ভালোবেসে বিয়ে করায় কটুকথা, স্বামী-স্ত্রীর বিষপান
পাবনার ঈশ্বরদীতে গৃহবধূর দূরসম্পর্কের এক নানির কটুকথায় অপমান সইতে না পেরে রিয়া খাতুন ও সাজেদুল ইসলাম নামে এক দম্পতি বিষপান করেছে। এতে গৃহবধূ রিয়া খাতুনের পর মারা গেছেন স্বামী সাজেদুল ইসলাম।  সোমবার (১ জুলাই) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সাজেদুল ইসলাম একই ইউনিয়নের চরগড়গড়ি এলাকার আজতব প্রামাণিকের ছেলে। আর রিয়া খাতুন ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের আজিজতলা এলাকার লেরু মোল্লার মেয়ে।  এর আগে রোববার (৩০ জুন) রাতে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিয়া খাতুন। একই দিন সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি ফটিক মোড়ের আজতব প্রামাণিকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সাজেদুলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, একমাস আগে রিয়া ও সাজেদুল প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করে। রিয়ার পরিবার বিয়ে মেনে না নিলেও সাজেদুলের পরিবার বিয়ে মেনে নেয়। রিয়ার দূর সম্পর্কের এক নানি রিয়ার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে রিয়াকে নানা রকম কটূক্তিমূলক কথা বলে। থুতু ফেলে তাদের ভালোবাসার বিয়ের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন।  এতে চরমভাবে অপমানিত হয়ে সাজেদুল ও রিয়া পরিবারের লোকজনের চোখের আড়ালে নিজ ঘরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে বাড়ির লোকজন বুঝতে পেরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করে। সেখানেই রিয়ার মৃত্যু হয়। সোমবার রাতে সাজেদুল ইসলাম মারা গেছে। রিয়ার শ্বশুর আজতব প্রামাণিক বলেন, ঘটনার দিন সকালে ছেলের বউয়ের দেওয়া ভাত খেয়ে মাঠে কাজে গেছি। বাড়িতে ছেলে আর ছেলের বউ ছিল। এ সুযোগে রিয়া ও সাজেদুল বিষপান করে। তাদের রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হলে রিয়া মারা যায়। অবশেষে ছেলে সাজেদুল‌ও একদিন পর মারা গেল। ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নবদম্পত্তি বিষপান করেছে। এর মধ্যে নববধু রিয়া রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। সোমবার রাতে স্বামী সাজেদুল‌ও মৃত্যুবরণ করেন। বিষপানের কারণ জানতে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
০২ জুলাই, ২০২৪

ভালোবেসে বিয়ে করায় নানির কটুকথা, দম্পতির বিষপান
পাবনার ঈশ্বরদীতে গৃহবধূর দূরসম্পর্কের এক নানির কটূক্তিমূলক কথায় অপমান সইতে না পেরে রিয়া খাতুন ও সাজেদুল ইসলাম নামে এক দম্পতি বিষপান করেছে। এ ঘটনায় গৃহবধূ রিয়া খাতুন মারা গেছেন। স্বামী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোববার (৩০ জুন) সকালে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি ফটিক মোড়ের আজতব প্রামাণিকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়া ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের আজিজতলা এলাকার লেরু মোল্লার মেয়ে। সাজেদুল একই ইউনিয়নের চরগড়গড়ি এলাকার আজতব প্রামানিকের ছেলে। সাজেদুলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, একমাস আগে রিয়া ও সাজেদুল প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করে। রিয়ার পরিবার বিয়ে মেনে না নিলেও সাজেদুলের পরিবার বিয়ে মেনে নেয়। রিয়ার দূর সম্পর্কের এক নানি রিয়ার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে রিয়াকে নানা রকম কটূক্তিমূলক কথা বলে। থুথু ফেলে তাদের ভালোবাসার বিয়ের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন। এতে চরমভাবে অপমানিত হয়ে সাজেদুল ও রিয়া পরিবারের লোকজনের চোখের আড়ালে নিজ ঘরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে বাড়ির লোকজন বুঝতে পেরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করে। সেখানেই রিয়ার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সাজেদুল। রিয়ার শ্বশুর আজতব প্রামাণিক বলেন, ঘটনার দিন সকালে ছেলের বউয়ের দেওয়া ভাত খেয়ে মাঠে কাজে গেছি। বাড়িতে ছেলে আর ছেলের বউ ছিল। এ সুযোগে রিয়া ও সাজেদুল বিষপান করে। তাদের রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হলে রিয়া মারা যায়। সাজেদুলের অবস্থাও ভালো না। ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নবদম্পতি বিষপান করেছে। এর মধ্যে নববধূ রিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বিষপানের কারণ জানতে তদন্ত করা হবে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
০১ জুলাই, ২০২৪

ছেলের আত্মহত্যায় মায়ের বিষপান
