ইউরো ২০২৪ / উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকদের বড় জয়
চার বছর পর আবার মাঠে গড়িয়েছে ফুটবলের অন্যতম বড় প্রতিযোগিতা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বা ইউরো। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এবারের আসর হচ্ছে জার্মানিতে। আসরের প্রথম দিনই জার্মানি ঘরের মাঠে ইউরো অভিযান শুরু করলো একটি শক্তিশালী ৫-১ গোলে জয়ের মাধ্যমে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৫ জুন) রাত ১টায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে টুর্নামেন্টের স্বাগতিকরা রেকর্ড চতুর্থ ইউরোপিয়ান শিরোপা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে গোলের ঝড় তুলে এবং আধিপত্য দেখিয়ে আসরের শুভ সূচনা করে। ফ্লোরিয়ান উইর্টজ ম্যাচের ১০ মিনিটে স্কোরিং শুরু করে জার্মানির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ গোলদাতা হন ২১ বছর বয়সে। তার গোলের পর ১৯তম মিনিটে জামাল মুসিয়ালা একটি গোল করেন এবং হাফ টাইমের ঠিক আগে কাই হ্যাভার্টজ পেনাল্টি থেকে গোল করেন। স্কটল্যান্ডের রায়ান পোর্টিউস জার্মান অধিনায়ক ইলকায় গুন্ডোগানকে বিপজ্জনক ট্যাকেল করার কারণে লাল কার্ড দেখে মাঠ ত্যাগ করেন। প্রথমার্ধে ৩-০ লিড নিয়ে জার্মানি দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ অব্যাহত রাখে। পরিবর্তিত খেলোয়াড় নিকলাস ফুলক্রুগ ৬৮তম মিনিটে চতুর্থ গোলটি করেন। স্কটল্যান্ডের অবস্থা আরও খারাপ হয় যখন ৮৭তম মিনিটে আন্তোনিও রুডিগার নিজের জালে বল পাঠিয়ে তাদের একমাত্র সান্ত্বনার গোলটি দেন। ইনজুরি সময়ে এসে এমরে চান শেষ গোলটি করেন। জার্মানির কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যান তার দলের আক্রমণ  তীব্রতা এবং কৌশলগত বাস্তবায়নের প্রশংসা করেন। অধিনায়ক গুন্ডোগান বলেন, ‘আমরা অনেক তীব্রতা নিয়ে খেলেছি এবং সঠিক স্থানে পাস দিতে পেরেছি। প্রথমার্ধটি অসাধারণ ছিল। এই শুরুটাই আমরা চেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা যে গোলটি খেয়েছি তা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি দলই গুণমান সম্পন্ন।’ স্কটল্যান্ড, যারা একটি শটও টার্গেটে রাখতে পারেনি, এখন কঠিন এক পথের সামনে। তাদের অধিনায়ক অ্যান্ডি রবার্টসন দলের খারাপ পারফরম্যান্স স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, `প্রথমার্ধে আমরা সবকিছু ভুল করেছি। আমাদের দ্রুত ফিরে আসতে হবে।' জার্মানি বুধবার হাঙ্গেরির মুখোমুখি হবে, তারপর সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে। এদিকে, স্কটল্যান্ডকে তাদের সম্ভাবনা পুনরুদ্ধার করতে এবং বড় টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো গ্রুপ পর্ব পেরোতে সুইজারল্যান্ডের সাথে খেলার জন্য দ্রুত সংগঠিত হতে হবে। জার্মানির জোরালো জয় ইঙ্গিত দিচ্ছে তাদের এক দশকব্যাপী ট্রফি খরা শেষ করার জন্য দলটির সংকল্পের ওপর।
১৫ জুন, ২০২৪

মমতার হয়ে লড়ে ইউসুফ পাঠানের বড় জয়
কোনোদিন রাজনীতির পথ ধরে হাঁটেননি। স্বচ্ছন্দ ছিলেন ক্রিকেটের ময়দানে। ভারতীয় দলের জার্সিতে পারফরম্যান্স তারপর আইপিএলে কেকেআরের জার্সিতে বাঙালির ঘরের ছেলে হয়ে ওঠা। ইউসুফ পাঠান এবার ভোটের মাঠেও কামাল করে দেখালেন।  ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইউসুফ পাঠান। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটের মাঠে নামেন তিনি। আর প্রথমবারেই বিরোধীদের দুর্গ গুঁড়িয়ে দিয়ে জয় মুঠোবন্দি করলেন সাবেক এ ক্রিকেটার।  বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে ১৫তম রাউন্ড গোনার শেষে এক নম্বরে তৃণমূল, দুই নম্বরে বিজেপি এবং কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী একেবারে তিন নম্বরে পৌঁছে যান। ১৫ দফার শেষে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৫২২৭৮০, বিজেপি পেয়েছে ৩৭৯০৭৬ ভোট এবং কংগ্রেস পেয়েছে ৪৩৬০৮৩ ভোট। অর্থাৎ বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান ৮৬ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হলেন। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে এসে ইউসুফ পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় ভোটে লড়তে রাজি হয়েছিলেন। সেখানেই দিদির কথায় বাজিমাত করলেন ইউসুফ পাঠান। 
০৪ জুন, ২০২৪

জুভেন্তাসের বিরুদ্ধে বড় জয় রোনালদোর
দ্রুত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ব্যাংক হিসেবে যোগ হবে বেশকিছু অর্থ। যদিও এমন অর্থ যোগ হওয়া সিআরসেভেনের জন্য নতুন কিছু নয়। তবে এই অর্থ যোগ হওয়ার পেছনে রয়েছে বেশ বড় একটি অর্জন। বলতে গেলে পর্তুগিজ তারকার জন্য অন্য রকম বিজয়। ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্তাসের বিরুদ্ধে মামলায় জয় পেয়েছেন রোনালদো। ফলে দ্রুত পর্তুগিজ কিংবদন্তিকে ৯৭ লাখ ইউরো দেওয়ার আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত কোর্ট অব আরবিট্রেশন। যদিও দাবির চেয়ে প্রায় অর্ধেক অর্থ পাচ্ছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ইতালিয়ান ক্লাবটির কাছে ১ কোটি ৯৫ লাখ ইউরো বকেয়া বেতন দাবি করেছিলেন। স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ২০১৮ সালে জুভেন্তাসে যোগ দেন সিআরসেভেন। আর তুরিনোর ওল্ড লেডিদের জার্সিতে তিন বছর কাটানোর পর ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। তখন ইতালিয়ান ক্লাবটির কাছে বকেয়া বেতন দাবি করেন বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা। কিন্তু তা প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানায় জুভেন্তাস। পাওনা টাকার দাবিতে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে মামলা করেন রোনালদো। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সিআরসেভেনকে ৯৭ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা) দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। তবে পর্তুগিজ তারকার পাওনা থাকা থেকে কর ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এই অর্থ। তবে পাওনা ৯৭ লাখ ইউরোর সঙ্গে বিচারিক কার্যে খরচও দিতে বলা হয়েছে  ইতালিয়ান ক্লাবটিকে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

মেরিনার ও আবাহনীর বড় জয়
২৩ মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করেও স্বস্তিতে ছিল না ধানমন্ডির আবাহনী। ৫২ ও ৫৫ মিনিটের দুই গোলে ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা। পুলিশকে ৪-২ গোলে হারিয়ে টানা সপ্তম জয় তুলে নিল ধানমন্ডির ক্লাবটি। আরেক ম্যাচে মেরিনার ইয়াংস ১৩-১ গোলে সাধারণ বীমাকে উড়িয়ে দিয়েছে। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের দৃশ্যপট ভিন্ন হতে পারত; যদি বাংলাদেশ পুলিশ সাত পেনাল্টি কর্নার (পিসি) নষ্ট না করত। তার পরও আহসান হাবিব-আব্দুল মালেকরা দলটিকে ম্যাচে রেখেছিলেন। কিন্তু আবাহনীর বিরুদ্ধে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি পুলিশ। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে রাকিবুল হাসান রকির ফিল্ড গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী (১-০)। ২৩ মিনিটে সেই রকিই স্কোরলাইন ২-০ করেন। ২৯ মিনিটে আব্দুল মালেকের ফিল্ড গোল পুলিশকে ম্যাচে রেখেছিল (২-১)। ৫২ মিনিটে পিসি থেকে গোল করেন আবাহনীর ড্রাগ-ফ্লিকার আশরাফুল ইসলাম (৩-১)। ৫৫ মিনিটে ভারতীয় শিশি গাওয়াদের ফিল্ড গোলে ম্যাচের ভাগ্য লিখে দেন (৪-১)। ৫৯ মিনিটে পিসি থেকে ব্যবধান কমান পুলিশের আহসান হাবিব (৪-২)। আরেক ম্যাচে সোহানুর রহমান সবুজ ও ভারতীয় রাজিন্দার সিংয়ের হ্যাটট্রিকে সাধারণ বীমা করপোরেশনকে ১৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মেরিনার। ড্রাগ-ফ্লিকার সোহানুর রহমান সবুজ ৪ গোল করেছেন। রাজিন্দর সিংয়ের স্টিক থেকে এসেছে তিন গোল। এ ছাড়া অধিনায়ক ফজলে হোসেন রাব্বি ও ভারতের অজয় যাদব জোড়া গোল করেন। প্রিন্স লাল সামন্ত ও সাদাফ সালেকীনের স্টিক থেকে এসেছে বাকি দুই গোল। ৭ ম্যাচ থেকে পূর্ণ ২১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে আবাহনী। অন্যদিকে সাধারণ বীমাকে উড়িয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে মেরিনার। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঊষার সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। ৮ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে পুলিশ। ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে সাধারণ বীমা।
২৬ মার্চ, ২০২৪

আর্জেন্টিনার বড় জয়
লিওনেল মেসি ছাড়াই আমেরিকার দেশ এল সালভাদরকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। গতকাল শনিবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের লিঙ্কন ফিন্যান্সিয়াল স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে এল সালভাদরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল তারা। মেসি-দিবালা ও অন্য তারকাদের ছাড়াই মধ্য আমেরিকার বিপক্ষে দাপট দেখায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। লবিসেলেস্তিদের হয়ে একটি করে গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, এনজো ফার্নান্দেজ এবং জিওভানি লো সেলসো। ফিলাডেলফিয়ার লিঙ্কন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ডে ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণ শুরু করে আর্জেন্টিনা। তবে আর্জেন্টিনার এ আক্রমণাত্মক খেলার ফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ১৬ মিনিট পর্যন্ত। কর্নার থেকে হেডে গোল করে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের লিড এনে দেন রোমেরো। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এনজো। দুর্দান্ত এক দলীয় আক্রমণ থেকে পাওয়া সুযোগ ঠিকই কাজে লাগান চেলসি তারকা। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতির পরও ম্যাচের দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক আক্রমণ বজায় রাখে আর্জেন্টিনা। ৫২ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন লো সেলসো। প্রায় ৮০ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখেছিল আর্জেন্টিনা। বিপরীতে এল সালভাদরের দখলে বল ছিল মাত্র ২০ শতাংশ সময়।
২৪ মার্চ, ২০২৪

মেসিকে ছাড়াই আর্জেন্টিনার বড় জয়  
আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে শেষবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন দলটির অধিনায়ক ও বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসি। তিন মাস বিরতির পর আর্জেন্টিনার ভক্তদের সামনে সুযোগ ছিল ফুটবল বিশ্বের মহাতারকাকে আবার আলবেসিলিস্তের জার্সিতে দেখার। তবে ভক্তদের এই আশা পূরণ হয়নি।   