Mon, 08 Jul, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ আনন্দ ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
Kalbela
image/svg+xml
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
আবেদ আলীর ছেলে সিয়ামকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি
১৬ মিনিট আগে
জীবনে কোনোদিন অসদুপায় অবলম্বন করিনি : আবেদ আলী
২২ মিনিট আগে
সব আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছি: আবেদ আলী
৩৯ মিনিট আগে
নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের উদ্বেগ প্রকাশ
৪৩ মিনিট আগে
প্রস্রাব করতে নিষেধ করায় পুলিশকে বেধড়ক মারধর
৫২ মিনিট আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৮ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় আলমগীর
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় উঠে পড়ায় তিন উপজেলা (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল ২ ঘণ্টা। বুধবার (২৬ জুন) সকাল ৯টার দিকে ইটনা উপজেলার এলেংজুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় ওই যুবককে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক ওই টাওয়ারে উঠে পড়া যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আলমগীর হোসেন (৩০) নামে ওই যুবক এলেংজুরী ইউনিয়নের মঞ্জিল মিয়ার ছেলে। জানা যায়, সকালে সবার অজান্তে বাড়ির সামনে হাওর সাঁতরে ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় উঠে পড়েন আলমগীর হোসেন। পরে স্থানীয়রা কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে জানালে তারা বিদ্যু সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে ইটনা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়া থেকে নামিয়ে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এ সময় তিনটি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের ২৩টিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ করা হয়। ইটনা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মুশফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ওই যুবককে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। মিঠামইন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। উদ্ধারের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে।
২৬ জুন, ২০২৪
চুরির অভিযোগে দুই জেলেকে বৈদ্যুতিক শকে হত্যা
কক্সবাজার সদর উপজেলায় দুই জেলেকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে খুরুশকুল ইউনিয়নের মনুপাড়ায় একটি ঘেরের কিনার থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মছিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহতরা হলেন মনুপাড়ার জামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক (২২) এবং আবু তাহেরের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২৪)। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ কর্মকর্তা মছিউর রহমান বলেন, সকালে মনুপাড়ার শামশুল হুদার মাছের ঘেরের পাশে দুজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহতদের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন না থাকলেও বৈদ্যুতিক শকের মতো পোড়া ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শকে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুরুশকুল ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান ছিদ্দিকী বলেন, সকালে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশকে জানাই। নিহত দুজনের শরীরে বৈদ্যুতিক শকের চিহ্ন রয়েছে। নিহত ইয়াছিনের বাবা আবু তাহের বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন স্থানীয় কাজল মেম্বার ও শামসু মেম্বারের ছেলে ইমতিয়াজ। আমাদের ধারণা, মাছে ঘেরে নিয়ে চুরির অপবাদে পিটিয়ে এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে। নিহতের আব্দুল খালেকের বাবা জামাল হোসেন বলেন, আমার ছেলেসহ দুজনই জেলে। তাদের ধরে নিয়ে মারধর করে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার পর প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পুলিশ কর্মকর্তা মছিউর রহমান জানান, দুজনের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৮ মে, ২০২৪
বৈদ্যুতিক শক দিয়ে দুই জেলেকে হত্যা
