ঘূর্ণিঝড় রিমাল / আশ্রয়কেন্দ্রে ভোলা উপকূলের অর্ধলাখ মানুষ, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে উপকূলের মানুষ। রোববার (২৬ মে) দুপুরের পর থেকে ঢালচর, কুকরি-মুকরি, মাঝের চরসহ বিভিন্ন চরের প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। এ ছাড়াও এসব চরের ১০ হাজার গবাদি পশু রাখা হয়েছে মুজিব কিল্লায়। এদিকে জোয়ারে তলিয়ে গেছে সাগর উপকূলের ঢালচরসহ বেশ কয়েকটি দ্বীপচর।  ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আরিফুজ্জামান জানান, মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এদিকে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে নিচু এলাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাঁধের বাইরের রাজাপুর, ধনিয়া, মাঝের চরসহ বেশকিছু এলাকায় প্লাবিত হলেও এখন পর্যন্ত বাঁধের কোনো ক্ষতি হয়নি, বাঁধ সুরক্ষিত রয়েছে। এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপকূলজুড়ে বৈরীভাব বিরাজ করছে। মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও চিলেকোঠাসহ বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। সময় যত বাড়ছে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ততই আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
২৭ মে, ২০২৪

রিমাল মোকাবিলায় প্রস্তুত ভোলা
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ভোলায়।   শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি সঙ্গে হালকা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে দ্বীপ জেলা ভোলায়। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের বর্তমান অবস্থান ও দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।  শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জরুরি সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও দুর্যোগের পরবর্তী সময়ের উদ্ধার কার্যক্রমসহ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারের সকল বিভাগের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।  এ সময় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। জেলা প্রশাসন, সিপিপি, রেডক্রিসেন্ট, কোস্টগার্ড, ফায়ার ডিফেন্স, আনসার, রোভার স্কাউট, প্রাথমিক শিক্ষা, মৎস্য বিভাগ, এনজিও, প্রাণিসম্পদ ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় জেলা জুড়ে ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৭৫টি কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ১৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, দৌলতখান উপজেলায় ১১২টি আশ্রয়কেন্দ্র, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১২২টি আশ্রয়কেন্দ্র, তজুমুদ্দিন উপজেলায় ৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র, লালমোহন উপজেলায় ১৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র, মনপুরা উপজেলায় ৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র সার্বিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।  জেলার সাত উপজেলায় ৬৯৩টি ইউনিটে মোট ১৩ হাজার ৮৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৮৭টি ইউনিটের ১ হাজার ৭৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক, দৌলতখান উপজেলায় ৯১টি ইউনিটে ১ হাজার ৮২০ জন স্বেচ্ছাসেবক, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৭৩টি ইউনিটের ১ হাজার ৪৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, তজুমদ্দিন উপজেলায় ৮১টি ইউনিটে ১ হাজার ৬২০ জন স্বেচ্ছাসেবক, লালমোহন উপজেলায় ১৩৭টি ইউনিটে ২ হাজার ৭৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৬৫টি ইউনিটে ৩ হাজার ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক, মনপুরা উপজেলায় ৫৯টি ইউনিটে ১ হাজার ১৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে সর্বাত্মক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।  এ ছাড়াও আশ্রকেন্দ্রে আশ্রয় নিতে আসা মানুষের জন্য শুকনো খাবার, জ্বালানি ও জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে বেশ কয়েকটি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
২৬ মে, ২০২৪

উপনির্বাচনে একটি ভোটও পেলেন না আ.লীগ নেতা ভোলা
লালমনিরহাট জেলা পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শূন্য ভোট পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। চেয়ারম্যান পদে জেলা আ.লীগের সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ২৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা লুৎফুল কবীর সরকার ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন। জানা গেছে, গত দেড় যুগ ধরে নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা লালমনিরহাট জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে জেলা আ.লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি। ফলাফলে দেখা যায়, নজরুল হক পাটোয়ারী একটি ভোটও পাননি। উপনির্বাচনে জেলা আ.লীগের সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক ২৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা মহিলা আ.লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি সদস্য সফুরা বেগম রুমি ২৭৩ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া মমতাজ আলী মোটরসাইকেল প্রতীকে ৫৮ ভোট ও জেলা আ.লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন বাদল পেয়েছেন ৭ ভোট। জেলা আ.লীগের একাধিক প্রবীণ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আ.লীগ নেতা নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা ও সাবেক এমপি সফুরা বেগম রুমী জনপ্রতিনিধি থাকার সময় দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারেননি। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ফলে উপনির্বাচনে সেটির প্রতিফলন ঘটেছে। শূন্য ভোট পাওয়া নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা টাকার কাছে হেরে গেছেন মন্তব্য করে বলেন, তিনি অপকৌশলের শিকার হয়েছেন। নির্বাচনের শুরু থেকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুৎসা রটনা করে সমর্থন নষ্ট করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

