১০০ মা পেলেন মাদার্স ডে পুরস্কার
মাদার্স ডে ক্যাম্পেইনে পুরস্কার পেলেন ১০০ মা। এর মধ্যে শীর্ষ ৫০ মা এবং লটারির মাধ্যমে বিজয়ী ১০ মা পেলেন গ্রান্ডপ্রাইজ। শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকার লেকশোর হোটেলে নিউট্রিশন পার্টনার শক্তি+ এবং লার্নিং পার্টনার গুফির যৌথ আয়োজনে বিশেষ মা দিবসের বিশেষ ক্যাম্পেইনের গ্র্যান্ড ইভেন্টে বিজয়ী মায়েদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। গত মে মাসজুড়ে চলা এই ক্যাম্পেইনের থিম ছিল ‘মা বোঝে সেরা তাই, মায়ের জন্য সেরাটাই।’ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে, টগুমগু তার অ্যাপে একটি কুইজ প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়। যেখানে সারা দেশ থেকে ১৫ হাজারেরও বেশি মা অংশগ্রহণ করেন। কুইজে মায়েদের জন্য সন্তানের পুষ্টি, শিক্ষা ও মানসিক বিকাশ সম্পর্কিত প্রশ্ন রাখা হয়। মায়েরা হলেন তাদের সন্তানের জন্য অনুপ্রেরণা। শিক্ষা, শক্তি ও সান্ত্বনার প্রধান উৎস। তাদের প্রভাব শুধু ঘরেই নয়, চার দেওয়ালের বাইরেও বিস্তৃত। যেন সীমার মাঝে অসীম এসব মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যাবহৃত প্যারেন্টিং অ্যাপ টগুমগু, গত বছরের মতো এবারও তাদের অনুষ্ঠানে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রিন্সিপাল নিউট্রিশনিস্ট শামসুন নাহার (মহুয়া) ‘সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার’-বিষয়ক সেশন পরিচালনা করেন। এতে তিনি মা ও শিশুর জন্য সঠিক পুষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের ইসিডি বিশেষজ্ঞ এবং চাইল্ড সাইকোলজিস্ট তারানা আনিস ‘আনন্দময় প্যারেন্টিং’-বিষয়ক একটি সেশন পরিচালনা করেন, যেখানে তিনি প্রারম্ভিক শেখানো এবং ইতিবাচক প্যারেন্টিং প্র্যাকটিসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। শক্তি+ এর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ডিরেক্টর সুরাইয়া সিদ্দিকা বলেন, ‘মায়েরা আমাদের পরিবারের মেরুদণ্ড এবং তাদের সুস্থতা ও ভালো থাকার ওপর নির্ভর করে সন্তানদের ভবিষ্যৎ এবং সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন’। এই আয়োজনের মাধ্যমে মায়েদের মাঝে পুষ্টি বার্তা, শিশুদের আনন্দের সাথে শিক্ষাদান ও ইতিবাচক প্যারেন্টিং প্র্যাকটিসের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। লাইট অফ হোপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘গুফিতে আমরা আনন্দের মাধ্যমে শেখায় বিশ্বাস করি। এই ক্যাম্পেইন আমাদের মায়েদের সঙ্গে মজার ও ইন্টারঅ্যাক্টিভ উপায়ে সংযুক্ত হয়ে শিশুদের পুরো বিকাশের গুরুত্ব তুলে ধরতে সাহায্য করেছে।’ প্রায়ই নিজেদের সুস্থতাকে উপেক্ষা করে মায়েরা যে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এবং যত্নে আমাদের লালন করে থাকেন। তাদের প্রতিও যত্নশীল হতে সচেতনতা বাড়ানোও এই ক্যাম্পেইনে অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানান টগুমগুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. নাজমুল আরেফিন। এই ক্যাম্পেইনে গিফট পার্টনার হিসেবে ছিল ভ্রমণ সেবাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান শেয়ার ট্রিপ, ফার্নিচার ব্র্যান্ড বহু ও গ্রিড।
৯ ঘণ্টা আগে

মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি
মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে তামাক বিরোধী মায়েদের ফোরাম। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজধানী কৃষিবিদ ইনষ্টিটিউট বাংলাদেশে নারী মৈত্রী আয়োজিত ‘তামাক বিরোধী মায়েদের ফোরাম’ গঠন বিষয়ক সভায় এ দাবি জানান তারা। নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে ১৫ জন বিশিষ্ট মা নিয়ে গঠিত তামাক বিরোধী মায়েদের ফোরাম এর আহ্বায়ক ছিলেন সাবেক এমপি এবং তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের সাবেক সদস্য শিরিন নাঈম পূনম। সহ-আহ্বায়ক ছিলেন সাবেক এমপি নার্গিস রহমান। