চট্টগ্রামে বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খালে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চন্দনাইশ-বরকল সড়কের বরকল চানখালী খালের পুরোনো বেইলি ব্রিজ ভেঙে একটি ট্রাক খালে পড়ে গেছে। এতে চালক আহত হয়েছেন। শনিবার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত চলকের নাম মো. সাকিব (২২)। তিনি চন্দনাইশের কেশুয়া এলাকার বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শী বেলাল আহমদ বলেন, একটি খালি মিনি ট্রাক চন্দনাইশ থেকে আনোয়ারা যাওয়ার পথে পরিত্যক্ত বেইলি সেতুতে উঠতেই সেতুটি ভেঙে পড়ে। এ সময় লোকজন চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বরকল চাঁনখালি খালের ওপর নতুন একটি সেতু করলেও পাশের পুরোনো বেইলি ব্রিজটি ব্যবহার না করতে সওজ কোনো নির্দেশনা দেয়নি। যার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, বরকল চানখালী খালের ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১১৭ মিটারের নতুন একটি সেতু করেছে। ওই চালক কেন পরিত্যক্ত ব্রিজ দিয়ে গেল সেটাই প্রশ্ন।
২৩ মার্চ, ২০২৪

জুড়ীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে একটি বেইলি ব্রিজে মালবোঝাই ট্রাক আটকে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে উপজেলার জুড়ী-লাঠিটিলা সড়কের উত্তর ভবানীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত দেড়টার দিকে পাথরবোঝাই ট্রাকটি বেইলি ব্রিজ অতিক্রম করছিল। এ সময় ট্রাকের চাপে স্টিলের পাটাতন ছুটে ব্রিজটি ভেঙে যায়। এরপর ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই সড়কে উপজেলার পশ্চিম জুড়ী, পূর্ব জুড়ী, সাগরনাল, গোয়ালবাড়ী ও ফুলতলা ইউনিয়নের হাজার হাজার লোকজন চলাচল করেন। এ ছাড়া তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরাও সেতুটি দিয়ে আসা-যাওয়া করেন। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় সারাদিন মানুষের দুর্ভোগ উঠেছে চরমে।  এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, এ বেইলি ব্রিজটি দুর্বল হওয়ায় এ নিয়ে দুবার ভেঙে পড়েছে।‌ এ ব্রিজটি কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক হওয়ায় দুর্ভোগ এখন চরমে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম বলেন, আপাতত ব্রিজের পাশে একটি রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। দু-তিন দিনের মধ্যে বেইলি ব্রিজটি আবার নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৩

ঝুঁকি নিয়ে বেইলি ব্রিজ পারাপার
নোয়াখালী-লক্ষীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের খালের ওপর স্থাপিত বেইলি ব্রিজটি মরিচা ধরে পাটাতন ভেঙে গেছে। এতে ব্রিজটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।  সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা থেকে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলায় যাতায়াতের সংযোগ ভুলুয়া খালের ওপর স্থাপিত একমাত্র বেইলি ব্রিজ এটি। রামগতি উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায় ৩০ বছর পূর্বে ভুলুয়া নদীর ওপর এ বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এর দৈর্ঘ্য ৮০মিটার প্রশস্ত ৩ মিটার। এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত হালকা ও ভারী যানবাহন নোয়াখালী ও লক্ষীপুর চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এর মেরামত কাজ না করায় ব্রিজটি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। মরিচা ধরে ব্রিজের পাটাতন ভেঙে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রামগতি উপজেলার চররমিজ গ্রামের অটোরিকশাচালক আহছান উল্যা (৩৫) বলেন, অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে এই ব্রিজ পারাপার সম্ভব না। রিকশার চাকা মরিচা ধরা স্টিলের পটাতনের ফাঁক দিয়ে ঢুকে আটকে যায়। এতে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে অটোরিকশা চালকদের আয় অর্ধেক কমে গেছে।  চররমিজ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. সাহাব উদ্দিন (৪০) বলেন, ভুলুয়া নদীর ওপর ৩০ বছর আগে এই বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের দক্ষিণ অঞ্চলের লোকজনের যাতায়াতের পথ চররমিজ ইউনিয়নের এই বেইলি ব্রিজটি। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ব্রিজটির পাটাতনে মরিচা ধরে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ছিদ্র হয়ে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মালবাহী পিকআপ ভ্যান ও ট্রাক ঝুঁকি নিয়ে কচ্ছপ গতিতে পার হয়। রিকশা কিংবা মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারে না। হেঁটে লোকজন চলাচল করে থাকে। এতে করে ঝুঁকি বাড়ছে। অপচয় হচ্ছে সময়। সুপারী ব্যবসায়ী উপজেলা চর রমিজ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আবু তাহের (৪৫) বলেন, সুবর্ণচরে ব্যবসার সুবাধে এই ব্রিজ দিয়ে নিয়মিত চলাচল করতে দুর্ভোগের শিকার হই। ব্রিজটি সংস্কার অথবা পুনরায় নির্মাণ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় দুই উপজেলার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ খসরু বলেন, ব্রিজটি সুবর্ণচর ও রামগতি উপজেলার মধ্যে চলাচলকারী একমাত্র ব্রিজ। এটি নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ও রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের সীমানায় পড়েছে। এই ব্রিজের ওপর দিয়ে প্রতিদিন ভারী পণ্যবোঝাই ট্রাকসহ নানা প্রকার যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ব্রিজ ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগ ও জীবনের ঝুঁকি বেড়েই চলছে। তিনি আরও বলেন, যেকোনো সময় ব্রিজের মরিচা ধরা পাটাতন, রেলিং ভেঙে যানবাহন খালে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী এই বেইলি ব্রিজ ভেঙে পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও তা আমলে নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজটি ভেঙে পাকা সেতু নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম ব্রিজটির দুরবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, চলতি অর্থবছরে বেইলি ব্রিজটি সংস্কারের জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। খুব দ্রুত ব্রিজটি মেরামতের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। তিনি আরও বলেন, বেইলি ব্রিজটি ভেঙে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। প্রকল্প পাস হলে নির্মাণকাজ শুরু হবে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বেইলি ব্রিজ ভেঙে ডোবায় ট্রাক
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক ডোবার পানিতে পড়ে গেছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে টাঙ্গাইল জেলা শহরের সঙ্গে দেলদুয়ারের যোগাযোগ সড়কপথ বন্ধ হয়েছে। অপরদিকে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার ঘুরে টাঙ্গাইল-নাগরপুর সড়কের এলাসিন দিয়ে টাঙ্গাইল শহরে যাচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন। স্থানীয় হুমায়ুন, লাল মিয়াসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই বেইলি ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। শুক্রবার রাতে বালুবাহী ট্রাক ব্রিজটি পার হওয়ার সময় ভেঙে পানিতে পড়ে যায়।  তারা আরও বলেন, সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজ ভেঙে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেল। তাই এটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করার দাবি জানান। দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আলী বলেন, রাতে ভেঙে যাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলের দুই পাশে লাল পতাকা লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনারোধে রাত থেকে গ্রাম পুলিশকে ডিউটিতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সড়ক বিভাগকে অবগত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটি মেরামত করা হবে।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X