বেকারত্ব নিয়ে মিথ্যা তথ্য বাইডেনের
আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের আগে আগে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) স্থানীয় সময় রাতে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টা) এ বিতর্ক শুরু হয়েছে।  বিতর্কে কালো বা আফ্রিকান আমেরিকাদের বেকারত্ব নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিজের সময়ে বেকারত্ব সবচেয়ে কমেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে তার এ দাবি সত্য নয় বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাদ্যম সিএনএন।  শুক্রবার সকালে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেন, তিনি রাষ্ট্রপতি থাকাকালে আমেরিকানদের মধ্যে বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বাইডেনের  এমন দাবি সত্য নয়। দীর্ঘ সময় ধরে বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন নয়।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কালো বা আফ্রিকান আমেরিকানদের মধ্যে রেকারত্বের হার ২০২৪ সালের মে মাসে ছিল  ছয় দশমিক এক শতাংশ। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে এ হার চার দশমিক আট শতাংশে নেমে এসেছিল।  সিএনএন জানিয়েছে, আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দুটি মুখোমুখি বিতর্কের বিষয়ে একমত হয়েছেন বাইডেন ও ট্রাম্প। দুটি বিতর্কের আয়োজক সিএনএন ও এবিসি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর দ্বিতীয় বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর।  ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাইডেনের উদ্যোগে অস্ত্র ও বাজেট-সহায়তা হিসেবে কিয়েভের জন্য ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। তবে ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন ট্রাম্প।  ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ও মূল্যস্ফীতি ফিরে আসবে বলে এরই মধ্যে সতর্ক করেছেন ১৬ জন নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ। এক চিঠিতে এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন তারা। গত মঙ্গলবার এ চিঠি প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে ওই অর্থনীতিবিদরা বলেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প জিতলে তিনি ‘আর্থিকভাবে দায়িত্বহীন বাজেটের’ মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা উসকে দিতে ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি ফিরিয়ে আনতে পারেন। অর্থনীতিবিদরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বর্তমান বাইডেনের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তারা বলেন, কভিড-১৯ মহামারির পর থেকে মার্কিন শ্রমবাজারের পুনরুত্থান উল্লেখ করার মতো দৃঢ় ও যথাযথ হয়েছে।  নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদরা বলেন, ‘যদিও অনেক অর্থনৈতিক নীতির সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আমাদের প্রত্যেকের আলাদা মতো রয়েছে, কিন্তু একটা বিষয়ে আমরা একমত যে, ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেনের অর্থনৈতিক কর্মসূচি অনেক ভালো।’
২৮ জুন, ২০২৪

মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় নামতে পারে ‘খড়গ’
চট্টগ্রামের উপজেলা নির্বাচনে আনোয়ারা উপজেলা ঘিরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা এবং উত্তেজনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এবারের আলোচনা ভিন্ন আমেজের। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামায়ও উঠে এসেছে গোপন করা অনেক তথ্যও। যা নিয়ে উপজেলাজুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।  দুবারের উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরীর নিজ উপজেলায় স্ত্রী উম্মে সালমাকে ঠিকাদার বানিয়ে দেদার ঠিকাদারি ব্যবসা করেছেন তিনি। যদিও নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীকে দেখিয়েছেন গৃহিণী। অথচ আনোয়ারার উন্নয়ন প্রকল্পে তার স্ত্রীর প্রতিষ্ঠান সালমা এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদারির বিষয়টি এক রকম ওপেন সিক্রেট। নির্বাচন অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তৌহিদুল হক চৌধুরী দুই মেয়াদে টানা ১০ বছর উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোয়নপত্র দাখিলকালে তৌহিদুল হক চৌধুরী গত ২৪ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের বরাবরে হলফনামা দাখিল করেন। সেখানে নিজেকে ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রী উম্মে সালমাকে গৃহিণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।  প্রাপ্ত তথ্য থেকে আরও জানা গেছে, হলফনামায় স্ত্রীকে গৃহিণী দেখানো হলেও তার স্ত্রী সালমা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক। প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা-বরুমছড়া, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম। এই নামে পূবালী ব্যাংক আনোয়ারা শাখা থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়ার জন্য একটি লেটার অব কমিটমেন্ট প্রদান করা হয়। চিঠিটি উপজেলা প্রকৌশলী, আনোয়ারা চট্টগ্রাম বরাবর ইস্যুকৃত।  যেখানে ৫৯ লাখ টাকার ৮টি টেন্ডারের কথা উল্লেখ রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উন্নয়ন প্রকল্প, উন্নয়ন তহবিল, বাজার ও রাজস্বখাতের অধীনে এসব টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর ৮ বিধির তথ্য কেউ গোপন করলে প্রথমেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করে সুশাসনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, আইন সবার জন্য সমান। কেউ আইন না মেনে তথ্য গোপন করে কোনো প্রার্থী বিজয়ী বা পরাজিত হলেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উপজেলা প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এটি শুধু টেন্ডারের একটি প্যাকেজের নমুনা। বাস্তবে গত ১০ বছর ধরে তিনি নিয়মিতই ঠিকাদারি করে গেছেন। উপজেলার বেশিরভাগ কর্মকর্তা তৌহিদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এই সমস্ত নথিপত্র যাতে কারো হাতে না যায় সেজন্য কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। স্বামী উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়াতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরাও যোগসাজশের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে কাজ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সালমা এন্টারপ্রাইজের মালিক উম্মে সালমা উপজেলা পরিষদে না এসেও নিয়মিত সরকারি কাজ পাওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, সালমা এন্টারপ্রাইজের নামে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হয়। যার নম্বর ৭১৯। বরুমচড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামসুল ইসলাম তাতে স্বাক্ষর করেন। ট্রেড লাইসেন্সে নাম উম্মে সালমা, ঠিকানা- কমিউনিটি সেন্টার বরুমচড়া, ব্যবসার ধরন ঠিকাদার বলে উল্লেখ রয়েছে।  উম্মে সালমার যে আয়কর প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে সেখানে বর্তমান ঠিকানা, আবদুল বারী মুন্সির বাড়ি, বরুমড়ার ৯নং ওয়ার্ড, আনোয়ারা লেখা রয়েছে। উম্মে সালমার ভোটার আইডিতে তার স্বামীর নাম তৌহিদুল হক চৌধুরী উল্লেখ রয়েছে। বর্তমান ঠিকানাও আবদুল বারী মুন্সি, বরুমচড়া, আনোয়ারা, যা চেয়ারম্যান তৌহিদের স্থায়ী ঠিকানা।  স্ত্রীর নাম গোপন করে চেয়ারম্যান তৌহিদের ঠিকাদারি ব্যবসায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। তাদের মতে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নাম ভাঙিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি করে প্রচুর টাকা কামিয়েছেন তৌহিদুল হক চৌধুরী। উপজেলা প্রকৌশলী তাসলিমা জাহান বলেন, প্রতি বছর ৪০ থেকে ৪৮টি প্যাকেজে কাজ হয়। সেখানে সালমা এন্টারপ্রাইজের নামে কী কী কাজ হয়েছে জানা নেই। তবে এবার এই প্রতিষ্ঠান কোনো কাজ পায়নি। এই মুহূর্তে বিস্তারিত জানাও নেই। সব ফাইল ইউএনও অফিসে চলে গেছে।   এ বিষয়ে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল হক চৌধুরীকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি। আনোয়ারার সাধারণ মানুষ এবং একাধিক ভোটার বলছেন, এবার উপজেলা নির্বাচন ঘিরে একটু উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে সমর্থকরা মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে শোকজও করেছেন অনেককেই। তবে কিছু প্রার্থীর হলফনামায় তথ্য ‘গোপন’ করার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, নির্বাচনের ইস্যুতে যাচাইবাছাই অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। হলফনামায় তথ্য গোপন বা স্ত্রী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে এমন অভিযোগ তখন কেউ করেননি। এখন সব শেষ, আমার কাজ হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনা করা। বাকিগুলো অন্যরা দেখভাল করবেন। তবে সুষ্ঠু ও নিরপক্ষে নির্বাচন করার জন্য সব প্রকার কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। হলফনামায় প্রার্থীদের শপথ হলফনামায় প্রার্থীরা শপথ করে ৮টি তথ্য প্রদান করেন। সেগুলো হলো- শিক্ষাগত যোগ্যতা, ফৌজদারি মামলার বিবরণ, পেশার বিবরণ, প্রার্থীর নিজের ও নিভর্রশীলদের আয়ের উৎস, প্রার্থীর স্ত্রী বা স্বামী এবং নির্ভরশীলদের সম্পদ-দায়ের বিবরণ, আগে প্রার্থী ছিলেন কিনা, ঋণসংক্রান্ত তথ্য।  গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) অনুযায়ী, হলফনামায় ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিলে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। এমনকি নির্বাচিত হওয়ার পরও প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। দুদক ও রাজস্ব বোর্ডও বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে পারেন। তাছাড়া উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর ৮ বিধির ২ (ঝ) উপবিধি অনুযায়ী কারো পরিবারের সদস্য তথা পিতা, মাতা, ভাইবোন, স্ত্রী, কন্যা উপজেলা পরিষদে ঠিকাদারি সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত থাকলে ওই ব্যক্তি উক্ত উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
২১ মে, ২০২৪