মেসি তার ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলার সময় চোটে পড়ে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। মেসিহীন আর্জেন্টিনা কেমন খেলে তা নিয়ে বেশ দ্বিধাদ্বন্দে ছিল দলটির ভক্তরা। তবে মেসিহীন আর্জেন্টিনাও যে কতটুকু ভয়ংকর হতে পারে তা বুঝল মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর। লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা রীতিমতো হেসেখেলেই হারাল তাদের। শনিবার (২৩ মার্চ) ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের লিঙ্কন ফিন্যান্সিয়াল স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে এল সালভাদরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। মেসি-দিবালা ও অনান্য তারকাদের ছাড়াই মধ্য আমেরিকার দেশটিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা । আলবিসেলেস্তিদের হয়ে একটি করে গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, এনজো ফার্নান্দেজ এবং জিওভানি লো সেলসো।   ফিলাডেলফিয়ার লিংকন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ডে ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণ শুরু করে আর্জেন্টিনা। তবে আর্জেন্টিনার এই আক্রমণাত্মক খেলার ফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ১৬ মিনিট পর্যন্ত। কর্নার থেকে হেডে গোল করে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের লিড এনে দেন রোমেরো। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এনজো। দুর্দান্ত এক দলীয় আক্রমণ থেকে পাওয়া সুযোগ ঠিকই কাজে লাগান চেলসি তারকা। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতির পরও ম্যাচের দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক আক্রমণ বজায় রাখে আর্জেন্টিনা। ৫২ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন লো সেলসো। মাঝমাঠে ছোট ছোট পাসে আক্রমণটি তৈরি করে আর্জেন্টিনা। এরপর লাওতারো মার্তিনেজের দারুণ এক অ্যাসিস্টে বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন লো সেলসো। তিন গোল করেও আর্জেন্টিনা আক্রমণের ধারা বজায় রাখে। যদিও সুযোগের সঠিক ব্যবহার না করায় গোল আসেনি। ম্যাচে বল দখলেও এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। দাপট দেখিয়ে প্রায় ৮০ শতাংশ সময় নিজেদের দখলে রেখেছিল বল। বিপরীতে এল সালভাদরের দখলে বল ছিল মাত্র ২০ শতাংশ সময়। আর আর্জেন্টিনা যেখানে ২৪টি শট নিয়ে ১৪টি লক্ষ্যে রেখেছে, এল সালভাদর সেখানে শটই নিতে পেরেছে মাত্র ২টি। দুই দলের পরিসংখ্যানে বিশাল পার্থক্যেই মূলত ফুটে উঠছে ম্যাচের প্রকৃত চিত্র। আর্জেন্টিনা কিছু সহজ সুযোগ মিস না করলে এবং এল সালভাদরের রক্ষণ ও গোলরক্ষক দারুণভাবে কিছু আক্রমণ ঠেকিয়ে না দিলে ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারত। আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচও হবে মার্কিন মূলকে। ২৭ মার্চ দলটি খেলবে কোস্টারিকার বিপক্ষে।
২৩ মার্চ, ২০২৪

দুই আত্মঘাতী গোলে রিয়ালের বড় জয়
ইউরোপের অন্যতম সেরা লিগ স্প্যানিশ লা লিগায় টেবিল টপার রিয়াল মাদ্রিদের সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। লিগের শেষ তিন ম্যাচের মাত্র একটিতে জয় নির্ঘাত চিন্তায় ফেলেছিল লস ব্লাঙ্কোসদের কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে। তার ওপর এই সপ্তাহে লা লিগার শিরোপার জন্য তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ জিরোনা ও বার্সার জয় রিয়ালের জন্য সেল্টার বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়াকে আবশ্যক করে তুলে। তবে রিয়াল ভক্তদের জন্য খুশির খবর হল ঠিকই নিজেদের মাঠে জয় তুলে নিয়েছে ভিনিসিয়ুস-মদ্রিচরা। এক্ষেত্রে অবশ্য সেল্টাও দুটি আত্মঘাতী গোল দিয়ে রিয়ালের বড় জয়ে ভূমিকা রেখেছে। রোববার (১০ মার্চ) রিয়ালের হোম গ্রাউন্ড সান্তিয়াগো ব্যার্নাবুতে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, আদ্রা গুলার ও দুই সেল্টা ফুটবলারের করা আত্মঘাতী গোলে ৪-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে স্পেনের লা লিগার রেকর্ড