মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১
সিলেটে আবারও বৃষ্টিপাত
সিলেটে মন্তর গতিতে বন্যার উন্নতি হলেও আবার শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। একইসঙ্গে নামতে শুরু করছে ভারতের পাহাড়ি ঢল। এদিকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ আবাসস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন বানভাসি মানুষ। জেলার বিভিন্ন গ্রাম ও নগরের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন বাড়িঘরে ফিরলেও তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকেই, কিন্তু নতুন করে আবারও বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত সিলেটবাসী। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ক্ষতচিহ্ন ভেসে উঠছে। এরইমধ্যে বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে আবারও পানিবন্দি হওয়ার শঙ্কায় আছেন জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় অনেকেই ঘরে ফিরলেও, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলায় বন্যায় পানিবন্দি মানুষ আছেন ৭ লাখ ৮৪ হাজার ২৫০ জন। জেলার ৭৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ১২ হাজার ৬৭৯ জন। বন্যায় পানিতে রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ক্ষতচিহ্ন ভেসে উঠছে বিভিন্ন জায়গায়। ৮০০ কোটি টাকা মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চার দিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সিলেট মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নামছিল। কিন্তু আবারও বৃষ্টির কারণে নিচু এলাকার সড়ক ও বাসাবাড়িতে ঢুকছে পানি। অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় লোকালয় থেকে পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বসতবাড়িতে ফিরেছিলেন মানুষজন। তবে যারা বাড়ি ফিরেছেন, এখন তারাও পোহাচ্ছেন নানা ভোগান্তি। সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, বুধবার পর্যন্ত সিলেট জেলায় বন্যা আক্রান্ত মানুষ আছেন ৭ লাখ ৮৪ হাজার ২৫০ জন। জেলার ৭৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ১২ হাজার ৬৭৯ জন। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৬টার তথ্যানুযায়ী, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গতকালের তুলনায় প্রত্যেকটি পয়েন্টে পানি ৩ থেকে ১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি কমেছে। সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিকে, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর পানি কমে আসায় বের হতে শুরু করেছে ক্ষতচিহ্ন। এর মধ্যেই রাস্তাঘাট, মৎস্য ও কৃষিতে ৭৭৯ কোটি ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেছে। সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকাটি সুরমা নদীর তীরে। এখনো নদীর পানি তীর ছুঁই ছুঁই করছে। এখানে বৃষ্টি হলেই পানি ওঠানামা করে এখানে। উজানের ঢলে নেমে আসা পানির সঙ্গে বৃষ্টির পানিতেও ডুবে যায় সিলেট নগরী। কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই নগরীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। সিলেট সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, নগরের ২৫০ কিলোমিটার রাস্তায় পানি উঠাতে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ১৩ উপজেলায় আউশ বীজতলা, সবজি ও বোনা আমন ধানের ১৫ হাজার ৫০৬ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার ৯৮ হাজার ৬৫৩ কৃষক। এতে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭৫ কোটি ২১ লাখ টাকায়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সিলেট জেলার অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যায় সিলেটের ১৩টি উপজেলার ১৬০ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ১১৯ কোটি টাকা। সড়ক ও সেতু বিভাগের জানায়, বন্যায় সিলেট জেলার ৪০ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে। আর্থিক হিসেবে প্রায় ৮৫ কোটি টাকার ক্ষতি। সিলেট জেলা মৎস্য অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যায় সিলেট জেলায় ৪৪ কোটি ৮৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। জেলার ২১ হাজার ১১১টি পুকুর-দিঘী-খামারের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
২৬ জুন, ২০২৪

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে আবহাওয়ার এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই আজও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।   এমন অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এদিকে আগামী ২৩ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, টাঙ্গাইল, খুলনা, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
২০ জুন, ২০২৪

তিস্তার পানি বিপৎসীমায়, ডুবে গেছে উঠতি ফসলি জমি
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। তবে একই পয়েন্টে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি কিছুটা কমে সকাল ৯টা থেকে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলি জমি। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।  ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সেই পানি তিস্তায় প্রবেশ করে নদীতীরবর্তী কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।    এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার  গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী চরের বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন উঠতি ফসলি জমি ডুবে গেছে।  তিস্তা গোবর্ধন চরের কৃষক আমানত আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি বছর বর্ষাকালে বন্যা আর নদীভাঙনের শিকার হয়ে আমরা এখন নিঃস্ব প্রায়। প্রতি বছরই বাড়ি সরাতে হয়। এখন আর আমরা কোনো সহযোগিতা চাই না, আমরা চাই স্থায়ী বাঁধ।  লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজানের পানি ব্যাপকহারে তিস্তা নদীতে প্রবেশ করলে আমাদের বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদীতীরবর্তী পুরো অঞ্চল প্লাবিত হবে।
১৯ জুন, ২০২৪

