ডায়াবেটিস থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি, বিশ্বব্যাপী তোলপাড়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে মানতে হয় নানা নিয়ম, পাল্টে ফেলতে হয় জীবনধারা। কিছুদিন নিয়মকানুন পালন করলেও এক সময় অনেকেই হাল ছেড়ে দেন। তাতে শারীরিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। এ কারণে ডায়াবেটিসকে সম্পূর্ণভাবে রুখে দিতে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের গবেষণা চলছে অনেক আগে থেকেই। সেই ধারাবাহিকতায় চীনা বিজ্ঞানীদের একটি দল প্রথমবারের মতো সেল থেরাপি ব্যবহার করে এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে পুরোপুরি সারিয়ে তুলেছেন। ৫৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ২৫ বছর ধরে টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি তার বেশিরভাগ অগ্ন্যাশয়ের আইলেটের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন একাধিক ইনসুলিন ইনজেকশনের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ছিলেন।  সাংহাই চাংজেং হাসপাতালের একজন শীর্ষস্থানীয় গবেষক ইয়িন হাও জানান, ওই রোগী ২০২১ সালের জুলাই মাসে উদ্ভাবনী কোষ প্রতিস্থাপন সেবা পেয়েছিলেন। প্রতিস্থাপনের ১১ সপ্তাহ পর তিনি বাহ্যিকভাবে নেয়া ইনসুলিন ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন থেকে মুক্তি পান। এ সময় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য মুখে খাওয়ার ওষুধের ডোজও ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হয়েছিল। এক বছর পরে সেটা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলোআপ পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ওই রোগীর অগ্ন্যাশয় আইলেটের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি ফিরে এসেছে। সাংহাই চাংজেং হাসপাতাল, চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সের অধীনে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ইন মোলিকিউলার সেল সায়েন্স এবং সাংহাইভিত্তিক রেনজি হাসপাতালের চিকিৎসক এবং গবেষকদের যৌথভাবে অর্জিত এই চিকিৎসা সাফল্য গত ৩০ এপ্রিল সেল ডিসকভারি জার্নালে প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলুলার এবং শরীরবৃত্তীয় বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক টিমোথি কিফার জানান, গবেষণাটি ডায়াবেটিসের জন্য সেল থেরাপির গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
৩০ মে, ২০২৪

বিশ্বব্যাপী বেড়েছে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, শীর্ষে ইরান
বিশ্বব্যাপী ফের বেড়েছে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে, গত আট বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এ তালিকায় শীর্ষে আছে ইরান। সংগঠনটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৩০ শতাংশ বেশি মৃত্যুদণ্ড  কার্যকর করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ১৬টি দেশেই ১ হাজার ১৫৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর মধ্যে শুধু ইরানেই সর্বোচ্চ শাস্তির মুখে পড়েন ৮৫৩ জন। অর্থাৎ মোট সংখ্যার ৭৪ শতাংশ কার্যকর করেছে ইরান। বিশ্বব্যাপী যখন মৃত্যুদণ্ড কমানোর কথা বলা হচ্ছে তখন ইরানে তা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। তাদের হিসাবে দেশটিতে ২০২২ সালে ৫৭৬ জন এবং আগের বছর ৩১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০২৩ সালে ইরানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বেশিরভাগ মাদকসংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এদিকে অ্যামনেস্টি ধারণা করছে, চীনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যাটিও বিশাল। কিন্তু দেশটির কঠোর গোপনীয়তার কারণে সংগঠনটি পর্যাপ্ত তথ্য পায়নি। তাই চীনকে তালিকা থেকে দূরে রাখা হয়েছে। তেমনি উত্তর কোরিয়া ও ভিয়েতনামকে তালিকায় আনা যায়নি। কারণ, দেশ দুটি থেকে সঠিক কোনো তথ্যই তারা পায়নি। এ ছাড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ১৫ শতাংশই সৌদি আরবে ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এ সংখ্যাটিও ২০২২ সালের চেয়ে ৬ জন বেশি। অথচ জাপান, বেলারুশ, মিয়ানমার ও দক্ষিণ সুদানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। ১৮ মে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী রয়েছেন। টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নরওয়েভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) জানিয়েছে, ইরানের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের উর্মিয়া কারাগারে মাদকের বিভিন্ন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাঁচজন পুরুষের সঙ্গে দুজন নারীর মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পারভীন মোসাভি নামের দুই সন্তানের এক জননীও রয়েছেন। এ ছাড়া নিসাপুরে ফাতেমিহ আব্দুল্লাহি নামের অপর এক নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিজের স্বামীকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। এপ্রিলে পার্সিয়ান নববর্ষ এবং রমজানের ছুটির শেষে একটি নতুন ঢেউ শুরু হয়েছিল। তখন থেকে ১১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন নারী রয়েছেন। আইএইচআর জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ইরানে ২২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসেই অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ ছাড়া আরও অনেককে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে।
