বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে
ঈদের আগে চাঙা ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহ। রপ্তানি আয়ও কিছুটা বেড়েছে। এর ফলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছে। গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, মার্চের শেষ দিকে রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৮১ কোটি ডলারে আর বিপিএম-৬ ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার (১৯ দশমিক ৯৬  বিলিয়ন)। চলতি মাসের ৮ এপ্রিল গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৩৮ কোটি ডলারে, আর বিপিএম-৬  হয়েছে ২ হাজার ১০ কোটি ডলারে (২০ দশমিক ১০  বিলিয়ন)।  ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। তবে, এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। সাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয় না।  সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের আগে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া রপ্তানি প্রবাহও বেড়েছে। এসব কারণেই মূলত কিছুটা রিজার্ভ বেড়েছে।  বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার বলতে কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে (বা মুদ্রাবিষয়ক কর্তৃপক্ষের কাছে) বৈদেশিক মুদ্রায় গচ্ছিত সম্পদের মজুতকে বোঝায়। এভাবে গচ্ছিত বৈদেশিক মুদ্রা প্রধানত আমদানি মূল্য এবং বৈদেশিক ঋণ ও ঋণের সুদ ইত্যাদি পরিশোধে ব্যবহৃত হয়।
১২ এপ্রিল, ২০২৪

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, (বিপিএম৬) ২০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। এর আগে, নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের আমদানি বাবদ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার দায় পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এতে ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে। মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, মুদ্রানীতির প্রভাব অর্থনীতিতে পড়তে অনেক সময় লেগে যায়। এতে মূল্যস্ফীতি কমতে সময় লেগেছে। তবে নভেম্বর থেকে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। এদিকে বিবিএসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ডিসেম্বরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশে, যা নভেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। একই সময়ে দুই ডিজিট থেকে ফের এক ডিজিটে নেমে এসেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হারও। ডিসেম্বরে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং অক্টোবরে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যদিও এর বিপরীতে বেড়ে গেছে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি, যা এ মাসে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫২ শতাংশে। গত নভেম্বর ও অক্টোবরে এ হার ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ ও ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

২০ বিলিয়নের ঘরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলার। গত ২০ দিনের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ৬২ বিলিয়ন বা ১৬২ কোটি মার্কিন ডলার। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ চিত্র দেখা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩১ আগস্ট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩০৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে জুলাই-আগস্ট মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ব্যয় পরিশোধে ১৩১ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে এসেছে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমে এসেছে। রিজার্ভ বৃদ্ধির প্রধান উৎস হলো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেশ মন্থর। সর্বশেষ গত মাসে (আগস্ট) প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের প্রবাহ ২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ পতন হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে এসেছে কেবল ৭৩ কোটি ডলার। রেমিট্যান্স আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ার কারণেই দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রায় প্রতিদিনই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে; তাও আবার জ্বালানি তেল, এলএনজি, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির দায় মেটানোর জন্য। পাশাপাশি সরকারের বিদেশী ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্যও ডলার বিক্রি করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে রেকর্ড সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। আর চলতি অর্থবছর এখন পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের আগস্টে দেশের গ্রস রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। তারপর থেকেই রিজার্ভের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমছে। প্রসঙ্গত, আমদানি ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিভিন্ন উৎস থেকে রিজার্ভ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা আসে। এর মধ্যে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের একটি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়। এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণের অর্থও সরাসরি রিজার্ভে যুক্ত হয়। গত ২০ দিনে ১৬২ কোটি মার্কিন ডলার কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমলো ২ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে। গত এক মাসের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার (১৯৮ কোটি) বা প্রায় ২ বিলিয়ন কমে গেছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭৩৩ কোটি ডলার। এর আগে গত ২৩ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৩২ কোটি ডলার। এ ছাড়া নিট রিজার্ভ এক দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার কমে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলারে নেমেছে। এক মাস আগে অর্থাৎ ২৩ আগস্ট নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩১৬ কোটি ডলার।  সাম্প্রতিক সময়ে বকেয়া ঋণ পরিশোধ ও আমদানি দেনা মেটানোর কারণে রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডলার দিতে হচ্ছে। এতেও রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত তিন মাসের (১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর) ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে ৫ কোটি ২৭ লাখ ডলার করে। অর্থাৎ প্রবাসীরা চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। আর জুলাইয়ের প্রথম তিন সপ্তাহে দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে পৌনে ৭ কোটি ডলার করে। তার আগের মাস জুনে প্রবাসীরা প্রতিদিন পাঠিয়েছিলেন গড়ে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার করে। ওই মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আগস্ট মাসে প্রবাসীরা দেশে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। প্রসঙ্গত, গত এক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে একাধিক উদ্যোগ নেওয়ার পরও মূলত রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতির কারণে রিজার্ভ কমছে।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আইএমএফের হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কত, জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম৬ পদ্ধতি মেনে রিজার্ভের নতুন হিসাব প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের খরচ করার মতো রিজার্ভ এখন ২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে গতকাল বুধবারের তারিখ দিয়ে এ হিসাব প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে নিজেদের হিসাবও দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়েবসাইটে। সে হিসাবে রিজার্ভ দেখানো হয়েছে ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী দেশের যে রিজার্ভ আছে (২৩.২৬ বিলিয়ন ডলার) এটা দিয়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। গত ১৩ জুলাই প্রথমবার আইএমএফের হিসাব মেনে রিজার্ভের পরিমাণ প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব মতে রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশকে দেওয়া আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল বিপিএম-৬ ফর্মুলা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনা। এটি চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই প্রকাশ করার কথা ছিল। সেই শর্তের আলোকে চলতি মাস জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ হিসাব প্রকাশ করছে। এর আগে, গত জুন মাসে আইএমএফের বিপিএম-৬ ফর্মুলা অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব গণনা অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এরই মধ্যে আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি বাংলাদেশ পেয়েছে।
১০ আগস্ট, ২০২৩
X