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে শয়নকক্ষের আড়ার সঙ্গে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। ছেলের এ ঘটনা দেখে সঙ্গে সঙ্গেই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তার মা তাহমিনা আক্তার।  রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সুরত মিয়া দফাদারের বাড়িত (মাইজ পাড়া) ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ছেলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যখন হাসপাতালের মর্গে অপেক্ষা করছে, তখন তার মা একই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।  মৃত ওই যুবকের নাম মো. ওয়াহিদুল আলম তারেক (২০)। সে ওই বাড়ির দিদারুল আলমের ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে সবার বড়। জানা যায়, পরিবারের অজান্তে শয়নকক্ষের দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে ঝুলছিল তারেক। ঘরের জানালা দিয়ে অভি নামে তার এক চাচাতো ভাই তাকে ঝুলতে দেখে চিৎকার দিয়ে সবাইকে তা জানায়। চিৎকার শুনে তারেকের মা গিয়ে দরজার খুলে তার এ অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে বিষপান করেন।  পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তারেককে মৃত ঘোষণা করে এবং তার মাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।  পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।  নিহতের চাচাতো ভাই রাফসান মাহিন অভি জানান, আমি তারেক ভাইয়ের রুমের পার্শ্ববর্তী গরুর ঘরে গেলে ভাইয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলাম। সবাই আমার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।  এদিকে নিহতের চাচা মো. মুজাফফর জানান, হঠাৎ কেন এমন করেছে আমরা আন্দাজ করতে পারছি না। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি তাকে আত্মহত্যা করতে হবে। তবে পরিবারে অভাব অনটন ছিল। তাই টাকা-পয়সার অভাবে মানসিকভাবে সবসময় কষ্টে থাকার কথা জানতাম।  এ বিষয়ে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান কালবেলাকে জানান, হাসপাতালে নেওয়ার পর তারা আমাদের জানায়। আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলবে।
২০ মে, ২০২৪

ছেলে কথা না রাখায় অভিমানে বাবা-মায়ের বিষপান
নাটোরের গুরুদাসপুরে এনজিওর ঋণ ও সুদ কারবারিদের চাপে ছেলের ওপর অভিমান করে বাবা-মা এক সঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  গুরুতর আহত দুজন হলেন- বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল গ্রামের বাসিন্দা মো. আলম শেখ (৬০) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০)।  আলম শেখের মেয়ে আলপনা আক্তার কালবেলাকে বলেন, দেড় বছর আগে বাড়ির ভিটাসহ দেড় বিঘা জমি তার ভাই সবুজ হোসেনের নামে লিখে দেন বাবা আলম শেখ। শর্ত ছিল ৩টি এনজিও ও সুদ কারবারিদের কাছ থেকে নেওয়া ৫ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধ করবেন সবুজ। কিন্তু তিনি ঋণের টাকা শোধ করেননি। উল্টো সবুজের স্ত্রী বাবা-মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৬ মে) কিস্তির টাকার জন্য এনজিও কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে চাপ দেন। পারিবারিক কলহ আর ঋণের চাপে আজ সকালে ঘরে এক সঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছেলে সবুজ হোসেন বলেন, ৬৬ শতাংশ জমি বাবার কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ টাকায় কিনেছি। এখনও আমার আয়েই তাদের ভরণপোষণ চলে। এনজিওর ২ লাখ ও সুদের ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পেরে পাওনাদারদের চাপে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তারা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক স্নিগ্ধা আক্তার জানান, জমিতে ব্যবহার করা কীটনাশক পান করে হাসপাতালে এসেছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি। চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে স্বামী-স্ত্রীকে। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নাজমা বেগমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

প্রেমিক যুগলের একসঙ্গে বিষপান
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় প্রেমিক যুগল একযোগে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাতে প্রেমিক মুরাদ শেখ (১৮) জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এদিকে ওই দিন রাতেই প্রেমিকা তাজমিন আক্তার (১৬) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।  নিহত মুরাদ শেখ উপজেলার খাঁড়িতা গ্রামের দোলন শেখের ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবাবের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। অন্যদিকে নিহত প্রেমিকা তাজমিন আক্তার একই গ্রামের তোজাম খাঁর মেয়ে এবং বাঁকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুরাদ শেখের সঙ্গে একই গ্রামের তাজমিন আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু দুই পরিবারের কেউই এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি। একপর্যায়ে মুরাদকে তার পরিবার মালেশিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ২১ এপ্রিলই তার ফ্লাইট ছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারকে চাপে ফেলতে তারা দুজনেই পরিকল্পনা করে বিষপানের সিদ্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ৪ এপ্রিল তারা বিষপান করে। পরে তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে। রোববার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মুরাদকে ফের জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওই রাতেই প্রেমিকা তাজমিন আক্তারও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকেও রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটায় প্রেমিকা তাজমিন আক্তারেরও মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের মাতম বইছে। ক্ষেতলাল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, প্রেমিক মুরাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রেমিকা তাজমিনের মৃত্যুর বিষয়টিও শুনেছি। মুরাদের মৃত্যু বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

