বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী মালয়েশিয়া
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মালয়েশিয়া বিনিয়োগ এবং ব্যবসার পরিসর বাড়াতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি। বৈঠক শেষে পলক সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে বেশ কিছু মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ রয়েছে। মালয়েশিয়ার সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ এবং ব্যবসার পরিসর বাড়াতে চায়। সে ক্ষেত্রে রাজস্বসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মুশফিকুর রহমান এবং বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইডটকোর পরিচালক (ফিন্যান্স) আহমেদ জুবায়ের আলী।
২১ জুন, ২০২৪

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী মালয়েশিয়া : পলক 
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্যপ্রযুক্তি খাতে মালয়েশিয়া বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যবসার পরিসর বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে একথা জানান পলক। সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার এ আগ্রহের কথা ব‌্যক্ত করেন। তবে সেক্ষেত্রে কিছু চ‌্যালেঞ্জের কথাও এ সময় তুলে ধরা হয় বলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন পলক। বৈঠক শেষে পলক সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে বেশ কিছু মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ রয়েছে। মালয়েশিয়ার সরকার-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করতে চায় এবং ব্যবসার পরিসর বাড়াতে চায়। সেক্ষেত্রে রাজস্বসহ অন্যান্য কিছু বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান এবং বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইডটকোর পরিচালক (ফিন্যান্স) আহমেদ জুবায়ের আলী উপস্থিত ছিলেন।
২০ জুন, ২০২৪

মালয়েশিয়া গিফটস ফেয়ারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
মালয়েশিয়া গিফটস এন্ড প্রিমিয়াম অ্যাসোসিয়েশন (এমজিপিএ) আয়োজিত ১৪তম মালয়েশিয়া গিফটস ফেয়ারে ২য় বারের মতো অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১৮ জুন) কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারে চলমান জনপ্রিয় এ মেলায় মালয়েশিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশসহ ৭টি দেশের ২৮৩টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ‘গিফট ফর এ সার্কুলার ফিউচার’। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এর উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর- এর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ৬টি প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। গিফটস ফেয়ারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য হলো অপ্রচলিত পণ্যের তথা পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, গৃহস্থালি ও কিচেনওয়ার, ননওভেন ব্যাগ এবং হস্তশিল্প পণ্যসামগ্রী ইত্যাদি বাজার মালয়েশিয়ায় অন্বেষণ ও রপ্তানির সুযোগ তৈরী করা।  মেলায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মদিনা নন উভেন ফেব্রিকস, কে.এম.আর ক্রাফট, সওদা ইন্টারন্যাশনাল, তরঙ্গ, উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন, বাংলাদেশ এবং যৌথভাবে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো।  মেলা উদ্বোধনের দিন থেকেই বাংলাদেশি স্টলগুলোতে বিদেশী ব্যবসায়ীসহ দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়। বাংলাদেশি পণ্য বিশেষত পাটজাত পণ্যের প্রশংসা করেছেন অনেক দর্শনাথী। বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো- এর স্টলে ব্যবসা-বিনিয়োগ সংক্রান্ত নানা ধরনের প্রকাশনা ছাড়াও বাংলাদেশি বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।  মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বুধবার (১৯ জুন) বাংলাদেশের স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং মালয়েশিয়ায় তাদের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার  প্রেক্ষাপটে হাইকমিশন বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণসহ অন্যান্য পরিকল্পনা নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরণের ধারাবাহিকতায় কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এ ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে। পরিদর্শনের সময় মালয়েশিয়া গিফট অ্যান্ড প্রিমিয়াম অ্যাসোসিয়েশন (এমজিপিএ) এর প্রেসিডেন্ট ইভান লু, মেলার অর্গানাইসিং চেয়ারম্যান আলবার্ট ছুং এবং অপারেশন ম্যানেজার মিজ্ সুজানা, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মো. খোরশেদ আলম খাস্তগীরসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রবাসী সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া মালয়েশিয়া বাংলাদেশে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