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, লিড পলিসি এডভাইজর, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ এবং সাবেক চেয়ারম্যান, বিসিআইসি, বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আব্দুস সালাম মিয়া, প্রোগ্রাম ম্যানেজারস, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ। নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি বলেন, তামাক নারী স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ধূমপান না করে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন তারা। এছাড়া পাবলিক প্লেস, গণ পরিবহণ, রেস্টুরেন্ট এবং ধূমপানের জন্য সকল নির্ধারিত স্থান বাতিলের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মায়েদের ফোরামের কাছে আহ্বান জানান তিনি। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ফোরামের সদস্যগণ যথাযথ ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করেন ফোরামের আহ্বায়ক শিরিন নাঈম পূনম। তিনি বলেন, তামাকের কারণে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষের প্রাণ ঝরছে। মৃত্যুর এই মিছিল ঠেকাতে এই ফোরাম তামাক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবিতে নিরলস সমর্থন ও পরামর্শ দিবে। পাশাপাশি নিজের পরিবারকে তামাকের প্রভাবমুক্ত রাখবে এবং অন্যান্য মায়েদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যাতে মন্ত্রীসভায় সংশোধিত আইনটি দ্রুত উত্থাপন করেন সে লক্ষ্যে সহযোগিতা করা এবং অনুমোদনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোরালো দাবি জানানোর জন্য ফোরাম কাজ করে যাবে। এছাড়া তামাক দ্রব্যের ওপর কার্যকর কর আরোপের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে জোর দাবি জানানো এবং তামাক কোম্পানির কূটকৌশল বা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে বাধাগ্রস্ত করার বিরুদ্ধে সক্রিয় অবস্থান গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস জানান তিনি। ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবাক ফ্রি কিডস বাংলাদেশ প্রোগ্রামস ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, তামাকের প্রতি আসক্তি যুবসমাজকে ফেলে দিচ্ছে এক অন্ধকার জগতে। অল্প বয়সেই শিশু-কিশোররা ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ভয়ঙ্কর শারীরিক অসুস্থতার মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে তারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বিভিন্ন দেশে ‘গ্লোবাল ইয়ুথ টোব্যাকো জরিপ’ শিরোনামে একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়। ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে পরিচালিত এ জরিপ প্রতিবেদনে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশে ধূমপান আসক্ত কিশোর-কিশোরীর হার সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে প্রায় ১২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী নিয়মিত ধূমপানে আসক্ত। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরোক্ষ ধূমপান নারীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীদের অকালে গর্ভপাত, অপরিণত শিশুর জন্ম, স্বল্প ওজনের শিশু, গর্ভকালীন রক্তক্ষরণ, প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, মৃত শিশুর জন্ম দেয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ তথ্য মতে, ধূমপান না করেও পরোক্ষভাবে ধূমপানরে শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ। যার মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নারী ও শিশু। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস ‘তামাক বিরোধী মায়েদের ফোরাম’ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে তামাকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবিতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এছড়াও ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী প্রস্তাব দ্রুত পাশের জোর দাবি জানান।
০৪ জুলাই, ২০২৪

