মহাস্থানগড়ে বসেছে সাধু-সন্ন্যাসী ও পুণ্যার্থীদের মিলনমেলা
হিন্দু-মুসলমানের তীর্থস্থান বগুড়ার মহাস্থানগড়ে বসেছে সাধু-সন্ন্যাসী ও পুণ্যার্থীদের মিলনমেলা। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার মহাস্থানে বসে এ মেলা। একদিকে যেমন মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগিতে মেতে ওঠে, অপর দিকে আধ্যাত্মিক সাধনায় বিশ্বাসী সাধু-সন্ন্যাসী ও বাউল-সুফিরা জিকির ও মারফতী গান গেয়ে আসর জমান। বিচিত্র সব পোশাকে সেজে সেসব আসরে বসেন সাধু-সন্ন্যাসীরা। তাদের কারও পরণে ছিল লোহার শিকল, কেউবা শরীরের সঙ্গে ঝোলানো একাধিক তরবারি। মহাস্থানের এ মেলার বিষয়ে কথিত আছে, অত্যাচারী রাজা পরশুরামকে পরাজিত করে সুফী সাধক হয়রত শাহ সুলতান বলখীর (র.) পুণ্ড্রনগর তথা মহাস্থানগড় বিজয় এবং নিজের সম্ভ্রম ও ধর্ম রক্ষার জন্য পরশুরামের একমাত্র বোন শিলা দেবীর করতোয়া নদীতে আত্মবিসর্জনের দিন ছিল বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার। তখন থেকেই পরবর্তী বছরগুলোতে এই দিনে মহাস্থানে উভয়ধর্মের মানুষ সমবেত হয় পুণ্য সঞ্চয়ের আশায়। কালক্রমে এটি হয়ে ওঠে সাধু-সন্যাসীদের মেলা।  মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির জন্য শাহ সুলতান বলখী (র.) মাজারে অবস্থান নিলেও সাধু-সন্ন্যাসী ও বাউলরা অবস্থান নেন পার্শ্ববর্তী হজরত বোরহান উদ্দিন (র.) মাজার, পশ্চিম পাশের আমবাগান ও উত্তরপাশের আবাসিক এলাকা এবং পূর্ব-উত্তর পাশের শিলা দেবীর ঘটের মাঝে। এ ছাড়া মাজার সংলগ্ন পশ্চিম পাশের মাঠসহ পুরো মহাস্থান এলাকায় বসে মেলার পসরা। হযরত বোরহান উদ্দিন (র.) এর মাজার ও পশ্চিমে মহাস্থান বাগানচত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে সামিয়ানা টাঙিয়ে মারফতি গানের আসর বসায় বাউল সাধকরা। এবার মেলায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যেসব সাধু-সন্ন্যাসী সমবেত হয়েছেন, তারা প্রশাসনের কঠোরতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।  ফকির-বাউল ও সাধু-সন্ন্যাসীদের অভিযোগ, আধ্যাত্মিক সাধনার জন্য তারা সিদ্ধি সেবন করেন ও মারফতি গানের আসর বসান। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন ও ধর্মের নামে কিছু উগ্রগোষ্ঠী তাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে।  মাজার এলাকায় অর্থ ও খাবার পাওয়ার আশায় অগণিত ফকির-মিসকিনও সমবেত হন। তারা অর্থ প্রাপ্তির আশায় সারিগান গেয়ে মাজার চত্বর মুখরিত করে রাখেন। মহাস্থানে এসে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন ও মনের আশা পূরণের জন্য অনেকেই মাজারের পশ্চিমপাশে থাকা প্রাচীন দুধ পাথরে দুধ ঢেলে দেন। শুধু সাধু-সন্ন্যাসী আর পুণ্যার্থীরাই নয়, বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষও সমবেত হয়েছিলেন মহাস্থানের মেলায়। মাজারের পশ্চিম পাশের মাঠে হরেক রকম পণ্য নিয়ে বসা মেলা থেকে তারা গৃহস্থালীর নানা সামগ্রী কেনাকাটা করেন। এ ছাড়া মহাস্থানের ঐতিহ্য হিসেবে পরিচিত কটকটি বিক্রিও ছিল ব্যাপক। মাজার চত্বরের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, মেলা এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পুরো মাজার ও আশপাশের এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সাধু-সন্ন্যাসীদের আসরে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি মাজার কমিটির বিষয়। মেলা একদিনের হলেও সেখানে গত তিন দিন থেকেই লোকসমাগম শুরু হয়েছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত সেখানে একইভাবে লোকজন থাকবে বলেও জানান ওসি। মহাস্থান মাজারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, বৈশাখের এ উৎসবটি কয়েক শত বছরের ঐতিহ্য। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু-সন্ন্যাসীর পাশাপাশি ভক্ত-পুণ্যার্থীরা সমবেত হয়েছেন। মাজার কর্তৃপক্ষ তাদের শৃঙ্খলার মাঝে জিকির-প্রার্থনার ব্যবস্থা করেছে বলেও জানান তিনি।
১০ মে, ২০২৪

তাহিরপুরে দুই আধ্যাত্মিক সাধকের মিলনমেলা