২৯ মে, ২০২৪

মহামারিতে বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু কমেছে দুই বছর
বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে স্থবির হয়ে পড়ে সারাবিশ্ব। যার ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেক দেশ। সেই মহামারি নিয়ে এবার ভয়াবহ দুঃসংবাদ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শনিবার (২৫ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চলা করোনা মহামারির জেরে বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু অন্তত ১৮ মাস কমেছে।  শুক্রবার ডব্লিউএইচও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য পরিসংখ্যনগত বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু ১৮ মাস কমেছে। ফলে বর্তমানে গড় আয়ু ৭১ বছর ৪ মাসে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।  গড় আয়ু কমার পাশাপাশি মানুষের শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার বয়সও ১৭ মাস কমেছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মানুষের শারীরিক সুস্থ থাকার বয়সসীমা ৬১ বছর ৯ মাসে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।  বর্তমানে আয়ু কমার কারণে এ অবস্থা ২০১২ সালের সঙ্গে মিলে গেছে। ওই সময় বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭১ বছর ৪ মাস আর সুস্থ থাকার বয়সসীমাও ছিল ৬১ বছর ৯ মাস।  এর আগে জানুয়ারিতে চিকিৎসাবিষয়ক বিশ্ববিখ্যাত সাময়িকী ল্যানসেটে এ সম্পর্কিত একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে মানুষের গড় আয়ু দেড় বছর কমেছে।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মহামারি মানুষের গড় আয়ুর ওপর যে প্রভাব ফেলেছে তা গত ৫০ বছরে অন্যকোনো রোগের বেলায় ঘটেনি।  শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, গড় আয়ু হ্রাসের ব্ষিয়ে আমাদের সদস্য দেশগুলোরে মধ্যে শিগগিরই মহামারি নিরাপত্তা চুক্তিতে আসা উচিত বলে বার্তা দিচ্ছে। যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করবে। 
২৫ মে, ২০২৪

বিশ্বব্যাপী মানুষের জন্য দারুণ সুখবর
আগামী তিন দশকের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু বাড়বে। তবে এর পাশাপাশি বাড়বে মোটা হওয়া এবং প্রেসারের মতো রোগও। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণার পর এমন খবর দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মূলত গবেষণায় একদিকে যেমন গড় আয়ু বাড়ার বিষয়ে ভালো খবর দেওয়া হয়েছে, তেমনই কয়েকটি রোগ বাড়বে এবং মানুষকে ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দ্য ল্যানসেট পত্রিকায় গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।  গবেষণার ফল অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমান জীবনধারার সঙ্গে ভবিষ্যতের জীবনযাপনের অনেকটাই পরিবর্তন হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মোটা হওয়া বা মেদবহুল হওয়ার প্রবণতা এবং রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া। গবেষকদলের মতে, বিশ্বজুড়েই মানুষের আয়ু বাড়বে। পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ দশমিক এক থেকে ৭৬ দশমিক দুই হবে এবং মেয়েদের গড় আয়ু ৭৬ দশমিক দুই থেকে ৮০ দশমিক পাঁচ হবে। এখন যেসব দেশে মানুষের গড় আয়ু কম, সেসব দেশেই সবচেয়ে বেশি বাড়বে আয়ু।  গবেষকরা বলেছেন, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার ফলেই আয়ু বাড়বে। কোভিড ১৯, সংক্রামক রোগ, মাতৃত্বকালীন রোগ, বাচ্চাদের রোগ, অপুষ্টিজনিত সমস্যা কাটানোর জন্য নেওয়া উদ্য়োগের ফলে আগামী তিন দশকে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাবে বলে গবেষকরা মনে করছেন।  
১৭ মে, ২০২৪

বিশ্বব্যাপী ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার
দিনকে দিন বিশ্বব্যাপী ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। এর ফলে বর্তমানে যেসব দীর্ঘাকৃতির মাছ সাগরে পাওয়া যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তেমনটি আর পাওয়া যাবে না। বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমন চমক জাগানিয়া তথ্য উঠে এসেছে। প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ওই বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিস্তারিত জানিয়েছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।  মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে মাছ সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রজাতি। এদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র গবি ও জেব্রাফিশ থেকে শুরু করে বিশালাকার টুনা, তিমি ও হাঙর। মাছের মাধ্যমে অত্যাবশ্যক খাদ্য সরবরাহ হয় বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই মাছ জলজ বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশটিই বিশ্বজুড়ে এখন হুমকির মুখে।  বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে পরিচালিত এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর উল্লেখযোগ্যহারে প্রভাব ফেলছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এর ফলে ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে উষ্ণ হয়ে আসছে মাছের আবাসস্থল। আর এতে দিনকে দিন ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। বলা হচ্ছে, গত ৪০ বছরে উত্তর সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক মাছের প্রজাতি আকারে ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কারণ এই সময়ে সেখানে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের ওপর উষ্ণ জল অত্যন্ত খারাপ ধরনের প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, বড় মাছের ক্ষেত্রে এই প্রভাব খুবই উল্লেখযোগ্য। বড় মাছ আকারে ছোট হয়ে গেলে দ্রুত পরিপক্ব হয় এবং অল্প বয়সে প্রজননে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে আকারে ছোট হতে থাকে মাছের পরবর্তী প্রজন্ম। তাড়াতাড়ি পরিপক্ব হওয়ার এই বৈশিষ্ট্যটি মাছের বর্তমান থেকে নতুন প্রজন্মে স্থানান্তরিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, এটি ‘মৎস্য-প্ররোচিত বিবর্তন‘ নামে পরিচিত। এর ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাছ আকারে হ্রাস পেতে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ফ্রান্সের নদীতে বেশ কয়েকটি মাছের প্রজাতি কয়েক দশক ধরে আকারে হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, মাছের আবাসস্থলের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় এই প্রবণতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ছোট মাছ আনুপাতিকভাবে কম সন্তান উৎপাদন করে। মাছের আকার ছোট হওয়ার অর্থ হলো প্রতিটি মাছের কম সন্তান হবে এবং বেশি বেশি মাছ ধরা পড়বে। পরিবেশগত এবং বাণিজ্যিকভাবে এই প্রক্রিয়ার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এবং তা সরাসরি আঘাত করবে মানবজাতিকে। 
০৭ মে, ২০২৪

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারকে অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি
যুক্তরাজ্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে দাবি করেছে মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির বার্ষিক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করা হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের নড়বড়ে অবস্থার মধ্যে ব্রিটেন জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সুরক্ষাকে দুর্বল করছে। খবর গার্ডিয়ানের। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের প্রধান নির্বাহী সাচা দেশমুখ বলেছেন, যুক্তরাজ্য তার ভয়ঙ্কর অভ্যন্তরীণ নীতি এবং রাজনীতির মাধ্যমে সর্বজনীন মানবাধিকারের সম্পূর্ণ ধারণাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীল করে তুলছে।  অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থী এবং অন্যান্য অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু করছে দেশটি। দেশটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে এবং বৈশ্বিক একটি বিপজ্জনক সময়ে মানবাধিকার সুরক্ষা লঙ্ঘন করেছে। গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে জাতিসংঘে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিবেদনে বিশেষভাবে যুক্তরাজ্যের নিন্দা করা হয়েছে। 
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বব্যাপী ভয়ংকর কিছু হামলা
ফ্রান্স (১৩ নভেম্বর, ২০১৫) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস ও রাজধানীর ঠিক উত্তরে সাঁ-দ্যনি শহরে এদিন সন্ধ্যায় ধারাবাহিক ও সমন্বিত সন্ত্রাসী আক্রমণ চালায় আইএস। এ সময় গণহত্যা, আত্মঘাতী বোমা হামলা ও জিম্মি করার মতো ন্যক্কারজনক কাজ করে আইএস। এদিন সাঁ-দ্যনির শহরের উত্তর শহরতলিতে স্তাদ দ্য ফ্রঁস ক্রীড়াক্ষেত্রের বাইরে তিনটি পৃথক আত্মঘাতী বোমা হামলা এবং কেন্দ্রীয় প্যারিসের কাছাকাছি চারটি ভিন্ন স্থানে গণহত্যা ও আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটে। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাটি হয় বাতাক্লঁ নাট্যশালায়, যেখানে আক্রমণকারীরা সেখানে থাকা নাগরিকদের জিম্মি করে; পরে পুলিশ ভারী অস্ত্রসহ সেখানে অভিযান চালায়, যা শেষ হয় পরদিন। আইএসআইএল এ হামলার দায় স্বীকার করে। এ হামলায় অন্তত ১২৮ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে ৮৯ জন নিহত হয় বাতাক্লঁ নাট্যশালায়। এ হামলায় আহত ৪১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের অনেকে এখন পঙ্গু জীবনযাপন করছেন। আক্রমণে নিহতরা ছাড়াও সাত আক্রমণকারী মারা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ফ্রান্সে ঘটা সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা ছিল এটি। ইরাক (৩ জুলাই, ২০১৬) ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কারাডা বাণিজ্যিক এলাকায় একটি রেস্তোরাঁর সামনে ২০১৬ সালের ২ জুলাই গভীর রাতে গাড়িবোমা হামলা চালায় আইএস। এ হামলায় অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়। আহত হয় ১৩১ জন। জানা যায়, রমজান উপলক্ষে ইফতার-পরবর্তী ওই সময়টিতে রাস্তায় প্রচুর মানুষ চলাচল করছিল। পরের দিকে রাজধানীর উত্তরাঞ্চলে দ্বিতীয় আরেকটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় ওই হামলাটিতে আরও পাঁচজন নিহত হয়। হামলার মাত্র এক সপ্তাহ আগেই আইএসের হাত থেকে ফালুজা পুনর্দখল করে নেয় ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী। সেই হামলায় যে গাড়িটি ব্যবহার করা হয়, সেটি ছিল মূলত একটি রেফ্রিজারেটর ভ্যান এবং ভ্যানটির ফ্রিজার অংশ বিস্ফোরক দিয়ে পূর্ণ ছিল। বাগদাদের সেই হামলায় নিহতদের একটি বড় অংশই শিশু। বিস্ফোরণের পর প্রধান সড়কে বিরাট অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এতে বেশ কয়েকটি ভবনের মারাত্মক ক্ষতি হয়। জর্ডান (১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬) জর্ডানের দক্ষিণের শহর কারাকে এদিন বন্দুকধারীদের গুলিতে কানাডার পর্যটকসহ ১০ জন নিহত হয়। রাজধানী আম্মান থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণের শহর কারাকে একদল বন্দুকধারী প্রথমে টহল পুলিশের ওপর হামলা করে। পরে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হলে হামলাকারীরা একটি গাড়িতে করে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত দেশটির প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী একটি দুর্গে ঢুকে পড়ে। সেখানে পুলিশ পোস্টে হামলার পর তারা দুর্গের ভেতরে অবস্থান নেয়। এতে দুর্গের ভেতরে কয়েকজন পর্যটক আটকা পড়েন, তৈরি হয় জিম্মি সংকট। ওইদিন রাতে জর্ডান পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা চারজন ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা করেছে। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বেশ কয়েক ঘণ্টা গোলাগুলির পর তাদের দুর্গের বাইরে বের করে এনে হত্যা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরে ১০ পর্যটককে অক্ষত অবস্থায় দুর্গ থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়। শ্রীলঙ্কা (২১ এপ্রিল, ২০১৯) শ্রীলঙ্কায় এদিন স্টার সানডের সকালে তিনটি গির্জা, তিনটি হোটেলসহ অন্তত আটটি স্থানে আত্মঘাতী সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটায় আইএস। শ্রীলঙ্কায় সেই সিরিজ বোমা হামলায় ৩২১ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৩৬ জন বিদেশি নাগরিক। আহত হয় পাঁচ শতাধিক মানুষ। আইএসের প্রচারণা সংস্থা আমাক এক বিবৃতিতে জানায়, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সদস্য এবং শ্রীলঙ্কার খ্রিষ্টানদের লক্ষ্য করে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ যোদ্ধারা এ হামলা চালিয়েছে। ক্রাইস্টচার্চে মুসলমানদের বিরুদ্ধে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি এ হামলা চালায় বলে জানা যায়। আফগানিস্তান (২৬ আগস্ট, ২০২১) আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে এদিন ভয়াবহ বোমা হামলা চালায় সশস্ত্র এ জঙ্গিগোষ্ঠী। ওই বোমা বিস্ফোরণে ১৩ মার্কিন সেনা ছাড়াও ১৭০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়। ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনাদের প্রত্যাহার করা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ সুযোগে তালেবানের যোদ্ধারা রাজধানী কাবুল দখল করে নেয়। তালেবান শাসনের ভয়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে হাজার হাজার মানুষ কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে জড়ো হয়। তখনই চালানো হয় এমন ভয়ংকর হামলা। ভয়াবহ এ হামলার আগে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নাগরিকদের বিমানবন্দর থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল।
২৮ মার্চ, ২০২৪

‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী জরুরী ও সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বব্যাপী দেশগুলোকে ২০৫০ সালের আগে নেট জিরো নির্গমন অর্জন এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যে জরুরি ও সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি মানবজাতির সামনে অভূতপূর্ব পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈশ্বিক ঐক্যবদ্ধতার জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কেনিয়ার নাইরোবিতে ষষ্ঠ জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে ন্যাশনাল স্টেটমেন্ট প্রদান কালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউএনইএ-৬ এর সভাপতি লেইলা বেনালি, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, বিশিষ্ট