সড়ক দুর্ঘটনায় সেনাসদস্য ও মাদ্রাসাছাত্র নিহত
নওগাঁর পৃথক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় সেনাসদস্য ও মাদ্রাসাছাত্র মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ জুন) পৃথক ঘটনায় মামলা দায়ের শেষে নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ধর্মপুর মোড় এলাকায় মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নয়ন (২৮) নামে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। অপরদিকে একই দিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মহাদেবপুর নিজ বাড়ি থেকে নওগাঁ শহরে যাওয়ার সময় উপজেলার দক্ষিণ হোসেনপুর এলাকায় ট্রাক-মোটারসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে জিহাদ হোসেন (১৭) নামে এক মাদ্রাসাছাত্র নিহত হয়। নিহত নয়ন নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের গোরাই গ্রামের লালচাঁন মিয়ার ছেলে। এবং জিহাদ হোসেন মহাদেবপুর উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের রোদইল গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নয়ন সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন এবং চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যান তিনি। সোমবার সকালে ছাতড়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথের মধ্যে ধর্মপুর মোড় এলাকায় পৌঁছালে গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে নয়ন নিহত হন। নিয়ামতপুর থানার ওসি মাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে জিহাদ হোসেন মহাদেবপুরের নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে নওগাঁ শহরে যাচ্ছিলেন। পথে নওগাঁ-মহাদেবপুর মহাসড়কের দক্ষিণ হোসেনপুর এলাকার বসনা ব্রিজ-সংলগ্ন পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই জিহাদ হোসেন নিহত হন। মহাদেবপুর থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, পরিবারের দাবি ১৭ বছরের নিহত জিহাদ একটি মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৪ জুন, ২০২৪

বালুবাহী ট্রাকচাপায় মাদ্রাসাছাত্র নিহত
বগুড়ার ধুনটে বালুবাহী ট্রাকচাপায় আহসান হাবিব নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে উপজেলার আড়কাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আহসান হাবিব আড়কাটিয়া গ্রামের মঞ্জু সরকারের ছেলে। সে ধুনট আল কোরআন একাডেমি হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। স্থানীয়রা জানান, ইছামতী নদীর নাব্য ফেরাতে খননের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদীর বালু মাটি পাড়ে ফেলছে। নদীর এসব মাটি কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আড়কাটিয়া গ্রামের বেলাল হোসেন ও সুলতানহাটা গ্রামের বাসিন্দা রায়হান আলী অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছেন। ভেকু মেশিন দিয়ে নদীর পাড় কেটে থেকে বালু মাটি তুলে ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নদীর পাড় থেকে বালু নিয়ে দুই ট্রাক দুদিক থেকে আসায় মাঝখানে চাপা পরে শিশু আহসান হাবিব নিহত হয়। এতে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাক ও ভেকু মেশিন ভাঙচুর করেছে। ধুনট ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার হামিদুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ট্রাকের আগুন নেভাই। কিন্তু ট্রাক মালিক ও চালকের নাম-ঠিকানা জানতে পারিনি। ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান কালবেলাকে বলেন, ট্রাকচাপায় শিশু নিহতের বিষয়ে মামলা হয়েছে। আগুনে পোড়া ট্রাকগুলো জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।  
০৮ মে, ২০২৪

কক্সবাজারে মাদ্রাসাছাত্র অপহরণ, অতঃপর...
কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকা থেকে অপহরণের শিকার মাদ্রাসা পড়ুয়া তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মো. সাইফকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এসময় অপহরণ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে ২৮ এপ্রিল অপহরণের ঘটনা ঘটে। বুধবার (১ মে) উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া শালবাগান এলাকা থেকে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের আটকের বিষয়টি দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলন করে জানায় র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের আওতাধীন টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তানভীর হাসান শিথিল। উদ্ধার হওয়া শিশু মো. সাইফ টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোছনের ছেলে। সে স্থানীয় জাদিমুরা রহমানিয়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসার নূরানি বিভাগের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার নুর আলমের ছেলে মো. সাব্বির, একই এলাকার ছৈয়দ হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ, আবুল কালামের ছেলে আকতার কামাল, নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৫ ব্লকের বাসিন্দা আবুল ফয়েজ ওরফে মাঝির ছেলে হাসান বশর ও সাবরাং ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার মৃত ঠান্ডা মিয়ার ছেলে মো. সেলিম। গ্রেপ্তারদের স্বীকারোক্তির বরাতে র‌্যাব জানায়, স্থানীয় ও রোহিঙ্গা ১২-১৫ জন কম বয়সী কিশোর মিলে একটি কিশোর গ্যাং গড়ে তুলে অপহরণসহ নানা অপরাধ সংঘটিত করে আসছিল। মাদ্রাসা থেকে ক্লাস শেষে ফেরার পথে টাকার লোভ দেখিয়ে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্যরা মো. সাইফকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।  সংবাদ সম্মেলনে তানভীর হাসান শিথিল বলেন, গত ২৮ এপ্রিল বিকেলে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করা হয়। প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসা ছুটি হয়ে রাত হলেও ছেলে বাড়িতে ফিরে না আসায় স্বজনরা খুঁজতে বের হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এ ঘটনায় ওই ছাত্রকে উদ্ধারের জন্য তার মামা টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ দেন। মঙ্গলবার সকালে একটি মোবাইল ফোন থেকে বাড়িতে কল করে সাইফকে পেতে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এরপর থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাবও অভিযান শুরু করে। র‌্যাবের এ কোম্পানি অধিনায়ক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকালে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের নাজিরপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় র‍্যাব। ওই এলাকার মো. সেলিমের আস্তানা থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া দিয়ে অপহরণ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২১ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহৃতদের পরিবারের তথ্য বলছে অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।
০১ মে, ২০২৪

বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই মাদ্রাসাছাত্র নিহত
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই মাদ্রাসাছাত্র নিহত হয়েছে। নিহতদের নাম আব্দুর রহমান (১৭) ও মোস্তাকিম (১৪)। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভাধীন চট্টগ্রাম - খাগড়াছড়ি মহাসড়কের কুম্ভারপাড়া এবিসি রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত আব্দুর রহমান স্থানীয় বাবুনগর কওমি মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। সে নাজিরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের জনৈক তৌহিদুল আলমের পুত্র। অপর নিহত মোস্তাকিম একটি মাদ্রাসা থেকে সম্প্রতি হিফজুল কোরআন সমাপ্ত করেছে বলে জানা গেছে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে তিন খালাতো ভাই ঈদে বেড়ানোর কথা বলে মোটরসাইকেলে করে নাজিরহাটের দিকে যাচ্ছিল। বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাদের মোটর সাইকেলটি কুম্ভার পাড়ার এবিসি রাস্তার মাথায় মহাসড়কে উঠলে পেছন দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুর রহমান নিহত হয়। গুরুতর আহত অপর দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পথিমধ্যে মুত্যু হয় মোস্তাকিমের। নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান ঘাতক বাসটিকে জনতা আটক করলেও চালক পালাতক রয়েছে। বর্তমানে বাস ও মোটরসাইকেলটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। 
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