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় দুই ধর্মের দুই আধ্যাত্মিক মহাসাধকের মিলনমেলা শুরু হয়েছে। উৎসব দুটি হলো—সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ মহোৎসব শ্রীশ্রী অদ্বৈত্য মহাপ্রভুর রাজারগাঁও লাউড় নবগ্রাম আখড়াবাড়ি সংলগ্ন যাদুকাটার তীরবর্তী পণতীর্থ ধামে প্রায় ৭১৯ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাস্নান ও সিলেটের ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সফরসঙ্গী হজরত শাহ আরেফীনের (রহ.) বার্ষিক ওরশ শরিফ। তবে এ বছর পবিত্র রমজান মাসে উৎসব দুটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় সব ধরনের সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ করা হয়েছে। শ্রীশ্রী অদ্বৈত্য জন্মধাম কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি জানায়, সপ্তাহব্যাপী উৎসব ও গঙ্গাস্নান যাত্রাকে কেন্দ্র করে উৎসব কমিটি ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) উদ্যোগে আলাদাভাবে মঙ্গল আরতি, ভজনলীলা কীর্তন, বৈদিক নাঠক, গঙ্গাপূজা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ধর্মীয় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, উপজেলার লাউড়েরগড় সীমান্তে ৩৬০ আওলিয়ার অন্যতম সফরসঙ্গী হজরত শাহ আরেফিনের (রহ.) বার্ষিক ওরশ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে সোমবার সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে। ওরশ উদযাপন কমিটির সহসভাপতি ও বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন জানান, প্রতি বছর ওরশ ও গঙ্গাস্নান উপলক্ষে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। এ বছর পবিত্র রমজান মাসে উৎসব দুটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করেই সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাকাস্থ কক্সবাজারবাসীদের বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
পূর্বাচল মেরিন সিটিতে দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঢাকাস্থ কক্সবাজারবাসীদের মিলনমেলা। দিনব্যাপী এ আয়োজনে সংবর্ধনা প্রদান, ঐতিহ্যবাহী মেজবানি ভোজ, শিশুতোষ বিভিন্ন আয়োজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিমণ্ডিত ছিল। অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা ‌‘কক্সবাজার সমিতি সম্মাননা ২০২৪’ প্রদান করা হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা কাউসার চৌধুরী ও দৈনিক কালবেলার প্রকাশক, সম্পাদক সন্তোষ শর্মাকে। এ ছাড়া সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় কক্সবাজার-১ এর সংসদ সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত স্থপতি আসিফ আহসানুল হক, আদর্শ শিক্ষক নূরুল ইসলাম ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সারা বাংলাদেশে তৃতীয় স্থান অধিকারী আহমেদ জামিকে। কক্সবাজার সমিতির সভাপতি হেলালুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। কক্সবাজার সমিতির এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান তনি।  এসময় তিনি কক্সবাজার সমিতির স্থায়ী অফিস ক্রয়ের অগ্রগতির অবস্থান তুলে ধরেন।  সভাপতির বক্তব্যে হেলালুদ্দীন আহমেদ সমিতির সদস্যদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য অক্ষুণ্ন রাখার গুরুত্বকে তুলে ধরে অনাগত দিনগুলোতে বিভিন্ন আয়োজনের পরিকল্পনা দেন।  এসময় তিনি সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনদের প্রতি কক্সবাজার সমিতির পক্ষ হতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের অর্জনকে পুরো কক্সবাজারবাসীর অর্জন উল্লেখ করে বলেন, এতে কক্সবাজারবাসী সম্মানিত হয়েছে।  কক্সবাজার সমিতির উপদেষ্টা ও সদস্য, সাবেক সচিব আ ম ম নাসির উদ্দিন কক্সবাজার সমিতির আয়োজনকে কক্সবাজারবাসীদের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার সমিতি কক্সবাজার তথা সারা বাংলাদেশের নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রতীক হিসেবে কক্সবাজার সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনিসুল মাওয়া আরজু, মহিলা শিশুবিষয়ক সম্পাদক শাফিয়াতুস সালেহিন ও নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট রাবেয়া হককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। একই সঙ্গে আগামী বছর এই দিবসে বিশেষ নারী সম্মাননা জানানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা কাউসার চৌধুরী আজীবন সম্মাননা ‌‘কক্সবাজার সমিতি সম্মাননা ২০২৪’ নিয়ে বলেন, ‌নিজ এলাকার মানুষদের এই স্বীকৃতিতে আমি আপ্পুত ও সম্মানিত।  