ভোলা হবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল : শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহামুদ হুমায়ুন বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দ্বীপ জেলা ভোলা একটি সম্ভাবনাময় এলাকা। চট্টগ্রামের পরে ভোলা হবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল জেলা। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জড়িত ভোলায় এসে আমি আবেগ আপ্লুত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ উন্নয়নের যে জয়যাত্রা শুরু হয়েছে, তা আমি ভোলা থেকেই শুরু করলাম। ভোলাকে একটি নতুন মাত্রার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সংযুক্ত করা হবে।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় ভোলায় বিসিক শিল্পনগরীতে গ্যাস সংযোগ লাইন নির্মাণকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  তিনি বলেন, ভোলাকে একটি উন্নয়নের নতুন মাত্রায় সংযোগ হবে যা আমাদের নেতা তোফায়েল আহমেদ প্রত্যাশা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তার স্বপ্ন অনুধাবন করেছেন। তার নির্দেশে ভোলায় যে গ্যাস মজুদ রয়েছে তা দিয়ে আরও একটি সার কারখানা স্থাপন করা যায় কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম নিয়ে এখানে এসেছি। তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা করেছিলেন তারই অংশ হিসেবে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে আজ ভোলার শিল্পনগরী  বিসিকে গ্যাস সংযোগ উদ্বোধন করা হলো। এখানে যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা রয়েছে তার পুরোদমে কাজ শুরু করবেন যাতে কর্মসংস্থান তৈরি হয়। ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, জেলা আ.লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ।   এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত সচিব এসএম আলম, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক উত্তম কুমার সরকার, ভোলা পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান বিপিএম, বিসিক উপসচিব পরিচালক, আব্দুল মতিন, একান্ত সচিব ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

মেঘনায় ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার, নিখোঁজ এখনো ২
ভোলার মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া মালবাহী ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পাওয়া যায়নি ট্রলারে থাকা বাবা-ছেলেকে। ট্রলারটি মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ডুবুরি সদস্যরা ট্রলারটিকে বিশেষ কায়দায় ভাসিয়ে টেনে জোরখাল নামক জায়গায় নিয়ে যায়। ট্রলারটিতে বেশকিছু মালামাল থাকলেও নিখোঁজ আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদারের কোনো দেহ ট্রলারটিতে পাওয়া যায়নি। ভোলা বিআইডব্লিউটিএর নদীবন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, মেঘনায় বাবা-ছেলেকে নিয়ে ডুবে যাওয়া মালবাহী ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারের মধ্যে বেশকিছু মালামাল থাকলেও নিখোঁজ আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলের কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। ট্রলার মালিককে ট্রলারটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছি। ট্রলারটির ইঞ্জিনরুম কেবিন সিস্টেম নয়। যার কারণে মরদেহ ট্রলারে পাওয়া যায়নি। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান দেরি হয়েছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে চাঁদপুরের বেসরকারি একটি ডুবুরি টিম ও বিআইডব্লিউটিএ এর কয়েকজন ডুবুরি ট্রলারটির অবস্থান নিশ্চিত করে একটি রশি দিয়ে চিহ্নিত করে। মঙ্গলবার সাড়ে ১১টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযানে নেমে চিহ্নিত স্থান থেকে ট্রলারটিতে রশি বেঁধে টেনে জোরখাল নামক জায়গায় নিয়ে আসা হয়। ঘটনাস্থলে ইলিশা নৌ-পুলিশ, তদন্ত কেন্দ্রের টিম, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। রোববার (২১ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। মালবাহী ট্রলারটি ইলিশার রাজাপুরের জোরখাল পয়েন্টে প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ভাঙারি মালামালসহ সাতজন শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্য পাঁচজন শ্রমিক জেলেদের সহায়তায় তীরে উঠতে সক্ষম হলেও ট্রলারে থাকা বাবা আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদার নিখোঁজ হন। তারা ইঞ্জিনরুমে থাকায় বের হতে পারেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রলারে থাকা সাত শ্রমিক বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ট্রলারটির মালিক ছিলেন ফারুক মাঝি। ফারুক মাঝি ভাঙারি মালামালের ব্যবসা করেন। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে নদীপথে ট্রলারের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন করেন। ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ’র যৌথ ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালায়। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করেন তারা। এদিকে নিখোঁজ আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদারের নিখোঁজ হওয়ার খবরে স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

