কত বেতন পান নরেন্দ্র মোদি?
টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনিসহ প্রায় ৩০ জন মন্ত্রী শপথ নেন। ভারতের মতো অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি স্বাভাবিকভাবেই নানা সুবিধা প্রাপ্ত হবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের সরকারের কাছ থেকে মোদি কত টাকা বেতন পাবেন -তা জানার আগ্রহ রয়েছে অনেকেরই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতি মাসে বেতন বাবদ ১ লাখ ৬৬ হাজার রুপি পাবেন নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও যেসব সুবিধা পেয়ে থাকেন সেসবের মধ্যে রয়েছে, সরকারি বাসভবনের ব্যবস্থা। ভারতের নয়াদিল্লির রেসকোর্স রোডে প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি বিশাল বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফরের জন্য রয়েছে বিশেষ বিমান ‘এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান’। আকাশপথে কোনো যাত্রা করতে হলে বিশেষ এই বিমানে চড়ে ভ্রমণ করবেন ভারতের প্রধনামন্ত্রী। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য সব সময় নিয়োজিত থাকে একটি স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ বা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। তারা জীবনবাজি রেখে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে।  তবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন ভারতের প্রেসিডেন্ট। সাংবিধানিকভাবে তিনি দেশের তিনটি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার। এই পদের কারণে ২০১৮ সালে ভারতের প্রেসিডেন্টের মাসিক বেতন দেড় লাখ রুপি থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ রুপিতে উন্নীত করা হয়।  ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে প্রেসিডেন্ট আরও যেসব সুবিধা পেয়ে থাকেন, সেগুলো হলো— বিমান, রেল বা স্টিমারের মাধ্যমে দেশের যেকোনো জায়গায় বিনামূল্যে ভ্রমণ করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট। ভ্রমণের সময় তিনি একজন ব্যক্তিকে সঙ্গে রাখতে পারবেন, যার খরচও রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। এ ছাড়া সম্পূর্ণ বিনামূল্যে যে কোনো ধরনের চিকিৎসাসেবা পাবেন প্রেসিডেন্ট। বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন প্রেসিডেন্টের স্বামী বা স্ত্রীও। একইসঙ্গে আসবাবপত্র সজ্জিত বিনা ভাড়ার একটি বাসা, দুটি বিনা মূল্যের টেলিফোন সংযোগ, এর মধ্যে একটি ইন্টারনেট সংযোগের জন্য, একটি মোবাইল ফোন, পাঁচজন ব্যক্তিগত কর্মীসহ বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ খরচও রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। যদি দায়িত্বরত অবস্থায় কোনো প্রেসিডেন্ট মৃত্যুবরণ করেন তাহলে তার স্বামী বা স্ত্রীকে অবসরপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট যে পেনশন পেতেন, তার ৫০ শতাংশ হারে বাকি জীবনের জন্য পারিবারিক পেনশন প্রদান করা হবে।
১১ জুন, ২০২৪

মোদির শপথ রোববার / ৩ স্তরের নিরাপত্তাবলয়ে দিল্লি
টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি শপথ নেবেন আগামীকাল রোববার (৯ জুন)। রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে চরম ব্যস্ততা দিল্লিজুড়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে রাজধানীকে। এমনকি রাষ্ট্রপতি ভবন ও আশপাশের অঞ্চলকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতে জওহরলাল নেহরুর পরে তিনিই দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে টানা তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের উঠানে বিপুলসংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে শপথ নেবেন মোদি। গত ১ জুন সাত দফায় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর ৪ জুন দেশটির নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণা করে। এতে একক কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তবে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠনের অধিকার পায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাষ্ট্রপতি ভবনের উঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ শুরু হবে। এ উপলক্ষে শপথস্থল এবং আশপাশের অঞ্চলকে শনিবার থেকেই তিন স্তরের নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার প্রথম স্তরে আছে দিল্লি পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। দ্বিতীয় স্তরে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডোরা। এরপরের বলয়ে আছেন গোয়েন্দা বিভাগের উচ্চক্ষমতাধর কর্মকর্তারা এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসপিজি বাহিনী। এদিকে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা বিশেষ অতিথিরা তাজ, ওবেরয়, লীলা, মৌর্যসহ বিভিন্ন হোটেলে থাকবেন। সেখানেও নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। সূত্র বলছে, দিল্লির ওপর নজর রাখতে আকাশে ক্রমাগত চক্কর দেবে বিমানবাহিনীসহ অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনীর হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টারগুলোতে সেনা ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) কমান্ডোরা ভারী অস্ত্র হাতে থাকবেন। দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ বহুতল ভবনগুলোতে এনএসজি এবং সেনার স্নাইপারদের মোতায়েন করা হবে। মোদির সঙ্গে থাকা নিয়ে যা বললেন নাইডু টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। এ দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান এন চন্দ্রবাবু নাইডুর। যদিও তাকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল তবুও তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যারা এদিক-ওদিকে যেতে চান তাদের লাভ হয় না। আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা সবাই আপনার সঙ্গে থাকব, আপনার নেতৃত্বে কাজ করব।  বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের অন্য নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সকলে এগিয়ে যাবেন। আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা সবাই মোদির সঙ্গেই থাকব। উনি যা করবেন তা আমরা সবাই মিলে মেনে চলব। শুক্রবার সকালে এনডিএ জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এনডিএর এ বৈঠকে মোদির বাঁ পাশে ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু এবং তার পাশেই ছিলেন আরেক কিংমেকার নীতিশ কুমার। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নাম প্রস্তাব করা হলে তাতে সমর্থন জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জনতা দলের (জেডিইউ) প্রধান নীতিশ কুমার।
০৮ জুন, ২০২৪
X