বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে ভয়াবহ আগুন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তেলবাহী ট্রলারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট। বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টায় সদর উপজেলার মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় আগুনে তেলের ড্রাম বিস্ফোরণে বিকট শব্দে কম্পিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ। মেঘনা ডিপো সূত্রে জানা যায়, এই ট্রলারে করে তেল নিয়ে তারা বরিশাল মনপুরায় যাচ্ছিল। ট্রলারের ভেতরে কয়েকজন শ্রমিক ছিলেন। তারা ভেতরে রান্না করছিল। এসময় সেখান থেকে হয়তো এ ঘটনা ঘটতে পারে। এর মধ্যে একজন পাড়ে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ আছেন। একজনকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। আরও জানা যায়, ট্রলারটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রোল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। প্রায় সবগুলো তেলবাহী ড্রাম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরণ হয়। ফতুল্লা ফায়ার স্টেশনের ২টি, পাগলা স্থল কাম নদী ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের ২টি, হাজীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের ১টি ও সদরঘাট নদী স্টেশনের ১টি ইউনিটসহ ৮টি ইউনিট কাজ করছে। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন বলেন, আমরা খবর পেয়েছি, দ্রুত ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ করছে। আগুন চলমান রয়েছে। কেউ হতাহত রয়েছে কি না দেখা হচ্ছে।  আগুন লাগার কারন তদন্ত শেষে বলা যাবে। ঘটনাস্থলে আসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমরা ডিপোর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা যতটুকু জেনেছি ট্রলারটিতে ডিজেল ও পেট্রোল লোড করা ছিল। এসময় তেলের ড্রামবাহী ট্রলারে কয়েক শ্রমিক রান্না করছিল বলে শুনেছি। হয়তো সেখানে থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, বাকিদের ব্যাপারে এখনো জানি না।
২৬ জুন, ২০২৪

বিশ্বের পঞ্চম দূষিত নদী বুড়িগঙ্গা
বিশ্বের পঞ্চম দূষিত নদী বুড়িগঙ্গা। এই নদীতে দিনে ৯০ টন বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। তুলনামূলক বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নদী ইন্দোনেশিয়ার চিতারুমের চেয়ে বেশি দূষিত হচ্ছে বুড়িগঙ্গা। নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৪-এর এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রাখবে অবদান।’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নৌপথে নিরাপত্তহীনতার কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেন বক্তারা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নাব্য সংকট, চাঁদাবাজি ও নদীদূষণ। স্পিড লিমিট না মেনে নৌযান চালানোর কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানান তারা। তাদের মতে, নৌ সেক্টরে সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া না হলে দেশের জন্য বড় ক্ষতি হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদী-নালা শুকিয়ে গেলে বাংলাদেশের প্রাণ থেমে যাবে। সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশপ্রেম না থাকলে, দেশের জন্য কাজ না করলে এগিয়ে যাওয়া যায় না। অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান বলেন, দেশের অপার সম্ভাবনাময় হলো নদী ও সমুদ্র সম্পদ। এগুলো যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, নৌপথে অসুস্থ প্রতিযোগিতার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া দরকার। নিরাপদ নৌপথ গড়ে তুলতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কোনো ধরনের আপস করা যাবে না। গত বছরগুলোতে নৌপথ সংকুচিত হওয়ার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার (যাপ) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রম বলেন, যাত্রী পরিবহনে রীতিমতো দুর্যোগ নেমে এসেছে। দেশে ১৯ হাজার জাহাজের কথা বলা হলেও অনেকগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। সংস্থার সাবেক প্রধান উপদেষ্টা সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, নৌপাথে এখন ৭০ শতাংশ ব্যবসা কমেছে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, নদী যারা ব্যবহার করেন, সবাই দূষণের উৎস। কলকারখানা ও মানব বর্জ্যে ৯০-৯২ শতাংশ নদী দূষণ হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান বলেন, ইন্দোনেশিয়ার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ চিতারুম নদীকে বিশ্বব্যাংক বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নদী হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ নদীতে দিনে ২৮০ টন বর্জ্য ফেলা হয়। অথচ ৪৫ কিলামিটার দীর্ঘ বুড়িগঙ্গা বিশ্বের পঞ্চম দূষিত নদী। এই নদীতে দিনে ৯০ টন বর্জ্য ফেলা হয়। এই হিসাবে চিতারুমের চেয়ে বুড়িগঙ্গা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাঙ্কার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল), বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহা আলম, বাংলাদেশ নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর বেপারী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী (শিপ সার্ভেয়ার) মনজুরুল কবীর।
