মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে বাড়ছে ভিড়
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় তথ্য সূত্রে জানা গেছে, কুলাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটেছে। জানা যায়, ঈদের দিন সোমবার (১৭ জুন) ভোররাত থেকে শুরু হওয়া ভারি বর্ষণ এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। পাহাড়ি ঢল ও তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার ১ পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলা পরিষদ এলাকা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পৌর শহরের মাগুরা, সাদেকপুর, বিহালা, সোনাপুর, কাদিপুর ইউনিয়নের ছকাপন, মৈন্তাম, ভাগমতপুর, গুপ্তগ্রাম, তিলকপুর, ভূকশিমইল ইউনিয়নের সাদিপুর, কোরবানপুর, মুক্তাজিপুর, জাবদা, কালেশার, কাইরচক, চিলারকান্দি, কানেহাত, জয়চণ্ডী ইউনিয়নের ঘাগটিয়া, মিরবক্সপুর, কামারকান্দি, কুটাগাঁও, কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের দেখিয়ারপুর, কুলাউড়া গ্রাম, বনগাঁও, গাজীপুর আংশিকসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও প্লাবিত হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত কুলাউড়ার ৬০টি গ্রাম ও এলাকা প্লাবিত। এসব গ্রাম ও এলাকার লক্ষাধিক মানুষ বন্যা আক্রান্ত। এ ছাড়া ২২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে ১৯৭টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এদিকে বুধবার দিনব্যাপী বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করেন মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য, স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) সাদরুল আহমেদ খান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শিমুল আলী  বলেন, বন্যার্ত পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতনের কর্তৃপক্ষের নিকট শুকনো খাবারের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। খাবার পাওয়া গেলে তা দুর্গত পরিবারগুলোর মাঝে বিতরণ করা হবে। এখন পর্যন্ত ২২টি আশ্রয়কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। এতে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ১৯৭টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বলে তিনি জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঢলের পানিতে ৪৮০ হেক্টর আউশ ধান এবং ১৬৫ হেক্টর গ্রীস্মকালীন শাকসবজি নিমজ্জিত রয়েছে। পানি আরও বাড়লে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুজিত কুমার চন্দ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। যে সকল পরিবার আশ্রয় নিয়েছে তাদের মাঝে খাবার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শুকনো খাবারও পাঠানো হচ্ছে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল  বলেন, জেলার সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।
২০ জুন, ২০২৪

ভারি বৃষ্টি থাকবে যতদিন
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের সব বিভাগেই বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। তবে দেশের তিন বিভাগে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে এক বার্তায় সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই মেঘে ঢেকে আছে ঢাকার আকাশ। বাতাস বইলেও জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনে অস্বস্তিভাব বিরাজ করছে। কয়েক মিনিট হাঁটলেই ঘাম পড়ছে শরীর থেকে। সোমবার রাতে দেওয়া আবহাওয়া সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাপপ্রবাহ আগামীকালও থাকতে পারে। তবে এর বিস্তৃতি অনেকটা কমে আসতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই মেঘে ঢেকে আছে ঢাকার আকাশ। বাতাস থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকার জন্য অস্বস্তি কমছে না। আজ রাজধানীতে কিছুটা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
১৮ জুন, ২০২৪

দুপুরের আগেই ভারি বৃষ্টি হতে পারে যেসব এলাকায় 
ক্রমে বিরূপ হয়ে উঠছে আবহাওয়া। গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তনে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির আবর্তে পড়ছে জনজীবন-পরিবেশ-প্রকৃতি। বর্ষায় তেমন বৃষ্টি দেখা না গেলেও গত কয়েকদিন আকাশ মেঘলাসহ হঠাৎ করেই ঝরছে বৃষ্টি। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে অফিস যাত্রাপথে বৃষ্টি হলে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।   শুক্রবার (৭ জুন) রাতের আবহাওয়া বার্তায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা দেশের প্রায় আট বিভাগেই মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। শনিবার (৮ জুন) সকালেই বৃষ্টি হতে পারে বলছে আবহাওয়া দপ্তর। পূর্বাভাস অনুযায়ী লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। যে কারণে সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়। রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র তা সামান্য বাড়তে পারে। অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। এ অবস্থায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও চাঁদপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।   পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়। রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। আর বর্ধিত ৫ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।   
০৮ জুন, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব / ভারি বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে
ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এখনো নিম্নচাপে পরিণত না হলেও প্রভাব পড়েছে উপকূলীয় অঞ্চলে। গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, লঘুচাপটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে বাংলাদেশের উপকূলে এর প্রভাব পড়বে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৬ মে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে ২৭ মে রাত ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানা শুরু করতে পারে। সে হিসেবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর ওড়িশা, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং দক্ষিণ মণিপুরের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ২৬ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে যে বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি নিম্নচাপ শক্তিশালী হয়ে আগামী রোববার (২৬ মে)  সন্ধ্যার মধ্যে একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশ এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানবে। আইএমডি বিজ্ঞানী মনিকা শর্মা পিটিআইকে বলেছেন, শুক্রবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে ঘনীভূত হবে। পরের দিন শনিবার সকালে এটি ঘূর্ণিঝড়ে আরও ঘনীভূত হবে। এরপর রোববার সন্ধ্যার মধ্যে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশ এবং পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানবে। আইএমডির মতে, রোববার ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার বেগে বাতাসের গতিতে পৌঁছতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ একটি আরবি শব্দ। যার বাংলা অর্থ বালু। নামটি দিয়েছে ওমান। বঙ্গোপসাগরে যেসব ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে সেগুলোর নাম আগে থেকেই ঠিক করা থাকে।
২৪ মে, ২০২৪

