মাদক মামলায় সাবেক আ.লীগ নেতার যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে মাদক মামলায় মিন্টু শেখ নামে সাবেক এক আওয়ামী লীগ নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অপর মাদক ব্যবসায়ী বাবু শেখকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এ দণ্ডাদেশ দেন।  যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মিন্টু শেখ পৌর এলাকার মাহমুদপুর উত্তরপাড়া মহল্লার শাহ আল শেখ ওরফে শহরাইয়ের ছেলে এবং ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলার অপর একটি ধারায় তাকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  অপর আসামি বাবু শেখ মাহমুদপুর মহল্লার মৃত দানেজ শেখ ওরফে দানু শেখের ছেলে। তাকে ৫ বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর একটি ধারায় ১ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।   রায় ঘোষণার সময় মিন্টু শেখ উপস্থিত থাকলেও বাবু শেখ পলাতক ছিলেন। ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. জেবুন্নেছা জেবা রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে

সিলেটে সাড়ে ২৮ লাখ টাকার মাদক জব্দ
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ২৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ, মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) সজল কুমার সরকার।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার বলদি গ্রামের মৃত নানু মিয়ার ছেলে এনাম আহমদ (৪৫), কোতয়ালী থানার কুমারপাড়া গ্রামের মৃত ইয়াছির মিয়ার ছেলে আম্বিয়া টিপু (৪০) ও বলদি গ্রামের ফজর আলী।  পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই আনুমানিক রাত ১২টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে বিদেশগামী যাত্রী সেজে সিলেট থেকে গোলাপগঞ্জের উদ্দেশে মাদকদ্রব্য নিয়ে যাচ্ছিল দুই আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এলোপাতাড়ি গাড়ি চালাতে থাকে আসামিরা। পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় উপজেলার পৌর এলাকার সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া নামকস্থান থেকে বিপুল মাদকদ্রব্যসহ ২ জনকে ও তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আরও ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ আরও জানায়, আসামিদের সঙ্গে থাকা একটি ট্রলি ব্যাগ থেকে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ৮ হাজার ২শ পিস ইয়াবা, নগদ ১ লাখ ২ হাজার টাকা, একটি প্রাইভেটকার, দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মূল্য আনুমানিক ২৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মাছুদুল আমিন কালবেলাকে বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 
০৬ জুলাই, ২০২৪

জবি ছাত্রলীগ নেতার মাদক সেবনের ছবি ফাঁস
রাজনীতি ছেড়ে মাদক সেবন ও টিকটকে ব্যস্ত সময় পার করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন চৌধুরী পিংকু। সম্প্রতি অঞ্জন চৌধুরী পিংকুর মদপানের আসরের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ছাত্রলীগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি ওই নেতার মদপানের ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নানা মহলে এই নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। ভাইরাল ওই ছবিতে দেখা যায়, জবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন চৌধুরী পিংকু এক হাতে সিগারেট আর অন্যহাতে মোবাইল নিয়ে খালি গায়ে লুঙ্গি পরা অবস্থায় একটি সোফায় বসে আছেন। তার সামনে থাকা ছোট টেবিলে মদে পরিপূর্ণ একটি বোতল এবং একটি গ্লাসে মদ ঢেলে রাখা হয়েছে। আর বামপাশে অন্য একজনের হাত দেখা যাচ্ছে। রাজনীতি ছেড়ে মাদক আর টিকটকে ব্যস্ত জবি ছাত্রলীগ নেতা। জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেও অঞ্জন চৌধুরী পিংকুর রাজনীতিতে আসা নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জয়-লেখকের দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজনীতিতে সক্রিয় হন অঞ্জন চৌধুরী পিংকু। নিজেকে সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিলেও যার বাস্তব প্রমাণ কখনো হাজির করতে পারেননি। ক্যাম্পাসের রাজনীতিতে শিক্ষার্থীদের কাছেও তিনি একদমই অপরিচিত মুখ। এদিকে সামাজিকমাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হলে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ছাত্রলীগের কর্মীরা বলছেন, এইরকম ঘটনা সংগঠনের ইমেজকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। ছাত্রলীগের আদর্শের সঙ্গে এটি যায় না। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নেতা পিংকু গণমাধ্যমে বলেন, এটা আমি না। রাজনীতি প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছি। এটা ভুয়া।
০৫ জুলাই, ২০২৪

মাদক মামলায় কৃষকলীগ নেতার যাবজ্জীবন
মাদক মামলায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিবকে (৩০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়।  বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে এ রায় দেন রাজবাড়ী জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ আদালতের বিচারক জান্নাতুন লিলিফা আক্তার জাহান। ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৩(খ) ধারায় ওই রায় দেওয়া হয়। জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ মে তারিখে ২ নম্বর কোম্পানি ফরিদপুর র‌্যাব-৮ এর ডিএডি মো. রফিকুল ইসলাম ও তার পাঁচ সদস্যসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাবিব শেখের বাড়ি থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছিলেন। এবং ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ১৯৯০ এর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
০৩ জুলাই, ২০২৪

