সাগরে লঘুচাপ, ৮ বিভাগেই অতি ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
বাংলাদেশে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে দেশের ৮ বিভাগেই শনিবার (২৯ জুন) থেকে রোববার (৩০ জুন) পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে দেওয়া এক আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ ছাড়া রোববার (৩০ জুন) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আরেক সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
২৯ জুন, ২০২৪

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
বাংলাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ু মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে তিন বিভাগে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সোমবার (১০ জুন) পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানায়, মঙ্গলবার (১১ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। খুলনা বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা ও পটুয়াখালী জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়াও বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
১০ জুন, ২০২৪

সারা দেশে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সারা দেশে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২৭ মে) সকালে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারি (২৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। ভারি বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে। এদিকে, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ০৯ (নয়) নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৯ (নয়) নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। জানা গেছে, মোংলা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, কুয়াকাটা ও খেপুপাড়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রিমাল। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙে গেছে ঘরবাড়ি, গাছপালা। বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে গেছে। রিমালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কলাপাড়া, খেপুপাড়া ও কুয়াকাটায়। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য থেকে জানা যায়, এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিষখালি-সন্ধ্যা, পায়রা, আন্ধারমানিক, গলাচিপা ও তেঁতুলিয়া নদীর উপচেপড়া পানিতে বরগুনা ও পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আশঙ্কার তুলনায় আগেভাগেই ঘূর্ণিঝড় রিমালের অগ্রভাগের প্রভাবে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করে। বাগেরহাটের বলেশ্বর,পানগুছি-খাসিয়াখালি এবং দড়াটানা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে। এতে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জের বেশকিছু এলাকা প্লাবিত। রিমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় চার ফুট পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গোটা সুন্দরবন। বাগেরহাটে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
২৭ মে, ২০২৪

সৌদি আরবে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
বেশ কিছুদিন ধরেই সৌদি আরব বিরূপ ও প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়েছে। এবার দেশটিতে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে সিভিল ডিফেন্সের জেনারেল ডিরেক্টরেট। প্রতিষ্ঠানটি ২১-২৫ মার্চ পর্যন্ত দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে অব্যাহত আবহাওয়ার ওঠানামা এবং বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের অনুমান করা অঞ্চলগুলোর জন্য নির্দিষ্ট সতর্কতা জারি করেছে সিভিল ডিফেন্স। এসব এলাকায় আকস্মিক বন্যা, শিলাবৃষ্টি ও ধূলিঝড় হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও বন্যার আশঙ্কা করে স্থানীয়দের জন্য সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে থাকতে এবং বন্যা বা বৃষ্টির পানি জমার ঝুঁকিতে থাকা এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। এ সময় বন্যার পানিতে সাঁতারের বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত সুরক্ষা নির্দেশ অনুসরণের জন্য বলা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের জেনারেল ডিরেক্টরেট বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মক্কা, আল জুমুম, তায়েফ, মায়সান, আদহাম, রিয়াদ, মদিনা, জাজান এবং হাইলের মতো শহরগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে আকস্মিক মুষলধারে বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং ধূলিঝড়েরও আশঙ্কা আছে। এই সময়ের মধ্যে জনসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। পূর্বাভাসে আবহাওয়ার পরিবর্তনসহ মক্কা অঞ্চলের তুরবাহ, আল মাওইয়া, আল খুরমাহ, রানিয়াহ, আল আরদিয়াতসহ কয়েকটি এলাকায় সম্ভাব্য বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে। যা সম্প্রসারিত হতে পারে আল বাহা, জাজান, আল জুফ, আল কাশিম, আসির, হাইল, ইস্টার্ন প্রভিন্সসহ উত্তরের সীমান্ত এলাকাগুলো পর্যন্ত। এর পাশাপাশি রিয়াদ এবং এর আশপাশের শহর ও জেলাগুলোতে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
২৪ মার্চ, ২০২৪
X