আগামী ৭২ ঘণ্টা আবহাওয়া কেমন থাকবে?
বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। ফলে আগামী তিন দিনে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যহত রয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।   আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দেশের সব বিভাগে বৃষ্টি অবহ্যত থাকতে পারে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া শুক্রবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিঝু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ১০ জনের মৃত্যুর খবরের মধ্যেই এ সতর্কবার্তা এসেছে। অন্যদিকে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে দেশের সর্বোচ্চ ১৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সিলেটে ১৩৪ মিলিমিটার, পঞ্চগড়ে ১২৪, হবিগঞ্জে ১১২ মিলিমিটার, রংপুরে ১১১, নোয়াখালীতে ৭১, কক্সবাজারে ৬৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬০, ময়মনসিংহে ৫৮, পিরোজপুরে ৫৬, বরিশালে ৫৩, বান্দরবানে ৪৮, বাগেরহাটে ৪৬, নেত্রকোনায় ৪৬ ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।
১৯ জুন, ২০২৪

ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে ঈদ আনন্দ মাটি
ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বেড়ে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি করেছে। শহরের বেশিরভাগ সড়কে হাঁটু পানি। বাসা-বাড়িতে ও দোকানে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।  এদিকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শহরের অনেক ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এদিকে প্রচণ্ড ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে রাত থেকে নেই বিদ্যুৎ। সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে ৩৩ কেভি লাইন বন্ধ হয়ে গেছে। ঝড়-বৃষ্টির কারণে ফল্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে। তারা সকলকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুনপাড়া, বাধনপাড়া, উপত্যকা, হাছননগর, আরপিননগর, উকিলপাড়া, ডিএস রোড, শান্তিবাগসহ বিভিন্ন সড়কে পানি উঠেছে। অনেকের দোকানর জিনিসপত্র ভিজে গেছে। ভোর থেকেই দোকানের মালামাল উপরে অথবা স্থানান্তর করছেন দোকানিরা। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও আবাসিক এলাকার উপর দিয়ে পানি গিয়ে পড়ছে ঝাওয়ার হাওরে। সাদিকুর রহমান বলেন, ভারি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে উঠানে ও সড়কে পানি উঠেছে। শহরের বেশির ভাগ সড়কেই পানি। বৃষ্টিতে ভিজে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। এর আগে কোনো ঈদে এভাবে বৃষ্টিপাত হতে দেখিনি। এবারে ঈদে কোনো আনন্দ নেই, ২০২২ সালের জুনের মতো বন্যা আতঙ্কে আছে মানুষ।  ডা. নুরুল ইসলাম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘যে পরিমাণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে সুনামগঞ্জে- নদী, হাওর-বাওর, খাল-বিল, পুকুর সব পানির নিচে। ঈদের আনন্দ সব মাটি হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ রহম করো।’  আকেটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘সুনামগঞ্জ শহরের রাস্তায় সুরমা নদীর পানি উঠে গেছে। আলিমাবাগ উকিলপাড়া রাস্তায় প্রায় হাঁটু পানি।’ নতুন পাড়ার মুদি দোকানি অমল দাস বলেন, এভাবে পানি বাড়বে বুঝতে পারিনি। আমার দোকানের বেশিরভাগ মালামাল পানিতে ভিজে গেছে। ভোরে দোকানে এসে মালামাল উপরে তুলছি। তিনি বলেন, মাঝে বৃষ্টি থামায় পানি কিছুটা কমেছিল, বৃষ্টিতে এখন আবার পানি বাড়ছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, বৃষ্টিপাত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। ছোট পরিসরে স্বল্প মেয়াদি বন্যা হতে পারে। তবে ২০২২ সালের মত এতো ভয়ংকর কিছু হবে না। সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সজিব আহমদ জানিয়েছেন, ঈদের দিন এবং আগামী ২৪, ৪৮ ও ৭২ ঘণ্টাসহ আগামী পাঁচ দিন সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোনো কোনো এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নগদ টাকা, চাল, শুকনো খাবার মজুদ আছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য নৌকাসহ মাঝিদের প্রস্তুত রাখা আছে।
১৭ জুন, ২০২৪

ভারি বর্ষণ হতে পারে যেসব অঞ্চলে
দেশের সব বিভাগেই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।   জানা যায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, ‍উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল শনিবার আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। 
১১ আগস্ট, ২০২৩
X