথে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর রাত ২টার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলায় পরে আটক দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তারা হলো নাজমুল হাসান (৩২) ও মো. আল-আমিন (২৮)। নাজমুল সাভারের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তার বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খলিলপুর গ্রামে। আল-আমিন একই প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন প্রকল্পে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন ও তার বান্ধবী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্যাম্পাসের বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশ দিয়ে মনপুরা এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনজন ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে দাঁড়ায়। তারা সঙ্গে সঙ্গে ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এলাকাটি নির্জন হওয়ায় সেখানে দুই শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে ২০ লাখ টাকা দাবি করে তারা। অন্যথায় নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে ওই নারী শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাবও দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। প্রায় তিন ঘণ্টা পর রুহুল কৌশলে বন্ধুদের ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে সালাম বরকত হল থেকে শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ সময় ছিনতাইকারীদের বেধড়ক মারধর করেন। অভিযুক্তদের একজন পালিয়ে গেলেও দুজনকে হাতেনাতে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত পৌনে ১টার দিকে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক নুর আলম মিয়া অভিযুক্ত, ভুক্তভোগী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আশুলিয়া থানায় যান। তবে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কিংবা প্রক্টরিয়াল বডির কাউকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এমন ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির অনুপস্থিতির ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘কার্যত প্রক্টর পরিবর্তন হলেও প্রক্টর বডির কোনো পরিবর্তন হয়নি, যেটি একটি ব্যর্থতা। এর দায় বর্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের ওপর।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল বলেন, ‘ঘটনা জানার পর তাৎক্ষণিক প্রক্টরকে অবহিত করেছি। পরে রেজিস্ট্রারের অনুমতি সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের হাত থেকে আটককৃতদের নিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি।’ প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হতে পারিনি। কারণ সাবেক উপাচার্যের জানাজা শেষ করে আসতে রাত ৮টা পেরিয়ে যায়। তবে সহকারী প্রক্টরদের অনুপস্থিতির বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।’
২৭ জুন, ২০২৪

জিম্মি লিবিয়ায়, মুক্তিপণ দাবি গুরুদাসপুরে
লিবিয়ায় জিম্মি নাটোরের গুরুদাসপুরের ৪ যুবক। মুক্তিপণ হিসেবে ৪০ লাখ টাকার জন্য চালানো হচ্ছে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন। এমন ভিডিও দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন যুবক সোহান প্রাং (২০) এর মা ধুলি বেগম ও বাবা মো. শাজাহান প্রাং। জ্ঞান ফিরলে একমাত্র সন্তানকে ফিরে পেতে চিৎকার করে কান্নাকাটি করছেন। জান ভিক্ষা চান নিজ সন্তানের। নিজ সন্তানসহ জিম্মি সবাইকে নিরাপদে তাদের মায়ের কোলে ফিরে দেওয়ার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রীকে। আকুতি জানিয়েছেন লিবিয়ায় জিম্মি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের অপর তিন যুবকেরও পরিবার। তারা একই গ্রামের মো. তয়জাল শেখের ছেলে মো. সাগর হোসেন (২৪), মৃত শুকুর আলীর ছেলে নাজিম আলী (৩২) ও এমদাদুলের ছেলে মো. বিদ্যুৎ হোসেন (২৬)। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় থাকেন এমদাদুল হক। সেখানে তিনি করেন ভালো চাকরি। নিজ সন্তানসহ গ্রামের অপর তিনজনকে তিনিই নিয়ে যান। সংসারে ফিরবে সচ্ছলতা এমন আশায় নিঃস্ব হয়ে নিজ ভিটামাটি বন্ধক, ধার-দেনা, আর ঋণ করে তিন যুবককে বিদেশে পাঠায় তাদের পরিবার। সেখানে তারা সবাই ভালো ছিলেন। কাজ করে প্রতি মাসে পরিবারে পাঠাতেন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। সেই টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে থাকে তাদের পরিবার। গত ২ জুন পরিবারে নেমে আসে কালো মেঘ। ৪ প্রবাসীর পরিবারে ইমু নাম্বারে লিবিয়া থেকে আসে একটা ফোন। অপহরণ করা হয়েছে তাদের সন্তানকে। জিম্মিদের ফিরে পেতে মুক্তিপণ চাওয়া হয় চার পরিবারের কাছে ৪০ লাখ টাকা। তবে যারা অপহরণ করেছেন তারাও বাঙালি। তবে তাদের পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। পরিবারের ‘ইমু’ নম্বরে জিম্মি যুবকদের শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো হয়। টাকা দিতে দেরি হলে বাড়ানো হবে নির্যাতনের মাত্রা। মুক্তিপণ না দিলে তাদের সন্তানকে মেরে ফেলা হবে এমন হুমকিও দেওয়া হয়। প্রবাসী সোহানের বাবা শাজাহান কালবেলাকে জানান, কান্নাজড়িত কণ্ঠে অপহরণকৃত তার ছেলে সোহান বলছিল, মা বাঁচাও, বাবা বাঁচাও। ১০ লাখ টাকা দিতে হবে, না দিলে মেরে ফেলবে, এবারের মতো আমাকে বাঁচিয়ে আমার জীবন ভিক্ষা দাও মা। তারপর ছেলে সোহানকে একটি রুমের মধ্যে বেঁধে রেখে মারধরের ভিডিও পাঠায়। জিম্মি প্রবাসী যুবক সাগরের মা ছকেরা বেগম বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে সরকারি অনুদানে কোনো রকমে চলতেন তিনি। তিনিও নিজের জমানো শেষ সম্বল ও এনজিও থেকে ঋণ করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন দুই বছর আগে। ঋণ এখনো পরিশোধ করতে পারেননি তিনি ও তার ছেলে। এখন আবার ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করছে ১০ লাখ টাকা। তিনি তার একমাত্র ছেলেকে উদ্ধারে নিজের কিডনি বিক্রি করতে চান। গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. উজ্জ্বল হোসেন জানান, এ-সংক্রান্ত কোনো ঘটনা তাকে কেউ এখন পর্যন্ত জানায়নি। তবে জানামাত্রই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। জিম্মি পরিবারকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
০৯ জুন, ২০২৪

লিবিয়ায় জিম্মি ৪ যুবক / পরিবারের কাছে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি
নাটোরের গুরুদাসপুরের চার যুবককে লিবিয়ায় অপহরণ করে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ পেতে চারজনকে নির্যাতন করে সেই দৃশ্যের ভিডিও পাঠানো হয়েছে ভুক্তভোগী যুবকদের পরিবারের কাছে। নির্যাতনের ভিডিও দেখে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন স্বজনরা। অপহরণের শিকার চার যুবক হলেন- উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. শাজাহানের ছেলে সোহান (২০), মো. তয়জাল শেখের ছেলে মো. সাগর হোসেন (২৪), মৃত শুকুর আলীর ছেলে নাজিম আলী (৩২) ও এমদাদুলের ছেলে মো. বিদ্যুৎ হোসেন (২৬)। তারা সবাই একে অপরের আত্মীয়। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় থাকেন এমদাদুল হক। সেখানে তিনি ভালো চাকরি করেন। নিজ সন্তানসহ নিজ গ্রামের অপর তিনজনকে তিনিই নিয়ে যান। সংসারে ফিরবে সচ্ছলতা- এমন আশায় নিঃস্ব হয়ে ধার-দেনা করে তিন যুবককে বিদেশে পাঠান তাদের পরিবার। সেখানে ভালোও ছিলেন সবাই। কাজ করে প্রতি মাসে পরিবারে পাঠাতেন ১৫-২০ হাজার টাকা। সেই টাকা দিয়ে সংসারসহ ধার-দেনা পরিশোধ করতে থাকে তাদের পরিবার।  গত (২ জুন) ৪ প্রবাসীর পরিবারে লিবিয়া থেকে ফোন আসে। অপহরণ করা হয়েছে তাদের সন্তানদের- এমন সংবাদ দেওয়া হয়। তাদের ছাড়তে মুক্তিপণ চাওয়া হয় ৪০ লাখ টাকা। তবে যারা অপহরণ করেছেন তারাও বাঙালি। তাদের পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।  পরে জিম্মি যুবকদের শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও পাঠায় অপহরণকারীরা। টাকা দিতে দেরি হলে নির্যাতন আরও বাড়বে বলে হুমকি দেওয়া হয়। মুক্তিপণ না দিলে তাদের সন্তানদের মেরে ফেলা হবে এমন হুমকিও দেওয়া হয় পরিবারকে। ভুক্তভোগী সোহানের বাবা শাজাহান কালবেলাকে বলেন, রোববার আমার মোবাইল ফোনের ইমু নম্বরে লিবিয়া থেকে কল আসে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে অপহরণের শিকার ছেলে সোহান বলছিল, মা বাচাঁও, বাবা বাচাঁও। ১০ লাখ টাকা দিতে হবে, না দিলে মেরে ফেলবে, এবারের মতো আমাকে বাঁচিয়ে আমার জীবন ভিক্ষা দাও মা। তারপর সোহানকে একটি রুমের মধ্যে বেঁধে রেখে মারধরের ভিডিও পাঠায় অপহরণকারীরা।  