মাছ বিক্রি করে এসে ছেলে দেখল বাবা নেই
বাবা-ছেলে মিলে মাছ ধরে তা বিক্রি করতে গিয়েছিল ছেলে। পরে ফিরে দেখে তার বাবা নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করে পরদিন জাল টানলে নদী থেকে তার বাবার মরদেহ পাওয়া যায়। শুক্রবার (১০ মে) সকালে নওগাঁর রাণীনগরে নদীর দহ (গভীরতম স্থান) থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আনছার আলী (৬৯)। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলে। পেশায় তিনি জেলে ছিলেন। মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২-৩ দিন ধরে জেলে আনছার ও তার ছেলে ছোট যমুনা নদীর আতাইকুলা এলাকায় দয়া পালের দহে মাছ ধরছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও বাবা-ছেলে মাছ ধরছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আনছারের ছেলে মাছ বিক্রির জন্য বেতগাড়ি বাজারে যান। আর আনছার দহেই ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আনছারের জন্য খাবার নিয়ে যায় তার ছেলে। এ সময় বাবাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে শুক্রবার সকালে ওই দহের পানিতে জাল টানলে জেলে আনছারের মৃতদেহ পাওয়া যায়। রাণীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী মাসুদ বলেন, ওই জেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। নিহতের পরিবার দাবি করেছেন আনছার দীর্ঘদিন ধরে মৃগী রোগে ভুগছিলেন এবং নদীর দহের পানিতে ডুবে তিনি মারা গেছেন। তাই পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
১০ মে, ২০২৪

২৪ কেজির দাতিনা মাছ বিক্রি হলো সোয়া ১ লাখ টাকায়
বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়া দুটি দাতিনা মাছ এক লাখ পঁচিশ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর মৎস্য বন্দরে। মাছ দুটির ওজন হয় ২৪ কেজি ৬৫০ গ্রাম।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এমভি মায়ের দোয়া নামের একটি ট্রলারে জেলেরা মাছটি নিয়ে আসে মহিপুর মৎস্য বন্দরে। পরে দুপুর ২টার দিকে মৎস্য বন্দরের কুতুবদিয়া ফিস-এ মাছ দুটি বিক্রির জন্য ওঠানো হয়। এ সময় নিলামের মাধ্যমে মাছ দুটি কিনে নেয় মৎস্য পাইকার সজীব হোসেন। জানা গেছে এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারে এ মাছ দুটি গত তিন দিন আগে গভীর সাগরে ধরা পড়ে। এ বিষয় ওই ট্রলার মাঝি লক্ষ্মী মিয়া বলেন, সচারাচর দাতিনা মাছগুলো তেমন একটা পাওয়া যায় না। আমরা সাগরে ইলিশের জাল ফেলেছিলাম তখন হঠাৎ দেখি বড় কোনো মাছ। প্রথমে ভেবেছিলাম কোরাল মাছ, পরে কাছাকাছি গিয়ে দেখি দুটি দাতিনা মাছ। মহিপুর কুতুবদিয়া ফিস-এর মালিক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দাতিনা মাছ দুটির ওজন হয় ২৪ কেজি ৬৫০ গ্রাম। ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা মণ হিসেবে অর্থাৎ কেজি প্রতি ৬ হাজার টাকা দরে দাতিনা মাছ দুটি বিক্রি হয় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায়।  স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান বাপ্পি বলেন, মহিপুরে বিভিন্ন সময়ই বড় বড় মাছের দেখা মেলে। আমি ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা নিলামে বলেছি। কিন্তু আমার চাইতে ১০ হাজার  বেশি বলায় আরেক মৎস্য ব্যবসায়ী তা কিনে নেয়। মৎস্য পাইকার সবুজ হোসেন বলেন, দাতিনা মাছ মূলত সচারাচর ঘাটে তেমন একটা আসে না। আজ হঠাৎ দেখে ডাকের মাধ্যমে কিনে নিলাম। মাছ দুটি ৬ হাজার টাকা কেজি দরে কিনেছি। এখন বিক্রির জন্য ঢাকায় পাঠাব। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।  এ বিষয় কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, নদ-নদী এবং সাগরের কাছাকাছি এলাকায় এ প্রজা‌তির মাছ পাওয়া যায় না। এরা মূলত গভীর সাগরের মাছ। এ মা‌ছের ফুলকা বি‌দে‌শে রপ্তা‌নি করা হয়, যা দি‌য়ে ওষুধ তৈ‌রি করা হয়। মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে দাতিনা মাছ তেমন একটা দেখা যায় না। তবে এ প্রজাতির মাছগুলো খুবই সুস্বাদু।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

১০টি মাছ বিক্রি হলো ৭ লাখ টাকায়
কক্সবাজারের টেকনাফ প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে জেলের জালে ধরা পড়া ১০টি পোপা মাছ ৭ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের উপকূলে স্থানীয় জেলে আবদুল গণির কাছ থেকে টেকনাফের এক ব্যবসায়ী মাছগুলো কিনে নেন। সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলে আব্দুল গণি। তিনি বলেন, মাছ ১০টি টেকনাফের এক ব্যবসায়ীর কাছে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। মাছগুলোর একেকটির ওজন ১২ থেকে ২০ কেজি ছিল। প্রথমে ২০ লাখ টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু এত টাকা দিয়ে কেউ কিনতে না চাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ৭ লাখ টাকায় ছেড়ে দিলাম। সোমবার ভোর রাতে সেন্টমার্টিন পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা আবদুল গণির মালিকানাধীন ‘এফবি গণি’ ফিশিং ট্রলারে মাছগুলো ধরা পড়ে। সকাল ৮টার দিকে ট্রলারটি সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে এসে পৌঁছালে মাছ দেখতে ভিড় জমান উৎসুক জনতা।   ট্রলারের মাঝি ওসমান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে সাগরে জাল ফেলা হয়। ভোরে জাল টানতে গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় কালো পোয়া মাছ আটকা পড়েছে জালে। সেখানে মাছটির দাম হাঁকানো হয় ১৭ লাখ টাকা। মাছ আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান, পুরুষ প্রজাতির কালো পোপা মাছের বায়ুথলি মোটা ও বড় হয়। পোপা মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিভিন্ন দেশে এ মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ কারণে পুরুষ কালো পোপা মাছের দাম এত বেশি। টেকনাফে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার বলেন, নাফ নদীর মোহনায় ও বঙ্গোপসাগরে এই মাছ পাওয়া যায়, মূলত সাগরে ৬৫ দিন এবং ২২ দিন জেলেরা সরকারের নিয়মনীতি মেনে চলার কারণে সাগরে বিভিন্ন প্রকার মাছ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১০ অক্টোবর, ২০২৩
X