শিরোপাজয়ী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। নিজেদের মাঠে দলের সেরা খেলোয়াড় জুড বেলিংহ্যাম ও ডিফেন্সের সিংহভাগ খেলোয়াড় না থাকার পরেও পুরো ম্যাচজুড়েই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছিল রিয়াল। অবশ্য প্রথম ২০ মিনিটে গোলের চেস্টা করেও সাফল্য পায়নি ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোরা। রিয়ালের প্রথম সাফল্য আসে ২১তম মিনিটে। দলকে এগিয়ে নেন ভিনিসিয়ুস। জটলার মধ্যে আন্টোনিও রুডিগারের হেড ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি সেল্টা গোলরক্ষক। সুযোগ পেয়ে ছয় গজ দূরের শটে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এই গোলের পর অবশ্য ম্যাচে আবার গোল খড়া দেখা দেয়। চেষ্টা করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না স্বাগতিক দল। ফলে এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় তাদের। বিরতির পর আক্রমনের ধার আরো বাড়ায় রিয়াল। তবে কাঙ্ক্ষিত দ্বিতীয় গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৭৯ মিনিট পর্যন্ত। ৭৯তম মিনিটে কর্ণার থেকে উড়ে আসা বল রুডিগার হেডে ক্রসবারে লাগে। সেখান থেকে বল গড়াতে গড়াতে সেল্টা গোলরক্ষকের পিঠে লেগে জালে জড়ায়। ৮৮তম মিনিটে আরও একটি গোল উপহার পায় রিয়াল। ভিনিসিয়ুসের বাঁকানো শট নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি ডমিঙ্গেস। তার পেয়ে লেগে বল চলে যায় জালে।  যোগ করা সময় স্কোরলাইন ৪-০ করেন আদ্রা গুলার। দানি সেবায়োসের থ্রু বল বক্সে পেয়ে দারুণ শটে জাল খুঁজে নেন তুর্কি এই ফুটবলার। ফলে ৪-০ গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। উল্লেখ্য যে আগের ম্যাচেই ভালেন্সিয়ার সঙ্গে ড্র করা রিয়াল ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে টেবিলের শীর্ষে। ৬২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে জিরোনা। তিনে থাকা বার্সার পয়েন্ট ৬১।
১১ মার্চ, ২০২৪

আইনি লড়াইয়ে বড় জয় পেলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রাইমারি নির্বাচন থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কলোরাডো অঙ্গরাজ্য। তবে রাজ্যটির এই প্রচেষ্টা বাতিল করে দিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, ট্রাম্প কলোরাডোর প্রাইমারি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়কে ট্রাম্পের জন্য বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর আলজাজিরার। গত ডিসেম্বরে কলোরাডোর শীর্ষ আদালতের দেওয়া রায় সোমবার (২ মার্চ) সর্বসম্মতিক্রমে বাতিল করে দিয়েছেন মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটাল হিলে হামলায় উসকানি দেওয়ার দায়ে গত ১৯ ডিসেম্বর ট্রাম্পকে কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের প্রাইমারি নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করেন রাজ্যটির সর্বোচ্চ আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যিনি হোয়াইট হাউসের দৌড়ে অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিলেন। কলোরাডোর পর ইলিনয় ও মেইন অঙ্গরাজ্য থেকেও একই ধরনের রায় আসে। মার্কিন সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর ৩ নম্বর ধারা ব্যবহার করে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এই ধারায় বলা হয়েছে, অভ্যুত্থান বা বিদ্রোহে জড়িত কেউ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দপ্তরে বসতে পারবে না। আদালতের এমন রায়ের পর মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সমালোচকদের দাবি, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে দিতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলায় উসকানি ও সমর্থন দেন ট্রাম্প। তবে রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, অঙ্গরাজ্য তাদের অঞ্চলের পদধারী বা পদপ্রার্থী ব্যক্তিদের অযোগ্য ঘোষণা করতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর ৩ নম্বর ধারা শুধু কংগ্রেস ব্যবহার করতে পারবেন। অঙ্গরাজ্যের এই ধারা ব্যবহারের কোনো এখতিয়ার নেই। চলতি বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন আমেরিকানরা। নির্বাচনী দৌড়ে রিপাবলিকান পার্টি থেকে ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এগিয়ে আছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আমেরিকার জন্য বড় জয়।’
০৪ মার্চ, ২০২৪

মঈনের হ্যাটট্রিকে কুমিল্লার বড় জয়
বিপিএল চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে অনেক প্রাপ্তিযোগ। মঈন আলি হ্যাটট্রিক করেছেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চলতি বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭৩ রানে হারিয়েছে তারা। উইল জ্যাকস ১০৮ রান করেন। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিং করে ৩ উইকেটে ২৩৯ রানের পাহাড় গড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে ১৬.৩ ওভারে ১৬৬ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। শুরুতেই ঝড় তোলেন উইল জ্যাকস। তার ১০৮ রান এসেছে ৫৩ বলে। অধিনায়ক লিটন দাস ৬০ ও মঈন আলি করেন ৫৩ রান। তিন ব্যাটারের দাপটে বিপিএলের ইতিহাসে যৌথ দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে কুমিল্লা। এরপর মঈন আলির হ্যাটট্রিকে ১৬.৩ ওভারে মাত্র ১৬৬ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কুমিল্লার পক্ষে শেষ ৩ উইকেট নিয়েছেন মঈন আলি। ২৪০ রানের রেকর্ড তাড়ায় অবশ্য দারুণ সূচনা পেয়েছিল চট্টগ্রাম। ৭.৩ ওভারে ৮০ রান তোলে স্বাগতিকরা। মাত্র ২৪ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ রানে বিদায় নেন তানজিদ তামিম। আরেক ওপেনার জস ব্রাউন আউট হন ২৩ বলে ৩৬ রান করে। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। ব্রাউনকে ফেরানোর পরের ওভারে টম ব্রুস ও শাহাদাত দিপুকেও তুলে নেন ভিক্টোরিয়ান্স স্পিনার। এরপর সৈকত আলি ১১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস উপহার দিলেও আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। রিশাদ ও মঈন আলি তাদের দাঁড়াতে দেননি। দুজন মিলে ফিরিয়েছেন চট্টগ্রামের ৮ ব্যাটারকে। বাকি ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৭তম ওভারে মঈন পরপর ফেরান শহিদুল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন ও বিলাল খানকে। ফলে এবারের বিপিএলের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের দেখা মেলে। টস হেরে ব্যাটিং নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় কুমিল্লা। উদ্বোধনী জুটিতে ৭.৫ ওভারে ৮৬ রান তোলেন লিটন-জ্যাকস। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬২ রান করেন তারা। ২৫ বলে ফিফটি পাওয়া লিটন দাস ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ফেরেন ৬০ রানে। চতুর্থ উইকেটে মাত্র ৫৩ বলে ১২৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন উইল জ্যাকস ও মঈন আলি।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তাহিরের ঘূর্ণিতে রংপুরের বড় জয়
