গাজীপুরে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত
গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি বগি (কন্টেইনার) লাইনচ্যুত হয়েছে। এ সময় কন্টেইনারগুলো লাইনের বাইরে চলে যায়। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে টঙ্গী তুরাগ নদীর ব্রিজে ওঠার আগে আব্দুল্লাপুর এলাকায় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী রেলস্টেশন মাস্টার রাকিব উদ্দিন। স্টেশন মাস্টার জানান, উদ্ধারকারী দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করবে।এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চল-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) ছোটন শর্মা জানান, এ ঘটনার পর থেকে ঢাকা রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় এক কিলোমিটার পরিমাণ রেললাইন বাঁকা হয়ে গেছে। লাইন মেরামত ও ট্রেন উদ্ধার কাজ চলমান আছে। ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

পদ্মা সেতু পাড়ি দিল মালবাহী ট্রেন
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত পাথর বোঝাই করে গতি পরীক্ষা করেছে সাত বগির মালবাহী ট্রায়াল স্পেশাল ট্রেন। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে ট্রেনটি ছেড়ে আসে। পরে সাড়ে ৯টার দিকে আবারও ভাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেয়। এটিই প্রথম পদ্মা সেতু পাড়ি দেয় মালবাহী ট্রেনের গতির ট্রায়াল। ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে ভাঙ্গা থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরের মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হয় মালবাহী ট্রায়াল ট্রেনটি। সকাল ৯টা ৬ মিনিটে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছানোর সময় এটির গতি ছিল ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এরপর মাওয়া থেকে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে রওনা হয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গায় ফেরত আসে। ভাঙ্গার স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান বলেন, যাওয়া-আসা মিলিয়ে দুবার পদ্মা সেতু পার হয়ে পাথরভর্তি মালবাহী ট্রেনের গতি পরীক্ষা করা হয়। সাত বগির এই মালবাহী ট্রেনটি আগে থেকে ভাঙ্গা স্টেশনেই ছিল। এটিতে করে পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের পাথর আনা-নেওয়া করা হতো। আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচল উদ্বোধন করবেন। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে রেলপথটি আনুষ্ঠানিকভাবে সবার চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X