ভারি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে রাঙ্গুনিয়ায় ১৫০ কোটির ক্ষয়ক্ষতি
ভারি বৃষ্টি আর নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিভিন্ন রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি ও ফসলি ক্ষেত নষ্ট হয়ে প্রাথমিকভাবে অন্তত ১৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি এবং উপজেলা ও পৌরসভার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। আরও জানা যায়, গত ৩ আগস্ট থেকে টানা বৃষ্টিতে ডুবে যায় বিভিন্ন বিলের কয়েক হাজার একর রোপা আমন। ১০ দিন পর বন্যার পানি নামতে শুরু করলে ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। এতে অন্তত দুই শতাধিক সড়ক বিধ্বস্ত হয়েছে। পাহাড়ধসে শতাধিক বসতঘর ধসে গেছে, নদীভাঙনে বিলীন হয়েছে বেশকিছু ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। মৎস্য প্রকল্পের পুকুর ডুবে কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে পানিতে ডুবে থাকায় শস্যভাণ্ডার গুমাই বিলের নিম্নাঞ্চলের ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলক তইলাভাঙা বিল, রাজানগরের বগাবিল, রইস্যা বিল, হোসনাবাদ, পারুয়া, সরফভাটা বিলে হাজার হাজার একরের রোপা আমন পানিতে পচে নষ্ট হয়ে গেছে।  উপজেলা প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম বলেন, ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল শুরুর পর থেকে আমরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং সরেজমিনে ঘুরে বিধ্বস্ত সড়কের তালিকা করেছি। আমাদের এলজিইডির আইডিভুক্ত ৮০টি সড়কের ১১৩ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অন্তত ১২৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে সরেজমিন পরিদর্শনকালে আমাদের আইডিভুক্ত ছাড়াও আরও দুই শতাধিক বিভিন্ন গ্রামীন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার প্রকৌশলী মো. জমির উদ্দিন জানান, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অন্তত ৩৬টি সড়ক ভারি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, এখনো গুমাইবিলসহ বিভিন্ন বিলের পানি কমলেও সম্পূর্ণরূপে অপসারণ হয়নি। এখন পর্যন্ত আমরা ২০০ হেক্টর আমন চারা ও ২০ হেক্টর সব্জি ক্ষেত নষ্টের তালিকা করেছি। তবে ক্ষয়ক্ষতির এই পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং এর পরিমাণ বিভিন্ন বিলের সম্পূর্ণ পানি অপসারিত হওয়ার পর বলা যাবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার বন্যাকবলিত গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলী ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে এলাকার জনসাধারণ দীর্ঘ ভোগান্তিতে পড়েছে। যানবাহন এবং সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে আমাদের রাঙ্গুনিয়ার সাংসদ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সার্বক্ষণিক খবর রেখেছেন। তিনি দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করে যাচ্ছেন এবং স্ব স্ব এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের তাদের পাশে থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানি বলেন, আগেভাগে সতর্কতা জারি করায় পাহাড় ধসে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ ত্রাণসহায়তা দেওয়া শুরু করেছি। বিভিন্ন রাস্তাঘাট মেরামতের প্রক্রিয়া চলছে। কৃষক ভাইয়েরাও যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সেজন্য তাদেরও প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।
১৭ আগস্ট, ২০২৩

১০ দিন হবে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি
দুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা বিরাজ করবে আগামী ১০ দিন। এই সময়ে বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো আশঙ্কা নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক কালবেলাকে বলেন, আজ শুক্রবার থেকে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা বাড়তে পারে। এতে দেশের স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর বিভাগসহ সারা দেশেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে তাপপ্রবাহ ছিল। দুদিনের বৃষ্টিতে বর্তমানে দেশের কোথাও তাপপ্রবাহ নেই। তবে তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। আগস্ট মাসে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৭০ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করছে। এতে তাপমাত্রা যা-ই রেকর্ড হোক না কেন, জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে ঘাম নির্গমণ বাধাগ্রস্ত হবে; সেজন্য গরমের অনুভূতির তীব্রতা থাকতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে এই আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, আগস্টে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। সেগুলোর দু-একটি ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আগস্টে এই লঘুচাপগুলো শক্তিমাত্রা অর্জন করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার কোনো শঙ্কা নেই বললেই চলে। গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্ক বার্তায় জানানো হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ-বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকারী নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। তবে নিম্নচাপটি দুর্বল হলেও দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য এখনো শঙ্কা কাটেনি। দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
০৪ আগস্ট, ২০২৩
X