নানা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ১০৪তম দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ১৯২১ সালের এই দিনে ঢাবির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা’। গতকাল সকাল ১০টায় টিএসসির পায়রা চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোতে পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, বেলুন উড্ডয়ন, থিম সং পরিবেশন এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণে স্মৃতি চিরন্তন চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ঢাবির অংশীদারত্বকে সম্মান করি: ঢাবির সঙ্গে যৌথভাবে অগণিত শিক্ষার্থীকে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সম্প্রদায়ের বিস্তৃতিকে ত্বরান্বিত করেছে বলে জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। গতকাল এক ফেসবুক বার্তায় দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়। দূতাবাসের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়, উদ্ভাবন, শিক্ষা ও সাফল্য অর্জনে অনেক বছরের জন্য ঢাবির সঙ্গে রয়েছি। ঢাবির অসাধারণ এই মাইলফলক উদযাপন করতে পেরে আমরা ‘রোমাঞ্চিত’।
০২ জুলাই, ২০২৪

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
উৎসবমুখর পরিবেশে আজ সোমবার ১০৪তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ১৯২১ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা’।  দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, বেলুন উড্ডয়ন, কেক কাটা, থিম সং পরিবেশন, শোভাযাত্রা এবং আলোচনা সভা। সকাল ১০টায় টিএসসির পায়রা চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, বেলুন উড্ডয়ন, থিম সং পরিবেশন এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অ্যালামনাইবৃন্দের অংশগ্রহণে স্মৃতি চিরন্তন চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে দারিদ্র্য, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তরুণদের সামাজিক দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা অর্জন এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করতে হবে। তারুণ্য জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময়কে যথাযথভাবে সদ্ব্যবহার করে মেধা ও মননকে শানিত করতে হবে এবং প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে। নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন এবং উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য তিনি তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান।  তিনি আরও বলেন, শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানী, দক্ষ এবং মূল্যবোধ সম্পন্ন করে তোলে। তাই শিক্ষার মাধ্যমেই পরিবর্তন সম্ভব। জ্ঞান অর্জনের অন্যতম মাধ্যম উচ্চশিক্ষা। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের একটি লক্ষ্য 'ট্রানজেকশনাল', অপরটি 'ট্রান্সফরমেশনাল'। প্রথম লক্ষ্যটির ক্ষেত্রে দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষা দানের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করা হয়। উচ্চশিক্ষার দ্বিতীয় লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শুধু ভালো চাকরি পাওয়া নয়, বরং এক্ষেত্রে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর পরিপূর্ণ মানবিক বিকাশ ঘটে এবং সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সে সক্ষম হয়। একই সঙ্গে তার মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয় এবং সে বিশ্লেষণ করার দক্ষতা অর্জন করে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ২০৩৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে উচ্চতর গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০৪৫ সালের মধ্যে গবেষণা-প্রধান 'আর আই' (আর ওয়ান) ক্যাটাগরির বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই 'অ্যাকাডেমিক মাস্টার প্ল্যান' এবং ‘অ্যাকাডেমিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান' প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। জাতীয় নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, অ্যালামনাই, ব্যবসায়ীসহ সকলের সহযোগিতায় গবেষণা, উদ্ভাবন ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের শিক্ষা মানচিত্রে অনন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। পৃথিবীর আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কৃতিত্বপূর্ণ নজির নেই। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য অবদান তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, আত্মনির্ভরশীল, আত্মমর্যাদাশীল ও স্বাবলম্বী জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।  তিনি বলেন, দক্ষতা-ভিত্তিক, আধুনিক, প্রায়োগিক ও জনকল্যাণমুখী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আমরা তরুণ প্রজন্মকে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করতে চাই। শিক্ষার্থীদের হতাশামুক্ত শিক্ষা জীবন নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই প্রথম বর্ষের সকল অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে তিনি অ্যালামনাই ও ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য' শীর্ষক গ্রন্থের ২য় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ অতিথিবৃন্দ এই মোড়ক উন্মোচন করেন।
০১ জুলাই, ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অম্লান হয়ে থাকুক