দৈনিক কালবেলার সম্পাদক, প্রকাশক সন্তোষ শর্মা কক্সবাজার সমিতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভবিষ্যতেও এই সংগঠন অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িকভাবে নিরলস কাজ করে যাবে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।  বিশেষ সম্মাননাপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম কক্সবাজারবাসীর এই সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কক্সবাজারবাসীর স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু ও কক্সবাজারকে জাতীয়ভাবে তুলে ধরার বিভিন্ন প্রণিধানযোগ্য বিভিন্ন পরিকল্পনায় পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সমিতির সহসভাপতিরা মোমিনুর রশিদ আমিন, জয়নুল আবেদিন মুকুল, ইয়াসিন মোহাম্মদ শামসুল হুদা, স্বপন কান্তি পাল, ব্যারিস্টার মিজান সাইদ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তাকিম, প্রফেসর ডাক্তার মোহাম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন। এতে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান।  সকালের অধিবেশন পরিচালনা করেন প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম। এরপর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনিসুল মাওয়া আরজুর পরিচালনায় শিশুতোষ বিভিন্ন পরিবেশনা সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় অধিবেশন পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন শর্মা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মফিজুর রহমান। র‍্যাফেল ড্র পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।  
০৯ মার্চ, ২০২৪

সরকারি কমার্স কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
‘সময়কে ধরে রাখা যায় না, মনে রেখো বন্ধুত্ব কোনো দিন হারায় না’- এই স্লোগান নিয়ে সরকারি কমার্স কলেজ ১৯৯২-৯৩ অনার্স ও ১৯৯৫-৯৪ মাস্টার্স ব্যাচের বন্ধুদের প্রথম মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় চিটাগং ক্লাব লিমিটেড স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয় এ মিলনমেলা। শুরুতেই মোহাম্মদ ইকবাল কোরআন তেলাওয়াত, উৎপল পাল গীতাপাঠ, উজ্জ্বল কুমার বড়ুয়া’র ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এতে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ রায়হান ইফতেখার মাহমুদ রাসেল। প্রয়াত সহপাঠী, বন্ধু, কলেজ শিক্ষক, কলেজ কর্মকর্তা এবং পিতা-মাতা ও ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। তারপর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ড. জমির উদ্দিন সিকদার, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, খালেদ হোসেন খান মাসুক, আবদুল্লা আল মহাফুজ, আবদুল জব্বার, রোটারিয়ান সজীব বড়ুয়া ডায়মন্ড, মেহেদী হাসান লিটন, মোহাম্মদ আবুল বশর, মাইনুল ইসলাম আলমগীর, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মাহবুবুল ইসলাম, কামরুল আনাম, নুরুল আবছার, নজরুল ইসলাম, তিলক বড়ুয়া, মোহাম্মদ আকতার হোছাইন, মোহম্মদ মহিউদ্দিন, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, ফরহাদ হোসেন, মোফাজ্জল করিম কিসলু প্রমুখ। বক্তারা সকলেই আজীবন বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মানবিক তথা সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য গোপাল পাল। পরবর্তীতে টিভি ও বেতারের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
০৪ মার্চ, ২০২৪

