বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফা মারা গেছেন
রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। গতকাল রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু জানান, হার্টের অসুখসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন নাদিম মোস্তফা। গতকাল সকালে অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মারা যান। তার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনেকেই। নাদিম মোস্তফার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, গতকাল বাদ এশা পুঠিয়ায় তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। সোমবার (আজ) সকালে রাজশাহীর শাহ মখদুম ঈদগাহ ময়দানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোথায় লাশ দাফন করা হবে এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নাদিম মোস্তফার ছোট ভাই সাঈদ হাসান বলেন, হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যা ভুগছিলেন ভাই। ঢাকায় তার গুলশানের বাসায় ছিলেন। গতকাল ঘুম থেকে উঠে নাশতা করেছেন। পরে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে গতকাল রোববার বাদ আসর রাজধানী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নাদিম মোস্তফার প্রথম জানাজা হয়। পরে তার কফিনে দলীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাজায় অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, রকিবুল ইসলাম বকুল, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিনুল হক, শামীমুর রহমান শামীম, রফিকুল আলম মজনু, আবদুল মোনায়েম মুন্না, আবু বক্কর সিদ্দিক, মাইনুল ইসলাম, গোলাম সারোয়ার, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
০১ জুলাই, ২০২৪

মারা গেছেন কবি আসাদ বিন হাফিজ
কবি আসাদ বিন হাফিজ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।  রোববার (৩০ জুন) রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ছোট ছেলে আহমদ শামিল।  কবি আসাদ বিন হাফিজ ছিলেন, ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক, ছড়াকার ও সাহিত্যিক, প্রকাশক। এর আগে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আসাদ বিন হাফিজ ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত বড়গাও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুহাম্মদ হাফিজউদ্দীন মুন্সী এবং মা জুলেখা বেগম। বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার এবং ছড়াকার হিসেবে পরিচিত।  তিনি আদর্শিক দিক দিয়ে ফররুখ আহমদের অনুসারী। তার সাহিত্যে বাংলার মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণ এবং বিপ্লবের অণুপ্রেরণা প্রকাশ পেয়েছে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সৃজনশীলতার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির ব্যবহারেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।  তার সাহিত্যে বিপ্লবী চিন্তা-চেতনারও প্রকাশ ঘটেছে। তিনি ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কবি আসাদ বিন হাফিজ ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক(সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি ১৯৮৩ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি কর্মজীবনে প্রবেশ করেন।  কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, শিশু সাহিত্য, গবেষণা, সম্পাদনা ইত্যাদি সাহিত্যের সব শাখাতেই কবি আসাদ বিন হাফিজ রেখেছেন তার অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর। তিনি প্রায় ৮১টি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। কবি আসাদ বিন হাফিজ তার বর্ণাঢ্য কর্ম ও সাহিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
০১ জুলাই, ২০২৪

বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফা মারা গেছেন
সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক বিশেষ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।  রোববার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।  দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর নাদিম মোস্তফার মৃত্যুর খবর পেয়ে বিএপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাসপাতালে ছুটে যান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  রাজশাহী পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন নাদিম মোস্তফা।
৩০ জুন, ২০২৪

বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফা মারা গেছেন
রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।  রোববার (৩০ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।    তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু জানান, রিমান্ডে বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফাকে অমানুষিক নির্যাতন করার পর থেকেই তিনি হার্টের অসুখসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। সকালে অসুস্থবোধ করলে দ্রুত তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আজ দুপুর পৌনে ১২ দিকে তিনি মারা যান। মিজানুর রহমান মিনু আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে নাদিম মোস্তফাকে বহনকারী লাশের গাড়ি ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে। আজ বাদ এশা পুঠিয়ায় তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ নিয়ে আসা হবে রাজশাহী শহরে। আগামীকাল সকালে রাজশাহীর শাহ মখদুম ঈদগাহ ময়দানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।’ তবে কোথায় তাকে দাফন করা হবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।   নাদিম মোস্তফার ছোট ভাই সাঈদ হাসান বলেন, তিনি হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস নানা শারীরিক সমস্যা ভুগছিলেন। তিনি ঢাকায় তার গুলশানের বাসায় অবস্থান করছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করেছেন। এরপর হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফা মারা গেছেন
রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।  রোববার (৩০ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।    তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু জানান, রিমান্ডে বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফাকে অমানুষিক নির্যাতন করার পর থেকেই তিনি হার্টের অসুখসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। সকালে অসুস্থবোধ করলে দ্রুত তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। মিজানুর রহমান মিনু আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে নাদিম মোস্তফাকে বহনকারী লাশের গাড়ি ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে। আজ বাদ এশা পুঠিয়ায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ নিয়ে আসা হবে রাজশাহী শহরে। আগামীকাল সকালে রাজশাহীর শাহ মখদুম ঈদগাহ ময়দানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।’ তবে কোথায় তাকে দাফন করা হবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।   নাদিম মোস্তফার ছোট ভাই সাঈদ হাসান বলেন, তিনি হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস নানা শারীরিক সমস্যা ভুগছিলেন। তিনি ঢাকায় তার গুলশানের বাসায় অবস্থান করছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাশতা করেছেন। এরপর হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
৩০ জুন, ২০২৪

