শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
রাতের আঁধারে নায়িকা ববির রেস্টুরেন্ট দখল, মামলা দায়ের (ভিডিও)
রাজধানীর গুলশানে চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির রেস্টুরেন্ট ‘ববস্টার ডাইনিং’ দখল, লুটপাট, প্রতারণা, ব্যবসায়ীক অংশীদারকে হত্যাচেষ্টা ও মারপিট এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১ জুলাই) রেডওয়ার্কিড রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে ববি এসব অভিযোগ করেছেন।  গত ২২ জুন দিবাগত রাতে ববস্টার ডাইনিংয়ে লুটপাট ও মালামাল সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। ২৩ জুন দুপুরে ববির ব্যবসায়ীক অংশীদার ঘটনাস্থলে গেলে তাকে মারপিট করা হয়। এ বিষয়ে ওইদিনই মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ীক অংশীদার মির্জা বাশারের ছোট ভাই আব্বাস। একই দিন মির্জা বাশার ও ববিকে আসামি করে রেস্টুরেন্ট ভবনের এ জি এম সাকিব মিথ্যা মামলা দায়ের করেন বলে দাবি করেছেন ববি। সংবাদ সম্মেলনে ববি বলেন, সৎভাবে জীবনযাবন অব্যাহত রেখে আর্থিক সচ্ছলতার আশায় আমি গুলশান-২ এর ১১৩ নম্বর রোডের ওয়াই এন সেন্টারের একটি রেস্টুরেন্ট ক্রয় করি। রেস্টুরেন্টে অপারেশন পার্টনার হিসেবে রয়েছেন ববির পূর্বপরিচিত মির্জা বাশার। আগের রেস্টুরেন্টের মালিক আমানের সঙ্গে তার রেস্টুরেন্টের সমুদয় আসবাবপত্র (ইন্টেরিয়র ও অন্যান্য) ৫৫ লাখ টাকা মূল্য ধরে একটি চুক্তি হয়। একই সময়ে রেস্টুরেন্ট ভবনের (বিল্ডিং) মালিকের স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিন ও ছেলে জাওয়াদ আল মামুনের সঙ্গে ভবন রেস্টুরেন্ট মালিকসহ আলোচনা করি। তখন শাহিনা ইয়াসমিন ও জাওয়াদ রেস্টুরেন্টটি আমাকে ভাড়া নিতে উৎসাহিত করেন এবং চলমান রেস্টুরেন্ট হস্তান্তর করলে তারা পরবর্তী সময়ে আমাদের নামে নতুন চুক্তিপত্র করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তাদের প্রতিশ্রুতির পর আমরা আমানকে ১৫ লাখ টাকা প্রদান করি এবং টাকা পাওয়ার পর দিন আমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী তাকে দুটি চেকও প্রদান করা হয়।  তিনি বলেন, গত এপ্রিল মাসে আমান আমাদের কাছে রেস্টুরেন্ট হস্তান্তর করেন। আমরা এপ্রিল থেকে রেস্টুরেন্টের ভাড়া প্রতি মাসে আড়াই লাখ ও বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ পরিশোধ করছি। ভবনের মালিক আমাদের নামে ভাড়া জমা নিয়ে রসিদও দেন। রেস্টুরেন্টে ওঠার পর আমরা ডেকোরেশন পরিবর্তনের কাজ শুরু করি। যাতে প্রায় ১ মাস সময় লাগে। ডেকোরেশনে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। এ পর্যায়ে আমরা রেস্টুরেন্ট পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করি এবং ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আমরা ভবনের শাহিনা ইয়াসমিন ও জাওয়াদ আল মামুনকে চুক্তিপত্র, ফায়ার সেফটি ও বাণিজ্যিক অনুমতির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়ার অনুরোধ করি। তিনি অভিযোগ করেন, আমরা যখন ট্রেড লাইসেন্স করতে এসব কাগজপত্র চেয়েছি তখন থেকে হঠাৎ করেই পূর্বের রেস্টুরেন্ট মালিক আমান, ভবন মালিক শাহিনা ইয়াসমিন, তার ছেলে জাওয়াদ, ভবনের দায়িত্বে থাকা জয়, সাকিবসহ অন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাদের হয়রানি শুরু করেন। প্রথমে আমান তাকে পরিশোধ করা ১৫ লাখ টাকার বিষয় অস্বীকার করেন। যদিও তিনি ১৫ লাখ টাকা ক্যাশ বুঝে নিয়ে চাবি হস্তান্তর করেন। অন্যদিকে শাহিনা ও জাওয়াদের নির্দেশে ভবনের দায়িত্বে থাকা কর্মচারী জয়, সাকিব, হারুন ও তাদের সহযোগীরা বারবার আমার রেস্টুরেন্টের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিয়ে আমাকে হয়রানি শুরু করেন। এর মধ্যে ওয়ান গ্রুপ থেকে বারবার সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে রেস্টুরেন্টে এসে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। গুলশানের মতো জায়গায় এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে দেখে আমি ভীত হয়ে যাই এবং এরা আসলে কাদের লোক তা জানার চেষ্টা করি। তখনই আমরা প্রথম জানতে পারি, শাহিনা ইয়াসমিন সাবেক এক প্রভাবশালী পিএনপি নেতার স্ত্রী এবং এই ভবনের মালিক তিনিই। এমন পরিস্থিতিতে বিপদের আশঙ্কা দেখে ট্রেড লাইসেন্সের বিষয়ে করণীয় কী সে পরামর্শ করতে আমরা সিটি করপোরেশনে যাই এবং জানতে পারি, ওই বিল্ডিংয়ের কোনোরকম বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অনুমতি নেই। এ জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেইলি রোডে রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার পর এই বিল্ডিংটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে শাহিনা ইয়াসমিন তিন মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সরিয়ে ফেলার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিল্ডিং খোলেন—যোগ করেন ববি।  সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পর আমরা বুঝতে পারি, আমান, শাহিনা ও জাওয়াদ মিলে আমাদের সঙ্গে এক ভয়াবহ প্রতারণা করেছেন। তারা অবৈধ রেস্টুরেন্ট বাঁচাতে না পারার ভয়ে বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার ফাঁদ পাতেন। সেই ফাঁদে আমাদের ফেলা হয়েছে। বাণিজ্যিক কোনো অনুমতি না থাকার পরও মাত্র তিন মাসের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসে আমাদের প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করিয়েছেন এবং তারা আমাদের থেকে ভাড়াও নিচ্ছেন। তারা ধারণা করেছিল, আমরা বৈধ কোনো কাগজপত্র চাইব না। সিলগালা হওয়া ভবনটিতে এখনো আগের মতোই সব বাণিজ্যিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে পার্কিংয়ের স্থানে (গ্রাউন্ড ফ্লোর) ‘ল্যাভেন্ডার’, ‘বাসমতি’ নামের দুটি বাণিজ্যিক শপসহ ৩টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চলছে। প্রথম তলায় ‘থাই সিগনেচার’ নামে রেস্টুরেন্ট, দ্বিতীয় তলায় ‘হালদা ভ্যালি’ নামে রেস্টুরেন্ট ও চতুর্থ তলায় ‘স্পা সেলুন’ চলছে।  ভবনের বৈধ কাগজপত্র চাওয়ায় তাদের উচ্ছেদের চেষ্টা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তারা আমাদের হুমকি দিতে থাকে, এই ভবনে তোমাদের ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। সর্বশেষ গত ২২ জুন রাত ১১টায় আমরা রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে বেরিয়ে যাই। পরদিন ২৩ তারিখ সকালে রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা গেলে নিরাপত্তাকর্মীসহ অন্যরা তাদের ঢুকতে বাধা দেয়। কেন ঢোকা যাবে না তার কোনো উত্তর দিতে পারে না। খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মির্জা বাশার সেখানে গেলে হঠাৎ করেই ১৫-২০ জনের সন্ত্রাসী দল তার ওপর আক্রমণ শুরু করে। সেখানে বাশারকে একা পেয়ে বেদম মারধর ও হত্যাচেষ্টা করা হয়। যার সিসিটিভি ভিডিও রয়েছে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ থানায় অব্যহিত করি এবং সেখানে পুলিশ ও আমি একই সঙ্গে পৌঁছাই। পুলিশের উপস্থিতিতে আমরা রেস্টুরেন্টে ঢুকতে গেলে দেখতে পাই সেখানে নতুন তালা লাগানো হয়েছে।  মারধর করে উল্টো তাদের নামেই মামলা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ববি বলেন, আমরা গুলশান থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা থেকে মির্জা বাশারকে আগে চিকিৎসা করিয়ে এসে পরে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে আমরা মামলা করতে গিয়ে জানতে পারি তারা আগেই মামলার অভিযোগ জমা দিয়েছে। যেখানে আমাকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে আমি পুলিশের সঙ্গে যাই এবং পুলিশের সঙ্গে বের হয়ে প্রথমে থানায় যাই। মামলায় তদন্ত হচ্ছে, আশা করি তদন্তে সত্যতা উঠে আসবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আমি দীর্ঘদিন চলচ্চিত্রে কাজ করছি। শিল্পী হিসেবে আমার একটা সম্মান ও সুনাম আছে। আমি কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়াই না। বৈধভাবে একটা ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। সম্পূর্ণ অবৈধ একটি ভবনের বিষয়ে আমার কাছে তথ্য গোপন করে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। শাহিনা ইয়াসমিনের ওপর আমি সরল বিশ্বাসে ভরসা করি। কিন্তু তিনি, তার ছেলে ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর এমন তৎপরতার আমি প্রতিকার চাই। আপনাদের অনুরোধ করব, আপনারা সিটি করপোরেশনকে জিজ্ঞেস করুন, কীভাবে এই ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। যদি তারা সময়মতো আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিত তাহলে আজ আমি প্রতারিত হতাম না।  নিজের অর্থ খরচ করে ব্যবসা করতে নেমে উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছেন দাবি করে চিত্রনায়িকা ববি বলেন, আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পর এখনো গুলশানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কীভাবে এমন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলে তা আমার বোধগম্য নয়। তাদের কারা সহায়তা করে তাও অনুসন্ধান করা দরকার।  শাহিনা ইয়াসমিন এতটাই বেপরোয়া হয়ে গেছেন, আমরা যখন বৈধ কাগজপত্র চেয়েছি তখন তিনি বর্তমান সরকার এবং সরকারপ্রধান নিয়েও উল্টাপাল্টা ও অশ্লীল মন্তব্য করেছেন বলে ববির অভিযোগ।  এ ছাড়া ববি অভিযোগ করেন, তিনি জানতে পেরেছেন, প্রশাসনের দুজন লোক শাহিনা ও জাওয়াদের এসব অপকর্মে গোপনে সহায়তা করেন এবং তাদের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। এসব বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওই দিন একটা ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষ দুটি মামলা করেছে। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত বলা যাবে।  
