শান্তর ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়: পাপন
‘পরিকল্পনা এ রকম ছিল— প্রথম ৬ ওভার চেষ্টা করবো। যদি ভালো শুরু করি, দ্রুত উইকেট না পড়ে, ওই সুযোগটা নেবো। কিন্তু যখন ৩টা উইকেট পড়ে গেলো, আমাদের পরিকল্পনা ভিন্ন ছিল, কীভাবে আমরা ম্যাচটা জিততে পারি।’—টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার সহজ সুযোগ হাতছাড়ার পর এমনটাই বলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে অধিনায়কের এমন মন্তব্যকে গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। মঙ্গলবার (২ জুলাই) প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টার বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আফাগিস্তানের বিপক্ষে ১২.১ থেকে ১২.৫ ওভারে জিতলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে পারতো বাংলাদেশ। শুরুটা সম্ভানাময়ী হলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেই পথে হাটেনি। উলটো ম্যাচ হেরে যায় আফগানদের কাছে। এতে বিশ্বজুড়েও বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে পাপনের কাছে এর ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি একটা ব্যাপারের উত্তর দিতে পারছি না, সেটা হল আমাদের অধিনায়ক বলেছে যে ৩ উইকেট পড়ার পর আমরা চেষ্টা করিনি। এটা কিন্তু গ্রহণযোগ্য না। কিন্তু আমি যতক্ষন খেলা দেখেছি ততক্ষণ এমনটা মনে হয় নাই। যতক্ষণ পর্যন্ত তাওহিদ হৃদয় ছিল ততক্ষণ ওরা চেষ্টা করেছে।’ বোর্ড মিটিংয়ে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হলেও এখনো দল থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো রিপোর্ট পায়নি বিসিবি। টিম ম্যানেজমেন্ট কোচ-ম্যানেজারের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করবেন পাপনরা।
০২ জুলাই, ২০২৪

তাসকিনের ঘুম কাণ্ডে সাকিবের ব্যাখ্যা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ একাদশে ছিলেন না তাসকিন আহমেদ। প্রশ্ন ওঠে দারুণ ছন্দে থাকার পরও কেন একাদশে নেই দলের সহঅধিনায়ক? তখন বিস্তারিত কিছু জানা না গেলেও একের একে বেড়িয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর খবর। ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিব) সূত্র দিয়ে জানায় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দিন ঘুম ভাঙেনি ডানহাতি এই টাইগার পেসারের। এ কারণ ধরতে পারেননি টিম বাস। পরে তাকে ছাড়াই একাদশ সাজাতে বাধ্য হয় বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এর সত্যতা স্বীকার করেন সাকিব আল হাসান। দলের এ সিনিয়র ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি জানি না এটা কী জন্য হইছে। মনে হয় কোনো ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হইছে কী না, জানি না। যে কী কারণে খেলেনি সে তো দলের সহ-অধিনায়ক। বলতে গেলে অটোমেটিক চয়েস। যখন সে না খেলবে স্বাভাবিকভাবে মানুষের মনে প্রশ্ন আসবে, এখন সেটার ব্যাখ্যা তো দিতেই হবে। এখন সে কারণে বলেছে কী না, কে বলেছে আমি তো জানি না।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘যেটা হয়েছিল টিমের বাস তো একটা নির্দিষ্ট সময় ছাড়ে। আমরা যারা ক্রিকেটার তাদের জন্য নিয়ম একটা। সাধারণত বাস এ রকম কখনো অপেক্ষা করে না।’ ঘুম থেকে দেরি করে উঠায় তাকে খেলানো হয়নি না কি অন্য কোনো কারণ রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘তাসকিন টস হওয়ার ৫-১০ মিনিট আগে মাঠে গিয়েছে। তখন হয়তো খেলানোর সুযোগ ছিল না। এ ছাড়া অন্য কারণও থাকতে পারে আমি তা জানি না।’ তার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ দেওয়া হয় জাকের আলি অনিককে। ডানহাতি ফাস্ট বোলারকে বাইরে রেখে একজন বাড়তি ব্যাটার খেলানোয় সমালোচনার মুখে পড়ে টিম ম্যানেজমেন্ট। ভারতের বিপক্ষে সে ম্যাচে বেশ বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ দল।
০২ জুলাই, ২০২৪

মেসিকে একাদশে না রাখার ব্যাখ্যা স্কালোনির
আসছে কোপা আমেরিকার প্রস্তুতির লক্ষ্যে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলছে আর্জেন্টিনা। যার প্রথমটি হয় সোমবার (১০ জুন) বাংলাদেশ সময় ভোর  ৫টায়। এ ম্যাচে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার দেওয়া একমাত্র গোলে লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ ইকুয়েডরকে হারায় আলবিসেলেস্তারা।  এ ম্যাচের শুরু একাদশে রাখা হয়নি দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসিকে। এতে কিছুটা শঙ্কা দেখা দিয়েছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মনে, তাহলে কি সুস্থ নন তাদের প্রিয় তারকা? ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন তিনি। তবে তৈরি করতে পারেননি গোলের সুযোগ। না করাতে পেরেছেন সতীর্থদের দিয়ে গোল। ম্যাচ শেষ মেসিকে একাদশে না রাখার কারণ ব্যাখ্যা করতে হয় দলের প্রধান কোচ লিওনেল স্কালোনিকে।   ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মেসিকে একাদশে না রাখার কারণে স্কালোনি বলেন ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি।  পশুরাজ সিংহের উদারহণর টেনে আর্জেন্টাইন কোচ বলেন, ‘এমন সময় আসে যখন ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না, এমনকি সিংহের ক্ষেত্রেই নয়। মেসি, ওতামেন্ডির মতো আরও কিছু খেলোয়াড় আছেন যারা এ ম্যাচে খেলেননি। তবে ডি মারিয়া ছিল, তাই কোনো চিন্তা ছিল না।’ মেসি-ওতামেন্ডি ছাড়া পুরো সময় খেলানো হয়নি এনজো ফার্নান্দেজ, নাহুয়েল মোলিনার মতো ফুটবলারদের। তবে তারা পুরোপুরি ফিট নন, এমন প্রশ্নের জবাবে স্কালোনি বলেন, ‘এনজো অস্ত্রোপচারের পর ফিরেছে। এথন প্রত্যেকের সামান্য যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন। তারা যেন সর্বোচ্চ ফিটনেস ফিরে পায় তা নিশ্চিত করা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনি।’ ইকুয়েডরকে মাত্র এক গোলে হারানোয় মন ভরেনি সমর্থকদের। কিন্তু আর্জেন্টিনা কোচের মত ভিন্ন। ম্যাচ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এটি আমাদের পক্ষ থেকে একটি ভাল ম্যাচ ছিল। এবং ইকুয়েডরের পক্ষ থেকেও। প্রীতি ম্যাচ হওয়ার পরও ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। আমাদের যা করা উচিত ছিল, আমরা তাই করেছি।’  দলের ফুটবলার ও আর্জেন্টিনা জাতীয় দল সম্পর্কে স্কালোনি বলেন, ‘এই দলের প্রত্যেকে রক্তের প্রতিটি বিন্দু দিয়ে ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা রাখে। এই খেলার সৌন্দর্য হল, যে এটি আপনাকে সবসময় ভালো করার সুযোগ দেয়। একই সঙ্গে একটি বিষয় দেখায় আপনার বর্তমান অবস্থা কি, আর আপনাকে কতটা পরিবর্তন করতে হবে।’ আগামী ১৫ জুন আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। কোপার আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে মেসি-ডি মারিয়াদের প্রতিপক্ষ গুয়েতেমালা। এরপর ২০ জুন শুরু হবে দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশীয় আসর কোপা। 
১০ জুন, ২০২৪

কালো টাকা সাদার সুযোগ, ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা ফিরিয়ে আনতে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকের হাতে থাকা টাকা উদ্ধার করতেই বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে।  শেখ হাসিনা বলেন, সীমিতভাবে এগোতে চায় সরকার। সেভাবেই বাজেট করা হয়েছে। বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের মতো, উন্নত দেশেও এর চেয়ে বেশি থাকে।  শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন অর্থবছরের এই বাজেটে মানুষের মৌলিক অধিকার, দেশীয় শিল্প ও সামাজিক নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যা দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করবে। ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস নিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, পাকিস্তানের বৈষম্যের প্রতিবাদ একমাত্র বঙ্গবন্ধুই করেছিলেন। ৬ দফার পাশাপাশি দেশ স্বাধীন হলে সংবিধান কী হবে তাও ঠিক করে রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে। এজন্যই দেশের উন্নতি হচ্ছে। আওয়ামী লীগের আমলে দেশের যে অগ্রগতি হয়েছে তা আর সব সরকার মিলেও করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে সরকারে একমাত্র আওয়ামী লীগ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের উন্নতি হয়। এ সময় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের পাশে থাকবেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। এর আগে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই বাজেট পেশ করেন। প্রস্তাবিত এই বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এ বাজেটের প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’ দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
০৭ জুন, ২০২৪

হাদিসের প্রভাষক পদে উত্তীর্ণ সুধা রানী, যে ব্যাখ্যা দিল এনটিআরসিএ
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় প্রকাশ হয়েছে। এতে স্কুল ও কলেজ পর্যায় মিলিয়ে পাস করেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে  পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।  প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সুধা রানীকে ইসলাম ধর্মের হাদিস বিষয়ে প্রভাষক পদে উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় চলছে। এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) জানিয়েছে, সনাতন ধর্মাবলম্বীর এ পরীক্ষার্থী আবেদনের সময় ভুল করায় এমনটি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সুধা রানীর বিষয়টি সামনে আসার পর আমরা তার আবেদন কপি যাচাই করে দেখি। তিনি আবেদনের সময় ‘বিষয় পছন্দ’ দিয়েছেন হাদিস বিষয়ে। তার আবেদন অনুযায়ী ফল দেওয়া হয়েছে। এটি প্রার্থীর ভুলের কারণে হয়েছে।’ সুধা রানীর স্বামী গোবিন্দ চন্দ্র জানান, আবেদনটি কম্পিউটারের দোকান থেকে করা হয়েছিল। সেখানেই কম্পিউটার অপারেটর ভুলটি করেছেন। ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে রয়েছেন স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন।