আজ ১২ জানুয়ারি ২০২৪, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩-তম প্রতিষ্ঠা দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের সমান বয়সী এ বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রিয়ার এ্যাডমিরাল এস এম আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে উদ্বোধন করেন।  এর আগে ১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত এবং পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তিকৃত ১৫০ জন ছাত্র নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশ শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ অধ্যাদেশের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালযকে স্বায়ত্বশাসনের মর্যাদা দান করেন। এ অধ্যাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রাখা হয় ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’। ৬৯৭.৫৬ একর ভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত ও ১৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কলা ও মানবিকী, গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক, সমাজবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ এবং আইন অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগ এবং ইনস্টিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ-জেইউ), ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি), বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং এ্যান্ড জিআইএস-এর অধীনে প্রায় ১২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এ শিক্ষার্থীদের জন্য নবনির্মিত ৬টি আবাসিক হলসহ মোট আবাসিক হলের সংখ্যা ২১টি। শিক্ষক রয়েছেন ৭২২ জন, কর্মকর্তা রয়েছেন ৩৬৫ জন এবং কর্মচারী রয়েছেন তৃতীয় শ্রেণি ৯২৫ এবং চতুর্থ শ্রেণির ৫৪১ জন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতোমধ্যে ৬টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ষ্ঠ সমাবর্তনে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার গ্র্যাজুয়েট, ৩৪ জন এমফিল এবং ২৮০ জন পিএইচডি ডিগ্রিধারী অংশগ্রহণ করেন।   বাংলাদেশের অন্যতম সেরা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১২ জানুয়ারি উদ্বোধনের দিনটিকে ২০০১ সাল থেকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল বায়েস এ দিবসের প্রচলন করে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনে তিনি পথিকৃত হয়ে আছেন। অবশ্য এর আগে ১৯৯৬ সালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২৫ বছর পূর্তির রজতজয়ন্তী পালন করেন। একটি উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রার প্রাক্কালে দেশের খ্যাতনামা শিক্ষকদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। যে কারণে প্রারম্ভরিককালেই দেশের একমাত্র পূর্ণ আবাসিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেন তারা হলেন- অধ্যাপক ড. মফিজউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান, ড. মুহম্মদ এনামুল হক, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. আ ফ ম কামালউদ্দিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ নোমান, অধ্যাপক ড. কাজী সালেহ আহমেদ, অধ্যাপক আবুল হোসেন, অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আবদুল বায়েস, অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. এম এ মতিন, অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম এবং বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। উপাচার্যদের মধ্যে অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ খ্যাতিমান শিক্ষাবিদগণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়কে গৌরান্বিত করেছেন।  শিক্ষা-গবেষণা এবং রাষ্ট্র গঠনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত অবদান রাখছেন। বিশ্বসেরা টু পার্সেন্ট বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। এতে তারা বিশ্বখ্যাতি লাভ করার পাশাপাশি এ বিশ্ববিদ্যালয়কেও সম্মানিত করেছেন।   এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা, সময়ানুবর্তিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ব্রত নিয়ে কাজ করছেন। বর্তমান উপাচার্যের সময়েই যুক্তরাজ্যভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশন (দ্যা) ম্যাগাজিন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং ২০২৪’ -এর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থান লাভ করে। অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে এ লক্ষ্য অর্জনে একটি বিশেষায়িত কমিটি গঠন করেন। এ কমিটির মাধ্যমে তিনি শিক্ষকদের প্রথাগতভাবে গবেষণা গ্রন্থ ও গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের পাশাপাশি অনলাইনেও প্রচারের তাগিদ দেন। শিক্ষক-গবেষকরা উপাচার্যের এ দিক-নিদের্শনা অনুসরণ করায় কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জিত হয়। উপাচার্য বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানজনক অবস্থান আরও বৃদ্ধি করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।  বর্তমান সরকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ছাত্রদের ৩টি এবং ছাত্রীদের ৩টি আবাসিক হল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নব নির্মিত ৬টি আবাসিক হলে শিক্ষার্থী ওঠানো সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের পূর্ণ আবাসিক অবস্থা ফিরে আসবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে শতভাগ আবাসন নিশ্চতের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিকতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।  লাইব্রেরি, স্পোর্টস কমপ্লেক্সসহ অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনের অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলমান। এ প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন স্থাপনার কাজ সম্পন্ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবয়ব আমূল বদলে যাবে।   বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সকাল দশটায় জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এরপর রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, স্মৃতিচারণ, প্রীতি ফুটবল, হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এবং শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ এবং প্রতিষ্ঠান নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস সকলের মধ্যে অম্লান হয়ে থাকবে বলে প্রত্যাশা করি। লেখক : প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনসংযোগ অফিস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
