বৈঠক ব্যর্থ, নতুন করে যে ঘোষণা দিল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নেতারা
আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি দাবি করে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নেতারা। সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। এর আগে শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে বিদ্যুৎ ভবনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে সারা দেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতিনিধিরা। এসময় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড আরইবি চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্ত্তীসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ জি এম প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস। তিনি বলেন, আমরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনে আছি‌। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ বা আরইবি কোনো যৌক্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তিনি অভিযোগ করেন, আরইবির মতো মন্ত্রণালয়ও আশ্বাসের কালক্ষেপণ করছে মাত্র। উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে কর্মবিরতি পালন করছে সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী।
০৫ জুলাই, ২০২৪

ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের বৈঠক আজ হচ্ছে না
সর্বজনীন পেনশন স্কিম (প্রত্যয়) বাতিলের দাবিতে কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে করে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।  এমন পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল শিক্ষকদের। কিন্তু সেই বৈঠক হচ্ছে না বলে জানা গেছে।  বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও বৈঠক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া। ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া কালবেলাকে জানান, বৈঠকটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে বৈঠক কবে হবে তা জানানো হবে।  আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ আছে।   মঙ্গলবার (২ জুলাই) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এর কিছু বিষয় স্পষ্ট করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা বলেছেন, তাদের চলমান এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।   এ সময় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান আমরা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চাচ্ছি।
০৪ জুলাই, ২০২৪

আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ওবায়দুল কাদের
সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বৈঠকে বসবেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বুধবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যায় ওবায়দুল কাদের আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ের সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে সেটি তিনি আগামীকাল সকালে ঠিক করেছেন। আমরা শিক্ষক নেতারা তার সঙ্গে দেখা করে আমাদের দাবি তুলে ধরব। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হলে আমরা কর্মবিরতির আন্দোলন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করব, অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলবে।  এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এর কিছু বিষয় স্পষ্ট করে গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা বলেছেন, তাদের চলমান এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যয় স্কিম সম্পর্কে এক ব্যাখ্যায় বলেছে, ১ জুলাই থেকে এই স্কিম যাত্রা করেছে। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই বা এর পর যোগদানকারী সব কর্মচারী বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন। ১ জুলাইয়ের আগে যোগদানকারীরা পুরোনো নিয়মেই পেনশন পাবেন। অনুরূপ ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষও। উল্লেখ্য, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে গত ২০ মে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারা দেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরে গত ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হয় এবং ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়।
০৩ জুলাই, ২০২৪

এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এলজিআরডি মন্ত্রীর বৈঠক
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াংয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয়ে ইংমিং ইয়াংয়ের নেতৃত্বে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়। বৈঠকে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, এডিবি বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ২২৭টি প্রজেক্টের মধ্যে এডিবির সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে ১০টি। যার আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ ২২ হাজার ৩৫৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ইংমিং ইয়াং বলেন, এডিবি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকসই পরিবেশ এবং আঞ্চলিক একত্রীকরণের মাধ্যমে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্র্য হ্রাস করে। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে উত্তরণে সংস্থাটি সর্বাত্মক সহায়তা করে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশকেও সহায়তা করা হচ্ছে। বৈঠকে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকতার হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁসহ এডিবি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৩ জুলাই, ২০২৪

নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিতে বৈঠক দুই মন্ত্রীর
সরকার ২০৪১ সালের মধ্য দেশে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায়। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বৈঠক করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ বৈঠক হয়। বাংলাদেশ আগামী বছর ইউএনএফসিসিসিতে জাতীয় নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) জমা দেবে। এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন দুই মন্ত্রী। সঙ্গে সরকারের পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে একমত পোষণ করেন। সাবের হোসেন বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং নির্গমন কমাতে সঠিক ও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় জোরদার করতে হবে।
০৩ জুলাই, ২০২৪

নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিতে পরিবেশমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
নবায়নযোগ্য জ্বালানিরে ব্যবহার নিশ্চিত করতে করণীয় বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের মোট জ্বালানির ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ আগামী বছর ইউএনএফসিসিসিতে (UNFCCC) জাতীয় নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) জমা প্রদান করবে। এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুই মন্ত্রীই এ বিষয়ে গভীর আলোচনা করেন এবং সরকারের পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে একমত পোষণ করেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং নির্গমন কমাতে আমাদের সঠিক ও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও  বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করা হবে। বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। দেশের পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দুই মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও সমন্বয় আরও জোরদার করার লক্ষ্যে সময়ে সময়ে এধরনের বৈঠক অব্যাহত থাকবে।
০২ জুলাই, ২০২৪

এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এলজিআরডি মন্ত্রীর বৈঠক
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াংয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কার্যালয়ে ইংমিং ইয়াংয়ের নেতৃত্বে ছয় সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়।  বৈঠকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, এডিবি বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ২২৭টি প্রজেক্টের মধ্যে এডিবির সহায়তায় বাস্তবায়িত প্রজেক্ট ১০টি। যার আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ ২২ হাজার ৩৫৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্যতম আর্থিক সহযোগী পার্টনার হিসেবে আমরা চাই এই সহায়তা অব্যাহত থাকুক।  তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমাল এবং সিলেট বিভাগসহ অন্যান্য অঞ্চলে বন্যায় বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেখানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্ষতি প্রায় ১৬ শত কোটি টাকা এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪শত কোটি টাকা। এডিবির সঙ্গে চলমান প্রজেক্টগুলোর পাশাপাশি আমরা এডিবির কাছ থেকে উপকূল এবং বন্যা প্লাবিত অঞ্চলের সহায়তায় আর্থিক সাহায্য প্রত্যাশা করছি ৷ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা নেওয়ার প্রস্তাব আছে ৷ শর্ত সাপেক্ষে আমরা সে সহায়তাও নিতে পারি, নতুবা নিজস্ব অর্থায়নে আমরা এই ক্ষয়ক্ষতি মেটাব।  এডিবির দক্ষিণ মধ্যে ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াং বলেন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকশই পরিবেশ এবং আঞ্চলিক একত্রীকরণের মাধ্যমে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্র‍্য হ্রাস করে। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশ থেকে কিভাবে উন্নত দেশে উত্তরণে এডিবি সর্বাত্মক সহায়তা করে। বাংলাদেশের ব্যাপারেও আমরা আশাবাদী। আমরা চাই, বাংলাদেশও উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হউক।  ইংমিং ইয়াং আরও বলেন, বাংলাদেশে এটা আমার প্রথম সফর। এই সফরের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর আগামী লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের সঙ্গে সমান্তরালে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকও কাজ করে যেতে চায়।  বৈঠকে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকতার হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁসহ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
০২ জুলাই, ২০২৪

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি নয় : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না বলে দাবি করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।  সোমবার (০১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।  মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দুর্নীতি তো সবাই করে না। যারা দুর্নীতি করছে, সরকারের নজরে এলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ মাহবুব হোসেন বলেন, ‘দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরে সরকার কাউকে ছেড়ে দিয়েছে এমন নজির নেই।’  উল্লেখ্য, সম্প্রতি কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদরা ও এনবিআরের ১ম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নাম ওঠে এসেছে। এর মধ্যেই এদের বিরদ্ধে তদন্তের কাজ শুরু করেছে দুদক।
০১ জুলাই, ২০২৪

কীভাবে দেশ বিক্রি হয়, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেলপথ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। এবার বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।  মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে ভারতের রেলপথ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে কেন, তা বুঝতে পারছি না। ইউরোপে তো এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের কোনো বর্ডার নেই। তাতে কি বিক্রি হয়ে গেছে তারা? এতে বরং যোগাযোগ সুবিধা বেড়েছে তাদের। একইসঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যও বেড়েছে। কীসের মাধ্যমে দেশ বিক্রি হয়—সেই প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, যারা বলে দেশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তারা বলুক বিক্রিটা কীসের মাপে হচ্ছে? মাপটা কীসের মাধ্যমে হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীন দেশ, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। সারাবিশ্বে একটিমাত্র মিত্র শক্তি ভারত, যারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে আমাদের স্বাধীন করে দিয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই কোনো দেশ যুদ্ধে সহযোগিতা করতে এলে তারা সেখানেই থেকে যায়। বিজয়ী হওয়ার পরও তারা দেশ ছাড়ে না। এ রকম অসংখ্য নজির আমরা দেখেছি। অথচ ভারত আমাদের মিত্র হিসেবে যুদ্ধ করেছে এবং জাতির পিতার আহ্বানে আবার তারা ফিরেও গেছে। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তাহলে বাংলাদেশ কীভাবে বিক্রি হয়। আমি বলব, যারাই বলছে দেশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তারাই বরং দেশকে বিক্রি করতে চেয়েছে।   
২৫ জুন, ২০২৪

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর বৈঠক
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে ভুটানের থিম্পুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তোবগে ভুটান সফরের জন্য পরিবেশমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এই অঞ্চলে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু সহিষ্ণুতা অর্জনের লক্ষ্যে যৌথ উদ্যোগের জন্য ভুটানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।  নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান পরিবেশমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশের চলমান বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন। এ সময় উভয় নেতা বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ, টেকসই উন্নয়ন, আঞ্চলিক যোগাযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, ইকোট্যুরিজম, হাইড্রো এনার্জি, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। 
২৪ জুন, ২০২৪
X