১৯ জুন, ২০২৪

মালয়েশিয়া থেকে নিজ দেশে ৬১ হাজার অবৈধ অভিবাসী
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি (পিআরএম) চলছে। এর মাধ্যমে ৬১ হাজার ৫৪ জন নথিবিহীন প্রবাসীকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কত জন বাংলাদেশি আছেন, তা জানা যায়নি। দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ বলছে, চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির মাধ্যমে নিজ দেশে ফিরতে ৭০ হাজার ৩৭৯ অবৈধ অভিবাসী নাম লিখিয়েছেন। এর মধ্যে ৯ জুন পর্যন্ত নিজ দেশে ফিরেছেন ৬১ হাজার ৫৪ জন। প্রত্যাবাসন কর্মসূচিতে এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে সরকার। এই কর্মসূচির মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে চলে যেতে প্রতিনিয়ত আহ্বান জানাচ্ছে দেশটির সরকার ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের ধারণা, বিভিন্ন দেশের ৩ থেকে ৪ লাখ অবৈধ অভিবাসী এ কর্মসূচির আওতায় শাস্তি ছাড়াই নিজ নিজ দেশে ফিরবে। জানা যায়, প্রতিদিন হাজার হাজার প্রবাসী নিজ দেশে ফিরতে ইমিগ্রেশনে ভিড় করছেন। এ ছাড়া ইমিগ্রেশন বিভাগের অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছেন হাজারো অভিবাসী। ঘোষণা অনুযায়ী, দেশে ফিরতে হলে সরাসরি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে ইমিগ্রেশন বিভাগের। সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে ওয়ানওয়ে এয়ার টিকিট ও পাসপোর্ট। যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের নিজ নিজ হাইকমিশন থেকে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। এর পরে ইমিগ্রেশন বিভাগে ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে স্পেশাল পাস দিলে পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে দেশে ফিরতে পারবেন অবৈধরা। দেশে ফেরা প্রবাসীদের এ তালিকায় বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশ লম্বা হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। আর এ সময়ের মধ্যে চলছে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান। বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়া কাজ করা এবং বৈধ ভ্রমণ ভিসা নেই এমন বিদেশিদের বিষয়ে তথ্য এবং জনসাধারণের দেওয়া সন্ধানের ভিত্তিতে গোটা মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন নামে অভিযান চালিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের আটক করছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। তাদের মধ্যে অবৈধভাবেও আছেন অনেকেই। এখন নানা জটিলতায় মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরতে পারে প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি, যার প্রভাব পড়তে পারে রেমিট্যান্সেও। দেশটিতে চারদিকে সাঁড়াশি অভিযান, অন্যদিকে জেলের ঘানির চিন্তা যেন তটস্থ করে তুলছে অবৈধদের। এ পরিস্থিতিতে দেশে ফেরা ছাড়া দ্বিতীয় আর কোনো উপায় নেই অবৈধ অভিবাসীদের সামনে। জানা গেছে, এ কর্মসূচির আওতায় যারা দেশে ফিরছেন, তাদের বেশিরভাগই কর্মহীন কিংবা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রবিহীন। অনেকেই সম্প্রতি কলিং ভিসায় এসে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না পেয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে ফিরে যাচ্ছেন দেশে। এভাবে দেশে ফেরাদের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির পদ্ধতি অনুসরণ করে নিজ নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে। যারা ওই তারিখের মধ্যে দেশে ফিরবেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মালয়েশিয়া নিরাপত্তা রক্ষার তাগিদে কোনো পক্ষের সঙ্গে আপসে যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
১৫ জুন, ২০২৪

মালয়েশিয়া শ্রমবাজারের তদন্তের সময় বেড়েছে আরও ৫ কর্মদিবস
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারবিষয়ক গঠিত তদন্ত কমিটিকে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ৩ হাজার কর্মীর অভিযোগ তদন্ত কমিটির কাছে এসেছে। অভিযোগ দেওয়ার সময় ৮ জুন শেষ হলেও, এখনো অভিযোগ গ্রহণ করছে মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইমিগ্রেশনে মালয়েশিয়ার রিপোর্ট, ১০১টা রিক্রুটিং এজেন্ট এবং বায়বার থেকে রিপোর্ট নিচ্ছি। সে হিসাবে একটু সময় লাগছে। তদন্ত কমিটি একটু সময় চাইছে। আমরা তাদের আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় দিয়েছি। ঈদের পরে আমরা রিপোর্ট নিয়ে বসব। তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার ব্যাপারে আমাদের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। প্রত্যেকটা পয়েন্টে, প্রত্যেকটা জায়গায় খোঁজ-খবর নেওয়ার