বিপিএলের এবারের আসর শুরুর আগে কাগজে কলমে শিরোপার সবচেয়ে যোগ্য দাবিদার ভাবা হচ্ছিল রংপুরের ফ্রাঞ্চাইজি রংপুর রাইডার্সকে। দেশ ও দেশের বাইরের দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড়ের সম্বনয়ে করা দলটি অবশ্য আসরের শুরুতে অফ ফর্মে ছিল বলতে হবে। তবে দুই হারের পর সাত জয়ে প্লে-অফের সন্নিকটে রংপুরের ফ্রাঞ্চাইজিটি। যার সর্বশেষটি এল চট্টগ্রামের মাটিতে খুলনাকে উড়িয়ে। প্রথমে ব্যাটিংয়ে সাকিবের ঝড় পরে বোলিংয়ে তাহিরের ঘূর্ণিতে বেশ বড় হারই বরণ করে নিতে হয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দলকে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ২১৯ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ করে টেবিল টপার রংপুর রাইডার্স। রংপুরের পক্ষে সাকিব ৩১ বলে ৬৯ ও শেখ মাহেদী খেলেন ৩৬ বলে ৬০ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস। পাহাড়সম এই রানের লক্ষ্যে প্রোটিয়া বোলার ইমরান তাহিরের ঘূর্ণিতে ১০ বল বাকি থাকতে ১৪১ রানে অলআউট হয় খুলনা। রংপুরের পক্ষে তাহির সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন। বড় এই জয়ে চলতি বিপিএলে টানা ষষ্ঠ ম্যাচে জিতল রংপুর। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে তাদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত হল। অন্যদিকে টানা চতুর্থ হারে সেমিফাইনালে ওঠার পথ কঠিন হয়ে গেল খুলনার। এই খুলনা আর আসরের প্রথম চার ম্যাচ জিতে আসা খুলনার মধ্যে অনেক পার্থক্য। দুইশ রানের উপরের এই লক্ষ্য তাড়ায় তাদের হয়ে একমাত্র লড়াই চালিয়েছেন বিধ্বংসী ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। ৬০ রানে তার বিদায়ের আর কেউ খুলনাকে পথ দেখাতে পারেনি। ফলে তাদের কপালে জুটে ৭৮ রানের বড় হার। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ থেকে বিপিএলের আরেক পর্ব শুরু হয়েছে। দুটি ম্যাচেই বড় স্কোরিং ম্যাচ দেখল দেশের ক্রিকেট ভক্তরা। দুই ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছে আগে ব্যাট করা দলগুলো। রংপুরের দেওয়া ২২০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় হোঁচট খেয়েই শুরুটা করেছিল খুলনা। মাত্র ১৮ রানেই ওপেনার এভিন লুইসকে হারায় তারা। তাদের হয়ে একমাত্র হেলস ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। ব্যাটিং উইকেটেও ডানহাতি ঘূর্ণিতে তাদের কাবু করেছেন লেগস্পিনার ইমরান তাহির। ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান খরচায় তিনি ৫ উইকেট শিকার করেন। হেলস যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ততক্ষণ আশা ছিল খুলনার। শুরুতে দুই উইকেট হারালেও সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটারই তাদের পথ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ৩৩ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় তার ৬০ রানের ইনিংসটি থামতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে তারা থামে ১৪১ রানে। খুলনার হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট শিকার করা লুই উড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন ১৪ বলে। তাহির ছাড়া রংপুরের হয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন সাকিব। একটি করে শিকার ধরেছেন জেমস নিশাম, হাসান মাহমুদ ও শেখ মেহেদী। এর আগে শুরুতে ব্যাট করা রংপুর প্রথম ২৪ রানেই দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও রেজা হেনড্রিকসকে হারায়। তবে তাদের সেই বিপর্যয় থেকে বের করেন সাকিব-মাহেদীরা। তৃতীয় উইকেটে তারা ১০৯ রানের জুটি বাধেন। সাকিব ৩১ বলে ৬টি করে চার-ছক্কায় ৬৯ রান করেন। ৩৬ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬০ রান করেন মেহেদী। এছাড়া শেষদিকে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ১৩ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। যা রংপুরকে বড় পুঁজি এনে দেয়।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X