প্রতিনিধি এবং বিশ্বনেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে নগণ্য অবদান সত্ত্বেও, বাংলাদেশ হিমবাহের গলন, বন্যা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো বিরূপ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণগুলো নিরসনের গুরুত্ব এবং টেকসই স্থাপনার লক্ষ্যে আরও বেশি বহুপক্ষীয় প্রতিশ্রুতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের পরিবেশগত দায়িত্বের প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে পরিবেশমন্ত্রী ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ‘পৃথিবীর জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়নকে প্রচারের লক্ষ্যে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করেছে। মন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে পরিবেশ সংরক্ষণের নীতিগুলো অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি তুলে ধরে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশের আন্তরিকতার প্রমাণ দেন। পরিবেশমন্ত্রী প্লাস্টিক দূষণকে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়ে প্লাস্টিকের বর্জ্য মোকাবিলা এবং টেকসই ভোগ ও উৎপাদন পদ্ধতিতে রূপান্তরের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ বৈশ্বিক পরিবেশগত শাসনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ইউএনইএ-৬ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সবুজ, আরও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
০১ মার্চ, ২০২৪

বিশ্বব্যাপী কমেছে তামাকের ব্যবহার
তামাক কোম্পানির অব্যাহত হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী তামাকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। বর্তমানে (২০২২) বিশ্বে প্রতি পাঁচজনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করছে, যা আগে (২০০০) ছিল তিনজনে একজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদ্য প্রকাশিত (২০২৪) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অবশ্য সংস্থাটির ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশেও তামাকের ব্যবহার আগের তুলনায় কিছুটা কমে আসার দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। তবে এখনো ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (৩ কোটি ৭৮ লাখ) তামাক ব্যবহার করে আসছে। রাজধানীর বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ: অগ্রগতি, বাধা ও করণীয়’ শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালার বক্তাদের আলোচনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় জানানো হয়, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী বর্তমানে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে কোম্পানিগুলো খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা যেমন—ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বাতিল, ই-সিগারেট ও ভেপিংপণ্য পণ্য নিষিদ্ধকরণ, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন বন্ধ এবং খুচরা বা খোলা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ প্রভৃতি বাদ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তামাক নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সর্বোত্তম নীতিগুলো পর্যালোচনার ভিত্তিতেই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খসড়া সংশোধনীতে এসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করেছে। তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপমুক্ত থেকে খসড়া সংশোধনীটি দ্রুত পাস করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র তামাক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার। উল্লেখ্য, তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু রোধে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কোনো বিকল্প নেই। তামাকের কারণে প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ মানুষ মারা যায়। এই ভয়াবহ ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

বিশ্বব্যাপী করোনায় আরও ২০৪ জনের মৃত্যু
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৮৮ হাজার ৫৯৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২৫ জন। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এ সময় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৮৬ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৭৯ হাজার ৩২ জন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে চারজনের। আফগানিস্তানে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ কোটি ৪ লাখ ৮১ হাজার ২৪৮ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ১৩৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৭ কোটি ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ২২৪ জন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। 
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
X