মাধ্যমে যা বেরিয়ে আসবে সেটার ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব। আমরা প্রত্যেকটা সেক্টরে যেমন- ইমিগ্রেশন দিয়ে কতজন মালয়েশিয়া যেতে পারছে, সেই প্রতিবেদনও আনছি। মালয়েশিয়ার অনলাইন যে ডিমান্ড আসছে; তারা কবে পাঠাইছে সেটাও আনছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই, একটা সঠিক স্বচ্ছ প্রতিবেদন বেরিয়ে আসুক। কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব না করুক। যার মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের সমস্যায় না পড়তে না হয় সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। কর্মীদের যেতে না পারার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, তারা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা কাউকে ছাড় দিব না। যাদের কারণে ভাবমূর্তি নষ্ট তাদের কোনো দিন ছাড় দেব না। তাদের আইনের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মীদের টাকা ফেরতের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টাকাটা ফেরত পাবার ব্যাপারে আমরা বসব। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব যেন সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়। সিন্ডিকেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সিন্ডকেট এলাউ করব না। রিক্রুটিং এজেন্সি যারা অনুমোদিত সবাই কাজ করবে। আমরা চাই, সবাই কাজ করুক, সবার জন্য খোলা থাকুক। আমরা সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। মালয়েশিয়া গিয়ে কর্মীদের কাজ না পাওয়া এজিন্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা কাজ পাচ্ছে না আমরা রিক্রুটিং এজেন্সিকে ডেকে এবং যারা কাজ দেওয়ার জন্য ডিমান্ড নোট দিয়েছিল যারা রিসিভার তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করব। যদি কাজ না হয় তাহলে আমরা রিক্রুটিং এজেন্টের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। দুবাই, ওমান ও কাতার সফর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুবাই শ্রমবাজার আরও গতিশীল ও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে দুবাইয়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। দুবাই থেকে ইতোমধ্যে ৩ হাজার কর্মীর চাহিদা এসেছে। এর মধ্যে ৪শ কর্মী চলে গেছে। ৫শ কর্মীর যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ওমানে ৯৬ হাজার কর্মী অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদেরকে বৈধ করার আশ্বাস দিয়েছে ওমান সরকার। এই বৈধ করণের জন্য একটি জরিমানা নেওয়া হয়। এই জরিমানা মওকুফ করার জন্য আমরা ওমান সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এসেছি। এছাড়া তারা ১২টি ক্যাটাগরিতে লোক নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। ওমানে কর্মী ক্যাটাগরিতে কবে লোক নিবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। এটাও পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। দক্ষ কর্মী যাওয়া শুরু করলে অদক্ষ কর্মীও যাওয়া শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে সে ব্যবস্থা হবে।
১১ জুন, ২০২৪

১৭ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারছেন না
ভিসা পেয়েও ফ্লাইট জটিলতায় মালয়েশিয়া যেতে না পারা প্রায় ১৭ হাজার কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানায় বাংলাদেশ। তবে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন স্পষ্ট করে জানান, তাদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা (৩১ মে) বাড়ানো হবে না। ফলে বাংলাদেশিসহ বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগের সময়সীমা আর বাড়ছে না। এমন সিদ্ধান্তে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে হাজারো বাংলাদেশি শ্রমিকের মালয়েশিয়া যাত্রা। পেনাং টুন আহমেদ ফুজির ইয়াং দিপারতুয়া নেগেরিতে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশি কর্মীদের নিয়ম-কানুন সব দেশের জন্য একই। এ ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষপাতিত্ব নেই। ২৮ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত চার দিনে ২০ হাজারেরও বেশি বিদেশি শ্রমিক একসঙ্গে ঢুকেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকের ভিসা অনুমোদন অন্তত ১০ বছর আগের। স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা প্রাপ্তি ও টিকিটের ব্যবস্থা করতে এত সময় লাগার কথা নয়। নিয়োগকর্তারা কেন তাদের কর্মীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করতে শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন বলে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন তিনি। সাইফুদ্দিন ইসমাইল বলেন, তারা যদি বিষয়টিকে জরুরি ভাবত, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সব কাজ করা উচিত ছিল। তিনি আরও জানান, সর্বশেষ ২০ হাজার শ্রমিকসহ চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬ লাখেরও বেশি বিদেশি কর্মী প্রবেশের কথা দেশটিতে, যা আমাদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ইউনিটের (ইপিইউ) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। নতুন কোটা অনুমোদনের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ম্যানুফ্যাকচার, সার্ভিস ও কনস্ট্রাকশন খাতের জন্য বিদেশি কর্মীর চাহিদা পূরণ হয়েছে। কৃষি খাতের জন্য আগের অনুমোদিত কোটা অনুযায়ী ব্যবস্থা করব। ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছর ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৩ জনকে অনুমতি দেয় মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র পান ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জন। এরই মধ্যে মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ মের মধ্যে যেতে পারেননি ১৬ হাজার ৯৭০ জন। ভুক্তভোগীদের দাবি, মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া অভিবাসন খরচের লিমিট মানেনি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ থাকলেও সিন্ডিকেটরা শ্রমিকদের কাছ থেকে ব্যক্তিভেদে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা করে নিয়েছে। গড়ে ৫ লাখ টাকা করে ধরলেও যারা যেতে পারেননি তাদের মোট ৮৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা গচ্ছা গেছে। জীবনের শেষ সম্বল এজেন্সি ও দালালদের হাতে তুলে দিয়ে পথে বসেছেন তারা। আদৌ তারা এ টাকা ফেরত পাবেন কি না, তার সদুত্তর নেই মন্ত্রণালয়সহ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাছে। তাদের তোপের মুখে অনেক এজেন্সির লোকজন এরই মধ্যে অফিস বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছেন।
০৫ জুন, ২০২৪

কর্মী প্রেরণে অনিয়ম / বাংলাদেশ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিসহ বিদেশি শ্রমিকদের দেশে নিয়োগের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সরকার, যা ৩১ মে শেষ হয়েছে। মালয়েশিয়া সরকারের এই প্রত্যাখ্যানের ফলে অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে গেলে ১৭ হাজার শ্রমিকের ভবিষ্যৎ।  মঙ্গলবার (৪ জুন) পেনাং টুন আহমেদ ফুজির ইয়াং দিপারতুয়া নেগেরিতে এক অনুষ্ঠানে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল সাংবাদিকদের বলেন, সব বিদেশি কর্মীদের নিয়ম কানুন সবার জন্য একই। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ান সরকার পক্ষপাতিত্ব করে না। ২৮ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত চার দিনে ২০ হাজারও বেশি বিদেশি শ্রমিক আসায় বিমানবন্দরে চাপ সৃষ্টি হয় কিন্তু যাদের ভিসা এপ্রোভালের অনুমোদন এক বছর আগে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা প্রাপ্তি এবং ফ্লাইট টিকিটের ব্যবস্থা করতে এত সময় লাগার কথা না।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন বলেন, দেশে এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ২.৬  মিলিয়নেরও বেশি বিদেশি কর্মী মালয়েশিয়াতে প্রবেশ করেছে, আমাদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ইউনিটের (ইপিইউ) লক্ষ্যমাত্রা ২.৫ মিলিয়ন বিদেশি কর্মী। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তি দেখিয়ে উল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মীদের আগমনের ব্যবস্থা করার জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছিলেন? যদি তাদের জরুরি প্রয়োজন হতো তবে তা ৩১ মের আগে করা উচিত ছিল। এখন সময় বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। এছাড়া নতুন কোটা অনুমোদনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ম্যানুফ্যাকচার, সার্ভিস ও কনস্ট্রাকশন খাতের জন্য আমরা বিদেশি কর্মীর চাহিদা পূরণ করেছি। কৃষি খাতের জন্য নতুন কোটা ছাড়াই আগের অনুমোদিত কোটা অনুযায়ী ব্যবস্থা করব। উল্লেখ্য, গত ৩১ মে পর্যন্ত ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জনকে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে বিএমইটি থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়া গেছেন। সেই হিসাবে ১৬ হাজার ৯৭০ জনের কম-বেশি যেতে পারেননি।  
০৪ জুন, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে অনিয়ম / দায় নিচ্ছে না এজেন্সি মালিকরা