চলতি মাসে ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যার শঙ্কা
মে মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। চলতি জুন মাসে দেশে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  এ ছাড়া সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে এ মাসে এক-দুইটি  লঘুচাপ হতে পারে যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পাশাপাশি এ মাসে দেশে চার থেকে ছয় দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে।  রোববার (২ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া জুন মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। জুন মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। প্রথম সপ্তাহের প্রথমার্ধে সারা দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষাকাল) বিস্তার লাভ করতে পারে। এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। চলতি মাসে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। জুন মাসে চার থেকে ছয় দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। মে মাসজুড়ে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক অপেক্ষা ৩৫ দশমিক ৯ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে ৯ দিন। ঢাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। চলতি মাসেও সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।  মে মাসের শেষ দিকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার সময় পটুয়াখালী ও খেপুপাড়ায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার। এ সময় নারায়ণগঞ্জে দৈনিক সর্বোচ্চ ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। মে মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (যশোর ও চুয়াডাঙ্গা ১ মে) রেকর্ড করা হয়। এ মাসে দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা যথাক্রমে এক দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এক দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি এবং সারা দেশে গড় তাপমাত্রা এক দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। গত ১ থেকে ৫ মে পর্যন্ত মাঝারি থেকে তীব্র, ১৩ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত মৃদু এবং ২৮ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকার্য সবোর্চ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে রোববার সর্বোচ্চ ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যার থেকে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
০২ জুন, ২০২৪

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস 
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (৩১ মে) পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রথম দিন আজ সকাল ৯টা থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়,  রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দ্বিতীয় দিন শনিবার (১ জুন) সকাল ৯টা থেকে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তৃতীয় দিন রোববার (২ জুন) সকাল ৯টা থেকে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের পূর্বাংশ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে। 
৩১ মে, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমাল / সর্বোচ্চ রেকর্ড বৃষ্টিপাত চাঁদপুরে
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুরে দেশের সর্বোচ্চ ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সময়ে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৫৭ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। মঙ্গলবার (২৮ মে) চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চপর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়াইব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার (২৭ মে) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত চাঁদপুরে ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। এ ছাড়াও সোমবার ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে বেলা ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয় ১২৯ মিলিমিটার। এরপরেও একটানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। এদিকে একই সময়ে চাঁদপুর শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন ছিল প্রায় ৩০ ঘণ্টা। মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। তবে পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার মানুষ এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।
২৯ মে, ২০২৪

ভারি বৃষ্টিতে ডুবল চট্টগ্রাম
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা দুই দিনের ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ অনেক এলাকা ডুবে গেছে। এর মধ্যে চকবাজার, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, বেপারিপাড়া, নয়াবাজার, ফইল্যাতলী, বড়পুল, হাজিপাড়া, পান্নাপাড়া, মোগলটুলি, কমার্স কলেজ রোড, বসুন্ধরা আবাসিক, মুরাদপুর, জিইসি, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, বাকলিয়া, প্রবর্তক মোড়, বাঁদুরতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে থৈ থৈ করছে। সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসা বাড়ির নিচতলায় বসবাসকারীদের  আসবাবপত্র পানিতে ভাসছে। জ্বলছে চুলা। দোকানঘর থেকে হাত দিয়ে পানি সেচছেন দোকানিরা। সড়কে রিকশা ছাড়া চার চাকার যানবাহন নেই। অফিসগামী ও শ্রমজীবী মানুষরা দুর্ভোগে পড়েছেন। সুযোগ বুঝে রিকশাচালকরা ডবল ভাড়া হাঁকাচ্ছেন। চকবাজার এলাকার আব্দুর রহিম বলেন,সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ মাহমুদ জামিল বলেন, আমার বাসার ভেতরে-বাইরে কোমর পানি। বাথরুমেও পানি উঠে গেছে। বাচ্চারা বাথরুমেও যেতে পারেনি। সোফা, খাট সব পানিতে ডুবে গেছে। বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যেতে কোনোভাবে বের হয়েছি। পানি আরও ওঠার সম্ভাবনা আছে। আগ্রাবাদে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী মো. শফিক বলেন, চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতা, জলজট মুক্ত করার কোনো উদ্যোগ আজ পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতে এখানে হাঁটু পানি-কোমর পানি হয়। সামনে বর্ষা, তখন নগরবাসীকে যাতায়াতের জন্য নৌকার ওপর ভরসা রাখতে হবে। মোগলটুলি এলাকায় রেহানা নামে এক গৃহবধূ বলেন, পানির চাপে ঘরের জানালা ভেঙে গেছে। এক কোমর পানিতে ঘরের কোথাও বসার জায়গা নেই। আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আছি। ঘর থেকে বের হওয়ারও সুযোগ নেই। বাচ্চাদের ওপরের বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি। এ দুর্যোগ থেকে কখন মুক্তি পাব জানি না। নয়াবাজার মোড়ে সিএনজিচালক নাসির বলেন, সকালে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলাম। ভাড়া তেমন মারতে পারি নাই। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গাড়ি বিকল হয়ে গেছে। গ্যারেজেও হাঁটু পানি। তাই এখানে বসে আছি। রিমালের প্রভাবে সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এদিন সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। এই বৃষ্টিকে ভারি বর্ষণ বলছে আবহাওয়া অফিস। এর আগে, রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টা থেকে থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ২০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে।
২৭ মে, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজশাহীতে ঝড়বৃষ্টি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজশাহীতে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।সোমবার (২৭ মে) দুপুর ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হতে দেখা গেছে।  এর আগে রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে এ জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনও মাঝারি কিংবা ভারি বর্ষণ- এমনই চলছিল। অবশ্য ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূল অঞ্চল অতিক্রম করার সময় থেকে এখন পর্যন্ত রাজশাহীর কোথাও তেমন কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে থেমে থেমে বর্ষণের কারণে সোমবার সকালে চরম ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। উপায় না থাকায় বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কাজে বের হন নিম্ন আয়ের মানুষ। বৃষ্টির কারণে প্রধান প্রধান সড়কে সকাল থেকে যানবাহন চলাচলও কম। ফলে মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহীতে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ১০ থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল। সকাল থেকেও থেমে থেমে বৃষ্টিপাত চলছে। সেই সঙ্গে বয়ে চলেছে দমকা হাওয়া। আর এই বৃষ্টিপাত এখনই শেষ হচ্ছে না, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মঙ্গলবার (২৮ মে) পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের অন্যান্য বিভাগের পাশাপাশি রাজশাহীতেও দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতিভারি (২৮৯ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।  এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে শুরু হওয়া এই বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে এবং দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে আসতে পারে। তবে উপকূলে বাতাসের যেমন গতি থাকে, অতটা থাকবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২৭ মে, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ফেনীতে মাঝারি বৃষ্টিপাত
ফেনীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ঝরছে বৃষ্টি। তীব্র বাতাসে নুইয়ে পড়ছে গাছপালা। সোমবার (২৭ মে) ভোররাত থেকেই এ অবস্থা শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ।  এদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, মহিপাল ও সদর হাসপাতাল মোড় এলাকায় দেখা গেছে, এখানে থেমে থেমে আসা দমকা বাতাসের সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় যানবাহন কম দেখা গেছে। রাস্তায় সিএনজি বা রিকশার উপস্থিতিও অনেক কম। অনেককে ছাতা মাথায় ও ভিজে ভিজে তাদের কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। রিমালের মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ফেনী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবদুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে রোববার (২৬ মে) বিকেলে ফেনীর সোনাগাজী উপকূলের ঘূর্ণিঝড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার জাকির হাসানসহ সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য। জরুরি ত্রাণকার্যে ব্যবহারের জন্য ৪০ লাখ টাকা ও ৫০ মেট্রিক টন চাল গচ্ছিত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ফেনীতে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোথাও কোনো হতাহত কিংবা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
২৭ মে, ২০২৪