অপহরণের ২২ দিন পর মাদ্রাসাছাত্র উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী গ্রামের অপহৃত মাদ্রাসাছাত্রকে ২২দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ অপহরণে জড়িত চক্রের সকল সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ মার্চ) রাত ৮টায় ওসি মোহাম্মদ ওসমান গনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানিয়েছেন, পুলিশ অপহৃত মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) উদ্ধার এবং অপহরণ চক্রের পুরো গ্যাংকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওখানে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। গত ৯ মার্চ টেকনাফের হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে অপহরণ হয় মাদ্রাসা ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ। সে একই এলাকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র ছেলে। সে পূর্ব পানখালী এলাকার আবু হুরাইরা (রা.) মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র। এ ব্যাপারে শিশুর মা নুরজাহান বেগম থানায় লিখিতভাবে অবহিত করছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এতে শিশুটিকে জনৈক নারীকে অটোরিকশা তুলে নিতে দেখা গেছে। পুলিশ ১০ মার্চ অভিযান চালিয়ে অপহরণ ঘটনায় ব্যবহৃত অটোরিকশার চালক ও সংঘবদ্ধ চক্রের নারী সদস্যসহ চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ৫ জনই রোহিঙ্গা। এর ধারাবাহিকতায় ২২ দিনে এসে পুলিশ শিশুটি উদ্ধারসহ পুরো চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছেন। পুলিশের তথ্য বলছে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১৭ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের পরিবারের তথ্য বলছে অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫১ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।
৩০ মার্চ, ২০২৪

মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় মাদ্রাসাছাত্র নিহত
নোয়াখালীর কবিরহাটে বেপরোয়া গতির মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় এক মাদ্রাসাছাত্র নিহত হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নে চাপরাশিরহাট টু মন্ডলিয়া সড়কের জনতা বাজারসংলগ্ন চর গুল্লাখালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।   নিহত আমির হোসেন (১৩) ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চর মন্ডলিয়া গ্রামের বিটারাগো বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় চর মন্ডলিয়া গ্রামের একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।   স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে বাড়ি থেকে একই ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকায় বড় ভাইয়ের কাছে যায় আমির। সেখান থেকে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মাটিবাহী ট্রাক্টর তাকে পেছন থেকে চাপা দিলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।    ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান সাহাব উদ্দিন বলেন, নিহত ছেলের বাবা একজন দিনমজুর। তিনি থানায় মামলা করতে চাচ্ছে না। আমার কাছে এসেছে বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার জন্য। কবিরহাট থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, বাদী মামলা করতে চাচ্ছে না। আমি বলেছি বাদীকে আমার কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। থানায় লিখিত দিয়ে যাবে।
১১ মার্চ, ২০২৪

মাদ্রাসাছাত্র যৌন নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক আটক
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মিজানুর রহমান নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে আটটায় দেবীগঞ্জ পৌরসদরের মুন্সি পাড়ায় আলহেরা হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ। আটক অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান (৩৮) নীলফামারী সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ গোড়গ্ৰাম এলাকার লতিফুর রহমানের ছেলে। পুলিশ ও ভুক্তভোগী ছাত্রদের অভিভাবকরা জানান, আলহেরা মাদ্রাসায় আবাসিক ও অনাবসিক ব্যবস্থায় পাঠদান চালু আছে। মাদ্রাসার শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তবে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে। পরে বুধবার বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবক ও স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে সন্ধ্যায় মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসা ভাঙচুর করা হচ্ছে বলে পুলিশকে জানায়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সামনে আসে যৌন নির্যাতনের ঘটনা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যৌন নির্যাতনের শিকার ছয় ছাত্রকে হেফাজতে নেয়। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে আলহেরা মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই প্রধান রাজিব মোবাইল ফোনে জানান, মিজানুর রহমান গত ৭-৮ বছর থেকে এখানে শিক্ষকতা করছেন। গতকাল এক অভিভাবক তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনলে, তাকে জরুরী মিটিংয়ের মাধ্যমে গতকালই বহিষ্কার করা হয়। এ বিষয়ে পুলিশকে কেন অবগত করা হয়নি তা জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। যৌন নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ট্রাকচাপায় মাদ্রাসাছাত্র নিহত
ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে আব্দুল্লাহ নামের এক মাদ্রাসাছাত্র নিহত হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বিনিময় ফিলিংস স্টেশনের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত আব্দুল্লাহ (১২) শহরের পশ্চিম হাঁড়িভাঙ্গার তালিমুল ইনসান কওমি হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র এবং একই এলাকার রাজু মিয়ার ছেলে।  পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আব্দুল্লাহ বাড়ি থেকে বাইসাইকেলযোগে তার এক বন্ধুসহ মাদ্রাসার উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ওই ফিলিং স্টেশনের সামনে লালমনিরহাট থেকে রংপুরের দিকে ছেড়ে যাওয়া ট্রাকটি বাইসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে সাইকেলে থাকা মাদ্রাসাছাত্র আব্দুল্লাহ ছিটকে ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এ সময় সাইকেলে থাকা অপর ছাত্র বেঁচে যায়। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক ট্রাকটিকে আটক করলেও চালক ও সহযোগী পালিয়ে যায়। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে ৫ দিন ধরে মাদ্রাসাছাত্র নিখোঁজ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্র মোশারফ হোসেন (১৪)। আত্মীয়স্বজনসহ সম্ভব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার।  এর আগে গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) মোশারফ নিখোঁজ হয়। মাদ্রাসা ছুটির পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। নিখোঁজের ঘটনায় কমলনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। নিখোঁজ মোশারফ মাতাব্বর নগর দারুচ্ছুন্নাত আলিম মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। সে চর ঠিকা আশ্রয়ণ কেন্দ্রের (কলোনির) মাছ ব্যবসায়ী আবুল খায়েরের ছেলে। মোশারফ হোসেনের বাবা আবুল খায়ের বলেন, গত বুধবার তার ছেলে কলোনি থেকে মাদ্রাসা যায়। বিকেলে সে আর বাসায় ফেরেনি। ছেলের খোঁজ না পেয়ে শুক্রবার কমলনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেও কোনো সুফল পায়নি। ছেলের সন্ধানে রামগতি-কমলনগরসহ বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করেছেন। তার ছেলেকে ফিরে পেতে তিনি প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন। মাতাব্বর নগর দারুচ্ছুন্নাত আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী হোসেন বলেন, আমাদের মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র মোশারফ ছুটির পর মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু বাড়িতে না ফেরায় তার বাবা থানায় জিডি করেছেন। তার সন্ধান পেতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কমলনগর থানার ওসি তহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জিডি হয়ে থাকলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত মাদ্রাসাছাত্র সজিব বাঁচতে চায়
ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আলিম ১ম বর্ষের মেধাবী ছাত্র মেহেদী হাসান ওরফে সজিব। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রক্তরোগ এবং ব্লাডক্যানসার বিশেষজ্ঞ  সহযোগী অধ্যাপক, হেমাটোলজি বিভাগ ডাক্তার মোহম্মদ মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করতে গিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার ব্লাড ক্যানসার ধরা পরে। পিতা-মাতার আদরের সন্তান সজিব বাঁচার আকুতি নিয়ে আর্তনাদ করলেও তার চিকিৎসায় অক্ষম পরিবার। বাঁচতে সবার সম্মিলিত আন্তরিক সাহায্য-সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন সজিব (২০)। অর্থাভাবে ইতোমধ্যেই তার চিকিৎসা ব্যয় প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মনোহরপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন ও মোর্শেদা আক্তার দম্পতির ২ পুত্র ও ১ কন্যার মধ্যে মেহেদী হাসান সজিব সবার বড়। তার বাবা মনোহরপুর মরহুম ফজলুল হকের জামে মসজিদের জুমার নামাজের খতিব। পাশাপাশি ছোট একটি দোকানে চা-পান বিক্রি করেন। গত ৩ নভেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার মোহম্মদ মনিরুল ইসলাম (হেমাটোলজি বিভাগ, ওয়ার্ড- ৯০১, বেড-২৮, রুম নং ০৫) তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। ডাক্তার মোহম্মদ মনিরুল ইসলামের বরাত দিয়ে সজিবের বাবা বলেছেন, লাগাতার ৯০ দিন চিকিৎসা করলে সজিব সুস্থ হবে। চিকিৎসায় সর্বসাকুল্যে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখেরও বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে। সুস্থ হয়ে আগের মতো তার প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইসহাকাবাদ আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষকসহ সহপাঠীদের মাঝে ফিরে যেতে চায় সজিব। তার পিতামাতা নিজ এলাকা ছাড়াও দেশের হৃদয়বান মানুষের নিকট, নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যসহ সর্বোপরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।  সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : মো. জয়নাল আবেদীন,  সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-০৩২৯১০০০১০৭৬১, সোনালী ব্যাংক লি., রাজাপুর শাখা, ঝালকাঠি। মোবাইল ও বিকাশ নম্বর- ০১৭২৯১০০০৬৫।  
০৫ নভেম্বর, ২০২৩
X