করোনার টিকা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। তার টিকা কার্ডে ভুয়া তথ্য থাকা সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের কম্পট্রোলার জেনারেলের কার্যালয় এ কথা জানায়। কভিড-১৯ এর ব্যাপারে সন্দেহপ্রবণ বলসোনারো প্রকাশ্যে করোনা টিকার বিরোধিতা করেন। তার টিকা সংক্রান্ত নথিতে উল্লেখ আছে, সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ২০২১ সালে সাও পাওলোর একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক ডোজ টিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে, নথিতে যে তারিখের উল্লেখ আছে, তার আগের দিন তিনি সাও পাওলো ছেড়েছিলেন। এর পরের তিন দিন তিনি ব্রাসিলিয়াতেই ছিলেন। নথিতে বলসোনারোকে টিকা প্রয়োগকারী হিসেবে যে নার্সের নাম উল্লেখ আছে, তিনি এখন আর ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চাকরি করেন না।
২০ জানুয়ারি, ২০২৪

মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় চার প্রার্থীর সুপারিশ বাতিল করল পিএসসি
মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় ৪১তম বিসিএসে সাময়িকভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত চার প্রার্থীর সুপারিশ বাতিল করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।  বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ এর ১৫(১) অনুযায়ী মিথ্যা তথ্য প্রদান করায় কমিশনের ২০২৩ সালের ২য় সাধারণ সভা ও ৮ম বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪১তম বিসিএস থেকে সাময়িকভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে আব্দুল্লাহ-আল-আমিন সরকার (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১১৭০১০৬), বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) প্রভাষক (গণিত) পদে মিঠুন হাওলাদার (রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ১১১০৮৭৪১), বিসিএস (খাদ্য) সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী/সমমানের পদে প্রীতম কুমার মন্ডল (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১০৪৬৪৭১) এবং বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে মো. আলী আকবার সোহেলের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ১১০৭৭০২৩) সুপারিশ বাতিল করা হলো এবং এই চারজন প্রার্থীকে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হলো।
০২ নভেম্বর, ২০২৩

মির্জা ফখরুল মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন : আইনমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আবেদনের ইস্যুতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন বলে দাবি করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে পাঠানোর পুরো বিষয়টি আইনি, এখানে রাজনীতির কোনো বিষয় নেই। আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। আইনমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না- এই শর্তেই তার দণ্ড স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকার ব্যবস্থা দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে তিনি বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। শেখ হাসিনা তার মহানুভবতা দেখিয়ে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দিয়েছেন। আর কত মহানুভবতা দেখাতে হবে? বিদেশে যেয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সুযোগ নেই জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, শর্ত অনুসারী বেগম খালেদা জিয়া কোনভাবেই বিদেশে যেতে পারবে। আইনে সেই সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতাও আর ব্যবহারের সুযোগ নেই। আইনমন্ত্রী বলেন, এখন তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। এজন্য যে কারণে বেগম জিয়া দণ্ডিত, সেই দোষ স্বীকার করেই ক্ষমা চাইতে হবে। আর যে কেউ তার সাজা মওকুফের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারেন।  এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান তিনি। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আবেদনের ইস্যুতে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনে আইনের কোন উল্লেখ ছিল না।
০৪ অক্টোবর, ২০২৩

অনেকেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে দূতাবাসে যান- ডিবিপ্রধান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া মার্কিন দূতাবাসে যাওয়ার কারণ জানা নেই। তবে মামলা হলে অনেকেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে দূতাবাসে যান। আবার কেউ কেউ যান রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য। গতকাল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ডিবিপ্রধান বলেন, নিরাপত্তাহীনতা কিংবা হুমকির বিষয়ে থানায় কিংবা ডিবিতে জানাননি বরখাস্ত ডিএজি এমরান। তিনি ইনসিকিউরড ফিল করছেন এমন কোনো তথ্যও আমাদের কাছে নেই। তবে এমন কোনো শঙ্কা থাকলে পুলিশ কিংবা ডিবির কাছে আসতে পারেন। এর আগে গত শুক্রবার পুরো পরিবার নিয়ে মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেন এমরান আহমেদ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি-সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন সাবেক ডিএজি। গত শুক্রবার তাকে বরখাস্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X