০১ জুলাই, ২০২৪

গুলশানে চিত্রনায়িকা ববির রেস্টুরেন্টে লুটপাট, মামলা দায়ের
রাজধানীর ‍গুলশানে চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির রেস্টুরেন্টেু লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  গত ২৩ জুন দুপুরে মামলাটি দায়ের করা হলেও বিষয়টি রোববার (৩০ জুন) সাংবাদিকদের নজরে আসে।  মামলার আসামিরা হলেন- মোসা. শাহিনা ইয়াসমিন (৫৬), জয়, সাকিব (৩৫), মো. হারুন (৪০), জাওয়ান আল মামুন (৩০), মাহাবুবুল আলম কচি (৪৫) এবং মো. আল আমিন (৩৫)।  মামলাকারী মো. আব্বাস নামের এক ব্যক্তি। তিনি নায়িকা ববির রেস্টুরেন্টের অন্যতম পার্টনার আবুল বাশারের ছোট ভাই।  মামলার এজাহারে বলা হয়, আবুল বাশার ও ইয়ামিন হক ববি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত আসামি মোসা. শাহিনা ইয়াসমিনের ‘ওয়াই এন সেন্টার’-এর ৬ তলার একটি ফ্লোর ভাড়া নেন। ভাড়ার অ্যাডভান্স হিসাবে ৭ লাখ টাকা এবং মে মাসের ভাড়া হিসাবে ২ লাখ ৫০ হাজারসহ মোট ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা শাহিনা ইয়াসমিনকে দেন। এরপর ভাড়া নেওয়া ফ্লোরে BOBSTAR DINING নামে একটি রেস্টুরেন্ট চালু জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।  কিন্তু এরইমধ্যে হঠাৎ মৌখিকভাবে রেস্টুরেন্ট ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন আসামি মোসা. শাহিনা ইয়াসমিন। এ ঘটনায় তারা আবুল বাশার ও ইয়ামিন হক ববি বিষয়টি আপস-মীমাংসার কথা বলেন। ২৩ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রেস্টুরেন্টটিতে যান ভিকটিম। এ সময় তিনি রেস্টুরেন্টের তালা ভাঙা দেখেন। ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান রেস্টুরেন্টের জন্য ভেতরে সমস্ত মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এসব মালামালের মূল্য প্রায় ৫৫ লাখ টাকা।  এ সময় ভিকটিম আবুল বাশার ওই ভবনের সামনে যান। তখনই ভবনের মালিক ও আসামি মোসা. শাহিনা ইয়াসমিনের নির্দেশে আসামি জয় তার ডান চোখ উপরে ফেলার জন্য লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। ঠিক তখনই আসামি সাকিব আবুল বাশারকে হত্যার উদ্দেশে লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে গুরুতর রক্তাক্ত ও জখম হন তিনি। এছাড়া মো. হারুন নামে অপর এক ব্যক্তি লাঠি দিয়ে আবুল বাশারের ঘাড়ে আঘাত করলে এতে আহত হন তিনি। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে থাকা জাওয়ান আল মামুন হত্যার উদ্দেশে আবুল বাশারের গলা চেপে ধরেন। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা অন্য আসামিরা তাকে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন।  অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনার সময় ভিকটিমের হাতে থাকা ৪ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ঘড়ি, পকেটে থাকা নগদ ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, গলায় দেড় ভরি ওজনের আনুমানিক ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি চেইন এবং ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি আইফোন-১৫ প্রোম্যাক্স নিয়ে যায় আসামিরা।  পরে রেস্টুরেন্টের অন্যতম অংশীদার ইয়ামিন হক ববি ঘটনা জানতে পেরে দ্রুত গুলশান থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে গুলশান থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রথমে জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।   
৩০ জুন, ২০২৪

সিলেটে সংবাদকর্মীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের
সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব’র কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবুর (৩৬) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নিহত অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে মামলাটি করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি নুনু মিয়া। তিনি বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত চলছে। আশা করছি, দ্রুত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা গ্রেপ্তার হবে।’ এর আগে গত ২৫ এপ্রিল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগ দলদলি চা-বাগানসংলগ্ন মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পর দিন বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে নগরের চালিবন্দর মহাশশ্মানে মরদেহ দাহ করা হয়। নিহত অমিত সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার এলেংজুড়ি গ্রামের মৃত গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। সপরিবারে নগরের কানিশাইল এলাকায় বসবাস করছিলেন তিনি।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে এক ভারতীয়র মামলা দায়ের
বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষ হওয়ার প্রায় সপ্তাহ খানেক পার হতে চলছে। মাঠের খেলা নিয়ে আলোচনা একেবারে নেই বললেই চলে। ট্রফি নিয়ে ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ফেরতও চলে গেছেন অজি ক্রিকেটারদের একাংশ। তবে ভারতীয়দের বিশ্বকাপ পরাজয়ের ক্ষত যেন কোনোভাবেই শুকাচ্ছে না। বিশ্বকাপ জয়ের পর মিচেল মার্শের উদ্‌যাপনের একটি ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। বিশ্বকাপের ট্রফির ওপরে পা দিয়ে বসে আছেন—এই ছবির জন্য এবার মার্শের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বসেছেন ভারতের এক ক্রিকেট সমর্থক। এর আগে অবশ্য এমন ছবির জন্য তার সমালোচনা করেছেন ভারতের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ শামি। বিশ্বকাপের ট্রফির ওপরে পা দিয়ে বসা মার্শ— এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হয়। এর পর থেকেই অনেকেই ট্রফি আর ক্রিকেট খেলাকে অসম্মান করার জন্য মার্শের ব্যাপক সমালোচনা করছেন। অবশ্য অনেককে পাশেও পাচ্ছেন তিনি। তবে পণ্ডিত কেশব নামের এক ভারতীয় মার্শের ওপর ব্যাপক চটেছেন এতটাই যে মার্শের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে বসেছেন তিনি।  উত্তর প্রদেশের এই ব্যক্তির দাবি, মার্শের এই ছবি অনেক ভারতীয় সমর্থকের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। তিনি এফআইআরের একটি কপি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও পাঠিয়েছেন। দাবি করেছেন, ভারতে মার্শের খেলায় যেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এর আগে অবশ্য এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মোহাম্মদ শামি মার্শের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি। যে শিরোপার জন্য বিশ্বের সব দল লড়াই করে, যে ট্রফি আপনি মাথার ওপরে তুলে ধরেন, সেই ট্রফির ওপর পা রাখা আপনাকে আনন্দ দিতে পারে না।’ ভারতের অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলাও ইনস্টাগ্রামে মার্শের সমালোচনা করেছেন। ট্রফিতে চুমু খাওয়া একটি ছবি পোস্ট করে উর্বশী লিখেছেন, ‘ভাই, বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতি কিছুটা সম্মান দেখাও।’ এই বিষয়ে এখনো মার্শের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
২৫ নভেম্বর, ২০২৩

সিলেটে যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বাকবিতণ্ডার জেরে ছাত্রলীগ নেতাদের ছুরিকাঘাতে যুবলীগ নেতার মৃত্যু ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে নিহতের ভাই রাসেল আহমদ বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো.রফিকুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের কদমরসুল গ্রামের সুফিল আহমদের ছেলে অপু আহমদ (২০), ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের কানিশাইল গ্রামের সাইফুল ইসলাম রানার ছেলে ছাইদ আহমদ (২২) ও আমুড়া ইসলামটুল গ্রামের জালাল আহমদের ছেলে সাইফুল ইসলাম জাফর (২৫)। গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের আমনিয়া বড় মসজিদের পাশে ম্যাসেঞ্জারে গালাগালের দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা তাজেল আহমদ ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাজেলের বন্ধু তানভীর আহমদ বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত তাজেল আহমদ উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের আমুড়া গ্রামের ময়েন আলীর ছেলে। সে পেশায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করত। আহত তরুণ তানভীর আহমদ একই গ্রামের সফিক উদ্দিনের ছেলে।
২২ অক্টোবর, ২০২৩
X