খাটের ওপর শিশুর লাশ, টয়লেটে রক্তাক্ত মা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় একটি বাসার ভেতর থেকে সামিয়া আক্তার সোহা নামে ১৫ মাস বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় বাসার টয়লেট থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির মা ঊর্মি আক্তার মুক্তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টায় উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। ঊর্মি আক্তার মুক্তা রাজবাড়ি জেলার বাড়িগ্রামের বাসিন্দা শামীম আহম্মেদের স্ত্রী। শামীম মেঘনা গ্রুপ অব কোম্পানিতে চাকরি করেন। নিহত শিশুর বাবা শামীম আহম্মেদ কালবেলাকে বলেন, প্রতিদিনের মতো রাতের ডিউটি শেষে সকাল সাড়ে ৬টায় বাসায় ফিরে দেখি ভেতর থেকে দরজা আটকানো। অনেক চেষ্টার পর দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখি আমার মেয়ে মৃত অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে আছে। আর স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় টয়লেটের ভেতর পড়ে আছে।   বাড়ির মালিক মহসিন বেপারী বলেন, এ বাড়ি নতুন তৈরি করেছি। এখন পর্যন্ত নতুন বাড়িতে স্থানান্তর হইনি। কয়েকটি রুম ভাড়া দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছিলাম। গত ৩ দিন আগে মেঘনা গ্রুপের চাকরি করেন শামীম আহম্মেদ বাসা ভাড়া নেন। ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। শিশুর মৃত্যু আর মায়ের আহতের কথা শুনে এখানে এসেছি।   সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পঙ্কজ কান্তি সরকার কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই স্থান থেকে তার মাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে ঘটনার সঠিক তথ্য জানা যাবে।
০৪ জুলাই, ২০২৪

নবজাতককে হাসপাতালে ফেলে পালালেন মা
ঠাকুরগাঁও জেনা‌রেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে অজ্ঞাতপরিচয় এক মা পাঁচ‌দি‌ন বয়সী এক নবজাতক শিশুকন্যাকে ফেলে পালিয়ে গেছেন। শিশুটিকে হাসপাতালের শেখ রাসেল স্ক্যানু নবজাতক সেবাকেন্দ্রে ভর্তি রে‌খে চিকিৎসা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাজ্জাদ হায়দার শাহীন জানান, বর্তমানে শিশুটি সুস্থ আছে। মা‌য়ের বু‌কের দুধ পান না কর‌ালে শিশু‌টির স্বাস্থ‌্যগত ঝুঁকি দেখা দি‌তে পা‌রে।  শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহী বা‌প্পি ইসলাম ব‌লেন, এই ওয়া‌র্ডে অনেক শিশু সদ্য জন্ম নিয়েছে। তাঁদের মা‌য়েদের আমরা ও চি‌কিৎসক শত অনু‌রোধ ক‌রেও এক ফোঁটা দুধ পান করা‌তে পা‌রি‌নি বাচ্চা‌টি‌কে। এরইমধ্যে আমার স্ত্রী শিশুটিকে গুঁড়া দুধ খাওয়া‌চ্ছেন।  তিনি আরও বলেন, গত তিন‌দিন আগে স্ত্রী‌কে নি‌য়ে হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসার জন‌্য আসি। এ সময় জান‌তে পা‌রি একজন মা নবজাতক রেখে চলে গেছেন। এই সংবাদ পেয়ে আমরা সেখানে ছুটে যাই। তখন থে‌কে হাসপাতা‌লে থে‌কে শিশু‌টির দেখভাল কর‌ছি। শিশু ওয়া‌র্ডের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স সা‌বিনা ইয়াস‌মিন ব‌লেন, সোমবার (১ জুলাই) সকা‌লে গোলাপী না‌মে এক নারী ওই শিশু‌র শ্বাসকষ্ট উল্লেখ ক‌রে হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি ক‌রে। তার কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে রেখে মা চলে যান।  হাসপাতালের আবাসিক চি‌কিৎসা কর্মকর্তা র‌কিবুল আলম বলেন, ভ‌র্তির কাগ‌জে ওই নারী পঞ্চগড় সদরের ময়দান দিঘি গ্রা‌মের ঠিকানা ব্যবহার করে হাসপাতালে ভর্তি হলেও সেখানে এই ঠিকানায় কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হয়। বর্তমা‌নে বাচ্চাটি সদর থানা পুলিশ ও জেলার সমাজ‌সেবার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর থ‌ানার ওসি এবি এম ফি‌রোজ ওয়া‌হিদ ব‌লেন, শিশু‌টির প‌রিবার‌কে অনেক খোঁজার প‌রেও সন্ধান মে‌লে‌নি। এখন দত্তক নি‌তে অনেকে আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাস‌কের এক‌টি ক‌মি‌টির মাধ‌্যমে ‌শিশু‌টি‌কে দত্তক দেওয়া হ‌বে। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, শিশুটির অভিভাবক খোঁজা হচ্ছে। তবে কোনো অভিভাবক খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ ক‌রে অনেকে আবেদন করেছে। আবেদনপত্র যাচাই ক‌রে শিশু‌টি‌কে এক‌টি সুর‌ক্ষিত প‌রিবা‌রের কা‌ছে তু‌লে দেওয়া হ‌বে।