শীর্ষ করদাতা কাউছ মিয়া মারা গেছেন
দেশের শীর্ষ করদাতা ও হাকিমপুরী জর্দার মালিক মো. কাউছ মিয়া মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। গত সোমবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, ৮ ছেলে ও ৮ মেয়ে রেখে গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর ঢাকার আরমানীটোলা মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে লাশ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। কাউছ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাবাকে দেশে আনা হয়। গত শনিবার বিকেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই গত সোমবার রাতে মারা যান। মো. কাউছ মিয়ার জন্ম চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বরে। তিনি দীর্ঘদিন শহরের পুরান বাজারে ব্যবসা করেছেন। পর্যায়ক্রমে হাজীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এবং পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় ব্যবসা করেন। হাকিমপুরী জর্দা ব্যবসা ছাড়াও তার বেশ কয়েকটি ব্যবসা ছিল। তিনি ২২ বছর বয়সে ব্যবসা শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এককভাবে তা পরিচালনা করেন। উল্লেখ্য, কাউছ মিয়া স্বাধীনতার আগে একবার এবং পরে যতবার এনবিআর সেরা করদাতার সম্মাননা দিয়েছে ততবার অর্থাৎ টানা ২০ বার শীর্ষ করদাতার সম্মাননা পান। এ বছরও হুইলচেয়ারে করে এসে নিজ হাতে তিনি সেরা করদাতার সম্মাননা নেন। মুজিব বর্ষেও একমাত্র কাউছ মিয়াকে সেরা করদাতা মনোনীত করা হয়।
২৬ জুন, ২০২৪

জাবির সাবেক উপাচার্য মারা গেছেন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সালেহ আহমেদ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভোরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।  ড. কাজী সালেহ আহমেদের মেয়ে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপেনারশিপের ডিন অধ্যাপক মেহেরুন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ১৯৮৮ সালের ১০ মার্চ থেকে ১৯৯৩ সালের ১ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুতে শোক জনিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রুমানা রইছ। ড. সালেহ আহমেদের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক আজহার শাহিন বলেন, উপমহাদেশের অন্যতম সেরা এ পরিসংখ্যানবিদ অসম্ভব গুণী একজন শিক্ষক ছিলেন। বিষয়ের প্রতি তার গভীরতা এবং প্রশাসক হিসেবে তার ন্যায়পরায়ণতা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। অধ্যাপক ড. কাজী সালেহ আহমেদের প্রথম জানাজা আজ বাদ জোহর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জানাজা বাদ আসর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্ট্রাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার মেয়ে অধ্যাপক মেহেরুন আহমেদ পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
২৫ জুন, ২০২৪

শীর্ষ করদাতা কাউছ মিয়া মারা গেছেন
বাংলাদেশের শীর্ষ করদাতা ও হাকিমপুরী জর্দার মালিক হাজী মো. কাউছ মিয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।  সোমবার (২৪ জুন) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে হাজী মো. কাউছ মিয়ার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৮ ছেলে ও ৮ মেয়ে রেখে গেছেন। এর আগে বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন কাউছ মিয়া। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাদ জোহর আরমানীটোলা মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাউছ মিয়ার মেয়ে খাদিজা কাউছ বিউটি ও ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া। তারা বলেন, আব্বা বার্ধক্যের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাকে দেশে আনা হয়েছিল। এরপর পুরান ঢাকার বাসভবনে শয্যাশায়ী ছিলেন। শনিবার বিকেলে আব্বার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আব্বা দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নেন। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি,আল্লাহ তাকে যেন জান্নাতবাসী করেন, আমিন। জানা যায়, হাজী মোহাম্মদ কাউছ মিয়া চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন। তিনি দীর্ঘদিন চাঁদপুর জেলা শহরের পুরান বাজারে ব্যবসা করেন। পরে হাজিগঞ্জে এবং সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ এবং পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় ব্যবসা চালু করেন। হাকিমপুরীর জর্দা ব্যবসার পাশাপাশি তার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা ছিল। তিনি ২২ বছর বয়স থেকে ব্যবসা শুরু করেন এবং টানা ৭১ বছর এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার পর ২০২৪ সালের ২৪ জুন রাতে তার মৃত্যু হয়। হাকিমপুরী জর্দার মালিক, দেশসেরা শীর্ষ করদাতা  ও একজন দানশীল মানুষ হিসেবে হাজী মোহাম্মদ কাউছ মিয়ার সুনাম দেশজুড়ে। তার মৃত্যুতে দেশের মানুষ একজন প্রবীণ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবককে হারাল।  উল্লেখ্য, কাউছ মিয়া স্বাধীনতার আগে একবার এবং পরে যতবার এনবিআর সেরা করদাতার সম্মাননা দিয়েছে প্রতিবারই অর্থাৎ টানা ২০ বার তিনি শীর্ষ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন। এ বছরেও অসুস্থ শরীর নিয়ে হুইল চেয়ারে করে এসে নিজ হাতে তিনি সেরা করদাতার সম্মাননা নিয়েছিলেন। মুজিববর্ষেও একমাত্র কাউছ মিয়াকে সেরা করদাতা মনোনীত করা হয়।
২৫ জুন, ২০২৪

আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন
৪৪ বছর কারাভোগ শেষে মুক্তি পাওয়া জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া মারা গেছেন। গতকাল সোমবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ডিএমপির তেজগাঁও জোনের শেরে-বাংলা নগর থানার এসআই মশিউর আজম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সাভারের হেমায়েতপুরের জাদুরচর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন শাহজাহান। গত রোববার গভীর রাতে হঠাৎ বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এসআই মশিউর আরও জানান, শাহজাহানের বোন ফিরোজা বেগম হাসপাতাল থেকে লাশ গ্রহণ করেন। আইনগত কার্যক্রম শেষে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে তাকে দাফন করা হবে। কারা নথি অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় ঘাতক বজলুল হুদা, মুহিউদ্দিন, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মহিউদ্দিন আহমেদ, আবদুল মাজেদ, চার যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মীর কাসেম আলী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি খুকু মনির ও ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ আলোচিত ২৬ আসামির ফাঁসি কার্যকর করেন। ১৯৫০ সালের ২৬ মার্চ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে জন্ম জল্লাদ শাহজাহানের। ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন অবিবাহিত। তবে, মুক্তির পর এক তরুণীকে বিয়ে করে আইনি জটিলতায় পড়েন। ১৯৯১ সালের ১৭ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে যান। দোষী সাব্যস্ত হয়ে ডাকাতি করতে গিয়ে হত্যা ও অস্ত্র আইনের দুই মামলায় তার ৪২ বছরের কারাদণ্ড হয়। সাজা কমাতে জল্লাদ হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। সহযোগী হিসেবে গফরগাঁওয়ের নূরুল ইসলামকে ফাঁসি দিয়ে জল্লাদ জীবন শুরু। একসময় মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয় শাহজাহানকে। সেখানে প্রধান জল্লাদ করা হয়। জল্লাদের কাজ, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন এবং ভালো কাজের পুরস্কার হিসেবে ১০ বছর ৫ মাস ২৮ দিন রেয়াত (সাজা মওকুফ) পান। মুক্তির সময় ওই দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা পরিশোধ করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ৩১ বছর ৬ মাস দুদিন কারাভোগের পর গত বছর ১৮ জুন মুক্তি পান।
২৫ জুন, ২০২৪

জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন
৪৪ বছর কারাভোগ শেষ মুক্তি পাওয়া জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া মারা গেছেন। সোমবার (২৪ জুন) ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তিনি মারা যান।  ডিএমপির তেজগাঁও জোনের শেরে-বাংলা নগর থানার এসআই মশিউর আজম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাভারের হেমায়েতপুরের জাদুরচর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন শাহজাহান। রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।  তিনি জানান, শাহজাহানের বোন ফিরোজা বেগম হাসপাতাল থেকে মরদেহ গ্রহণ করেছেন। আইনগত কার্যক্রম শেষে শাহজাহানের মরদেহ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে দাফন করা হবে জানান তিনি।  শাহজাহান ভূঁইয়ার জন্ম নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। হত্যা ও অস্ত্র মামলায় তাঁর ৪২ বছরের সাজা হয়েছিল। ফাঁসি কার্যকর ও অন্যান্য কারণে তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে ৩২ বছর করা হয়। কারাগারের নথি অনুসারে,  ১৯৯২ সালের ৮ নভেম্বর ডাকাতির জন্য ১২ বছর এবং ১৯৯৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর অপর একটি মামলায় ডাকাতি ও হত্যার জন্য ৩০ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। এ ছাড়া, উভয় রায়ে তাকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড হয় তার। শাহজাহান দাবি করেন তিনি আরও বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন। তবে, জেলের রেকর্ডে এই সংখ্যা ২৬। ২০২৩ সালের ১৮ জুন তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
২৪ জুন, ২০২৪
X