মেঘনার তীব্র স্রোতে ডুবে গেল ট্রলার, বাবা-ছেলে নিখোঁজ
ভোলার মেঘনা নদীতে মালবাহী ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় বাবা-ছেলে নিখোঁজ রয়েছেন। রোববার (২১ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জোরখাল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ইলিশা নৌ থানার ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ জানান, মনপুরা থেকে একটি ট্রলার ভাঙারি মাল নিয়ে মেহেন্দীগঞ্জ যাওয়ার পথে মেঘনা নদীর জোরখাল এলাকায় তীব্র স্রোতের চাপে ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা পাঁচ ব্যক্তি জেলে ট্রলারের সহায়তায় উদ্ধার হয়। বাকি দুজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তারা বাবা ও ছেলে। তাদের নাম রাজ্জাক সরদার ও পারভেজ সরদার। উদ্ধার হওয়া এবং নিখোঁজ থাকা ব্যক্তিরা মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি আরও জানান, ঘটনার পর নৌ-পুলিশের একটি টিম রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছে। একদিকে রাত, অন্যদিকে তীব্র শীত। যার কারণে উদ্ধার অভিযান রাতে শুরু করা সম্ভব হয়নি। সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও নৌ-পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

ঢাকাস্থ ভোলা জার্নালিস্টস ফোরামের নতুন কমিটি
ঢাকায় পেশাগত দায়িত্বপালনকারী ভোলা জেলার সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ঢাকাস্থ ভোলা জার্নালিস্টস ফোরাম’-এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন একাত্তর টিভির মুজাহিরুল হক রুমেন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি সাহাদাত হোসেন পরশ। গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এ কমিটি ঘোষণা করেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি বিবিসির সাংবাদিক রাকিব হাসনাত সুমন। ঘোষিত কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে। কমিটিতে অন্য সদস্যরা হলেন শাহনাজ ইয়াসমিন বিশ্বাস, নাহিদ তন্ময়, জয়দেব দাস, সাইফ বাবলু, সাইদুল ইসলাম ও মীর মোহাম্মদ জসিম। যুগ্ম সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন নয়ন ও নাজিউর রহমান সোহেল। এ ছাড়া অর্থ সম্পাদক রিয়াজ সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম শাহিন, দপ্তর সম্পাদক সাখাওয়াত প্রিন্স, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রোহান রাজিব এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রেদওয়ানুল হক। কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন আরেফিন ফয়সল, রাকিব হাসনাত সুমন, তাপসী রাবেয়া আঁখি, শাহজাহান সাজু, রনি রায়হান, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম, সফিউল্লাহ সুমন, সামির আহমেদ, জিনান মাহমুদ, নূরে আলম জিকু ও ফজলুর রহমান।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঢাকাস্থ ভোলা জার্নালিস্টস ফোরামের সভাপতি রুমেন-সম্পাদক পরশ
ঢাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকারী ভোলা জেলার সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ঢাকাস্থ ভোলা জার্নালিস্টস ফোরাম’র সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন একাত্তর টিভির মুজাহিরুল হক রুমেন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি সাহাদাত হোসেন পরশ।   রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এ কমিটি ঘোষণা করেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি বিবিসির সাংবাদিক রাকিব হাসনাত সুমন। ঘোষিত কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটিতে অন্য সদস্যরা হলেন—শাহনাজ ইয়াসমিন বিশ্বাস, নাহিদ তন্ময়, জয়দেব দাস, সাইফ বাবলু, সাইদুল ইসলাম ও মীর মোহাম্মদ জসিম। যুগ্ম সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন নয়ন এবং নাজিউর রহমান সোহেল। এ ছাড়া অর্থ সম্পাদক রিয়াজ সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম শাহিন, দপ্তর সম্পাদক সাখাওয়াত প্রিন্স, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রোহান রাজিব এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রেদওয়ানুল হক। কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন—আরেফিন ফয়সল, রাকিব হাসনাত সুমন, তাপসী রাবেয়া আঁখি, শাহজাহান সাজু, রনি রায়হান, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম, সফিউল্লাহ সুমন, সামির আহমেদ, জিনান মাহমুদ, নূরে আলম জিকু এবং ফজলুর রহমান।
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