থানা থেকে পালাল মাদক মামলার আসামি
থানা থেকে পালিয়েছে মাদক মামলার এক আসামি। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানায়। সোমবার (১ জুলাই) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পলাতক আসামির নাম আরজু মিয়া (২৪)। সে পার্শ্ববর্তী কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের নূরুল হকের ছেলে।  সোমবার সকালে উপজেলার ধরখার ফাঁড়ি থানার পুলিশ তাকে ৪ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় আসামিকে ধরতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। ধরখার ফাঁড়ি থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে ফাঁড়ি থানার এসআই মো. মোবারক হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ওই এলাকার ওসমান মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে আরজু মিয়াকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করে। বেলা সাড়ে ১১টায় নিয়মিত মাদক মামলা দিয়ে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করে।  এরপর বেলা দুইটার দিকে আসামি আরজু মিয়া পালিয়েছে। আসামিকে খুঁজে না পেয়ে ঘটনাটি নিয়ে থানায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর থেকে পুলিশ আরজু মিয়াকে ধরতে অভিযানে নেমেছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো আসামি ধরতে পারেনি পুলিশ। জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামি আরজু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। সে ওই কক্ষের জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
০২ জুলাই, ২০২৪

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের হেফাজত থেকে ৭৫ পিস ইয়াবা, ১৯২ গ্রাম হেরোইন, ১০০ বোতল ফেনিসিডিল, ৪ হাজার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ১০০ গ্রাম আইস ও ৯৫৩ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলা করা হয়েছে।
০২ জুলাই, ২০২৪

পরীমণির মাদক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল
রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৮ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।  সোমবার (১ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিল। তবে পরীমণির আইনজীবী আদালতকে জানান, আপিল বিভাগ থেকে মামলাটির ওপর স্থগিতাদেশ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। স্থগিতাদেশ বিষয়ে সার্টিফাইড কপি না পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন এই আইনজীবী। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৮ জুলাই পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। এদিন পরীমণির পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। পরীমণির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও খালু কবীর হাওলাদার আদালতে এসে হাজিরা দেন। এর আগে গত বছরের ৯ জানুয়ারি পরীমণির মাদক মামলার কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত থাকবে বলে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচাপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আদেশ দেন।  ২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। ৩১ আগস্ট জামিন পান পরীমণি। পরদিন তিনি কারামুক্ত হন। এদিকে ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন। ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
০১ জুলাই, ২০২৪

সম্পাদকীয় / মাদক ও চাঁদাবাজির সাম্রাজ্য
জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও অপরাধ চক্রের সমন্বয়ে মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা দেশে নতুন নয়। তবে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে এসব তৎপরতা যেখানে বন্ধ কিংবা কমে যাওয়ার কথা, সেখানে ক্রমশ এ প্রবণতা বৃদ্ধি অত্যন্ত হতাশার। শনিবার কালবেলায় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন অন্তত এ কথাই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ঢাকা উত্তর সিটির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাষ্টনের কোটি কোটি টাকার মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং গড়ে তোলা এবং তার অপরাধ ও দাপটের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেই নির্যাতনসহ বিভিন্ন হুমকি-ধমকির চিত্র বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আর এসব অপকর্মের সুবিধা নিচ্ছেন খোদ রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের বেশ কিছু সদস্য। তারা এসব চাঁদাবাজি ও মাদক কারবার থেকে সাপ্তাহিক ও মাসিক মাসোহারা নেন লাখ লাখ টাকা। বিনিময়ে চলতে দেওয়া হয় কাউন্সিলর রাষ্ট্রনের মাদক ও চাঁদাবাজির সাম্রাজ্য। এই কাউন্সিলর মোহাম্মদপুর অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের বরাদ্দকৃত জমি দখল, ফুটপাতের দোকান, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আবাসিক হোটেল থেকে মাসে প্রায় ৫০-৬০ লাখ টাকা চাঁদা নেন। এ ছাড়া বিহারি ক্যাম্পে প্রতিদিন প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকার মাদক বিক্রি হয়। তা থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ টাকা নেন তিনি। বৈধ ব্যবসায়ীর মতো বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা তোলা ও মাদক বিক্রির টাকা সংগ্রহ করতে আলাদাভাবে লোক নিয়োগ করেছেন। তথ্য আনা-নেওয়া ও হামলা চালাতে গড়ে তুলেছেন কিশোর গ্যাং। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, মাদক কারবারের কমিশন নিয়ে স্বল্প সময়ে বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। নিজের নামের পাশাপাশি স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের নামে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদ। রাজধানীর মতো একটি জায়গায় দিনের পর দিন এক রকম প্রকাশ্যেই চলছে এসব কর্মকাণ্ড। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব কীভাবে সম্ভব? এসব কি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনরা জানেন না? রাষ্ট্রের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কি অবগত নয়? কালবেলার অনুসন্ধানে যদি এতসব অপকর্মের হদিস পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে আনা সম্ভব হয়; অর্থাৎ কতটা দোকান, কতটা হাসপাতাল, কতটা ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক, হোটেলসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কখন, কত টাকা, কীভাবে, কারা চাঁদা ওঠাচ্ছে এবং কারা জেনেভা ক্যাম্পে মাদকের হাট বসিয়েছে, তাদের নামধাম সবই নির্দিষ্ট করে প্রতিবেদনে দেখানো সম্ভব হচ্ছে, তাহলে এসব নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যাদের ওপর ন্যস্ত, তারা কী করেন? প্রতিবেদন বলছে, জেনেভা ক্যাম্পের মাদক কারবারিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখতে মোহাম্মদপুর থানার একজন পরিদর্শক সপ্তাহে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে নেন। এই পরিদর্শকের পছন্দের আরও চারজন এসআই প্রতি সপ্তাহে ৮০ হাজার টাকা নেন। আর বাকিরা সব কাউসিলর রাষ্টনের ঘনিষ্ঠজন। এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে রয়েছে নারী নির্যাতনের একাধিক অভিযোগও। ভুক্তভোগীরা থানায় তার নামে অভিযোগ দিলে ঢাকা ছাড়তে বাধ্য করেন তিনি। আমরা মনে করি, মোহাম্মদপুর অঞ্চলে দীর্ঘদিনের মাদক কারবার ও চাঁদাবাজির সাম্রাজ্য গড়ে তোলার যে অভিযোগ, সে ব্যাপারে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের নীরব ভূমিকা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, এসব অপকর্মের মূল হোতা একজন জনপ্রতিনিধি; আর এসবের শেল্টারে স্বয়ং প্রশাসনের সম্পৃক্ততা! মাদকমুক্ত পরিচ্ছন্ন সমাজের আকাঙ্ক্ষা আমাদের সবার। মাদক, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতা ও কঠোর অঙ্গীকারের কথা কারও অজানা নয়। কিন্তু এসব ঘটনা সরকারের নীতিগত অবস্থানকে অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই, শুধু অঙ্গীকারে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, আমরা চাই এসবের বিরুদ্ধে বাস্তবিকই কঠোরতম অবস্থান নেওয়ায় হবে।
৩০ জুন, ২০২৪