০৫ জুন, ২০২৪

বুড়িগঙ্গা এখন বিষের নদী
একসময়ের ঢাকার জীবনখ্যাত বুড়িগঙ্গা দূষণের কারণে এখন প্রায় মৃত। নদী রক্ষার নানা আয়োজনের ঢাকঢোল পেটানোর মধ্যেও বুড়িগঙ্গা আবার বর্জ্যের ভাগাড় ও দূষণরাজ্যে পরিণত হয়েছে। নদীর দুই পাড় ঘেঁষে এখন শুধু আবর্জনার স্তূপ। কালো কুচকুচে পানি যেন বিষ। শিল্পকারখানার বর্জ্য থেকে শুরু করে গৃহস্থালির বর্জ্য সবকিছুর শেষ ঠিকানা নানা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী বুড়িগঙ্গা। এভাবে নদীপাড়ে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় চারদিকের পরিবেশ দুর্গন্ধময় হয়ে পড়ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সদিচ্ছা থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের অনীহার কারণে কিছুতেই প্রাণ ফিরে পাচ্ছে না বুড়িগঙ্গা। সেইসঙ্গে দুই পাড়ের মানুষ রয়েছে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। পোস্তগোলা সেতু থেকে বাবুবাজার সেতু পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীর দুই পাড় সরেজমিন দেখা গেছে, যে বুড়িগঙ্গাকে ঘিরে একসময় গড়ে উঠেছিল ঢাকা, সেই ঢাকার বর্জ্য এখন ঘিরে ফেলেছে নদীকে। পানি কালো কুচকুচে। পানি থেকে ছড়াচ্ছে উৎকট গন্ধ। পানির দুর্গন্ধে শ্বাস নেওয়াই কষ্টকর। পানিতে ভাসছে নানা ধরনের ময়লা-আবর্জনা। ঢাকা মহানগর, কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার গৃহস্থালি, শিল্পকারখানা ও হাসপাতালের কঠিন বর্জ্যর একটা বড় অংশ কোনো শোধন ছাড়াই প্রতিদিন বুড়িগঙ্গায় পড়ছে। অপরিশোধিত বর্জ্যের প্রতিটি ফোঁটা এ নদীকে ধ্বংস করে দিয়েছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত রাখতে সরকারের নানা উদ্যোগ থাকা সত্ত্বেও হাজারীবাগের ট্যানারিশিল্প, ডাইং কারখানা, সিটি করপোরেশনের ময়লা, সদরঘাট বন্দর—এ চারটি উৎসই বুড়িগঙ্গা দূষণের প্রধান কারণ। নতুন কোনো সমীক্ষা বা গবেষণা না থাকলেও দুই বছর আগে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রাক-বর্ষা, বর্ষা এবং বর্ষা-পরবর্তী মৌসুমে পানির পিএইচ মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৬, ৬ দশমিক ৭ ও ৮ দশমিক ৫। এ ক্ষেত্রে ৭-কে মানদণ্ড ধরা হয়। সমীক্ষায় জানা গেছে, পানিতে মোট ভাসমান অদ্রাব্য পদার্থের (সাসপেন্ডেড সলিড) পরিমাণ ছিল সাধারণ মানদণ্ড ১০-এর বিপরীতে প্রতি লিটারে ১০৮, ৫৭ ও ১৯৫। প্রতি লিটারে রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদা (সিওডি) ছিল ১৯০, ২২৭ ও ২৭৬ মিলিগ্রাম, যার মানদণ্ড ৪। সাধারণ মানদণ্ড শূন্য দশমিক ২ মিলিগ্রামের বিপরীতে জৈবিক অক্সিজেনের চাহিদা (বিওডি) ছিল প্রতি লিটারে ৮৭, ৭২ ও ১০৬ মিলিগ্রাম, যা পরিবেশ বিপর্যয়ের মূল কারণ বলে মনে করছেন অনেক পরিবেশবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. জামিল ফয়সাল বলেন, বুড়িগঙ্গার দূষণের ভয়াবহতা আমরা সবাই জানি। দূষণের ফলে দুই পাড়ের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, চর্ম রোগসহ বায়ু ও পানিবাহিত রোগের মাত্রা বেড়েছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়াতে এখনই নদীদূষণ রোধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সরকারের। বিশেষ করে কারখানাগুলোর বর্জ্য ইটিপির মাধ্যমে পরিশোধিত করে যেন নদীতে ফেলা হয়। সে বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারে বিভিন্ন সংস্থাকে আরও বেশি কড়াকড়ি হতে হবে। তাহলে নদীও দূষণ থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যাবে। পোস্তগোলা সেতু থেকে পাগলার মেরি অ্যান্ডারসন পয়েন্ট পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা তীরের পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে কয়েক ডজন ডাইং কারখানা পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৭ সালে সাভারের হেমায়েতপুরে একশর বেশি ট্যানারি স্থানান্তরের পর এ কারখানাগুলোকেই এখন বুড়িগঙ্গা নদী দূষণমুক্ত রাখার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। হাইকোর্টের একটি আদেশের পর পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই) ২০২১ সালের শুরুর দিকে শ্যামপুর-কদমতলী এলাকার অন্তত ৫০টি কারখানার পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়, যাতে তারা বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন করতে বাধ্য হয়। তবে হাইকোর্ট ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে কারখানাগুলো ইটিপি স্থাপনের পর পরিষেবার সংযোগ পুনঃস্থাপন করার জন্য ডিওইকে নির্দেশ দেন। বুড়িগঙ্গায় দূষণ ছড়িয়ে যাওয়া কেরানীগঞ্জের ওয়াশিং প্লান্টগুলো হচ্ছে—আহামদ হোসেন ওয়াশিং, আমেনা ওয়াশিং, সানমুন ওয়াশিং, ইডেন ওয়াশিং, বিসমিল্লাহ ওয়াশিং, লোটাস ওয়াশিং, গ্লোবাল ওয়াশিং, রুবেল ওয়াশিং, আনুস্কা ওয়াশিং, সততা ওয়াশিং, চঞ্জল ওয়াশিং, আব্দুর রব ওয়াশিং, ঢাকা ওয়াশিং, আজান ওয়াশিং, নিউ সাহারা ওয়াশিং, দোহার ওয়াশিং, রিলেটিভ ওয়াশিং, নিউনাশা ওয়াশিং, ইউনিক ওয়াশিং, মৌ ওয়াশিং, সেতু ওয়াশিং, কোয়ালিটি ওয়াশিং, জুয়েনা ওয়াশিং, কামাল ওয়াশিং, ওয়াটার কালার ওয়াশিং, পারজোয়ার ওয়াশিং, জিএম ওয়াশিং, কুমিল্লা ওয়াশিং, আছিয়া ওয়াশিং ও লিলি ওয়াশিং। হাইকোর্টের নির্দেশে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের টাস্কফোর্স গত বছরের মে মাসে বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করতে ঢাকা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহিদা বেগম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশীন হকের নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জে খোলামুড়া, বরিশুর, মান্দাইল, জিনজিরা, আগানগর, ইস্পাহানি, কালীগঞ্জ, খেজুরবাগ, পটকাজোর, মাদারীপুর ও মীরেরবাগ এলাকায় অভিযান চলায়। অভিযানে শাহেদ, রুমা ডায়িং, ওয়াশিংসহ ৮১টি অবৈধ কারখানার গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু দুই মাস যেতে না যেতে মালিকরা আবারও কারখানা চালু করেন। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, কারখানার অপরিশোধিত রাসায়নিক বর্জ্য ও সিটি করপোরেশনের বর্জ্য বুড়িগঙ্গায় ফেলা হচ্ছে নিয়মিত। আমরা নানা সময় বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি। আসলে তারা কেউই কার্যকারী ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ নিয়ে কারও আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না।
০৪ মে, ২০২৪

বুড়িগঙ্গা নদীতে মৎস্যজীবী দলের ব্যতিক্রমী অবরোধ
বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর ডাকে দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) বুড়িগঙ্গা নদীতে ব্যতিক্রমী মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল। এদিন দুপুরে মৎস্যজীবী দল বুড়িগঙ্গা নদীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব রাজবন্দির মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগ, বর্তমান সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ১ দফা দাবিতে সড়কপথ রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ চলাকালে বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌপথ অবরোধের পক্ষে ট্রলারে চড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুর রহিমের নেতৃত্বে মিছিলকারীরা কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার পানগাঁও ঘাট থেকে ট্রলারযোগে মিছিল করতে করতে ফতুল্লার পাগলাঘাটে এসে শেষ করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারী, জাহাঙ্গীর আলম সনি, মো. শাহ আলম, সাইদুল ইসলাম টুলু, জহিরুল ইসলাম বাশার, কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম চৌধুরী, হাজি আবু বকর সিদ্দীক, মাহবুব আলম সিকদার, এইচ এম আবু সাঈদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সদস্য সচিব কে এম সোহেল রানা, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনজুর রহমান ভূঁইয়া, মহানগর নেতা শাহাদাত হোসেন, ফতুল্লা থানার সভাপতি রাসেল প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক নাঈম প্রমুখ।
০৬ নভেম্বর, ২০২৩

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল হবে হাতিরঝিলের চেয়েও নান্দনিক : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলকে হাতিরঝিলের চেয়েও বেশি নান্দনিক করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে তাদের।  বুধবার (৩০ আগস্ট) আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, ‘হাতিরঝিলের কাজ শেষ করতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগেছিল। আর হাতিরঝিল কিন্তু বদ্ধ জলাশয়। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উন্মুক্ত নদীর অববাহিকা। এখানে একটু ভিন্নতা রয়েছে। যেহেতু নদীর অববাহিকা, সেহেতু এটিকে আরও সুন্দর, আরও বেশি নান্দনিক করে গড়ে তুলতে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।’ প্রকল্প প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান উল্লেখ করে দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে প্রথম পর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলাম। সেখান থেকে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ের খননকাজ সম্পন্ন করেছি। আপনারা জানেন, এই নদীর অববাহিকা পূর্ণরূপেই ভরাট করে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এখন নদীপ্রবাহের সেই অববাহিকা আবার ফিরে এসেছে। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজগুলো আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা আমাদের বাজেটে নিজস্ব অর্থায়নে আরও প্রায় ৩৫ কোটি টাকা অর্থসংস্থান রেখেছি এবং সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছে। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম আগামী তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার আশা করছেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুরূহ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রকল্প প্রণয়ন করা, প্রকল্প থেকে অর্থসংস্থান পাওয়া, তারপরে দরপত্র করে কাজ শুরু করা- এগুলো অনেক দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে পড়ে যায় এবং দীর্ঘ সময় লাগে। এ জন্য আমাদের যেসব কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে, সেসব কাজ এগিয়ে নিতে আমরা তা নিজস্ব অর্থায়নেই করে চলেছি। হাতিরঝিলের মতো দীর্ঘ ১০ বছর সময় যেন না লাগে, সে জন্যই আমাদের এই কর্মকৌশল। আমরা যদি প্রকল্পের জন্য অপেক্ষা করতাম তাহলে এই কাজটায় এতদিনে কিছুই হতো না।’ ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়কালে ডেঙ্গু নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা এটাকে গতিশীল রেখেছি, বেগবান রেখেছি। সে জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতকাল আমাদের রোগী ছিল মাত্র ৫২ জন। এ মৌসুমের পুরো সময় একই গতিতে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’ এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন এবং সংরক্ষিত আসনের নিলুফার রহমান উপস্থিত ছিলেন।
৩০ আগস্ট, ২০২৩

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল হবে হাতিরঝিলের চেয়েও নান্দনিক : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলকে হাতিরঝিলের চেয়েও বেশি নান্দনিক করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে তাদের। আজ বুধবার আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, ‘হাতিরঝিলের কাজ শেষ করতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগেছিল। আর হাতিরঝিল কিন্তু বদ্ধ জলাশয়। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উন্মুক্ত নদীর অববাহিকা। এখানে একটু ভিন্নতা রয়েছে। যেহেতু নদীর অববাহিকা, সেহেতু এটিকে আরও সুন্দর, আরও বেশি নান্দনিক করে গড়ে তুলতে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।’ প্রকল্প প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান উল্লেখ করে দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে প্রথম পর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলাম। সেখান থেকে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ের খননকাজ সম্পন্ন করেছি। আপনারা জানেন, এই নদীর অববাহিকা পূর্ণরূপেই ভরাট করে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এখন নদীপ্রবাহের সেই অববাহিকা আবার ফিরে এসেছে। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজগুলো আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা আমাদের বাজেটে নিজস্ব অর্থায়নে আরও প্রায় ৩৫ কোটি টাকা অর্থসংস্থান রেখেছি এবং সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছে। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম আগামী তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার আশা করছেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুরূহ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রকল্প প্রণয়ন করা, প্রকল্প থেকে অর্থসংস্থান পাওয়া, তারপরে দরপত্র করে কাজ শুরু করা-এগুলো অনেক দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে পড়ে যায় এবং দীর্ঘ সময় লাগে। এ জন্য আমাদের যেসব কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে, সেসব কাজ এগিয়ে নিতে আমরা তা নিজস্ব অর্থায়নেই করে চলেছি। হাতিরঝিলের মতো দীর্ঘ ১০ বছর সময় যেন না লাগে, সে জন্যই আমাদের এই কর্মকৌশল। আমরা যদি প্রকল্পের জন্য অপেক্ষা করতাম তাহলে এই কাজটায় এতদিনে কিছুই হতো না।’ মতবিনিময়কালে ডেঙ্গু নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা এটাকে গতিশীল রেখেছি, বেগবান রেখেছি। সে জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতকাল আমাদের রোগী ছিল মাত্র ৫২ জন। এ মৌসুমের পুরো সময় একই গতিতে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’ এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন এবং সংরক্ষিত আসনের নিলুফার রহমান উপস্থিত ছিলেন।  
৩০ আগস্ট, ২০২৩
X