কক্সবাজারে চুরির অপবাদে দুই জেলেকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুর ১২টায় সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন মনুপাড়ায় ঘেরের কিনারে এ ঘটনা ঘটে। কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মছিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন, কক্সবাজার সদরের খুরুশকূল ইউনিয়নের মনুপাড়ার বাসিন্দা জামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক (২২) এবং একই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মো. ইয়াছিন আরাফাত (২৪)। নিহত দুজনই পেশায় জেলে। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ পরিদর্শক মছিউর রহমান বলেন, সকালে সদরের খুরুশকূল ইউনিয়নের মনুপাড়ায় মৎস্য ঘেরের পাশে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৎস্য ঘেরের বাঁধের ওপর উপুড় অবস্থায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন না থাকলেও বৈদ্যুতিক শকের মতো পোড়া ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করলেও প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি। খুরুশকূল ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ছিদ্দিকী বলেন, সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে মনুপাড়াস্থ মৎস্য ঘেরের পাশে দুই যুবকের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাই। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করি। নিহত ইয়াছিনের বাবা আবু তাহের জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত ১০টার দিকে তার ছেলেকে বাড়ি ডেকে নিয়ে যান স্থানীয় কাজল মেম্বার ও শামসু মেম্বারের ছেলে ইমতিয়াজ। ধারণা করছি, তাদের মনুপাড়াস্থ মৎস্য ঘেরে নিয়ে চুরির অপবাদে পিটিয়ে এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার পর মরদেহ পাশে ফেলে দেয়। তবে নিহত আব্দুল খালেকের বাবা জামাল হোসেন বলেন, আমার ছেলেসহ দুজনই জেলে। তাদের ধরে নিয়ে মারধর করে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার পর প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মছিউর রহমান বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
১৭ মে, ২০২৪
চাচাতো ভাইকে হত্যা করতে বৈদ্যুতিক শক হাতুড়িপেটা
দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল চাচাতো ভাই মনির হোসেন (২৫) ও হাবিবুর রহমান রুবেলের (৩১) মধ্যে। রুবেল নেশাগ্রস্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় মনিরের কাছ থেকে টাকা দাবি করতেন। পেশায় নরসুন্দর মনির বাধ্য হয়ে রুবেলকে টাকা দিতেন, না হলে রুবেল তার দোকান বন্ধ করে দিতেন। জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং এসব হয়রানির কারণে রুবেলকে শায়েস্তার পরিকল্পনা করেন মনির। সে পরিকল্পনা থেকেই বৈদ্যুতিক শক এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রুবেলকে হত্যা করেন তিনি। গত ২ মে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরির গলি থেকে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯-এর কলে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিচয় শনাক্তের পর জানা যায় মরদেহটি রুবেলের। এরপর এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের চাচাতো ভাই মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর হত্যায় ব্যবহৃত বিদ্যুতের তার ও হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় নিহত রুবেল নানাভাবে মনিরকে হয়রানি করতেন। এমনকি নিজে কাজ না করে মনিরের আয় করা টাকা জোর করে নিয়ে নিতেন। টাকা না পেলে মনিরের দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করতেন। ফলে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ২ মে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে তথ্য পেয়ে সিপাহীবাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরির গলি থেকে তোশকে পেঁচানো অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার লাশটি হাবিবুর রহমান রুবেলের বলে শনাক্ত করেন। রুবেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর গোপালপুর এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে। তারা খিলগাঁও থানার উত্তর মেরাদিয়া পুরোনো কমিশনার রোড এলাকায় বসবাস করতেন। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহত রুবেলের মা মিনু বেগম হত্যা মামলা করেন। ডিসি হায়াত আরও বলেন, মামলার তদন্তে নেমে খিলগাঁও এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ, পর্যালোচনা ও বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িত মনিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি পুলিশকে জানান, কিছুদিন আগেও টাকা না দেওয়ায় তাকে ১৫ দিন সেলুন বন্ধ রাখতে বাধ্য করেন। ১২ হাজার টাকা দেওয়ার পরে সেলুন খুলতে দেন তিনি। সবকিছু মিলিয়ে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি রুবেলকে শায়েস্তা করার সুযোগ খুঁজছিলেন। গত ১ মে রাতে রুবেল চুল কাটাতে গেলে সব কর্মচারীকে ছুটি দিয়ে তিনি তার চুল কাটতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে রুবেলকে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে শক দেন তিনি। এতে রুবেল অচেতন হয়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে এলাকার একটি দোকান থেকে তোশক এনে মরদেহটি তার সেলুনে থাকা বস্তায় ভরে তোশকে পেঁচিয়ে পাশের গলিতে ফেলে দেন তিনি। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আসামিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