১৮ মে, ২০২৪

সাইফউদ্দিনকে দলে না রাখার নির্বাচনী ব্যাখ্যা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আইসিসিকে একটা প্রাথমিক দল পাঠিয়েছিল। ৩০ এপ্রিল পাঠানো সেই দলে ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বিসিবির গতকাল দেওয়া বিশ্বকাপের ১৫ জনের চূড়ান্ত দলে তাকে রাখা হয়নি। দুজনের স্ট্যান্ডবাই তালিকায়ও নেই সাইফউদ্দিন। অথচ তার পরিবর্তে যাকে নেওয়া হয়েছে সেই তানজিম হাসান সাকিবের চেয়ে ফর্মের বিবেচনায় অনেক এগিয়ে ছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে ৪ ম্যাচে ৮ উইকেট নেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজে ২ ম্যাচ খেলে তানজিম নেন মাত্র ১ উইকেট। জাতীয় দলের জার্সি গায়েই শুধু নয়, সর্বশেষ বিপিএলেও তানজিমের তুলনায় ভালো করেছেন সাইফুদ্দিন। বিপিএলে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন তানজিম। সাইফউদ্দিন নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট। সেই কারণেই হয়তো তার বিশ্বকাপ দলে না থাকা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। মিরপুরে দল ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে সাইফুদ্দিনের বাদ পড়া নিয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সবাই খুব কাছাকাছি মানের লড়াই করেছে। যে দলটা দিয়েছিলাম ৩০ এপ্রিল, সেটা আমরা এক প্রেক্ষাপটে দিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের দুটি চিন্তা ছিল। আমরা চেয়েছিলাম বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়েই দল করতে। আর একটা চিন্তা ছিল ইনজুরি থেকে ফেরা ক্রিকেটাররা, যেমন সাইফউদ্দিন কেমন করে, তা দেখা। আমাদের যে আস্থার জায়গা, সেখানে সাইফউদ্দিনের চেয়ে তানজিম একটু এগিয়ে ছিল। এ জন্য ওকে আমরা দলে রেখেছি।’ সাইফুদ্দিনের ডেথ ওভারের বোলিং করার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সাকিবকে (তানজিম হাসান) শ্রীলঙ্কা সিরিজেও আমরা দেখেছি। তার একাগ্রতা, মাঠে নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার চেষ্টা সাইফউদ্দিনের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রেখেছে। আমরা যে কারণে সাইফউদ্দিনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, সেটা হলো ডেথ ওভারে ইয়র্কার করা দেখতে। সেটা ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন ছিল, তার চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। তাই আমরা একটু ভিন্ন চিন্তা করেছি। ৩০ তারিখে যে দলটা দিয়েছিলাম, সেখান থেকে একমাত্র এ জায়গাটাতেই পরিবর্তন হয়েছে।’ সাইফউদ্দিনের সঙ্গে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তানজিম সাকিব ও সাইফউদ্দিনের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছিল। বাকি ৩ জন পেসার তো নিশ্চিত ছিলই। বাকি তিনজনকে বদলাতে হলে আমাদের প্রথম পছন্দ ছিল হাসান মাহমুদ। দুর্ভাগ্যবশত তাকে রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে রাখতে হচ্ছে। আশা করছি তাকে লাগবে না, লাগলে লাগতেও পারে।’ অবশ্য সাইফউদ্দিনকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে বোর্ডের বেশ কয়েকটি জায়গায় আলোচনা হয়েছিল। তার পরও প্রধান নির্বাচক তাকে না রাখার ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কে কখন উইকেট পাচ্ছে, তা দেখতে হবে। সাইফউদ্দিনকে যে জায়গায় দরকার হতো, সেটা পরখ করে দেখেছি। শেষ দুটি ম্যাচে দুজন পেসার নিয়ে খেলেছি। সেখানে সাইফউদ্দিন কিছু কিছু জায়গায় আস্থার প্রতিদান দিতে পারেনি।’
১৫ মে, ২০২৪

সুরা কাহাফ বাংলা উচ্চারণ, শানে নুযুল ও ব্যাখ্যা
আল কাহফ ( আরবি:سورة الكهف) হল মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৮ তম সূরা৷ এর আয়াত সংখ্যা ১১০ টি ও রূকুর সংখ্যা ১২ টি। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।  এ সুরায় কুরাইশদের তিনটি প্রশ্ন উল্লেখ করে সেসবের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই সুরায় হজরত মুসা, হজরত খিজির ও জুলকারনাইনের ঘটনাও বর্ণনা করা হয়েছে। এ সুরার আলোচনার মূল বিষয় হল আসহাবে কাহফ বা কয়েকজন দুনিয়াত্যাগী গুহাবাসী মুমিনের ঘটনা। সুরা কাহাফ এর শানে নুযুল ইমাম ইবনে জরীর তাবারী হজরত ইবনে-আব্বাসের রেওয়ায়েতে বর্ণনা করেন যখন মক্কায় রসূলুল্লাহ্‌ -এর নবুওয়তের চর্চা শুরু হয় এবং কোরাইশরা তাতে বিব্রত বোধ করতে থাকে, তখন তারা নজর ইবনে হারেস ও ওকবা ইবনে আবী মুয়ী'তকে মদীনার ইহুদি পণ্ডিতদের কাছে প্রেরণ করে।  