বগুড়ায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত
বগুড়ায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (২২ মে) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এ বৃষ্টিপাত।  বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  তিনি বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। গত বছর ১২ মে জেলায় সর্বোচ্চ ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। এদিকে এই বৃষ্টিতে সড়কে হাঁটু পানি জমে গেছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় শহরবাসীর। বগুড়াবাসীরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না হলে মিলবে না সুফল। শহরের সাতমাথা থেকে কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, শেরপুর সড়ক, স্টেশন সড়ক, পার্ক রোড, শেরপুর সড়কের কলোনী বাজার এলাকায়, খান্দার সড়ক, গালাপট্টি সড়ক, টেম্পল সড়ক ছাড়াও কাঁঠালতলা ফতেহ আলী বাজার সড়ক, নওয়াববাড়ি সড়ক, চকযাদু ক্রস লেন-বাদুরতলা সড়ক, বড়গোলা, কাটনারপাড়া সড়কে ছিল হাঁটুপানি। এসব সড়কের দুই পাশের নালার ময়লা-আবর্জনায় ভরা নোংরা পানি উপচে পড়ে সড়কে। সড়ক ছাপিয়ে সেই পানি ঢুকে পড়ে বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও। বগুড়া শহরে বৃষ্টির পানি জমে দুর্ভোগের চিত্র দীর্ঘদিনের। বনানী থেকে মাটিডালি পর্যন্ত প্রধান সড়কের দুই পাশে পানি নিষ্কাশনের নালা অত্যন্ত সরু। এই নালা সারা বছর ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকে। সামান্য বৃষ্টিতেই নালার পানি উপচে সড়কে ওঠে আসে। শহরের অন্য সড়কেও পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত নালা নেই। এ ছাড়া করতোয়া নদীর দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় শহর থেকে পানি বের হতে পারছে না। বর্ষার সময় সবচেয়ে করুণ চিত্র থাকে শহরজুড়ে। বগুড়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরে বিভিন্ন সময় ড্রেন পরিস্কার করলেও পরে আবারও ময়লা-আবর্জনা দিয়ে ভরে যায়। শহরের অধিকাংশ সড়কে নতুন করে ড্রেন সংস্কার করা হয়েছে। যে স্থানে সমস্যা রয়েছে সেগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে। 
২২ মে, ২০২৪
X