পুলিশি পাহারায় থানায় কিশোরীর বিষপান
রাজশাহীতে থানার ভেতরেই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে এক কিশোরী। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তানোর থানার বাথরুমে মহিলা পুলিশের পাহারা থাকা অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে প্রেমিকের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। তানোর পৌর এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। স্থানীয়রা জানান, তানোর উপজেলার বনকেশর গ্রামের আল আমিন (২৫) নামে এক যুবকের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আল আমিন বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে আল আমিনের সঙ্গে ওই কিশোরী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে আল আমিনসহ ওই কিশোরীকে আটক করে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের তানোর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, কিশোরীর বাবা-মাও সেখানে আসেন। পরে আল আমিনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলার প্রস্তুতি নেয় তারা। কিন্তু ওই কিশোরী প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করবে না করে বিয়ের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। এ নিয়ে অভিবাবকদের সঙ্গে ওই কিশোরীর রাগারাগী হয়। একপর্যায়ে কৌশলে থানার বাথরুমে গিয়ে সে বিষপান করে। এ বিষয়ে তানোর থানার এসআই আল ইমরান বলেন, ঢাকা থেকে ধরে আটকের পর থানায় বাবা-মায়ের সঙ্গে ছিল ওই কিশোরী। এ সময় সে বাথরুমে যেতে চাইলে মহিলা পুলিশ তাকে নিয়ে যায়। সে বাথরুমে ঢুকলে দরজার ছিটকানিও লাগাতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু সে বাথরুমে গিয়েই বিষপান করে। ধারণা করা হচ্ছে, তার কাছে আগে থেকেই বিষ ছিল। তবে বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ তাকে দ্রুত তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে কিশোরীর পরিবারের দায়ের করা অপহরণের মামলায় আল আমিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রফিকুল আলম বলেন, ‘ওই কিশোরী বিষপান করেছে। তবে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় নয়, তার বাবা-মার কাছে থাকার সময়। তারপরও আমরা বিষপানের ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তদন্ত করা হবে’।  
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিষপান করা ২ মেয়েসহ হাসপাতাল থেকে পালালেন মা
গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ থেকে সন্তানদের নিয়ে পালিয়েছেন সন্তানদেরসহ বিষপান করা মা পলি বেগম। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। কর্তব্যরত নার্সরা জানান,  আমরা দুপুর ২টায় ডিউটিতে এসেছি। এসে মা পলি বেগম ও তার সন্তানদের পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভবত তিনি সন্তানদের নিয়ে পালিয়েছেন।  তবে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পলি বেগমসহ তার সন্তানরা সকাল ১০টার দিকেও হাসপাতালের বিছানায় ছিলেন। কর্তব্যরত ডাক্তার চলে যাওয়ার কিছু সময় পরে পলি বেগমকে আর দেখা যায়নি।  পাশের সিটের রোগীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সকালে যখন ডাক্তার এসেছিলেন তখন তাদের দেখেছিলাম। তবে কখন তারা চলে গেছে এটা আমি জানি না। এ বিষয়ে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ড. নিয়াজ মাহমুদ জানান, আমি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে রয়েছি। দুপুরে দায়িত্বরত নার্সদের সঙ্গে আমি কথা বলে জানতে পারলাম পলি বেগম ও তার  সন্তানরা না বলে চলে গেছে। তবে কখন চলে গেছে নির্দিষ্টভাবে কেউ বলতে পারছে না। এর আগে, শাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে ৩ মেয়েকে বিষ খাইয়ে, নিজেও খান। বিষের যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকলে, তা শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কাশিয়ানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতে গোপালগঞ্জের শেখ সোহরা খাতুন মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। ওই রাতেই ছোট মেয়ে দেড় বছরের মিমের মৃত্যু হয়।