০৩ জুলাই, ২০২৪

প্রবাসী ছেলেকে দেখতে গিয়ে ট্রাকের চাকায় প্রাণ দিলেন মা
ছেলেকে দেখতে গিয়ে ট্রাকের চাপায় প্রাণ গেল মায়ের। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা সোয়া ১টায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা বাস স্ট্যান্ডের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, বেলা সোয়া ১টার দিকে প্রবল বর্ষণ হচ্ছিল। এ সময় একজন মহিলা বারেরা বাসস্ট্যান্ডের কাছে অটোরিকশা থেকে নেমে সড়ক পাড়াপারের সময় কুমিল্লা থেকে সিলেটগামী একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান। পুলিশ জানায়, নিহত মহিলার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, তার নাম নাছিমা বেগম (৫৫)। তিনি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জিরুইন গ্রামের তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী। তিনি তার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দেবিদ্বারে গিয়েছিলেন। তার ছেলে মাওলানা নূরে আলম বারেরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সফিউল্লাহ সরকারের বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। নিহতের পুত্র মাওলানা নূরে আলম বলেন, আমি সৌদি আরব থাকি। এ সপ্তাহে সৌদি আরব চলে যাব। আমার যাওয়ার কথা শুনে মা আমাকে দেখতে আসবেন বলে জানান। আমি মাকে বলেছিলাম ২-১ দিনের মধ্যে টিকেট কনফার্ম করে তোমাকে জানালেই এসো। আমার মা আমাকে দেখতে না জানিয়ে আসলেন কিন্তু আমার বাসার সামনে এসেও আমাকে আর দেখে যেতে পারলেন না। ঘাতক ট্রাকটি দেবিদ্বার থানায় আটক আছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
০২ জুলাই, ২০২৪

বসতভিটা বিক্রি করল ছেলে, পথে পথে শত বয়সী মা
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বাছিরন বেগম নামের এক শত বয়সী বৃদ্ধার ঘরসহ বসতভিটার ৬ শতাংশ জমি গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন তারই সন্তান মো. বাছেদ মিয়া। প্রায় ৫০ বছর ধরে বাস করা সেই বসতভিটা ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বৃদ্ধা মা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালমেঘা সুবহান মার্কেট এলাকার মৃত খবরুদ্দিনের স্ত্রী বাছিরনের সঙ্গে। ওই এলাকার অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকা চিহ্নিত গফুর নামের এক ব্যক্তি ক্রয় করেছেন ওই বসতভিটা ও জমি। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে শত বয়সী বাছিরনের স্বামীর ভিটা গোপনে সন্তান বিক্রি করায় গ্রাম আদালতে সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই বৃদ্ধা। মীমাংসার লক্ষ্যে গ্রাম আদালত অভিযুক্ত বাছেদকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পরপর তিনটি নোটিশ দেন। দ্বিতীয় নোটিশে অভিযুক্ত বিবাদী হাজির হয় এবং তার ভাষ্য মতে অভিযোগটি সত্য বলে প্রমাণিত হয়। পরে আর হাজির না হওয়ায় গ্রাম আদালত বৃদ্ধার পক্ষে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই জমির মালিক বৃদ্ধা বাছিরন। তার ছেলে বাছেদ গোপনে গফুরের কাছে তা বিক্রি করেছে। আমরাও চাই দোষীদের শাস্তি হোক এবং বৃদ্ধা তার বসতভিটা যেন ফেরত পায়। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, গফুরের এ এলাকায় চারটি বাড়ি রয়েছে। এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তিদের যোগসাজশে সুযোগ পেলেই গরিব ও অসহায় মানুষের জমির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দখল করে নেয়। একজন সিএনজি চালক হয়েও কীভাবে এত টাকার মালিক হলো গফুর। এই এলাকার যেখানে জমি ও বাড়ির ঝামেলা আছে সেখানেই গফুর আছে। সিএনজি চালানোর আড়ালে এসব অপকর্ম করেন বলে জানান এলাকাবাসী। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বাছেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তার ছেলে ফোন রিসিভ করে জানায়, বাবা কানে কম শোনেন, তিনি অন্য কারও জমি বিক্রি করেন নাই। তিনি তার জমিই বিক্রি করেছেন। বৃদ্ধা বাছিরন বিলাপ করে বলেন, এই ভিটা আমার স্বামীর বাড়ি, এইডা আমার বাড়ি। চেয়ারম্যান-মেম্বার ও নেতারা কেউ দোষীদের ভিড়াইতে পারে না। তাইলে কি দেশে আইন নাই, বিচার নাই। আমি আমার স্বামীর ভিটা ফেরত চাই। এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারফ খান বলেন, বিষয়টি মীমাংসার লক্ষ্যে আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু বয়স্ক মহিলার ছেলে বাছেদ ও ওই জমি ক্রয়কারী গফুর আমাদের কারও কথা শোনে না। বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, আমরা একাধিকবার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছি কিন্তু বাছেদ ও গফুর কারও কথা শোনে না। গফুর নানা রকম অসামাজিক কার্যকলাপেও জড়িত। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে এই বৃদ্ধা মহিলার ন্যায়বিচার আশা করি এবং ওই কুলাঙ্গার সন্তান বাছেদ ও সমাজের চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী গফুরেরও শাস্তি চাই। জানতে চাইলে এ বিষয়ে ৮নং বহরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সরকার নুরে আলম মুক্তা বলেন, ঘটনাটি সত্যিই দুঃখজনক। জমিটির মালিক ওই বয়স্ক মহিলা। তার ছেলে না জানিয়ে বিক্রি করেছে এবং যে ক্রয় করেছে সেও একরোখা প্রকৃতির মানুষ।
০১ জুলাই, ২০২৪

ছেলের খুনিদের ফাঁসি চান মা
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ছেলে হত্যার খুনিদের ফাঁসি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অসহায় মা।  রোববার (৩০ জুন) উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরেরগাঁও গ্রামের নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত আরমানের মা রহিমা আক্তার । সংবাদ সম্মেলনে রহিমা আক্তার ছেলে হত্যার ফাঁসির বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমার ছেলেকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। খুনিদের ফাঁসি চাই। আসামিদের ফাঁসি কার্যকর হলে আরমানের আত্মা শান্তি পাবে।  এ সময় তিনি তাৎক্ষণিক খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। এর আগে, পূর্ব বিরোধের জেরে গত শনিবার (২২ জুন) গভীর রাতে গরেরগাঁও গ্রামের রফিক মিয়ার ওপর হামলা করে তানভীর নামে এক যুবক। এ সময় সে আরমানকে ঘর থেকে ডেকে এনে বুকে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত রফিক মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
০১ জুলাই, ২০২৪

ছেলের মরদেহ নিয়ে ফেরার পথে লাশ হলেন মা
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ছেলে আলম তালুকদারের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে ফিরছিলেন পুষ্প বেগম। বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেল ও অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিজেও লাশ হলেন পুষ্প বেগম। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী একজনও নিহত হয়েছেন। রোববার (৩০ জুন) সকালে বরগুনার আমতলী উপজেলার ডাক্তার বাড়ি মোড় এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- আমতলীর আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের মোটরসাইকেলচালক রুবেল সিকদার ও অ্যাম্বুলেন্সে থাকা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গান্ডামাড়ি এলাকার পুষ্প বেগম। আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত পুষ্প বেগমের ছেলে আলম তালুকদার বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৯ জুন) রাতে মারা যান। ছেলের মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গান্ডামারা গ্রামে ফিরছিলেন পুষ্প বেগম।  