আ.লীগ নেতাকে কোপাল মাদক ব্যবসায়ীরা
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। রোববার (২৩ জুন) আনুমানিক দুপুরে উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের আজমিরীগঞ্জ-জনতাগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত আ.লীগ নেতা ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত ওই আ.লীগ নেতার নাম মো. মঞ্জিল মিয়া। তিনি মৃগা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।  স্থানীয়রা জানান, মঞ্জিল মিয়া দীর্ঘদিন ধরেই মাদক ব্যবসায়ীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মাদকের চালান পাচারকালে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। এতে তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা। মঞ্জিল মিয়ার বড়ভাই সাবেক ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দীন জানান, আমার ছোট ভাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিপক্ষে কথা বলায় রোববার দুপুরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার দোকানে গিয়ে হামলা করে মাদক ব্যবসায়ী মৃত আজিজ মিয়ার ছেলে মো. স্বাধীন মিয়া, মৃত নাহের আলীর ছেলে নিজাম মিয়া ও দেলোয়ার হোসেন দিলু, মৃত নাইম মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীরসহ ১৫-২০ জন। তিনি আরও জানান, মঞ্জিল মিয়াকে এখন কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অষ্টগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সামুয়েল সাংমা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৪ জুন, ২০২৪

মাদক সেবন নিয়ে দ্বন্দ্ব, কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার 
পাবনার ঈশ্বরদীতে মাদক সেবন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তপু হোসেন (১৪) নামে এক কিশোরকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার মশুরিয়াপাড়া এলাকার অরন্য ছাত্রাবাসের ৩য় তলা থেকে নিহতের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত ১৬ জুন ওই কিশোরকে নিখোঁজ উল্লেখ করে নিহতের মা (মজিরন বেগম) ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। এরপরই পুলিশ তদন্তে নেমে মরদেহের খোঁজ পান। নিহত তপু ওই এলাকার রিকশা চালক আবুল কাশেমের ছেলে। পুলিশ জানায়, ঈদের দুইদিন আগে মাদক সেবন নিয়ে তপুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের। পরে তারা কৌশলে ডেকে নিয়ে তপুকে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ কয়েক টুকরো করে বস্তাবন্দি করে উল্লেখিত ওই ছাত্রাবাসের ৩০৫ নং রুমের একটি ট্যাংকের মধ্যে রেখে পালিয়ে যায়। এর আগে নিখোঁজের পরদিন হত্যাকারীরা তপুর বাবার মুঠোফোনে কল দিয়ে বিকাশে টাকা দাবি করেন। বিকাশে টাকা আদানপ্রদানের সূত্র ধরেই পুলিশ সন্দেহ করে তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে নিহত তপুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, তদন্ত চলছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের লাশ এখনও থানায় আসে নাই।
২৩ জুন, ২০২৪
X