মেয়র-কাউন্সিলর দ্বন্দ্বে রক্তাক্ত বিশ্বনাথ
সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার নারী কাউন্সিলর রাসনার ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল রোববার বিকেলে মেয়র মুহিবুর রহমান মুহিবকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও কাউন্সিলরসহ রামপাশা রোডের ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে এক প্রতিবাদ সভা করেন। মেয়রের অনুসারীরা মেয়রের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পাল্টা সভার ডাক দেন তার বাসভবনের সামনে। উভয়পক্ষের সভা শুরুর আগেই শুরু হয় পাল্টাপাল্টি হামলা। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে মেয়রের গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মেয়র মুহিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে থানায় মামলা করেন ওই নারী কাউন্সিলর। আর এ মামলার ঘটনায় গতকাল মেয়রের বাসভবনের সামনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন মেয়র অনুসারীরা। একই সময়ে মেয়রের প্রতিবাদ সভার ৫০ গজ দূরে নারী কাউন্সিলরের ওপর হামলার প্রতিবাদে পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে পাল্টা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ওই নারী কাউন্সিলর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সকাল থেকেই উভয় প্রতিবাদ সভায় লোকজন আসতে শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উভয়পক্ষের সভা শুরু করা হয়। একপর্যায়ে পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভা থেকে মেয়রের প্রতিবাদ সভায় ইটপাটকেল দিয়ে হামলা করেন নেতাকর্মীরা। এতে পৌরসভার কালিগঞ্জ বাজারের নৈশপ্রহরী আনোয়ার আলীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় সভাস্থলে থাকা কয়েকটি চেয়ার, দুটি মোটরসাইকেল ও মাইক বাঁধা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। মেয়রের বাসভবনের সামনে থাকা দোকানঘরে পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স অফিসের কাচও ভাঙচুর করা হয়েছে। অফিসটি ঘটনার দিনই এখানে চালু করা হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফুজ্জামান ও ওসি রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী পুলিশ নিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে মেয়র মুহিবুর রহমান ও সাত কাউন্সিলরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলর উভয়পক্ষই ফেসবুকে একে অন্যকে বরাদ্দ চোর বলে আখ্যায়িত করে আসছেন। এ ছাড়া মেয়রের বিরুদ্ধে ওই সাত কাউন্সিলর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অনাস্থা প্রস্তাবও দিয়েছেন। এ নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। নারী কাউন্সিলরের অনুসারী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্দুল জালাল জলিল বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভায় মেয়রের প্রতিবাদ সভা থেকে প্রথমেই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে আমাদের নেতাকর্মীরাও উত্তেজিত হয়ে পাল্টা জবাব দেন।’ হামলা ও পাল্টা হামলার বিষয়ে জানতে মেয়র মুহিবুর রহমান মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। বিশ্বনাথ থানার ওসি রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।’
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পঙ্কজ সম্পাদক বিশ্বনাথ
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নড়াইল জেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আগামী দুই বছরের জন্য অ্যাডভোকেট পঙ্কজ বিহারী ঘোষ অন্ন সভাপতি এবং বিশ্বনাথ কুণ্ডু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে গত শনিবার নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে নড়াইল টাউন কালীবাড়ি মন্দিরে দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক কুমার কুণ্ডুর সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট তাপস পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর হালদার, সদস্য সমীর রায় প্রমুখ।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রংপুর-২ আসন ধরে রাখতে চান এমপি ডিউক, চমকের আশায় বিশ্বনাথ
রংপুর-২ আসনে নির্বাচনী প্রচার এখন তুঙ্গে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ছুটছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন আগামীতে কে কি করবেন তার প্রতিশ্রুতি। তবে, এই আসনে এবার বর্তমান সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষকলীগ নেতা বিশ্বনাথ সরকার বিটু দুজনই নির্বাচিত হবেন, এই আশায় প্রচার তুঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত রংপুর-২ আসন। প্রথম থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত এ আসনে কোনো দলই একক আধিপত্য ধরে রাখতে পারেনি। কখনো আওয়ামী লীগ বা কখনো জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডিউক চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষকলীগ নেতা বিশ্বনাথ সরকার বিটু এখন আলোচনা তুঙ্গে। স্থানীয়রা বলছেন, মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে আনিষুল হক চৌধুরী, ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মোহাম্মদ ইলিয়াস ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আনিসুল হক চৌধুরী। ১৯৮৮ সালের চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে আসনটি দখলে নিয়ে জাতীয় পার্টির কামাল উদ্দিন হায়দার। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির এইচ এম এরশাদ (উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির পরিতোষ চক্রবর্তী), ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির এইচ এম এরশাদ নির্বাচিত হলেও উপনির্বাচনে আসনটি ফিরে পায় আওয়ামী লীগের আনিসুল হক চৌধুরী। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার জয়লাভ করেন। ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টির আনিছুল ইসলাম মন্ডল নির্বাচিত হলেও ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয় পান তিনি। সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষকলীগ নেতা বিশ্বনাথ সরকার বিটু ছুটে চলেছেন একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত। সমান তালে চলছেন বর্তমান সাংসদ ডিউক চৌধুরীও। ডিউক চৌধুরী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বিশ্বনাথ সরকার বিটু কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় সরকারের উন্নয়ন  ও সাফল্য সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছেন। তবে, এই আসনে জাপার সাবেক সাংসদ আনিছুল ইসলাম মন্ডলও আছেন আলোচনায়। বদরগঞ্জের মধুপুর ইউনিয়নের ভোটার রায়হান বলেন, ভোটের আগে সবাই তো অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়। এবার হামরা দেকিশুনি ভোট দেমো। তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ভোটার আলতাফ হোসেন বলেন, এবার তো আওয়ামলীগ থাকি দুইজন দাঁড়াইছে, দুইজনের কথা শোনা যাওছে। বলা যাবে না কে এমপি হবেন। বিশ্বনাথ সরকার বিটু জানান, আমি বদরগঞ্জ উপজেলায় যখন ভোট করি তখন বর্তমান সাংসদ আমার সঙ্গে ভোটে হেরে যান। আমি তখন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় মানুষের জন্য কাজ করেছি। তিনি বলেন, আমি সেবক হতে চাই। তারাগঞ্জ বদরগঞ্জের মানুষের সেবক হতে চাই। সাংসদ হবে জনগণের সেবক, সাংসদ হবে জনগণের সুখ দুখের কাণ্ডারি। তারা যেন সাংসদকে কাছে পায়। আমি শাসক হতে চাই না সেবক হতে চাই। তিনি আরও বলেন, কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবো। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডিউক চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে মঙ্গাকবলিত এই এলাকার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এবারও তারা নৌকার জয় নিশ্চিত করবেন বলে প্রত্যাশা করি। প্রধানমন্ত্রী এসে আমার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, আমি এই এলাকার যে উন্নয়ন করেছি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসে আমার জন্য ভোট চেয়েছেন সুতরাং বদরগঞ্জ তারাগঞ্জের মানুষ আমাকে ভোট দিবে।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতার সাইবার আইনে মামলা
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও শ্রমিক নেতা মো. ময়না মিয়া এ মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে নুনু মিয়াকে একমাত্র আসামি করে এ মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং-১৭১/২৩। মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক মনির কামাল। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিছবাহুর রহমান আলম। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানকে নিয়ে সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া নিজস্ব ইউটিউব ও ফেসবুকে জঘন্য মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ, আক্রমণাত্মক ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করে আসছেন। এ ছাড়া পৌর মেয়রকে ভয়ভীতি প্রদর্শনও করেছেন। এমন বক্তব্যে পৌর এলাকার সাধারণ মানুষ ও তার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।  এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া বলেন, বিশ্বনাথে আমার মাধ্যমে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন দেখে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।  মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে আইনি লড়াইয়ে এ মামলার জবাব দেওয়া হবে। গত ২২ আগস্ট সরকারি বরাদ্দের নামে ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুনু মিয়া ও তার পিএস দবিরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন জামাল আহমদ নামে এক ভুক্তভোগী। এরপর ৩০ আগস্ট পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের ওপর সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. নুরুল হক।  বিশ্বনাথের দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা ও দুজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এ ছাড়া তাদের দ্বন্দ্ব এখন সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।  
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X