রাসূলুল্লাহ্‌ সম্পর্কে তারা কি বলে, জানার জন্যে। ইহুদি পন্ডিতরা তাদেরকে বলে দেয় যে, তোমরা তাকে তিনটি প্রশ্ন করো। তিনি এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলে বুঝে নেবে যে, তিনি আল্লাহ্‌র রসূল। অন্যথায় বোঝবে, তিনি একজন বাগাড়ম্বরকারী রসূল নন। এক. তাঁকে ঐসব যুবকের অবস্থা জিজ্ঞাসা কর, যারা প্রাচীনকালে শহর ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তাদের ঘটনা কি? কেননা, এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর ঘটনা। দুই. তাঁকে সে ব্যক্তির অবস্থা জিজ্ঞেস কর, যে পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম এবং সারা বিশ্ব সফর করেছিল। তার ঘটনা কি? তিন. তাঁকে রুহূ সম্পর্কে প্রশ্ন কর যে, এটা কি? উভয় কোরাইশী মক্কায় ফিরে এসে ভ্রাতৃসমাজকে বলল আমরা একটি চূড়ান্ত ফয়সালার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফিরে এসেছি। অতঃপর তারা তাদেরকে ইহুদি আলেমদের কাহিনি শুনিয়ে দিল। কোরাইশরা রসূলুল্লাহ্‌ -এর কাছে এ প্রশ্নগুলো নিয়ে হাজির হল।  তিনি শুনে বললেন আগামীকাল উত্তর দেব। কিন্তু তিনি ইনশাআল্লাহ্‌ বলতে ভুলে গেলেন। কোরাইশরা ফিরে গেল। রসূলুল্লাহ্‌ ওহির আলোকে জওয়াব দেবার জন্যে আল্লাহ্‌র তরফ থেকে ওহি আসর অপেক্ষায় রইলেন।  কিন্তু ওয়াদা অনুযায়ী পর দিবস পর্যন্ত ওহি আগমন করল না; বরং পনেরো দিন এ অবস্থায় কেটে গেল। ইতিমধ্যে জিবরাঈলও এলেন না এবং কোন ওহীও নাজিল হল না। অবস্থাদৃষ্টে কোরাইশরা ঠাট্টা-বিদ্রুপ আরম্ভ করে দিল। এতে রসূলুল্লাহ্‌ খুবই দুঃখিত ও চিন্তিত হলেন। পনেরো দিন পর জিবরাইল সূরা কাহফ নিয়ে অবতার করলেন। এতে ওহির বিলম্বের কারণও বর্ণনা করে দেয়া হল যে, ভবিষ্যতে কোন কাজ করার ওয়াদা করা হলে ইনশাআল্লাহ্‌ বলা উচিত। ১. আলহামদুলিল্লা-হিল্লাজিআনজালা ‘আলা-‘আবদিহিল কিতা-বা ওয়ালাম ইয়াজ‘আল্লাহু ‘ইওয়াজা-। ২. কাইয়িমাল লিইউনজিরা বা’ছান শাদিদাম মিল্লাদুনহু ওয়া ইউবাশশিরাল মু’মিনিনাল্লাজিনা ইয়া‘মালুনাসসা-লিহা-তি আন্না লাহুম আজরান হাছানা-। ৩. মা-কিসিনা ফিহি আবাদা-। ৪. ওয়া ইউনজিরাল্লাজিনা কা-লুত্তাখাযাল্লা-হু ওয়ালাদা-। ৫. মা-লাহুম বিহি মিন ‘ইলমিওঁ ওয়ালা-লিআ-বাইহিম কাবুরাত কালিমাতান তাখরুজু মিন আফওয়া-হিহিম ইয়ঁইয়াকুলুনা ইল্লা-কাজিবা-। ৬. ফালা‘আল্লাকা বা-খি‘উন্নাফছাকা ‘আলা আ-ছা-রিহিম ইল্লাম ইউ’মিনু বিহা-জাল হাদিছিআছাফা-। ৭. ইন্না-জা‘আলনা-মা-‘আলাল আরদি জিনাতাল্লাহা- লিনাবলুওয়াহুম আইয়ুহুম আহছানু ‘আমালা-। ৮. ওয়া ইন্না-লাজা-‘ইলুনা মা-‘আলাইহা-সা‘ঈদান জুরুজা-। ৯. আম হাছিবতা আন্না আসহা-বাল কাহফি ওয়ার রাকিমি কা-নুমিন আ-য়া-তিনা‘আজাবা-। ১০. ইয আওয়াল ফিতইয়াতুইলাল কাহফি ফাকা-লুরাব্বানাআ-তিনা-মিল্লাদুনকা রাহমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা-মিন আমরিনা-রাশাদা-। ১১. ফাদারাবনা-‘আলাআ-জা-নিহিম ফিল কাহফি ছিনিনা ‘আদাদা-। ১২. ছু ম্মা বা‘আছনা-হুম লিনা‘লামা আইয়ুল হিজবাইনি আহসা-লিমা-লাবিছুদ্মআমাদা- ১৩. নাহনুনাকুসসু‘আলাইকা নাবাআহুম বিলহাক্কি ইন্নাহুম ফিতইয়াতুন আ-মানু বিরাব্বিহিম ওয়াজিদনা-হুম হুদা-।     ১৪. ওয়া রাবাতনা-‘আলা-কুলুবিহিম ইজ কা-মুফাকা-লুরাব্বুনা-রাব্বুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিলান নাদ‘উওয়া মিন দুনিহিইলা-হাল লাকাদ কুলনাইজান শাতাতা-। ১৫. হাউলাই কাওমুনাত্তাখাজুমিন দু নিহিআ-লিহাতাল লাওলা-ইয়া’তুনা ‘আলাইহিম বিছুলতা-নিম বাইয়িনিন ফামান আজলামুমিম্মানিফতারা-‘আলাল্লা-হি কাজিবা-। ১৬. ওয়া ইজি‘তাঝালতুমুহুম ওয়ামা-ইয়া‘বুদুনা ইল্লাল্লা-হা ফা’ঊইলাল কাহফি ইয়ানশুরুলাকুম রাব্বুকুম মির রাহমাতিহি ওয়া ইউহাইয়ি’ লাকুম মিন আমরিকুম মিরফাকা-। ১৭. ওয়া তারাশশামছা ইজা-তালা‘আততাঝা-ওয়ারু ‘আন কাহফিহিম যা-তাল ইয়ামিনি ওয়া ইজা-গারাবাত তাকরিদুহুম যা-তাশশিমা-লি ওয়া হুম ফি ফাজওয়াতিম মিনহু জালিকা মিন আ-য়া-তিল্লা-হি মাইঁ ইয়াহদিল্লা-হু ফাহুওয়াল মুহতাদি ওয়া মাই ইউদলিল ফালান তাজিদা লাহুত্তয়ালিইইয়াম মুরশিদা-। ১৮. ওয়া তাহছাবুহুম আইকা-যাওঁ ওয়া হুম রুকুদুওঁ ওয়া নুকালিলবুহুম যা-তাল ইয়ামিনি ওয়া যা-তাশশিমা-লি ওয়াকালবুহুম বা-ছিতু ন জিরা-‘আইহি বিল ওয়াসিদি লাবিততালা‘তা ‘আলাইহিম লাওয়াল্লাইতা মিনহুম ফিরা-রাওঁ ওয়ালামুলি’তা মিনহুম রু‘বা-। ১৯. ওয়া কাযা-লিকা বা‘আছনা-হুম লিইয়াতাছাআলুবাইনাহুম কা-লা কাইলুম মিনহুম কাম লাবিছতুম কা-লুলাবিছনা-ইয়াওমান আও বা‘দা ইয়াওমিন কালুরাব্বুকুম আ‘লামুবিমা-লাবিছতুম ফাব‘আছূআহাদাকুম বিওয়ারিকিকুম হাযিহিইলাল মাদীনাতি ফালইয়ানজু র আইয়ুহাআঝকা-তা‘আ-মান ফালইয়া’তিকুম বিরিঝকিম মিনহু ওয়াল ইয়াতালাততাফ ওয়ালা-ইউশ‘ইরান্না বিকুম আহাদা-। ২০. ইন্নাহুম ইয়ঁ ইয়াজহারু‘আলাইকুম ইয়ারজুমুকুম আও ইউ‘ঈদুকুম ফি মিল্লাতিহিম ওয়ালান তুফলিহুইযান আবাদা-। ২১. ওয়া কাযা-লিকা আ‘ছারনা-‘আলাইহিম লিইয়া‘লামুআন্না-ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুওঁ ওয়া আন্নাছছা-‘আতা লা-রাইবা ফিহা- ইয ইয়াতানা -ঝা‘ঊনা বাইনাহুম আমরাহুম ফাকালুবনু‘আলাইহিম বুনইয়া-নার রাব্বুহুম আ‘লামুবিহিম কা-লাল্লাযীনা গালাবূ ‘আলাআমরিহিম লানাত্তাখিজান্না ‘আলাইহিম মাছজিদা-। ২২. ছাইয়াকুলুনা ছালা-ছাতুর রা-বি‘উহুম কালবুহুম ওয়া ইয়াকুলুনা খামছাতুন ছা-দিছুহুম কালবুহুম রাজমাম বিলগাইবি ওয়া ইয়াকুলুনা ছাব‘আতুওঁ ওয়া ছা-মিনুহুম কালবুহুম কোর রাববীআ‘লামুবি‘ইদ্দাতিহিম মা-ইয়া‘লামুহুম ইল্লা-কালিলুন ফালা-তুমারি ফিহিম ইল্লা-মিরাআন যা-হিরাওঁ ওয়ালা-তাছতাফতি ফিহিম মিনহুম আহাদা-।  ২৩. ওয়ালা-তাকুলান্না লিশাইয়িন ইন্নি ফা-‘ইলুন জা-লিকা গাদা-। ২৪. ইল্লাআইঁ ইয়াশাআল্লা-হু ওয়াজকোর রাব্বাকা ইজা-নাসিতা ওয়াকুল ‘আছাআইঁ ইয়াহদিয়ানি রাববী লিআকরাবা মিন হা-জা-রাশাদা-। ২৫. ওয়া লাবিছুফি কাহফিহিম ছালা-ছা মিআতিন ছিনিনা ওয়াঝদা-দুতিছ‘আ-। ২৬. কুল্লিলা-হু আ‘লামুবিমা-লাবিছূ লাহুগাইবুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি আবসির বিহি ওয়া আছমি‘ মা-লাহুম মিন দু নিহি মিওঁ ওয়ালিইয়িওঁ ওয়ালা-ইউশরিকুফি হুকমিহিআহাদা-। ২৭. ওয়াতলুমাঊহিয়া ইলাইকা মিন কিতা-বি রাব্বিকা লা-মুবাদ্দিলা লিকালিমা-তিহি ওয়া লান তাজিদা মিন দু নিহি মুলতাহাদা-।     ২৮. ওয়াসবির নাফছাকা মা‘আল্লাযীনা ইয়াদ‘ঊনা রাব্বাহুম বিলগাদা-তি ওয়াল ‘আশিইয়ি ইউরিদু না ওয়াজহাহুওয়ালা-তা‘দুআইনা-কা ‘আনহুম তুরিদুঝীনাতাল হায়াতিদদুনইয়া- ওয়ালা তুতি‘ মান আগফালনা-কালবাহু‘আন যিকরিনা-ওয়াত্তাবা‘আ হাওয়া-হু ওয়া কা-না আমরুহুফুরুতা-। ২৯. ওয়া কুল্লি হাক্কুমির রাব্বিকুম ফামান শাআ ফালইউ’মিওঁ ওয়ামান শাআ ফালইয়াকফুর ইন্নাআ‘তাদনা-লিজ্জা-লিমীনা না-রান আহা-তা বিহিম ছুরাদিকুহা- ওয়াইয়ঁইয়াছতাগীছূইউগা-ছূবিমাইন কালমুহলি ইয়াশবিল উজূহা বি’ছাশ শারা-বু ওয়া ছাআত মুরতাফাকা-।     ৩০. ইন্নাল্লাজিনা আ-মানুওয়া‘আমিলুসসা-লিহা-তি ইন্না-লা-নুদী‘উ আজরা মান আহছানা ‘আমালা-।       ৩১. উলাইকা লাহুমজান্না-তু‘আদনিন তাজরি মিন তাহতিহিমুল আনহা-রু ইউহাল্লাওনা ফিহামিন আছা-বিরা মিন যাহাবিওঁ ওয়া ইয়ালবাছূনা ছিয়াবান খুদরাম মিন ছুনদুছিওঁ ওয়া ইছতাবরাকিম মুত্তাকিঈনা ফিহা-‘আলাল আরাইকি নি‘মাছছাওয়া-বু ওয়া হাছুনাত মুরতাফাকা-। ৩২. ওয়াদরিব লাহুম মাছালার রাজুলাইনি যা‘আলনা-লিআহাদিহিমা-জান্নাতাইনি মিন আ‘নাবিওঁ ওয়া হাফাফনা-হুমা বিনাখলিওঁ ওয়াযা‘আলনা-বাইনাহুমা-ঝার‘আ-। ৩৩. কিলতাল জান্নাতাইনি আ-তাত উকুলাহা-ওয়ালাম তাজলিম মিনহু শাইআওঁ ওয়া ফাজ্জারনাখিলা-লাহুমা-নাহারা-।   ৩৪. ওয়া কা-না লাহুছামারুন , ফাকা-লা লিসা-হিবিহি ওয়াহুওয়া ইউহা-বিরুহুআনা আকছারু মিনকা মা-লাওঁ ওয়া আ‘আঝঝুনাফারা-। ৩৫. ওয়া দাখালা জান্নাতাহুওয়াহুওয়া যা-লিমুল লিনাফছিহি কা-লা মাআজুন্নুআন তাবীদা হা-যিহিআবাদা-। ৩৬. ওয়ামাআজুন্নুছছা-‘আতা কাইমাতাওঁ ওয়ালাইর রুদিততুইলা-রাববী লাআজিদান্না খাইরাম মিনহা-মুনকালাবা-। ৩৭. কা-লা লাহুসা-হিবুহুওয়া হুওয়া ইউহা-বিরুহআকাফারতা বিল্লাজি খালাকাকা মিন তুরা-বিন ছু ম্মা মিন নুতফাতিন ছুম্মা ছাওওয়া-কা রাজুলা-। ৩৯. ওয়ালাওলাইযদাখালতা জান্নাতাকা কুলতা মা-শাআল্লা-হু লা-কুওওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহি ইন তারানি আনা আকাল্লা মিনকা মা-লাওঁ ওয়া ওয়ালাদা-। ৪০. ফা‘আছা-রাববীআই ইউ’তিয়ানি খাইরাম মিন জান্নাতিকা ওয়া ইউরছিলা ‘আলাইহা-হুছবানাম মিনাছছামাই ফাতুসবিহা সা‘ঈদান ঝালাকা-। ৪১. আও ইউসবিহা মাউহা-গাওরান ফালান তাছতাতী‘আ লাহুতালাবা-। ৪২. ওয়া উহিতাবিছামারিহি ফাআছবাহা ইউকালিলবুকাফফাইহি ‘আলা-মাআনফাকা ফিহা-ওয়াহিয়া খা-বিয়াতুন ‘আলা-‘উরুশিহা-ওয়া ইয়াকু লুইয়া-লাইতানী লাম উশরিক বিরাববীআহাদা-। ৪৩. ওয়ালাম তাকুল লাহুফিয়াতুইঁ ইয়ানসুরুনাহুমিন দুনিল্লা-হি ওয়ামা-কা-না মুনতাসিরা-। ৪৪. হুনা-লিকাল ওয়ালা-ইয়াতুলিল্লা-হিল হাক্কি হুওয়া খাইরুন ছাওয়া-বাওঁ ওয়া খাইরুন ‘উকবা-। ৪৫. ওয়াদরিব লাহুম মাছালাল হায়া-তিদদুনইয়া-কামাইন আনঝালনা-হু মিনাছ ছামাই ফাখতালাতা বিহি নাবা-তুল আরদিফাআসবাহা হাশীমান তাযরুহুর রিয়া-হু ওয়া কানাল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িম মুকতাদিরা-। ৪৬. আলমা-লুওয়াল বানুনা ঝিনাতুল হায়া-তিদদুনইয়া- ওয়াল বা-কিয়া-তুসসা-লিহাতুখাইরুন ‘ইনদা রাব্বিকা ছাওয়া-বাওঁ ওয়া খাইরুন আমালা-।   ৪৭. ওয়া ইয়াওমা নুছাইয়িরুল জিবা-লা ওয়া তারাল আরদা বা-রিঝাতাওঁ ওয়া হাশারনা-হুম ফালাম নুগা-দির মিনহুম আহাদা-।     ৪৮. ওয়া ‘উরিদু ‘আলা-রাব্বিকা সাফফাল লাকাদ জি’তুমুনা-কামা-খালাকনা-কুম আওওয়ালা মাররাতিম বাল ঝা‘আমতুম আল্লান নাজ‘আলা লাকুম মাও‘ইদা-।   ৪৯. ওয়া উদি‘আল কিতা-বুফাতারাল মুজরিমিনা মুশফিমিনা মিম্মা-ফিহি ওয়া ইকুলুনা ইয়াওয়াইলাতানা-মা-লি হা-যাল কিতা-বি লা-ইউগা-দিরু সাগিরাতাওঁ ওয়ালা-কাবিরাতান ইল্লাআহসা-হা- ওয়া ওয়াযাদুমা-‘আমিলুহা-দিরা- ওয়ালা-ইয়াজলিমু রাব্বুকা আহাদা-। ৫০. ওয়া ইজকুলনা-লিল মালাইকাতিছ জু দুলিআ-দামা ফাছাজাদু ইল্লাইবলিছা কানা মিনাল জিন্নি ফাফাছাকা ‘আন আমরি রাব্বিহি আফাতাত্তাখিযূনাহুওয়া যুররিইইয়াতাহুআওলিয়াআ মিন দু নি ওয়া হুম লাকুম ‘আদুওউম বি’ছা লিজ্জালিমিনা বাদালা-।     ৫১. মাআশহাততুহুম খালকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ালা-খালকা আনফুছিহিম ওয়ামা-কুনতুমুত্তাখিযাল মুদিল্লিনা ‘আদুদা-।   ৫২. ওয়া ইয়াওমা ইয়াকু লুনা-দুশুরাকাইয়াল্লাজিনা ঝা‘আমতুম ফাদা‘আওহুম ফালাম ইয়াছতাজিবুলাহুম ওয়া যা‘আলনা-বাইনাহুম মাওবিকা-।     ৫৩. ওয়া রাআল মুজরিমুনান্না-রা ফাযাননুআন্নাহুম মুওয়া-কি‘ঊহা-ওয়ালাম ইয়াজিদু‘আনহা- মাসরিফা-। ৫৪. ওয়া লাকাদ সাররাফনা-ফি হা-যাল কোরআ-নি লিন্না-ছি মিন কুল্লি মাছালিওঁ ওয়া কানাল ইনছা-নুআকছারা শাইয়িন যাদালা-। ৫৫. ওয়ামা-মানা‘আন্না-ছা আইঁ ইউ’মিনু ইয যাআহুমুল হুদা ওয়াইয়াছতাগফিরুরাব্বাহুম ইল্লাআন তা’তিয়াহুম ছুন্নাতুল আওওয়ালিনা আও ইয়া’তিয়াহুমুল ‘আযা-বুকুবুলা-। সুরা কাহফ নাযিল হওয়ার শানে নুযূল আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, কুরাইশরা নাযার ইবনে হারিস ও উকবাহ ইবনে মুঈতকে মদিনার ইয়াহুদী আলেমদের নিকট পাঠিয়ে দেয় এবং তাদেরকে বলে, তোমরা তাদের (ইয়াহুদিদের) কাছে গিয়ে তাদের সামনে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সমস্ত অবস্থা বর্ণনা করবে। কারণ, তারাই প্রথম (আল্লাহর পক্ষ থেকে) কিতাব প্রাপ্ত হয়েছিল। পুর্ববর্তী নবীগণ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান সবচেয়ে বেশি। সুতরাং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে তাদের মতামত কি তা তাদের জিজ্ঞেস করবে। এই দুইজন তখন মদিনার ইয়াহুদি আলেমদের সাথে স্বাক্ষাৎ করে এবং তাদের সামনে মুহাম্মাদসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রচার করা কথা ও তাঁর গুণাবলি বর্ণনা করে। ইয়াহুদীরা কুরাইশদের বলে, দেখ! আমরা তোমাদের একটি চূড়ান্ত মীমাংসা হয় এমন কথা বলছি। তোমরা মক্কায় ফিরে গিয়ে তাঁকে (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে) তিনটি প্রশ্ন করবে। যদি তিনি উত্তর দিতে পারেন, তাহলে তিনি যে সত্য নবী এতে কোন সন্দেহ নেই। আর যদি উত্তর দিতে না পারেন, তাহলে তাঁর মিথ্যাবাদী হওয়া সম্পর্কে কোন সন্দেহ থাকবে না। তখন তোমরা তাঁর ব্যাপারে যা ইচ্ছা করতে পারো।  প্রশ্ন তিনটি :     এক. তোমরা তাঁকে জিজ্ঞেস করবে, পুর্বযুগে যেই যুবকগণ বেড়িয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের ঘটনা বর্ণনা করুন। এটা তো একটা বিস্ময়কর ঘটনা! দুই. তারপর তাঁকে ঐ ব্যক্তির অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে, যিনি সমস্ত পৃথিবী ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি পূর্ব প্রান্ত হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে এসেছিলেন। তিন. আর তাঁকে তোমরা রুহ (আত্মার) অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে।     যদি তিনি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন তোমরা তাঁকে নবী বলে স্বীকার করে তাঁর অনুসরণ করবে। আর যদি উত্তর দিতে না পারেন তাহলে যানবে যে, তিনি মিথ্যাবাদী। সুতরাং যা ইচ্ছা তাই করবে। এরা দুজন মক্কায় ফিরে গিয়ে কুরাইশদের বললো, চূড়ান্ত ফয়সালার কথা ইহুদী আলেমগণ বলে দিয়েছেন। সুতরাং, চল আমরা তাকে প্রশ্নগুলি করি। অতঃপর তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আগমন করে তাঁকে ওই তিনটি প্রশ্ন করলে তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা আগামী কাল এসো, আমি তোমাদের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিব। কিন্তু তিনি “ইনশা আল্লাহ (যদি আল্লাহ চান)” এই কথা বলতে ভুলে যান। এরপর পনের দিন অতিবাহিত হয়ে যায় কিন্তু তাঁর কাছে না কোন ওহি আসে, আর না আল্লাহ তাআ’লার পক্ষ থেকে তাঁকে এ প্রশ্নগুলির জবাব যানিয়ে দেয়া হয়। এর ফলে মক্কাবাসী সন্দেহ করতে থাকে এবং পরস্পর বলাবলি করা শুরু করে, দেখ! একদিনের ওয়াদা ছিল। অথচ আজ পনের দিন কেটে গেল, তবুও সে কোন জবাব দিতে পারল না! এতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দ্বিগুণ দুঃখে জর্জরিত হতে লাগলেন। এক তো কুরাইশদের জবাব দিতে না পারায় তাদের কথা শুনতে হচ্ছে, দ্বিতীয়ত ওহি আসা বন্ধ রয়েছে। এরপর জিবরাঈল (আঃ) আগমন করেন এবং সুরা কাহফ অবতীর্ন হয়। এতে “ইন শা আল্লাহ” না বলায় তাঁকে ভবিষ্যতে কোন কাজ করবো বলার পূর্বে “ইন শা আল্লাহ” বলার গুরুত্ব সম্পর্কে সতর্ক করে দেওয়া হয়, ঐ যুবকদের ঘটনা বর্ননা করা হয়, ঐ ভ্রমনকারিদের বর্ননা দেয়া হয় এবং রুহের ব্যাপারেও জবাব দেয়া হয়।         সুরা কাহাফ সম্পর্কে কতিপয় বিষয়াবলি এক. সুরা কাহফ এর প্রথম ১০ আয়াত যে মুখস্ত করবে তাকে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা করা হবে। সহিহ মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ। দুই. জুমুয়াহর দিনে (অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর থেকে শুক্রবার মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মাঝে) সুরা কাহফ তেলাওয়াত করলে দুই জুমুয়াহর মধ্যবর্তী সময় বান্দার জন্য নুরান্বিত বা আলোকিত হয়ে থাকে। হাকিম, ইমাম বুখারি ও মুসলিম হাদিসটিকে ‘সহিহ’ সাব্যস্ত করেছেন, যদিও তাঁদের কিতাবে উল্লেখ করেননি। তিন. সুরা নাজিল হওয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষাঃ “ইনশা আল্লাহ” বলার গুরুত্ব!  