জিম্মি থাকা আরেক যুবক নাজিমের স্ত্রী নাদিরা বেগম বলেন, স্বামীকে ঋণ করে ৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রবাসে পাঠিয়েছি। বড় আশা ছিল। ভেঙে গেছে সকল স্বপ্ন। শুনেছি আমার স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। স্বামীকে ফিরে পেতে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। ঘরে নেই চাল। ঋণের বোঝা নিয়ে খেয়ে কখনো না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। তিনি বলেন, কোলের শিশুর বয়স ৩ বছর, অপর শিশুর বয়স ১২ বছর। ছেলের এমন খবর শুনে বৃদ্ধা শাশুড়ি খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। আর পারছি না আমি। স্বামীকে উদ্ধারে সহায়তা চাই।   আরেক জিম্মি প্রবাসী যুবক সাগরের মা ছকেরা বেগম বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে সরকারি অনুদানে কোনো রকমে চলতাম। নিজের জমানো শেষ সম্বল ও এনজিও থেকে ঋণ করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছি দুই বছর আগে। ঋণ এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। এখন আবার ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করছে ১০ লাখ টাকা। আমি একমাত্র ছেলেকে উদ্ধারে আমার কিডনি বিক্রি করতে চাই। বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সুজা বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। এ চার যুবকের পরিবারই অত্যন্ত গরিব ও অসহায়। তাদের পরিবারকে সরকারের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।      গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. উজ্জল হোসেন কালবেলাকে বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো ঘটনা আমাকে কেউ এখন পর্যন্ত জানায়নি। তবে জানামাত্রই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। জিম্মি পরিবারকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে।
০৮ জুন, ২০২৪

চাকরির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে নির্যাতন, মুক্তিপণ দাবি
দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় যাওয়া রুবেল হোসেনকে সে দেশের অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করছে একজন। তখন শুধু গোঙানির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এমন একটি ভিডিও বাংলাদেশে রুবেলের শ্যালিকা আক্তারুনের মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। ওই ভিডিওতে রুবেলের চেহারা দেখা গেলেও নির্যাতনকারীর মুখমণ্ডল দেখানো হয়নি। এরপর রুবেলের স্বজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। নির্যাতনের শিকার রুবেল হোসেনের বাড়ি বগুড়ার গাবতলীর আমেশ্বপুর নিশিপাড়া গ্রামে। তার শ্যালিকা আক্তারুনের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের তেমারিয়ায়। রুবেলকে লিবিয়ায় পাঠানো দালাল মিজানুর রহমান ওরফে ধলুর বাড়িও তেমারিয়া গ্রামে। আক্তারুন তার ভগ্নিপতি রুবেলকে গ্রামের দালাল মিজানুর ও তার বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছিলেন। এরপর রুবেল নিজেই দালাল মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রুবেল তার জমি বিক্রি করে চার লাখ টাকা দালাল মিজানুরের স্বজনদের দিয়েছিলেন। গত জানুয়ারিতে রুবেল লিবিয়ায় যান। আক্তারুন বলেন, মিজানুর রুবেলকে লিবিয়ায় নিয়ে বসিয়ে রেখেছিল। রুবেলকে ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে ১০ দিন আগে লিবিয়ার আরেকটি জায়গায় নিয়ে যায়। তারা সেখানে রুবেলকে আটকে রেখে মারধর করছে। অচেনা কণ্ঠের এক বাংলাদেশি লিবিয়া থেকে আমাকে কল করে রুবেলের মুক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা চেয়েছে। অন্যথায় রুবেলকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। তারা ২৭ মার্চ হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও পাঠিয়েছে। তাতে দেখা যায়, একটি ঘরে রুবেলকে আটকে রেখে হাত-পা একসঙ্গে বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে লাঠি দিয়ে তাকে মারধর করা হচ্ছে। এ সময় রুবেলকে গোঙাতে শোনা যাচ্ছে। এ ঘটনার পর লিবিয়ায় থাকা দালাল