ত্রিপুরা ভাষায় পাঠদান না থাকায় চট্টগ্রামে ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থী
তিন পার্বত্য জেলার পাশাপাশি সমতলেও বসবাস করছে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, মিরসরাই, ও সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন উপজেলায় বসবাস করছেন ন্যূনতম ৬০ হাজার ত্রিপুরা। কিন্তু মায়ের ভাষার বাইরে বাংলা ভাষায় পাঠদান হওয়ায় প্রাথমিকেই ঝড়ে পড়ছে এসব শিক্ষার্থী। এমন পরিস্থিতিতে সমতলে বসবাসরত ত্রিপুরা শিক্ষার্থীদের স্বার্থে মাতৃভাষায় পাঠদান পদ্ধতি চালু দাবি জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি মাতৃভাষায় পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা দিতেও অনুরোধ তাদের। কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ে সমতলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী থেকে শিক্ষক নিয়োগ হলেই এই সংকট কাটানো যাবে বলে মনে করছেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষ। এ জন্য ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর সঠিক ইতিহাস, সংস্কৃতি সংবলিত তথ্য পাঠ্যপুস্তকে উপস্থাপন করার অনুরোধ করেছেন তারা। রোববার (৩ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবির কথা জানান ত্রিপুরা ছাত্র সংসদ (টিসিএস)। এর আগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন তারা।  ত্রিপুরা ছাত্র সংসদের (টিসিএস) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ধন কিশোর ত্রিপুরা বলেন, বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহের মধ্যে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী অন্যতম। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি, মীরসরাই, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ি, ফরিদপুর এবং কক্সবাজার জেলায় বসবাস করে। এককালে ত্রিপুরা জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বেশ সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সময়ের আবর্তে ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর ভাষাও সংস্কৃতি দিন দিন বিলুপ্তির পথে এগোচ্ছে। একই তথ্য জানান ত্রিপুরা ছাত্র সংসদের (টিসিএস) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রুমিও ত্রিপুরা। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গঠনের পর দেশের বিভিন্ন জাতিসত্তার অবস্থান ও ভাষা পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য একটি কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। বাংলাদেশের নৃ-ভাষা বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা এ কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশে মাঠপর্যায়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করতে গিয়ে বাংলা ছাড়াও আরও ৪০টি ভাষার সন্ধান পেয়েছে ইনস্টিটিউট। সমীক্ষার মাধ্যমে সবচেয়ে ভয়াবহ যে তথ্যটি উঠে এসেছে তা হলো এই ৪০ ভাষার ১৪টি বিপন্নপ্রায়। অনেকের মতে, এই বিপন্ন ভাষাগুলোর সংখ্যা আরও অধিক হবে। রুমিও ত্রিপুরা বলেন, বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার রাজনৈতিক, সামাজিক ছাত্র সংগঠনের দাবির ফলে সরকার ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে সকল জাতিসত্তার জন্য মাতৃভাষায় শিক্ষার নীতিগ্রহণ করে। বহু দাবি দাওয়া ও প্রতীক্ষার পর ২০১৭ সালে সরকার চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা (ককবরক), সাঁওতাল (সাদরি), গারো ভাষায় শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের বই রচনা করে। বর্তমানে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষায় বই বিতরণ করা হলেও মাতৃভাষায় শিক্ষক সংকট, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, শিক্ষকের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাব, তদারকি ও তত্ত্বাবধানের অভাবে উদ্যোগ সম্পন্নভাবে সফল হচ্ছে না। ধন কিশোর ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিশুরা মাতৃভাষায় আংশিকভাবে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেলেও সমতলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর চেয়ে সমতলে বসবাসরত ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা আরও বেশি বিপন্ন। সাম্প্রতিক সময়ে সমতলের ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা সংকটের মুখে। অনেকে নিজস্ব মাতৃভাষা হারিয়ে বাংলা ভাষায় ভাব বিনিময় করতে বাধ্য হচ্ছে। যদি সময়োপযোগী কার্যকরে কোনো উদ্যোগ না নেওয়া হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ত্রিপুরাদের প্রাণের ভাষা ‘ককবরক’ হারিয়ে যাবে। টিসিএস এর সভাপতি রুমিও ত্রিপুরা বলেন, ২০১৭ সালে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ককবরক ভাষাসহ ৫টি ভাষার মাধ্যমে ক্ষুদ্র জাতিসমূহের মাতৃভাষায় পাঠদানের জন্য পাঠ্য বই বিতরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু মাতৃভাষায় শিক্ষক সংকট, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাব, তদারকি ও তত্ত্বাবধানের অভাবে তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে আংশিক সুযোগ পেলেও সমতলের ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিশুরা মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাটহাজারী ত্রিপুরা ছাত্র সংসদের সদস্য ফুলচাঁন ত্রিপুরা বলেন, ত্রিপুরাদের ঐতিহ্য ও ভাষা রক্ষা করতে হলে চারটি কাজ করতে হবে। সমতলে বসবাসরত ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের স্বার্থে মাতৃভাষায় পাঠদান পদ্ধতি চালু করতে হবে। কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ে সমতলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী থেকে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। মাতৃভাষায় পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর সঠিক ইতিহাস, সংস্কৃতি সংবলিত তথ্য পাঠ্যপুস্তকে উপস্থাপন করতে হবে।
০৪ মার্চ, ২০২৪

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সব শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী 
২০৪১ সালের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট প্রজন্ম সৃষ্টি করতে সব শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত শিক্ষাসংক্রান্ত সকল কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ২০৪১ সালের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট প্রজন্ম সৃষ্টি করতে সকলে মিলে কাজ করব। রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধানদের সাথে মতবিনিময়কাল এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, শিক্ষক, অভিভাবক, সাংবাদিক এবং সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।  মন্ত্রী বলেন, নতুন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। সদ্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনের ইশতেহারের অন্যতম লক্ষ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যে সকলকে নিয়ে সুশাসন ও জবাবদিহিতা মূলক শিক্ষাখাত গড়ে তোলা এবং শিক্ষার রূপান্তরের কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা চাই। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ। তাছাড়া ইউজিসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রতিদিনই কৌশল বদলাচ্ছেন প্রার্থীরা
প্রতিদিনই নানা কৌশলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করার চ্যালেঞ্জ হাতে নিচ্ছে চট্টগ্রামের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। নারী, বৃদ্ধ, যুবক-যুবতীর পাশাপাশি সব ধরনের ভোটারদের নির্বাচনের দিন কীভাবে নিজের আওতায় আনা যায় তার চেষ্টায় প্রার্থীরা। প্রতিদিন যাচ্ছেন ঘরে ঘরে, পরিবর্তন করছেন ভোট চাওয়ার উপস্থাপনা কৌশল। জয় করার চেষ্টা করছেন ভোটারের মন। চট্টগ্রাম নগরের বারেকবিল্ডিং এলাকায় বয়বৃদ্ধ জুয়েল দাশ। বাড়ির আঙিনায় সকালবেলা বসে রোদ পোহাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু গতকাল তার কাছে এসেছিলেন কয়েকজন প্রার্থী। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কালবেলাকে বলেন, আমাকে খুব অনুরোধ করে বলেন- আমি যেন আমার পরিবার নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাই। শুধু জুয়েল দাশ নয়, চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের চিত্র এমনই। প্রতিটি আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিরা শক্তিশালী হয়ে উঠায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা। তাই এমন কৌশল বলে জানাচ্ছেন তারা। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নগরের দুই নম্বর গেট এলাকার এলজিইডি মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন চট্টগ্রাম জেলার প্রার্থীরা। সেই অনুষ্ঠান শেষ হয় দুপুর একটায়। মূলত এরপরই বিকেল থেকে প্রচার-প্রচারণায় বেড়িয়ে পড়েন তার। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনের বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কথা বলেন তিনি। হাত মেলান, কৌশল বিনিময় করেন নবীন-প্রবীণসহ সব শ্রেণির মানুষের সাথে। এ আসনে মোট প্রার্থী আছেন সাতজন। চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-খুলশী) আসনের মোট প্রার্থী আছেন ৯ জন। কারও থেকে কেউ কম শক্তিশালী নয়। আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মহিউদ্দিন বাচ্চু। লড়ছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। যাচ্ছেন বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি, প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রতিদিনই নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে। অন্যদিকে ২৫নং রামপুর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে। মনজুর আলম বলেন, আমি সফল হলে আমার নির্বাচনী এলাকাকে উন্নয়নে মডেল এলাকায় পরিণত করব।  অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে মানুষের উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি জানান, আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ। তার প্রতীক কেটলি। চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে নৌকার প্রার্থী এম এ লতিফ। তিনি নিজ নির্বাচনী আসনের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মানুষের উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি জানান তিনি। এম এ লতিফ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেই সবার উন্নয়ন হবে।  এদিকে ভিন্ন কৌশলে পথ আগাচ্ছেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন। কেটলি প্রতীক নিয়ে প্রতিটি এলাকায় ঘুরছেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য আমাকে ভোট দিন, আমি আগেও আপনাদের নিরাস করিনি। সামনেও করব না।  অন্যদিকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী দলটির মহাসচিব আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইরও চালাচ্ছেন প্রচারণা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে এবার নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। ওই আসনের মোট প্রার্থী আটজন। প্রতিজনেই চেষ্টা করছেন প্রতিদিন, ব্যবহার করছেন নিত্যনতুন কৌশল। ভোটারের মন জয় করার লড়াইয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রত্যেকেই।  চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনের এক শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নির্ভার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন ছয়জন। প্রত্যেকেই চেষ্টা করছেন, মাঠের লড়াইয়ে ফল নিয়ে বাড়ি ফিরতে। চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম চৌধুরী নৌকা প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জব্বার চৌধুরী বরাদ্দ পেয়েছে ট্রাক প্রতীক। এই আসনে মোট আটজন প্রার্থী রয়েছেন। প্রত্যেকেই কাজ করছেন মাঠে, চেষ্টা করছেন জয়লাভের। 
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এক নম্বর ক্ষতি করা হয়েছিল শিক্ষা ক্ষেত্রে’
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এক নম্বর ক্ষতি করা হয়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার। দেশের নাগরিকদের দক্ষ করে তোলা এবং জনসম্পদে পরিণত করার দর্শনকে কবর দেওয়া হয়েছিল ওই ঘটনার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এপিইউবি চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, এপিইউবির সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিস আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।     অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, জ্ঞান সৃজন ও দক্ষতা অর্জনে জাতির জনক ড. কুদরৎ-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন করেছিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে ক্ষতির তালিকা তৈরি হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি, এক নম্বর ক্ষতি করা হয়েছিল শিক্ষা ক্ষেত্রে। কারণ, জাতির প্রত্যেক নাগরিককে দক্ষ করে তোলা এবং জনসম্পদে পরিণত করার যে দর্শন তার ছিল সেটাকে কবর দেওয়া হয়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেখা হয়েছে দল ভারী করা, ক্যাডার তৈরি করা, অপরাজনীতির সূচনার জায়গা হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেখা হতো সেনা ছাউনি থেকে। বেসরকারি উচ্চশিক্ষায় দক্ষতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক ছিলেন, তিনি মানুষের মধ্যে সমতা দেখতেন, নারী ও পুরুষের সমতা দেখতেন। ধর্মীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে নাগরিক হবে, মানুষের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার এবং একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। আমরা যদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এসব মূল্যবোধ শেখাতে না পারি তাহলে সুনাগরিক পাব না।
২৭ আগস্ট, ২০২৩
X