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) আদিবাসী শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) ক্যাম্পাসের আম বাগান চত্বরে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় বক্তারা বলেন, ‘সমতলের সাথে ভাষাগত বৈপরীত্য দূর করতে আদিবাসীদের এগিয়ে আসতে হবে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেধা ও যোগ্যতা রয়েছে। নিজেদের ভেতর গুটিয়ে না রেখে যোগাযোগ দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।’ তারা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় কি ভূমিকা পালন করছে, এ বিষয়ে দ্রুতই গবেষণার কাজ শুরু করা হবে।’ ইংরেজি বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হ্লামংউ মারমা বলেন, ‘আমরা শিক্ষা দিয়ে আলোর পাহাড় গড়ব। আমরা সংখ্যালঘিষ্ঠ হওয়ার পরেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। কারণ হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের শিক্ষাবৃত্তি সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে এই সুবিধা যদি কয়েকটা বিভাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সকল বিভাগে ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে আমরা টেকনিক্যাল বিষয়ে পড়ার সুবিধা পেতাম।’ বাংলা বিভাগের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী বুদ্ধেন্দু চাকমা বলেন, ‘যখন আমাদের উপজাতি পরিচয় দেওয়া হয়, তখন নিজেকে ছোট মনে হয়। আমাদের আদি পুরুষরা এ দেশে বসবাস করে আসছে। আমরা চাই, আমাদের আদিবাসী পরিচয় দেওয়া হোক। এতে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে পারব।’ প্রসঙ্গত, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের এ মিলনমেলায় নানা ধরনের খেলার আয়োজন করা হয় যার মধ্যে হাড়ি ভাঙা, র‍্যাফেল ড্র, বালিশ নিক্ষেপ অন্যতম। বর্তমানে গবিতে ৩৫ জনের অধিক আদিবাসী শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
০২ মার্চ, ২০২৪

পদ্মার বুকে জেগে ওঠা ডুবোচর যেন অতিথি পাখির মিলনমেলা
মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার মধ্যে অন্যতম পদ্মা-অধ্যুষিত উপজেলা হরিরামপুর। পঞ্চাশ দশক থেকে অনবদ্য পদ্মার ভাঙনের সঙ্গে অনবরত লড়াই করে জীবনযাপন করছে উপজেলার ভাঙনকবলিত ৯টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। বর্ষায় পদ্মার ভয়ংকর রূপে দিশেহারা পদ্মাপাড়ের জনগণ। আবার বর্ষার পানি চলে যেতে না যেতেই পদ্মার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে জেগে ওঠে ডুবোচর৷ এতে তা প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতেও পরিণত হয়। প্রকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসব চরাঞ্চলে বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। শুধু মানুষই নয়, শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পদ্মার বুকে জেগে ওঠা নতুন চরে প্রকৃতির প্রেমে পড়ে দলবেঁধে ছুটে আসে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে পদ্মার চর। সুদূর হিমালয় থেকে সাইবেরিয়ার তীব্র ঠান্ডা থেকে মুক্তি পেতেই একটু উষ্ণতার সন্ধানে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে অতিথি পাখিরা ছুটে আসে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাওর-বাঁওড় ও জেগে ওঠা নদীর চরে। শুধু শীতের সময়ই বাংলাদেশে এসব পাখির দেখা মেলে। সে জন্যই আমাদের দেশে এদেরকে বলা হয়ে থাকে অতিথি পাখি। পাখিগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই চোখজুড়ানো তাদের খুনসুটি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরই হরিরামপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে পদ্মার মাঝে অনেক এরিয়াজুড়ে নতুন নতুন ডুবোচর জেগে উঠলে এসব অতিথি পাখির আগমন ঘটে। এতে করে বালু বাতান, জোড়ালী, কাদা খোঁচা, বাবু বাতানসহ নানা প্রজাতির অতিথি পাখির দেখা মিলে এ চরগুলোতে। কখনো জলে ডুবসাঁতার দিচ্ছে, কখনোবা ঝাঁক বেঁধে মুক্ত আকাশের নীলে উড়ে বেড়াচ্ছে তারা। উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকার ট্রলার ঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গেলেই চোখে পড়ে পদ্মায় জেগে ওঠা নতুন চর অতিথি পাখির মিলনমেলা। সন্ধ্যার গোধূলি আভায় যেন পাখিদের কিচিরমিচির বেড়ে যায়। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গেই পাখিরা দলবেঁধে মিলিয় যায় দূরে কোথাও। আবার ভোরে সূর্যের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই নেমে পড়ে নদী কিংবা বিল বাঁওড়ে। স্থানীয়দের দাবি, প্রতি বছরই এলাকায় নতুন নতুন চর জেগে ওঠে এবং বিদেশি এসব পাখির আনাগোনাও দেখা যায়। অনেকেই নৌকা নিয়ে চরে গিয়ে খুব কাছে থেকে পাখিদের সৌন্দর্য উপভোগ করেন। অনেকে শখের বশে শিকারও করেন৷ তাই এ সময়টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটু খোঁজখবর রাখা উচিত। প্রকৃতির এ সৌন্দর্য আমাদের দেশের অতিথিদের যেন কেউ ধ্বংস না করতে পারে। হরিরামপুর থানার ওসি শাহ্ নূর এ আলম বলেন, অতিথি পাখি আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এদের ধ্বংস করা মানেই পরিবেশকে ধ্বংস করা। অতিথি পাখিরা যেন মুক্ত আকাশে, খালে, বিলে, হাওর-বাঁওড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে, সেদিকে আমাদের সবাইকে দৃষ্টি রাখতে হবে। পাশাপাশি সৌখিনতার বশেও যেন পাখি শিকার না করে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তৎপর রয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রূপায়ণ সিটি উত্তরার বাসিন্দাদের মিলনমেলা
কুটির শিল্প মেলা, পিঠা উৎসব, খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লটারিসহ নানা আয়োজনে শনিবার শেষ হয়েছে রূপায়ণ সিটি উত্তরার বাসিন্দাদের মিলনমেলা। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানান রূপায়ণ গ্রুপের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন (অব.) পি জে উল্লাহ, রূপায়ণ সিটির সিইও মাহবুবুর রহমান, রূপায়ণ সিটির সিবিও গৌতম তরফদার প্রমুখ। রূপায়ণ সিটি উত্তরার বাসিন্দাদের পক্ষে সার্বিক আয়োজনে ছিলেন নাছিম জামান, মিজানুর রহমান নিজাম, এ কে এম আল আমিন, আনোয়ার হোসেন ও এরশাদুল আলম ভূঁইয়া। পি জে উল্লাহ বলেন, রূপায়ণ সিটি শুধু একটি বসবাসের স্থান নয়, এটি একটি পরিবার। এই মেলায় আমাদের বাসিন্দারা একসঙ্গে আনন্দ উদযাপন করে পরিবারের বন্ধন আরও দৃঢ় করে তুলেছেন। মাহবুবুর রহমান বলেন, বাসিন্দাদের জন্য সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য। এই মেলা আমাদের বাসিন্দাদের একসঙ্গে আনন্দ উদযাপনের সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা আশা করি, এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বাড়াতে সহায়তা করবে। বাসিন্দারা বলেন, এই মেলা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঢাকায় উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা
রাজধানীর মোহম্মদপুরে নেটওয়ার্ক ফর এন্ট্রেপ্রেনিউরস সাপোর্ট অ্যান্ড ট্রাস্ট (নেস্ট)-এর আয়োজনে উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে মোহম্মদপুরের রিং রোডের একটি রেস্টুরেন্টে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অসংখ্য সফল ও নতুন উদ্যোক্তারা অংশ নেন।  নেস্ট ভেঞ্চার লিমিটেডের পরিচালক ও সভার সভাপতি এইচ এম আরিফুর রহমান জানান, নেস্ট ফোরাম বাংলাদেশ মূলত উদ্যোক্তাদের সহযোগী সংগঠন। এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। এই প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবে এবং সেই অনুযায়ী অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবে।  তিনি বলেন, নেস্ট শুধু উদ্যোক্তাদের সমস্যা সমাধানে কাজে দাপ্তরিক সহযোগিতাই নয় বরং নেস্ট ভেঞ্চার ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সহযোগিতা প্রদান করবে।  নেস্ট ফোরামের আহ্বায়ক সাইয়েদা উম্মুল ওয়ারা বলেন, এটা উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ভরসার প্রতিষ্ঠান। আমরা প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের সমস্যা সমাধানে কাজ করছি এবং ভেরিফাইড উদ্যোক্তা সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে যাতে ভেঞ্চার তাদের সব রকম সহযোগিতা করতে পারে। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উন্নয়নকর্মী মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে উদ্যোক্তারা নানামুখী সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে তাদের উদ্যোগে কেউ বিনিয়োগ করতে চান না। এমন পরিস্থিতিতে কেউ উদ্যোক্তাদের কথা ভেবেছেন এটা সত্যিই প্রশংসনীয়।  নেস্টের মতো উদ্যোগের প্রশংসা করেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এগ্রিকালচার শিল্প দক্ষতা পরিষদের পরিচালক মো. ইসমাইল খান। তিনি বলেন, নেস্টের উদ্যোগটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। উদ্যোগবান্ধব পরিবেশ নিয়ে নেস্ট কাজ করছে। আশা করছি তাদের এই প্রচেষ্টা ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে।  