শনিবার সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীর ডাক্তার বাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলচালক রুবেল সিকদার নিহত হন। অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে যায়। স্থানীয়রা অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মা পুষ্প বেগমকে মৃত অবস্থায় এবং অন্যদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। নিহত পুষ্প  বেগমের ভাই রহিম তালুকদার বলেন, আমার ভাগ্নে আলম হাওলাদার লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। ভাগ্নের লাশ নিয়ে আমার বোন পুষ্প বেগম বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় বোন নিহত হয়েছেন।  ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধার করে।  তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত রুবেল সিকদার, পুষ্প বেগম ও অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আলম তালুকদারের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে লাশ তিনটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
৩০ জুন, ২০২৪

উচ্ছেদের দুশ্চিন্তায় অলিম্পিকে টিকিট পাওয়া সন্তানের চা দোকানি মা
আর্চার সাগর ইসলাম (১৮)। দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে এবার প্যারিস অলিম্পিকে খেলার সরাসরি সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এ নিয়ে সাগরের পরিবারসহ রাজশাহীবাসী বেজায় খুশি। কিন্তু হঠাৎ দেশের এই সুখকর খবরের মধ্যে সাগর ইসলামের অসহায় বিধবা চা দোকানি মা সেলিনা খাতুন পড়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়।  রাজশাহী নগরীর মহানন্দা আবাসিক এলাকার বঙ্গবন্ধু কলেজ মোড়ে সাগর ইসলামের মায়ের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন সেই চায়ের দোকানটি উচ্ছেদের খবর শুনে দুঃখিনী মা সেলিনা খাতুনের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে।  জানা গেছে, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) জায়গায় বিধবা সেলিনা খাতুনের চায়ের দোকানটির অবস্থান। আরডিএ ওই এলাকাতেই উদ্যোগ নিয়েছে উচ্ছেদ অভিযানের। আর সেই অভিযানে সাগরদের মানুষ করে তোলার পেছনে একমাত্র অবলম্বন হয়ে থাকা চায়ের দোকানটিও করা হবে উচ্ছেদ। এমন খবরে চরম দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন সাগর ইসলামের চা দোকানি মা। সাগর ইসলামের মা সেলিনা খাতুন জানান, চার সন্তান নিয়ে অভাব অনটনের সংসারে মোটামুটি ভালোই কাটছিল তাদের সংসার। কিন্তু ১৫ বছর আগে হঠাৎ সাগর ইসলামের বাবা মারা যান। তখন থেকেই মহানন্দা আবাসিক এলাকায় বঙ্গবন্ধু কলেজ মোড়ে ছোট্ট চায়ের দোকান দিয়ে চার সন্তানকে লালনপালন করে আসছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ তিনি জানতে পারেন সেখানে আরডিএ অভিযান চালিয়ে অন্য সবকিছুর সঙ্গে তার একমাত্র জীবিকার অবলম্বন চায়ের দোকানটিও হবে উচ্ছেদ।  সেলিনা খাতুন জানান, তার এই দোকানটি উচ্ছেদ হলে তাকে পথে বসতে হবে। এজন্য অন্য কোথাও পুনর্বাসন না কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি দোকানটি সেখানেই রাখার দাবি জানান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেলিনা খাতুনের চার সন্তান। দুই ছেলের মধ্যে সাগর ইসলাম ছোট, জাতীয় দলের আর্চার। বড় ছেলে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকে (অনার্স) পড়ছেন। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। চায়ের দোকানের আয়ে চার ছেলেমেয়েকে বড় করেছেন তিনি।  সেলিনা বলেন, সাগর যখন ছোট, তখন দোকানের টুলের ওপরে শোয়ায়ে রাখতেন। যখন খুব মশা লাগত, তখন গায়ের ওপরে কাপড় দিয়ে রাখতেন। ভোর ৫টায় দোকানে আসতেন ও রাত ১১টায় বাড়ি ফিরতেন। এভাবেই কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের মানুষ করেছেন।  