১০ ডিসেম্বর ভোলা হানাদার মুক্ত দিবস
১০ ডিসেম্বর ভোলা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে ভোলা থেকে লঞ্চযোগে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বহিনী। বর্বর হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় দ্বীপ জেলা ভোলা। দিবসটি উদযাপনে যথাযথ মর্যাদায় রোববার (১০ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান। ১৯৭১ সালের ওইদিন সকাল থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পালিয়ে যাওয়ার খবরে হাজার-হাজার জনতা নেমে আসে রাজপথে। বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠেন সবাই। সেইসময়ে পাকিস্তানি হানাদাররা ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে ক্যাম্প বসায়। এখানেই মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হতো। পাশেই গণকবর দেয়া হতো তাদের। যা ওয়াবদা বধ্যভূমি নামে পরিচিত। এছাড়া সদরের খেয়াঘাট এলাকাতেও মানুষ হত্যা করে তেতুলিয়া নদীতে ভাসিয়ে দিতো তারা। আর ভোলা সরকারি স্কুল মাঠ, টাউন স্কুল মাঠ, আলীয়া মাদ্রাসার সামনের এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণ নিতো। টনির হাট, দেউলা তালুকদার বাড়ি, বোরহানউদ্দিন বাজার, গুপ্তগঞ্জ বাজার ও গরুর চৌক্কা এলাকায় হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ সম্মূখ যুদ্ধে গরুর চৌক্কা এলাকায় পাক হানাদার বাহিনীর সাথে প্রায় ৩ ঘণ্টা যুদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে পাক হানাদার বাহিনীর ১২ সদস্য আত্মসমর্পণ করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ তাহের কালবেলাকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভোলা ছিলো ৯ নং সেক্টর মেজর জলিলের আন্ডারে। নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্রের জোগান দিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা করে। এক সময় তারা দৌলতখান ও চরফ্যাশন থানা আক্রমণ করে অস্ত্র সংগ্রহ করে। তা দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেয়। ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের খবর আসতে শুরু করে। ১০ ডিসেম্বর ভোলা হানাদার মুক্ত হয়। সেদিনের স্মৃতি কখোনো ভুলবার নয় বলে জানান তিনি। ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পালিয়ে যাওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শহরের ভোলার খালে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের লঞ্চের গতিরোধ করার চেষ্টা করে মুক্তিকামী জনতা। এসময় তারা গুলিবর্ষণ করতে-করতে পালিয়ে যায়। পরে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় কার্গো লঞ্চটি ডুবে গেলে পাকিস্তানি হানাদারদের সব সদস্য নিহত হয়। বীরমুক্তিযোদ্ধা এম হাবিবুর রহমান জানান, ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে (ওয়াপদা) পাক বাহিনীর অবস্থান ছিলো। ১০ ডিসেম্বর রাতে ওয়াপদা ঘেরাও এর পরিকল্পনা নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু তারা পরাজয় জেনে আগেই সটকে পরে সেখান থেকে। পরে তাদের পালিয়ে যাবার সময় ভোলার খালে প্রতিহতের চেষ্টা করা হয়।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

ভোলা জেলা যুবদল সভাপতি আটক
ভোলা জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফেরদাউসকে আটক করেছে ভোলা থানা পুলিশ। বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভোলা উকিল পাড়া সরকারি টাউন স্কুলসংলগ্ন সড়ক থেকে তাকে আটক করা হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, অবরোধের সমর্থনে মিছিল করতে রাস্তায় জড়ো হতে থাকে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে ভোলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ভোলা জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফখরুল  ইসলাম ফেরদাউসকে আটক করে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উকিল পাড়া সরকারি টাউন স্কুলের সমনে থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হলেও বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত থানার বিভিন্ন কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতে পারেনি তারা। অবশেষে রাত ১২টার দিকে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির জেলা যুবদল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফখরুল ইসলামকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাকে কোন অভিযোগে আটক করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩
X