১১ মে, ২০২৪

‘অনেক লেখক নিজের কবিতার ভালো ব্যাখ্যা করতে পারেন না’
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেছেন, বাঙালির জাগরণ ৩টি। উনিশ শতকের নবজাগরণ, ভাষা আন্দোলন এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। উনিশ শতকে রবীন্দ্রনাথকে বলা হয় শ্রেষ্ঠ প্রতিবাদী। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ শুধু সাহিত্যই রচনা করেননি পাশাপাশি সেটির প্রত্যেকটি শব্দের ব্যাখ্যাও প্রদান করেছেন। আমাদের দেশে অনেক লেখক আছেন যারা নিজেদের কবিতাও ভালো করে ব্যাখ্যা করতে পারেন না, গানও না, আর ছন্দ বুঝা তো দূর। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ‘সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা : রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ২য় দিনে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বরীন্দ্রনাথ এক সময় ইংরেজি কবিতা ও সাহিত্যের খুব ভক্ত ছিলেন। কিন্তু যখন দেখলেন ইংরেজদের দ্বারা এ বাংলার নিরীহ মানুষগুলো নিপীড়িত তখন তাদের প্রতি তার ঘৃণা সৃষ্টি হয়। তিনি স্বপ্ন দেখেন এ পূর্ব দিগন্তে একজন মানবের আগমনের। যার মাধ্যমে মুক্ত হতে পারে এ দেশ। আর তার স্বপ্নের মানবই হয়তো ছিল এই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ ও ভারত—দুই দেশের শিল্পকলা, ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাসের মেলবন্ধন অটুট রাখা এবং শিক্ষা বিষয়ক অধ্যয়ন ও গবেষণা করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ও অর্থায়নে নানামুখী কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন তিনি। অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ফকরুল আলম । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো এ ধরনের অনুষ্ঠানের ভিতর দিয়ে যেন চিত্তের উৎকর্ষ সাধিত হয়, স্বপ্ন তৈরি হয়। রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু; আমাদের জীবনে তাদের যে বিশাল প্রভাব, সেখান থেকে আমাদের প্রজন্মকে ঋদ্ধ করে যেতে হবে। রবীন্দ্রনাথ শুধু কবি, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, অভিনেতা বা চিত্র শিল্পী তা নন, তিনি একটি দর্শন। যে দর্শনে আমাদের সামনে এগোতে হবে। তিনি ভাষা সাহিত্যে আমাদের সমাজকে, জীবনকে সাজিয়ে গেলেন আর রাজনৈতিকভাবে সেটা পরিপূর্ণ করে গেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২য় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্র পরিবেশনা। শুরুতেই যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন ইফতেখার আনোয়ার এবং যন্ত্রশিল্পীরা ‘তোমার খোলা হাওয়া’। এরপর ‘এসো শ্যামল সুন্দর’ সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রতিশ্রুতিশীল নৃত্যদল। গান ও কবিতা পরিবেশন করেন সামিউল ইসলাম পুলক এবং মাহনাজ করিম হোসেন ‘প্রেমিক রবীন্দ্রনাথ’। একক সংগীত পরিবেশন করেন অনিমা রায় এবং ফাহিম হোসেন চৌধুরী ‘আজি প্রণমি তোমারে’, ‘তোমারেই করিয়াছি’, ‘জীবনের ধ্রুবতারা’। একক সংগীত পরিবেশন করেন জান্নাত আরা হেনরি। এরপর সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু-কিশোর সংগীত দল ‘আজি ধানের ক্ষেতে’; এবং ‘ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি’; সবশেষে ‘বাল্মিকী প্রতিভা’ নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে পি.এফ.ডিএর ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের শিশুরা।
০৯ মে, ২০২৪

নারী আম্পায়ার ‘বিতর্ক’ / মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংকের ব্যাখ্যা
মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয়েছিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডান। সেই ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্ব পান এ আই এম মনিরুজ্জামান ও সাথিরা জাকির জেসি। কিন্তু নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসিকে নিজেদের ম্যাচে চায়নি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। কেন চায়নি, তার কারণ ব্যাখ্যা করেছে ক্লাব দুটি। এদিকে দুই ক্লাবের কারণ ব্যাখ্যার আগেই বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে নারী আম্পায়ার বলেই আপত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি গুজবের ঢঙে কয়েকজন ক্রিকেটারের নামও ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। নারীবিদ্বেষের কারণেই জেসির আম্পায়ারিংয়ে তারা খেলতে চাননি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এসব নিয়ে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সরগরম, তখনই দুই ক্লাবের পক্ষ থেকে ঘটনার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিসিবির আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু ঘটনা নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘হ্যাঁ, বিসিবি নারী আম্পায়ারকে দায়িত্ব দেওয়ায় তারা অখুশি ছিল। কিন্তু ম্যাচ চলেছে। সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা (দুটি ক্লাব) মন্তব্য করে নিজেদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। তারা আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি, সিসিডিএমকে বলেছে। তবে এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীও একজন নারী। আমাদের এই ধরনের নিয়োগকে উৎসাহ দেওয়া উচিত।’ ঘটনা নিয়ে মোহামেডানের ক্রিকেট সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ‘আমরা আসলে আপত্তি তুলিনি। আমরা এমনিতে বলাবলি করছিলাম যে ম্যাচের মেরিট অনুযায়ী তো এত বড় ম্যাচে জেসি আম্পায়ার হতে পারেন না। আমরা বলছিলাম এত বড় ম্যাচে আরও ভালো আম্পায়ার দরকার ছিল। আমরা অফিসিয়ালি অভিযোগ করিনি, অফিসিয়ালি অভিযোগ করব কেন। আমরা ওরকমভাবে রিপোর্টও করিনি। আমাদের ধারণা ছিল তিনি নতুন আম্পায়ার, লিস্ট-এ ক্রিকেটে এ বছরই প্রথম খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন। তাই অভিজ্ঞতা কম। আমরা সাধারণত এসব ম্যাচে সিনিয়র আম্পায়ার চাই।’ ঘটনা নিয়ে প্রাইম ব্যাংক ম্যানেজার শিকদার আবুল হাশেম কঙ্কন বলেন, ‘নারী আম্পায়ার দেবে, এটা তো জানি না আমরা। বাংলাদেশে নারী আম্পায়ারের অভিজ্ঞতা কেমন, এটা তো আমরা সবাই জানি। আপত্তি করি না। যেহেতু এটা বড় ম্যাচ, এখানে নিয়মিত যারা আম্পায়ারিং করেন, তাদের আশা করছিলাম। নারী আম্পায়ার যেটা এলবিডব্লিউ, সেটা দেননি, যেটা হয়নি সেটা দিয়েছেন। আমরা ম্যাচ শুরুর আগেও কিছু বলিনি। এমনিতে নিজেরা আলাপ করেছি। সিসিডিএমের কাউকে বলিনি। নিজেরাই আলাপ করেছি। সেটা তার অনভিজ্ঞতার জন্যই।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় জেসি বলেন, ‘এমন ঘটনার কথা তিনি গণমাধ্যমে জেনেছেন। অফিসিয়াল কিছু জানেন না। নিউজটা দেখার পর স্বাভাবিকভাবেই তার খারাপ লেগেছে, এরকম হয়ে থাকলে ঠিক হয়নি।’ বিতর্কের জল বহুদূর গড়িয়ে যাওয়ার পর আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু আরও বলেন, ‘আমিও জানি, একজন নারী এবং জুনিয়র আম্পায়ারের ঢাকার বিগ ম্যাচ পরিচালনা করা সহজ কাজ নয়। তাই বলে আমরা কি কাউকে না কাউকে ওইসব বড় ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেব না? জেসি তো এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ম্যাচও পরিচালনা করেছে। ভারত আর বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট সিরিজেও অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছে। এ বছর বাংলাদেশে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ। সেখানে আমাদের নারী আম্পায়ারদের খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পাক, আমরা সেই চেষ্টা করছি। তাই জেসিকে সেভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। যদিও মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংক থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক আপত্তি উত্থাপন করা হয়নি।’ বড় ম্যাচ পরিচালনার অনভিজ্ঞতার কারণেই যে জেসিকে নিয়ে আপত্তির মূল কারণ ছিল, তা সবার কথা থেকে স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে নারীবিদ্বেষের রং চড়িয়েছেন অনেকেই।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

বিচারকসহ ৬ জনের কাছে ব্যাখ্যা তলব
আসামি যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানের পরিবর্তে মিরাজুল নামে আরেকজন জেল খাটার ঘটনার মামলার শুনানিতে আদালত ছয়জনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। গতকাল বুধবার শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামলাটির পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ মে দিন ধার্য করেন। শুনানিতে মনজিল মোরসেদ বলেন, সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাতে স্পষ্ট প্রকৃত ব্যক্তির পরিবর্তে অন্য একজন জেলে গিয়ে জামিনের পরে আপিল করে; যার মাধ্যমে প্রকৃত আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। শুনানি সময় আপিলকারী পক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও রমজান খান মামলা থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহারের আবেদন জানান। শুনানি শেষে পাঁচটি আদেশ: ১. ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট আসামি আত্মসমর্পণ করাকালে তার প্রকৃত পরিচয় কীভাবে শনাক্ত করা হয়েছিল, সে বিষয়ে অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ঢাকার বিচারক মো. মোরশেদ আলমকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ২. নিম্ন আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলামকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার বিষয়ে তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে। ৩. কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার আসামিকে কী প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করেছেন, তার প্রমাণপত্রসহ হলফনামা সহকারে লিখিত জবাব জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৪. কেরানীগঞ্জের ডেপুটি জেলার সৈয়দ হাসান আলী আসামির স্বাক্ষর কীভাবে সত্যায়িত করেছেন, তা হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে নির্দেশ। ৫. সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাজমুল হাসানকে মিডিয়ায় প্রকাশিত অভিযোগের বিষয়ে তার লিখিত বক্তব্য আইনজীবী রমজান খানের মাধ্যমে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ। এদিকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাজমুল হাসানকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আটক করে। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ জানান, নাজমুলকে ৫৪ ধারায় আদালতে চালান করা হয়েছে। আদালতের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, ৫৪ ধারায় চালানের পর একই দিনে নাজমুল আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে যান। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি কালবেলার ‘মাদক মামলায় যুবলীগ নেতার আয়নাবাজি’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদে বলা হয়, মাদক মামলায় যুবলীগ নেতা নাজমুলের সাজা হলেও তার পরিবর্তে ভাড়ায় জেল খাটেন মিরাজুল নামে এক ব্যক্তি। সেইদিনই বিষয়টি আদালতের নজরে এনে আইনগত পদক্ষেপের আবেদন জানালে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের আদালতে বিষয়টি শুনানি হয়। এরপর আদালত মামলাটি ফের তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০ মার্চ ফের “যুবলীগ নেতার ‘আয়নাবাজি’ মামলার তথ্য নেই কারও কাছে” শিরোনামে আরও একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয় কালবেলায়।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪
X