০৫ মে, ২০২৪
রশি দিয়ে টেনে রাখা হয়েছে ভাঙা বিদ্যুতের খুঁটি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা-আখাউড়া সড়কের কসবা উপজেলা পরিষদের সামনে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি বৈদ্যুতিক পাকা খুঁটির গোড়ার অংশ প্রায় এক মাস আগে ভেঙে গেছে। খুঁটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় পাটের রশি দিয়ে টানা দেওয়া হয়েছে। এতে যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুঘর্টনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, উপজেলা পল্লীবিদ্যুতের খামখেয়ালির কারণে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা-আখাউড়া সড়কের কসবা উপজেলা পরিষদের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড এলাকায় জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিমেন্টের তৈরি একটি পাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। মাসখানেক আগে উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারি ওয়াল সংস্কারের সময় গাছ কাটা হয়েছে। ওই গাছ সিমেন্টের তৈরি পাকা খুঁটিতে পড়ে নিচের অংশ ভেঙে হেলে গেছে। পরে স্থানীয় বিদ্যুতের লোকজন এসে রশি দিয়ে টানা দিয়েছেন। রশিটি ছিঁড়ে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। এতে করে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তারা দ্রুত এ খুঁটিটি সরিয়ে নতুন খুঁটি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় মালেক মিয়া ও কাজলসহ কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, মাসখানেক আগে উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারির জন্য গাছ কাটতে গেলে তা খুঁটির উপরে পরে। এ সময় বিদ্যুতের পাকা খুঁটির নিচের অংশ ভেঙে গেছে। পল্লীবিদ্যুতের লোকজন এসে রশি দিয়ে টানা দিয়েছেন। রশি ছিড়ে যে কোনো সময় খুঁটিটি ভেঙে যেতে পারে। এতে করে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। খুঁটিটি তুলে নিয়ে নতুন খুঁটি দেওয়া দ্রুত প্রয়োজন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাহারিয়ার মুক্তার বলেন, স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪
বৈদ্যুতিক খুঁটিতে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, কৃষকলীগ নেতা নিহত
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শামীম পারভেজ নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহত শামীম পারভেজ (৩৫) ত্রিশাল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজহারুল ইসলামের বড় ছেলে। সে উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নুরুর দোকান নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয় প্রাইভেটকারটি। পরে স্থানীয়রা গাড়ি থেকে দুইজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তবে গাড়ির চালক কৃষকলীগ নেতা শামীম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার সঙ্গে থাকা নজরুল ইসলাম দীপক গুরুতর আহত অবস্থায় মমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধারের পর গাড়িতে আগুন ধরে যায়। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের বাইপাস এলাকায় শামীম নিজের ফিশারির পাঙাশ মাছ বিক্রি করে ত্রিশাল আসার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হয়। সে নিজেই গাড়ি চালিয়ে আসছিল। ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, আজ সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নুরুর দোকান নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়। নিহতের পরিবার থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪
ধানক্ষেতে যুবকের মরদেহ /
বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মৃত্যু না কি হত্যা?
নিখোঁজের দুদিন পর ধানক্ষেতের পাশ থেকে যুবক সাকিল বেপারির (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে নিহত হওয়ার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল গ্রামের। নিহত সাকিল ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলী বেপারির ছেলে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বোরো ধানক্ষেতের পাশে যেখানে সাকিলের লাশ পড়েছিল তার পাশের একটি ধান গাছও নষ্ট হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ইঁদুর মারার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে সাকিলের মৃত্যু হলে বাঁচার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করতেন। এতে যেখানে লাশ পড়েছিল তার পাশের ধান গাছ নষ্ট হওয়ার কথা। কিন্তু একটি ধান গাছেরও কিছু হয়নি। গ্রামবাসীর দাবি, পরিকল্পিতভাবে সাকিলকে হত্যা করে ধানক্ষেতের পাশে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। যা সঠিক তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, নিহতের বাবা বাদী হয়ে একই গ্রামের সরোয়ার ফকির ও জব্বার আকনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদীর কৃষি জমিতে যাওয়ার জন্য বিবাদীদের জমির ওপর দিয়ে যেতে হয়। বিবাদীরা তাদের জমিতে কাউকে না জানিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। গত ১৮ মার্চ দিবাগত রাত ১০টার দিকে নিজেদের কৃষি জমিতে ইঁদুর মারার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সাকিল। এরপর আর তার কোনো খোঁজ মেলেনি। ২০ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানক্ষেতের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ওসি (তদন্ত) আরও বলেন, এলাকাবাসীর গুঞ্জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। পাশাপাশি মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
২১ মার্চ, ২০২৪
গাজীপুরে স্টিল মিলের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে আগুন
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় একটি স্টিল কারখানার নিজস্ব বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোর সোয়া ৬টার দিকে টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় এস এস স্টিল মিলের নিজস্ব ১১ কেভি দুটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবু মোহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ার্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৬টায় গাজীপুরের টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় এস এস স্টিল মিলের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে।
১২ মার্চ, ২০২৪
বাড়ির ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন, বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা
বাড়ির ওপর দিয়ে নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তারের জন্য আতঙ্কে আছেন মৌলভীবাজারের আমতৈল ইউনিয়ন সূর্যপাশা পয়েন্ট এলাকার বাসিন্দারা। বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো অনেক পুরোনো। এমনকি খুঁটির আশপাশে বড় গাছও আছে, যা ঝড়-তুফানে বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর পরে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। খুঁটির আশপাশের ঝোপজঙ্গলও পরিষ্কার করা হয় না। এলাকাবাসী জানান, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে অভিযোগ করার পরেও তারা ব্যবস্থা নিতে কালবিলম্ব করছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য তারা এলাকাবাসী থেকে টাকা দাবি করেছে। শ্রীমঙ্গল বিদ্যুৎ অফিসে জানানোর পরও তারা এ কাজে গড়িমসি করছেন, কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। মসজিদের ইমাম মওলানা আমিনুল ইসলাম বলেন, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি লাইন সংস্কারের সময় ইচ্ছে করলে বিপজ্জনক লাইনটি রাস্তার পাশ দিয়ে নিতে পারত। তারা ৫টি খুঁটি নিয়ে এসেছিল। তখন লাইনটি রাস্তার পাশ নিতে গেলে অতিরিক্ত ১টি খুঁটির প্রয়োজন পড়েছিল। এ লাইনটি তালুকদার বাড়ির জন্য মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে। বাড়ির মালিক কাইয়ুম তালুকদার জানান, মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি অপরিকল্পিতভাবে ৩৩ হাজার কেভির লাইন মূল রাস্তা দিয়ে না নিয়ে আড়াআড়িভাবে বাড়ির ওপর দিয়ে টেনে নেন। আমার বাড়ির ছাদে ওঠে কেউ অসাবধানতাবশতঃ হাত উপরে নাড়ালে বিদ্যুতের তারে লেগে তার মৃত্যু নিশ্চিত। আর সবসময় বাড়ির কোমলমতি ছেলেমেয়েরা ছাদে খেলা করে। বাড়ির বাসিন্দা এমডিএ আলীম তালুকদার জানান, বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা না হলে যে কোনো সময় বাড়ির কোমলমতি বাচ্চারা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে আমতৈল অভিযোগ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মো. শাহজালাল বলেন, আমাদের এ লাইনগুলোর কোনো ঝুঁকি নেই। ঝুঁকিপূর্ণ লাইন আমরা সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করি। তিন মাস অন্তর আমরা পিলারের পাশের গাছপালা পরিষ্কার করি যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার সঙ্গে আমরা বড় প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামে ৩৩শ সাবস্টেশন করে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার এবিএম মিজানুর রহমান জানান, পল্লীবিদ্যুৎ পরিবার এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। ওদের সাঙ্গপাঙ্গ ও এর সঙ্গে শাখা ও প্রো-শাখা অভাব নেই।
০৮ মার্চ, ২০২৪
শরীয়তপুরে রাস্তার মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি
শরীয়তপুরে রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সড়ক উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন পথচারীরা, অন্যদিকে দুর্ঘটনা শঙ্কা রয়েছে সার্বক্ষণিক। এতকিছুর পরও বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো অপসারণে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। উল্টো এলজিইডি ও পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার লাউখোলা-চরধুপুড়িয়া ব্রিজের দুই পাসের সংযোগ সড়কের মাঝে ৭টি বিদ্যুৎ খুটির কারণে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন ও এলাকার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাতের অন্ধকারে পথচারী ও যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। তাই পল্লী বিদ্যুতের ওই খুটিগুলো দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার দাবি এলাকাবাসী। জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জাজিরা উপজেলার অধীনে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয় প্রকল্পের এর আওতায় উপজেলার লাউখোলা -চরধুপুড়িয়া যাওয়ার নদীতে নতুন ব্রিজের কাজ শেষ হয় গত বছরে। কিন্তু রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের একাধীক খুঁটি থাকলেও এস্টিমেট করার সময় খুঁটিঅপসারনের কোন নির্দেশনা বা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়নি। তাই খুঁটিও অপসারন করা হয়নি। ফলে খুঁটি রেখেই সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার কাজ শেষ করে চলে যান। এতে চলাচলে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে জেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১১ নভেম্বর উদ্বোধন হয়েছিল লাউখোলা বাজার থেকে চরধুপুড়িয়া এলাকায় যাওয়ার নতুন ব্রিজ। ওই ব্রিজসহ একই নদীর উপর নির্মাণ করা আরও একটি সেতু মিলে একটি প্যাকেজের নির্মাণ ব্যয়ে বাজেট ছিল ২৩ কোটি টাকা। কাজটি সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হা-মীম ইন্টারন্যাশনাল। শিক্ষার্থীরা জানায়, এসব খুঁটির কারণে তাদের স্কুল ও মাদ্রাসায় যাতায়াতে খুবই সমস্যা হচ্ছে এবং এখান দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাঝেমধ্যেই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। মিন্টু চৌকিদার নামে স্থানীয় এক ভ্যানচালক কালবেলাকে বলেন, ব্রিজটি হওয়ায় আমাদের এলাকার লোকদের চলাচলে অনেক সুবিধা হয়েছে। কিন্তু ব্রিজের দুইপাশে রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় আমি সবসময় ভয়ে ভয়ে এখান দিয়ে চলাচল করি। স্থানীয় ব্যবসায়ী লাল খান নামের এক ব্যক্তি কালবেলাকে বলেন, এখানে ব্রিজটি হওয়ায় দু-পাশের মানুষের ভোগান্তি যেমন কমেছে, কিন্তু সেতুর দুইপাশে সড়কের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় এখন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়াও বিদ্যুতের তারগুলো ঝুলে অনেক নিচে চলে আসায় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি। লাউখোলা এলাকার বাসিন্দা সুলতান মাদবর বলেন, রাতের বেলা ওই খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে অনেকেই হাত-পা ভেঙে আহত হয়েছে। আমি নিজেও একদিন রাতে খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পেয়েছি। খুঁটিগুলোতে সড়ক বাতি না থাকায় রাতের বেলায় যেকোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঝুঁকির সম্ভাবনা আছে। অটোরিকশা চালক আব্দুর রাজ্জাক খালাসী কালবেলাকে বলেন, এখান দিয়ে আমি নিয়মিত যাত্রী নিয়ে চলাচল করি। সবসময় ভয়ে চলতে হয়। কারণ বিদ্যুতের খুঁটিগুলো ব্রিজের দুপাশে রাস্তার ঠিক মাঝে আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এই সড়কটিতে প্রতিনিয়ত শত শত যানবাহন চলাচল করলেও এ সমস্যা সমাধানে কারও কোনো উদ্যোগ নেই। সমস্যার সমাধান করতে পারেন এমন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কারও কোনো মাথা ব্যথা নেই। কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. ইমন মোল্লা কালবেলাকে বলেন, বিদ্যুৎ অফিসে আমরা মৌখিকভাবে জানালে হয় না তারা টাকা চায়। আর আমাদের টাকা দেওয়ার মত কোনো সংস্থান নেই। একটা বিদ্যুতের খুঁটি উঠাতে ৩০-৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এত টাকা দিয়ে আপাতত আমরা খুঁটি সরাতে পারব না। পরে ওই সেতু নির্মাণে ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য নেই। এ বিষয়ে জেলা দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে।’ শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আলতাপ হোসেন বলেন, সড়কের কাজ করার আগে বা পরে এলজিইডি কিংবা ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে খুঁটি সরাতে হবে এমন কোনো লিখিত আবেদন পাইনি। তাই এ বিষয়ে আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখবো। বিষয়টি নিয়ে জেলা সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কালবেলাকে বলেন, এই তথ্য দিয়ে কি হবে? আর এটি অনেক পুরনো ফাইল, খুঁজতে সময় লাগবে। আপনি উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করেন। ওখানে আছে।
০৮ মার্চ, ২০২৪
আরও
X