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিষপান করা সেই ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে বিএনপির রোডমার্চে অংশ নেওয়া বাবার ছবি দেখে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করা রাঙ্গুনিয়ার ছাত্রলীগ নেতা নীরব ইমনকে (২২) দেখতে গিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৫টার চট্টগ্রাম মেডিকেলের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসাধীন ইমনের খোঁজখবর নেন তিনি। এ সময় চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার চিকিৎসার্থে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এ সময় তার পিতা, পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলেন মন্ত্রী। ইমন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের মালিরহাট আলকাজ পণ্ডিত বাড়ির মোহাম্মদ জহিরের (৪৫) সন্তান। পিতা জহির পোমরা ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি এবং পুত্র ইমন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।  বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেন ইমনের পিতা মোহাম্মদ জহির। সেখানে অংশ নেওয়ার একটি ছবি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে দেখতে পান ছাত্রলীগ নেতা ইমন। সহকর্মী ছাত্রলীগ নেতাদের পাঠানো ওই ছবি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ইমন। নিজ বসতঘরে পরিবারের সদস্যদের সাথে রাগারাগিও করেন। একপর্যায়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান বলে তার স্বজনরা নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে তার পিতা মোহাম্মদ জহির বলেন, আমি ১৯৯৫ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার ছেলে আমাকে বিএনপি করতে বারণ করে। কিন্তু পরিবারের সবাই একই আদর্শের হবে, সেটি হতে পারে না। তাই বলে বিষপানে আত্মহত্যা করতে হবে। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে তথ্যমন্ত্রী আমার ছেলেকে দেখতে আসেন, তখন আমি বাইরে ছিলাম। উনার আসার খবরে আমাকে ডেকে আনা হয়। ছেলের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তাকে এই ধরনের পাগলামি করতে বারণ করেন মন্ত্রী মহোদয়। ইমনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তার পিতা মোহাম্মদ জহির আরও বলেন, ইমনের জ্ঞান ফিরেছে, সে কথাও বলছে। পাগলের মতো আচরণ করছে মাঝেমধ্যে। এখনো তার শংকা কাটেনি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আরও কয়েক দিন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
০৬ অক্টোবর, ২০২৩

বিএনপির রোডমার্চে বাবা, ছবি দেখে ছাত্রলীগ নেতার বিষপান
বিএনপির রোডমার্চে অংশ নেওয়া বাবার ছবি দেখে নীরব ইমন (২২) নামে রাঙ্গুনিয়ার এক ছাত্রলীগ নেতা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন।  বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের মালিরহাট আলকাজ পণ্ডিত বাড়ির নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। ইমন পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তার পিতা মোহাম্মদ জহির (৪৫) পোমরা ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন। ইমন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোমরা ইউনিয়নে জিয়াউর রহমানের প্রথম কবরস্থানে রোডমার্চ উপলক্ষে বিএনপি নেতারা জড়ো হচ্ছেন, এমন খবরে তাৎক্ষণিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা নীরব ইমনও। এ সময় চট্টগ্রাম নগরীতে অনুষ্ঠিত বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে তার বাবার অংশ নেওয়ার একটি ছবি দেখতে পেয়ে তাকে ফেসবুক ম্যাসাঞ্জারে লাল চিহ্ন দিয়ে পাঠান তার সহকর্মী অন্য এক ছাত্রলীগ নেতা। এমনকি এটি তাদের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপেও শেয়ার করা হয়েছিল। ছাত্রলীগ নেতা নীরব ইমন বাবার ছবিটি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়িতে ছুটে যান এবং এই নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বিষপান করে বসেন ছাত্রলীগ নেতা নীরব ইমন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে তাকে ভর্তি করানো হয়।  এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক জয় দিপ নন্দী বিষপানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নীরব ইমন নামে একজনকে বিষপান করা অবস্থায় আনা হয়েছিল। তাকে প্রাথমিক ওয়াশ করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তার বাবা মোহাম্মদ জহির বলেন, আমি ছিলাম শহরে। ঘরে কী হয়েছে জানি না। তবে আমি বিএনপির প্রোগ্রামে এসেছি শুনে ইমন বিষপান করেছে বলে জেনেছি। তার স্বজন পোমরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন বলেন, ইমনের বাবা সম্পর্কে আমার ফুফাতো ভাই। সে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকায় আমার সাথে তার কথাবার্তা হতো না। তবে ইমন তার বাবাকে প্রায় সময় বিএনপির রাজনীতি থেকে বিরত থাকতে বলতেন। এরপরও তার বাবা বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে যাওয়ায় ক্ষোভে ইমন এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জেনেছি।  চট্টগ্রাম মেডিকেলে ইমনকে নিয়ে যাওয়া তার চাচা মো. পারভেজ বলেন, মেডিকেলে আনার পর তাকে ওয়াশ করা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তিন ঘণ্টা পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
০৫ অক্টোবর, ২০২৩
X