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাল‌য়ে‌শিয়ায় কর্মী না পাঠা‌নোর দায় মাল‌য়ে‌শিয়া ও বাংলা‌দেশ সরকা‌রের ওপর চাপাল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)।  মঙ্গলবার (৪ জুন) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলন এবং মতবিনিময় সভায় দুই দেশের সরকারের ওপর এ দায় চাপান বায়রার নেতারা।  সংবাদ সম্মেলনে বায়রার সা‌বেক মহাস‌চিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্বপন ব‌লেন, গত ৩১ মে পর্যন্ত মাল‌য়ে‌শিয়া সরকার ই-ভিসা ইস্যু ক‌রে‌ছে। ৩০ বা ৩১ মে য‌দি ই-‌ভিসা ইস্যু করা হয় তাহ‌লে আমরা কীভাবে তালিকা করব। য‌দি গত ১৫ মার্চ অথবা মার্চে বন্ধ হওয়ার ঘোষণার পর ই-ভিসা ইস্যু ও অনুমোদন বন্ধ করা হতো তাহ‌লে এই সংকট তৈ‌রি হতো না। বায়রার এ সা‌বেক মহাস‌চিব আরও ব‌লেন, ১৬-১৭ হাজার কর্মী যায়নি সেটা আজকের বিষয় না- এটা গত ২২ মাস আগের। এটা অনেক আগ থেকেই সেটেল্ড হচ্ছিল। বছর শেষে যখন ব্যবসা শেষ হলো তখন আমরা বলছি টোটাল ১৭ হাজার কর্মী যেতে পারেনি। ১০১টা এজেন্সি যখন তাদের নম্বর সাবমিট করবে তখনই বলা যাবে আসলে কতজন কর্মী এখনো যাওয়া বাকি আছে। এ ছাড়া সব সময় যতগুলো ক্লিয়ারেন্স হয় ততজন কর্মী যায় কথাটা সত্য নয়। সংবাদ সম্মেলনে বায়রার মহাস‌চিব আলী হায়দার চৌধুরী ব‌লেন, মন্ত্রণালয় যে তদন্ত কমিটি করেছে সেই তদন্ত কমিটির চিঠি আমাদেরও দিয়েছে। যাতে আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতা করতে পারি। আমরা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সঙ্গে জড়িত রয়েছি। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। তি‌নি ব‌লেন, সরকার আমাদের ৫৩টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। মালয়েশিয়া সরকার ৪৭টি নিয়োগকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এরা যখন মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ অনুমতি নিয়েছে তারপর যখন কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে তখন বিএমইটি তাদের ছাড়পত্র দেয়নি। কিন্তু নিয়োগ অনুমতি পাওয়ায় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো আগে অর্থ নিয়েছে। সুতরাং বিষয়গুলো এখনো অনেক ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। আমার মনে হয় ২-৩ দিনের মধ্যে একটি আসল চিত্র পাওয়া যাবে। সংবাদ সম্মেলনে সিন্ডিকেট তৈরির দায় দুই দেশের সরকারকে দিয়ে বায়রার সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার ব‌লেন, ১০১ জন ব্যবসা করেছে, তাদের সুযোগ দিয়েছে কে। দুই দেশের মন্ত্রণালয়। বায়রার সভাপতি আরও ব‌লেন, এখন আমাদের যে লোকগুলো যেতে পারে নাই আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি, সরকার চেষ্টা করেছে। আমরা কথা দিলাম, যে লোকগুলো যেতে পারেনি, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কতজন লোক যেতে পারেনি, আমাদের অফিসে এসে যে এজেন্সি তাদের পাঠাতে পারেনি তাদের নাম লিপিবদ্ধ করব। এজেন্সিকে কত টাকা দিয়েছে সেটাও লিপিবদ্ধ থাকবে। সরকার যদি এদের পাঠাতে ব্যর্থ হয় আমরা এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে টাকা আদায় করে কর্মীদের দেওয়ার জন্য বায়রার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিব।        
০৪ জুন, ২০২৪

মালয়েশিয়া যেতে পারেননি ১৬ হাজার ৯৭০ শ্রমিক
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জন শ্রমিককে মালয়েশিয়া যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছিল। তার মধ্যে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন শ্রমিক বিমানবন্দরের ছাড়পত্র নিয়ে নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় গেছেন। তবে বিএমইটির ছাড়পত্র পেলেও শেষ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৯৭০ শ্রমিক দেশটিতে যেতে পারেননি। এ ঘটনার কারণ খুঁজতে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। কমিটিতে অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মাহবুবকে প্রধান করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার উন্মুক্ত হয় দুই বছর আগে। তখন বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দেয় দেশটি। এ ঘোষণার পর থেকেই সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) মধ্যে সমন্বয়নহীনতা এবং সিন্ডিকেট করে লোক পাঠানোকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। এতে দেশের অর্থনীতিতে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাবে বলে ধারণা করছেন তারা। জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১ হাজার ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে ১ হাজার ১২৫ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। এ ছাড়া গত ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১ হাজার ২২৪ মিলিয়ন ডলার দেশের অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে। তবে হাজার হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়া গেলে আরও বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসত। কিন্তু অনেক শ্রমিক যেতে না পারায় সেই সুযোগ বন্ধ হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ কর্মীকে মন্ত্রণালয় (প্রবাসী কল্যাণ) অনুমোদন দিয়েছে। বিএমইটির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে। গত ৩১ মে পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়ায় গেছেন। সে হিসাবে ১৬ হাজার ৯৭০ জন যেতে পারেননি। ২০২১ সালে ২৮ জন, ২০২২ সালে ৫০ হাজার ৯০ জন, ২০২৩ সালে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ এবং ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত ৯২ হাজার ৫৩৬ জন শ্রমিক মালয়েশিয়া গেছেন। এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, কর্মানুমতি ও বিএমইটির ক্লিয়ারেন্স কার্ড পাওয়ার পরও কেন মালয়েশিয়াতে কর্মী পাঠানো গেল না, তা চিহ্নিত করবে তদন্ত কমিটি। ব্যর্থ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেও চিহ্নিত করা হবে। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার আন্তরিক ছিল। পত্রিকায় জরুরি বিজ্ঞপ্তি সম্মিলিত বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী গমনের লক্ষ্যে অতিরিক্ত ২৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে দেশ জনশক্তি নেবে তারা চায় বলেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। তবে সরকার কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করে না। অনুমোদিত সব এজেন্সি যেন লোক পাঠাতে পারে, সেটা চায় সরকার।
০৩ জুন, ২০২৪

মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে যা বললেন প্রতিমন্ত্রী
দালাল ও এজেন্সি মালিকদের খপ্পরে পরে সর্বস্ব হারিয়েছে প্রায় ১৭ হাজার বাংলাদেশি কর্মী। কী কারণে এমনটা হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার করেনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। তবে এবার বিষয়টি নিয়ে কিছুটা কর্মতৎপরতা দেখাচ্ছে দপ্তরটি। যেতে না পারার কারণ খুঁজে বের করতে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। রোববার (২ জুন) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সৃষ্ট সংকট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। সেখানে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র পেয়েও মালয়েশিয়া সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ে দেশটিতে যেতে পারেননি ১৬ হাজার ৯৭০ জন বাংলাদেশি কর্মী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩১ মে পর্যন্ত ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জনকে মন্ত্রণালয় (প্রবাসী কল্যাণ) অনুমোদন দিয়েছে। বিএমইটির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে। ৩১ মে পর্যন্ত যেতে পেরেছেন ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন। সেই হিসাবে ১৬ হাজার ৯৭০ জন যেতে পারেননি। সংখ্যাটা কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শফিকুর রহমান বলেন, কেন তারা যেতে পারেননি এ ব্যাপারে আমরা ৬ সদস্যের একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। অতিরিক্ত সচিব (মন্ত্রণালয়ের) নূর মোহাম্মদ মাহবুবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটি তাদের সুপারিশ দেবে। যারা এটার জন্য দায়ী হবেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবেন এবং প্রয়োজন হলে কর্মীদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে।  মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার বারবার সিন্ডিকেট বা চক্রের কারণে বন্ধ হচ্ছে। সিন্ডিকেটে সরকারের প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের নামও এসেছে গণমাধ্যমে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা এই তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধ এই সিন্ডিকেটের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই, আমাদের আড়াই হাজার এজেন্ট আছে, তাদের মাধ্যমে কর্মীরা বিদেশ যাক। শেষ সময়ে কর্মীদের ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছাড়পত্র তারা যখন চেয়েছে, রিক্রুটিং এজেন্সি যখন চেয়েছে আমরা প্রয়োজনীয়তা দেখে দ্রুত তা দিয়েছি। না হলে সবাই বলবে মন্ত্রণালয় দেয়নি। সে কারণে যে সময় যেটার প্রয়োজন হয় সেটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন বলেন, ২৪ মের পর থেকে যাদের টিকিট ছিল শুধু তাদের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কর্মীদের না যেতে পারার পেছনে মন্ত্রণালয়ের কোনো গাফিলতি ছিল না দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ে গাফিলতি হয়নি। এখনো আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা এক সপ্তাহ আগে চিঠি দিয়েছিলাম মালয়েশিয়া সরকারকে আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য। মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তিনি ৫ তারিখে মন্ত্রণালয়ে আসবেন। তখন তার সঙ্গে আবারও এ বিষয়ে কথা হবে।  বন্ধ হয়ে যাওয়া মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমবাজার খুলবে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সরকার মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
০২ জুন, ২০২৪
X