মিজানুরের কাছে বারবার ফোন করে তাকে পাইনি। ঘটনার পর থেকে মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তার বাবা-মাকে বিষয়টি বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত শনিবার সকালে আবার আমার ছোট বোন তথা রুবেলের স্ত্রীর কাছে কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। যখন ফোনে কথা হচ্ছিল তখন পাশ থেকে রুবেল বলছিলেন, টাকা পাঠাও, টাকা পাঠাও, নইলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। আতঙ্কে আমাদের দিন কাটছে। এ ঘটনার পর গতকাল সোমবার লিবিয়াপ্রবাসী মিজানুরের গ্রামের বাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তেমারিয়াগ্রামে তাদের বাড়ির মূল ফটকে তালা দেওয়া ছিল। তার বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা জানান, মিজানুর সৌদি আরব ১০ বছর থাকার পর তিন বছর আগে দেশে ফেরে। তখন সে গ্রামের বাড়িতে মাছ চাষ ও মুরগির খামার করে। দেড় বছর আগে সে লিবিয়ায় যায়। এরপর সে লিবিয়ায় লোকজন নিয়ে যেতে শুরু করে। তার বাবা আব্দুর রহমান ও ছোট ভাই শাহিন লিবিয়ায় পাঠানোর জন্য লোক সংগ্রহ করত। লিবিয়ায় চট্টগ্রামের আনোয়ারার চার তরুণকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন স্থানের লোক মিজানুরদের বাড়িতে আসতে শুরু করে। গত মঙ্গলবার দুপুরে ২০ থেকে ২৫ জন অপরিচিত ব্যক্তি আটটি মোটরসাইকল নিয়ে মিজানুরদের বাড়িতে আসে। তারা মিজানুরের ছেলে রমিমকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। ওইদিন রাতেই স্বজনরা মিজানুরের ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। এরপর শুক্রবার থেকে ওই বাড়ির মূল ফটকে তালা লাগিয়ে মিজানুরের বাবা-মা ও ভাই চলে যায়। তেমারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সংরক্ষিত নারী সদস্য (মেম্বার) ফজিলাতুন নেছা বলেন, কয়েক দিন ধরে মিজানুরের খোঁজে লোকজন বাড়িতে আসছে। এরপর তার পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়িতে থাকছে না। মিজানুর অনেক মানুষকে লিবিয়ায় নিয়ে গেছে। এখন শুনছি সে লিবিয়ায় লোকজন আটকে মুক্তিপণ চাচ্ছে। আক্কেলপুর থানার ওসি নয়ন হোসেন বলেন, মিজানুরের বাড়িতে গিয়ে তাকে বা তার পরিবারের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া শামীম হোসেনকে লিবিয়ায় নেওয়া-সংক্রান্ত আরেক ঘটনায় তার বাবা নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর পালপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য মিজানুরকে খুঁজছে পুলিশ।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

লিবিয়ায় বাংলাদেশি যুবককে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি
লিবিয়ায় রুবেল হোসেন নামে বাংলাদেশি এক যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে তার পরিবারের কাছে মুক্তি পণের দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা।  ভিডিওতে দেখা যায়, হাত-পা একসঙ্গে বেঁধে ও মুখে কাপড় গুজে রুবেলকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করছে এক ব্যক্তি। নির্যাতনের এ ভিডিও চিত্র বাংলাদেশে রুবেলের স্ত্রীর বড় বোন আক্তারুনের মুঠোফোনে পাঠানো হয়। চার দিন আগে ওই ভিডিও পাঠিয়ে রুবেলের মুক্তিপণের জন্য আক্তারুনের কাছে দশ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।  ভিডিতে নির্যাতনের শিকার রুবেলের চেহারা স্পষ্ট দেখা গেলেও নির্যাতনকারী ব্যক্তির চেহারা দেখা যাচ্ছিল না। রুবেল হোসেনের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার আমেশ্বপুর নিশিপাড়া গ্রামে। রুবেলের স্ত্রীর বড় বোন আক্তারুনের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তেমারিয়া গ্রামে। রুবেলকে লিবিয়ায় পাঠানো দালাল মিজানুর রহমান ওরফে ধলুর বাড়িও তেমারিয়া গ্রামে। আক্তারুন তার ভগ্নিপতি রুবেলকে গ্রামের দালাল মিজানুর ও তার বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছিলেন। এরপর রুবেল নিজেই দালাল মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রুবেল তার জমি-জমা বিক্রি করে চার লাখ টাকা দালাল মিজানুর রহমানের স্বজনদের হাতে দিয়েছিলেন। গত জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রুবেল লিবিয়ায় পাড়ি জমান। রুবেলের স্ত্রীর বড় বোন আক্তারুন