জানা গেছে, সাগর ইসলাম ২০১৭ সালে রাজশাহী ‘এসবি আর্চারি ক্লাবে’ ভর্তি হয়ে অনুশীলন শুরু করেন। দুই বছর পর ২০১৯ সালে তিনি ভর্তি হন বিকেএসপিতে। বিকেএসপিতে ভালো করে জাতীয় দলে সুযোগ পান। ১৭ জুন তুরস্কের আনাতোলিয়ায় ‘২০২৪ ফাইনাল ওয়ার্ল্ড কোটা টুর্নামেন্ট’-এ ছেলেদের রিকার্ভ এককে দারুণ পারফর্ম করে অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন সাগর। প্যারিস অলিম্পিকের আগে সেটিই ছিল রিকার্ভ ইভেন্টে সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের শেষ সুযোগ। সেমিফাইনালে উঠে অলিম্পিকে খেলা নিশ্চিত করে সেখানেই থেমে যাননি সাগর। ফাইনালে উঠে শেষ পর্যন্ত ঘরে এনেছেন রৌপ্য। গত মঙ্গলবার দেশে ফেরেন সাগর ইসলাম। এখন টঙ্গীতে জাতীয় দলের ক্যাম্পে রয়েছেন। সাগর জানান, এই চায়ের দোকান চালিয়েই তার মা তাদের বড় করে তুলেছেন। এই চায়ের দোকানেই তারা মানুষ করেছেন। এখন অন্য কোথাও পুনর্বাসন করা হলে তাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। মায়ের দুশ্চিন্তা আর কষ্টের কথা চিন্তা করে অন্য কোথাও পুনর্বাসন না করে সেখানেই দোকানটি চালাতে দেওয়ার দাবি জানান তিনি। রাজশাহী এসবি আর্চারি ক্লাবের সভাপতি ও কোচ সাইফুদ্দিন বাচ্চু জানান, রাজশাহী বিভাগ থেকে এই প্রথম কোনো খেলোয়াড় (সাগর ইসলাম) অলিম্পিকের জন্য নির্বাচিত হলেন। এটি রাজশাহীর জন্য একটি বিরাট গর্বের ব্যাপার। যে ছেলে দেশের জন্য এত বড় সম্মান বয়ে আনছেন, তার পরিবারের পাশে প্রশাসনের দাঁড়ানো দরকার। হয়তো সাগরের মায়ের দোকানটা রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জায়গায় রয়েছে। কিন্তু ছেলের অর্জনের দিকে তারা পরিবারের জন্য জায়গাটা ছেড়ে দিতে পারে। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এস্টেট অফিসার মো. বদরুজ্জামান জানান, বছরে চারবার তারা উচ্ছেদ অভিযান চালান। তাদের প্লটে অবৈধভাবে কেউ দোকান করলে সেখানে থাকার সুযোগ নেই। তবে ওই চায়ের দোকানিকে তারা উঠতে বলেননি। হয়তো প্লটের মালিক আরডিএর কথা বলে তাকে সরে যেতে বলেছেন। তিনি আরও জানান, আরডিএর প্লটে কাউকে পুনর্বাসন করার সুযোগ নেই, নেই নীতিমালাও। তবে জেলা প্রশাসন চাইলে ভূমিহীনকে কোনো খাসজমি বরাদ্দ দিতে পারেন। জানতে চাইলে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি আমি ওইভাবে জানি না। আসলে না দেখলে তো কিছুই বলতে পারছি না। সরেজমিনে দেখে কী করা যায় সেটি পরে দেখা যাবে। এ বিষয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ কালবেলাকে বলেন, তিনি যেখানে চায়ের দোকান রয়েছে সেটি যদি সরকারি খাস জমি হয়ে থাকে তাহলে মানবিকতার দৃষ্টিতে আমি অবশ্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারতাম। এটি যেহেতু আরডিএর জায়গা। সুতরাং সরকারিভাবে বা প্রশাসনিকভাবে ওইখানে হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে।
২৯ জুন, ২০২৪

মা হারালেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক পাইলট
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের মা নার্গিস আরা বেগম মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি...)। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। নার্গিস আরা বেগম বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে তিনি নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় থাকতেন। খালেদ মাসুদ পাইলট ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন। রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, নার্গিস আরা বেগমের উচ্চ রক্তচাপ ছিল। শরীরে লবণের সংকট ছিল। এ ছাড়া তিনি হৃদ্‌রোগ, কিডনি, ডায়াবেটিস ও থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছিলেন। এসব জটিলতা নিয়ে গতকাল সোমবার তাকে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার তিনি মারা গেলেন। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে খালেদ মাসুদ পাইলট তার মায়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া চেয়েছেন। মঙ্গলবার বাদ এশা নগরীর টিকাপাড়া কবরস্থানে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। পাইলটের মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি মরহুমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। পাশাপাশি তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
২৫ জুন, ২০২৪
X