১২ জানুয়ারি, ২০২৪

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত
নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খবি) ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশে শনিবার (২৫ নভেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল কালজয়ী মুজিব ও পরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর হাদী চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। শোভাযাত্রা শুরুর প্রাক্কালে এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আনন্দের দিন। শিক্ষা-গবেষণায় যে দুর্বার গতিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে, আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাগ্রহণ শেষে গ্র্যাজুয়েটরা দেশের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের সুনাম ও দক্ষতা আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত। উপাচার্য বলেন, আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ ফোকাস্ড ইউনিভার্সিটি গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। এজন্য নানা উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশেষ করে গবেষণায় অনুদান বেড়েছে, নিজস্ব গবেষণা তহবিল গঠন করা হয়েছে এবং শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বক্তব্যের শুরুতে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিকাশে নানাভাবে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। একই সাথে আজকের এই আনন্দময় দিনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশ-বিদেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাফল্যগাঁথা তৈরিতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। পরে শোভাযাত্রাটি হাদী চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের অধিকাংশ সড়ক প্রদশিক্ষণ করে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এবং বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রার পূর্বে মুক্তমঞ্চের সম্মুখস্থ মাঠে বিভাগ/ডিসিপ্লিনসমূহের গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপনার ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে তিনি ফিতা কেটে কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অটোমেশন এবং কম্পিউটার ল্যাবের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করে গ্রন্থাগারের বই ইস্যু করেন এবং গ্রন্থাগারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানে গ্রন্থাগার অটোমেশনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মো. সারওয়ার জাহান। এরপর ফিতা কেটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী চিকিৎসা কেন্দ্রের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন উপাচার্য। এ সময় তিনি চিকিৎসা কেন্দ্রের বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে দেখেন। পরে সেখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কানিজ ফাহমিদা। এরপরই ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে রোটারি ক্লাব অব খুলনা ইউনিভার্সিটি আয়োজিত উদ্বুদ্ধকরণ প্ল্যাকার্ড স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে কেক কাটেন উপাচার্য। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য, ট্রেজারার এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে কেক কাটেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি উৎসবমুখর পরিবেশে কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় পরিষদকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী এস এম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। উপউপাচার্য, ট্রেজারার এবং পরিষদের নির্বাহী সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে সন্ধ্যা ৬টায় গত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনমূহকে সম্মাননা প্রদান, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি ভবন, একাডেমিক ভবন ও হলসমূহ আলোকসজ্জা করা হয়।
২৬ নভেম্বর, ২০২৩

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত
নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল কালজয়ী মুজিব ও পরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর হাদী চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। শোভাযাত্রার শুরুতে তিনি বলেন, শিক্ষা-গবেষণায় যে দুর্বার গতিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে, আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ ফোকাসড ইউনিভার্সিটি গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। এজন্য নানা উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশেষ করে গবেষণায় অনুদান বেড়েছে, নিজস্ব গবেষণা তহবিল গঠন করা হয়েছে এবং শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার অধ্যাপক অমিত রায় চৌধুরী, চারুকলা স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. নিহার রঞ্জন সিংহ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস এবং বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রার আগে মুক্তমঞ্চের সম্মুখে মাঠে বিভাগ/ডিসিপ্লিনগুলোর গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপনার ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে তিনি ফিতা কেটে কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অটোমেশন এবং কম্পিউটার ল্যাবের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করে গ্রন্থাগারের বই ইস্যু করেন এবং ভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানে গ্রন্থাগার অটোমেশনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. সারওয়ার জাহান।
২৬ নভেম্বর, ২০২৩
X