বলেন, আমি আমার ছোট বোনের স্বামী রুবেল হোসনকে দালাল মিজানুর ও তার বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছিলাম। গত জানুয়ারি মাসে মিজানুর আমার ছোট বোনের স্বামী রুবেলকে লিবিয়ায় নিয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেন, মিজান রুবেলকে লিবিয়ায় নিয়ে বসিয়ে রেখেছিলেন। রুবেলকে ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে দশ দিন আগে লিবিয়ার আরেকটি জায়গায় নিয়ে যায়। তারা সেখানে রুবেলকে আটকে রেখে মারধর করছেন। অচেনা কণ্ঠের একজন বাংলাদেশি লিবিয়া থেকে আমাকে কল করে রুবেলের মুক্তিপণের জন্য দশ লাখ টাকা চেয়েছেন। এছাড়া রুবেলকে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তারা গত ২৭ মার্চ আমার মুঠোফোনের হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন।  এ বিষয়ে জানতে মিজানুরদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ির মূল ফটকে তালা ঝুলছিল। তেমারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য ফজিলাতুন নেছা বলেন, কয়েক দিন ধরে মিজানুরের খোঁজে লোকজন বাড়িতে আসছেন। এই ভয়ে মিজানুরের পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়িতে থাকছেন না। মিজানুর অনেক মানুষকে লিবিয়ায় নিয়ে গেছেন। এখন শুনছি মিজানুর লিবিয়ায় লোকজন আটকে মুক্তিপণ চাচ্ছেন।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

টেকনাফে ফের ৮ জনকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকা থেকে চার কিশোরসহ আটজনকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকায় সবজিক্ষেতে কাজ করার সময় ছয়জনকে অপহরণ করা হয়। এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় একই ইউনিয়নের খারাংখালি কম্বনিয়া পাড়া পাহাড় থেকে দুই রাখালকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। অপহরণের শিকার ব্যক্তিরা হলেন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কম্বনিয়া পাড়ার ফিরোজ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ নুর (১৫) ও হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রোজার ঘোনা এলাকার অলী আহমেদ (৩০), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের করাচি পাড়ার লেদু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে মো. জুনায়েদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে মো. সাইফুল (১৪), শহর আলীর ছেলে মো. ফরিদ (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে সোনা মিয়া (২৪) ও শহর মুল্লুকের ছেলে গুরা পুইত্যা (৩২)। হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে সবজিক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে ছয়জন অপহরণের শিকার হন। তাদের পরিবারের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। চেয়ারম্যান আরও বলেন, আর মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদ নুর পাহাড়ের পাশে গরু চরাতে যান। দুপুরের দিকে একদল দুর্বৃত্ত তাকে ও অলী আহমেদ নামের এক কাঠুরিয়াকে ধরে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যায়। পরে মোবাইলে কল করে দুজনের মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়। তিনি আরও বলেন, দিনের পর দিন এভাবে অপহরণের ঘটনা বাড়ার কারণে কৃষক, শ্রমিকসহ পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, অপহরণের খবর পেয়ে অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশের দল পাহাড় অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হ্নীলা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ভোরে হ্নীলার পানখালীর পাহাড়ি এলাকা থেকে পাঁচ কৃষককে অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন তারা। তিনি আরও বলেন, এর আগে শনিবার (৯ মার্চ) হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করা হয়। তবে এখনো তাকে উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশের তথ্যমতে, গত এক বছরে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ১০৩ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা।
২৮ মার্চ, ২০২৪

জেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পুলিশ পরিচয়ে মুক্তিপণ দাবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ছেলেকে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়ে মায়ের কাছে পুলিশ পরিচয়ে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে নাসিরনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন এক স্কুল শিক্ষিকা। এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষিকা মোছা. ছায়েমা আক্তার জানান, মঙ্গলবার সকালে আমার ফোনে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনকারী ব্যক্তি নিজেকে ধানমন্ডি থানার এসআই ফারুক হিসেবে দাবি করেন। তিনি বলেন আমার বড় ছেলে মো. আব্দুল মন্নান সামি তাদের কাছে মাদকসহ আটক আছে এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে ৩০ হাজার টাকা বিকাশে না পাঠালে আমার ছেলেকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এসময় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কিংবা কণ্ঠ নকল করে আমার ছেলের মতো করে কেউ একজন কান্নাকাটি করে আমার সঙ্গে কথা বলে। এতে আমি বিচলিত হয়ে দ্রুত থানায় যোগাযোগ করি। পথিমধ্যে আমার ছেলের ফোনে কল করলে জানতে পারি সে বাসায় নিরাপদে আছে এবং তার সঙ্গে এ-সংক্রান্ত ব্যাপারে কারোর কোনো কথা বা দেখাও হয়নি। পরে নাসিরনগর থানার কর্তব্যরত পুলিশ এসআই তৌহিদুল ইসলাম হুমকিদাতা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে সে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।  জানা যায়, মোছা. ছায়েমা আক্তার উপজেলার গোকর্ণ সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। তার বড় ছেলে মো. আব্দুল মন্নান সামি ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সামির বাবা এম এ হান্নান নাসিরনগর উপজেলার বিএনপির বর্তমান সভাপতি। নাসিরনগর থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম জানান, ওই স্কুল শিক্ষিকা পরিবারের লোকদের নিয়ে থানায় আসলে আমি তাকে হুমকি দেওয়া ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলি। সে নিজেকে ধানমন্ডি থানার এসআই ফারুক হিসেবে পরিচয় দেয়। আমি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে একপর্যায়ে সে ফোনটি কেটে দেয়। আমার কাছে এটি একটি প্রতারক চক্রের কাজ বলে মনে হয়েছে। এ ধরনের প্রতারক চক্র আগে থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে এমন ফাঁদ পাতে। নাসিরনগর বিষয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে  জানান, এ বিষয়ে নাসিরনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২৭ মার্চ, ২০২৪

টেকনাফে ৫ কৃষক অপহরণ, ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে পাহাড়ের পাদদেশে কৃষিকাজ করার সময় পাঁচ কৃষককে অপহরণ করা হয়েছে। এতে মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ভোরে হ্নীলার পানখালীর পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।  অপহৃতরা হলেন- হ্নীলা পানখালী এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২), শাহাজাহানের ছেলে জিহান (১৩), সৈয়দ উল্লাহর ছেলে শাওন (১৫), আব্দুর রহিমের ছেলে মো. নুর (১৮) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহমান (১৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী। তিনি জানান, আমার ইউনিয়নের পাঁচ কৃষককে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সন্ত্রসীরা।পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। এদিকে মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃত রফিকের বড় ভাই মো. শফিকের কাছে মোবাইল ফোনে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছেন অপহরণকারীরা। এ বিষয়ে শফিক বলেন, রফিক প্রতিদিনের মতো জুম চাষে পাহাড়ে যায়। কিন্তু আজকে সেহরি খেতে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হই। পরে জানতে পারি তাদের পাচঁজনকে ধরে নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ চেয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে অস্ত্রধারীরা। বিষয়টি আমি জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েছি। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ ওসমান গণী বলেন, পাঁচ কৃষককে অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।
২২ মার্চ, ২০২৪
X