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

নির্বাচন ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে মিলনমেলা
ক্রীড়াঙ্গন থেকে জীবনীশক্তি খুঁজছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ঢাকা-১০ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া অভিনেতা শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গন’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া মিলনমেলায় এ কথা বলেছেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ, জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরাম এবং বাংলাদেশ জেলা ও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে এ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছিল। সাবেক ও বর্তমান ক্রীড়াবিদক, ক্রীড়া সংগঠক, বিচারক, রেফারিসহ সংশ্লিষ্টদের পদচারণায় উৎসবমুখর ছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স। এ আয়োজন সম্পর্কে ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, ‘ভীষণ ভালো একটি আয়োজন। স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য কিন্তু স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গন ভীষণ জরুরি। তাতে আমরা স্মার্ট জেনারেশন পেতে পারি।’ ৪৯ বছর বয়সী এ তারকা আরও বলেন, ‘আমাদের জেনারেশন কিন্তু বিভিন্ন অ্যাপস নিয়ে ঘরে বসে থাকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটায়। মানসিক বিকাশের জন্য শারীরিক কসরত করা ও প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকা জরুরি।’ প্রবীণ ক্রীড়া সংগঠক মোজাফফর হোসেন পল্টু, সৈয়দ শাহেদ রেজা, আ জ ম নাছির, তরফদার রুহুল আমীনসহ অন্যরা এ মিলনমেলায় উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিভিন্ন ক্রীড়া ডিসিপ্লিনের হাজারো ক্রীড়াবিদ। অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ঢাকা-৮ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমও।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইআরডিএফবির আয়োজনে চট্টগ্রামে উপাচার্যদের মিলনমেলা
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি সংস্কৃতিরও উন্নয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।  তিনি বলেন,  ইউরোপের রোমান, গ্রীক সাম্রাজ্য, রোম এরা আমাদের চেয়ে অধিক সমৃদ্ধ ছিলো, তবুও আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে পিছনে ফেলে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সিভাসুর সহযোগিতা ও এডুকেশন রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অফ বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)- এর আয়োজনে ‘অপরাজনীতিমুক্ত, দারিদ্রমুক্তও শিক্ষা সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক’ এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক  ড. মোহাম্মদ শাহদাত হোসেনের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের। আছে ওয়ারী বটেশ্বর, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। পশ্চিমারা যতই বলুন কোন ভাবেই তারা আমাদের চেয়ে উন্নত নয়।বাংলাদেশ বারবার পশ্চিমাদের অপরাজনীতির স্বীকার হয়, পূর্বেও হয়েছে। যার জন্য জাতি বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছে। কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রীকে হারাতে চাই না। শেখ হাসিনা এক বিরল নেতৃত্ব। নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আমাদের উৎপাদন বাড়াবে, গবেষণা বাড়াবে। কেস লেস, পেপার লেস সোসাইটি পারবে স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করতে। স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় শিক্ষা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কুদরাত-ই -খুদা কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বেতবুনিয়া ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র সহ সৃষ্টি করেছিলেন আরও অনেক গবেষণার স্বর্ণদার। তারই হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সিভাসুর উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফল আহসান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হতে হলে প্রতিটি নাগরিককে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট হতে হবে। জনগণ হবে প্রযুক্তি নির্ভর। শিক্ষা ব্যবস্থা হবে যুগোপযোগী তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। অপরাজনীতি থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা রয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরীন আখতার বলেন, শিক্ষকরা সমাজের আয়না। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এটি একটি চমৎকার আয়োজন। আমরা দেখেছি একটি জনপদ কিভাবে সম্মানের জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, জাতিকে সাহস যুগিয়েছিলেন।যার বিনিময়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আজও শেখ হাসিনা নানান দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যাচ্ছেন।সব বাঁধা পেরিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা। অন্যদিকে চবির পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জীবনবোধী ভিক্ষু বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির বটবৃক্ষ। আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। আমাদের সকলের সংশোধন হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে একীভূত হতে হবে। যেভাবে আমরা মুক্তিযদ্ধের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম। বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. জাহিদ হোসেন শরীফ বলেন, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ও আমাদের দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন,এখনো করছেন, এসব অপরাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, মূলত আমরা যাই করি তার পিছনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা একটি বড় ভূমিকা পালন করে। তাই সুস্থ রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। ড. সেলিনা আখতার বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পাই।বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন। জাতি আজ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে পা রেখেছেন। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভূমিকাও অনেক। ডা. ইসমাইল খান বলেন, তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন কেউ কেউ আসে ইতিহাস হয়ে। বঙ্গবন্ধুও এসেছিলেন,ভালো স্বাস্থ্য না থাকলে ভালো শিক্ষা অর্জন করা যায় না।তবে অভাব ও দূর করা সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অভিন্ন শব্দ। এদের ছাড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে আবারো জয়যুক্ত করি এবং তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। প্রফেসর ড. মো. রফিকুল আলম বলেন, পরাশক্তিরা যতই চোখ রাঙিয়ে যাক,আমাদের মাথা নোয়ালে চলবে না। তাই আগামী নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহনে নৌকাকে জয়যুক্ত করে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আকিবা রুবি, মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, প্রাক্তন ছাত্র ড. রাকিব, ড.সুমন গাঙ্গুলি, চবি বাংলা বিভাগের, ড. আনোয়ার সাইদ, মেরিন সাইন্সের ড. ওয়াহিদ, মেরিন সাইন্সের শিক্ষক সাইদুল ইসলাম, ড. মোরশেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিউটের সাবেক সভাপতি মো. শহীদ, ড. নূর হোসেন, অধ্যাপক ড. সজীব কুমার, অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরিন আখতার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.ইসমাইল খান, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, চট্টগ্রাম ভেটিরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসান, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চিটাগাং এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহেদ হোসেন শরীফ। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার প্রেস এক্সপ্রেস অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।  
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
X