বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। যে কোনো মুহূর্তে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।  পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে স্কুল মাঠ। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার মাত্র ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকাল ৯টায় একই পয়েন্টে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচে, দুপুর ১২টায় ২০ সেন্টিমিটার এবং বিকেল ৩টা থেকে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু ওই পয়েন্টে পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিপৎসীমার মাত্র ২০ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। এদিকে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ’ পরিবার গত তিনদিন থেকে পানিবন্দি রয়েছে। তলিয়ে গেছে চলাচলের রাস্তা। তারা গরু-ছাগলসহ গৃহপালিত অন্যান্য পশুপাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ঘরে পানি ওঠায় রান্না করতে পারছে না। ফলে তাদের শুকনো খাবারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে এখনো সরকারি ব্যবস্থাপনায় পানিবন্দি মানুষদের শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়নি বলে জানিয়েছে পানিবন্দি মানুষজন। তিস্তা নদী তীরবর্তী বাগডোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর গোবর্ধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয় মাঠে এখন হাঁটু সমান পানি। তলিয়ে গেছে কমিউনিটি ক্লিনিক ও মসজিদ।  ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সেই পানি তিস্তায় প্রবেশ করে নদী তীরবর্তী কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।    এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার  গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী চরের বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে।  তিস্তা নদী সংলগ্ন সদর উপজেলার আনন্দ বাজার এলাকার কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী অনেক ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। উঁচু স্থানে চুলা জ্বালিয়ে রান্নার কাজ সেরে নিচ্ছেন মানুষজন। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। মূলত উজানের পানিতেই তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজান থেকে আরও ব্যাপকহারে তিস্তা নদীতে পানি প্রবেশ করলে আমাদের বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদী তীরবর্তী পুরো অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
২০ জুন, ২০২৪

ধরলা-তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, আতঙ্কে তীরবর্তী মানুষ
কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলাসহ ১৬ নদীর পানি বেড়েই চলছে। ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ধরলার পানি তালুক শিমুল বাড়ি পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনও বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব নদনদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। পানি বাড়ার কারণে নদনদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন কাঁচা সড়ক। ডুবে গেছে সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল। সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের বাসিন্দা শাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন থেকে পানি বাড়ার কারণে আমাদের এখানে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। কখন যে আমাদের বাড়ি ভাঙবে বলা যায় না। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, আরও ২-৩ দিন নদনদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেসব এলাকায় রয়েছে সেখানে ভাঙন রোধে আমাদের কাজ চলছে।
২০ জুন, ২০২৪

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ছুঁই ছুঁই করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে একই পয়েন্টে পানি কিছুটা কমে বিকেল ৩টা থেকে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়ি ও রাস্তা ঘাট তলিয়ে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এতে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারে ঘরবাড়িতে পানি ওঠে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানি, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। এসব এলাকার অনেক বাড়িঘরে পানি উঠেছে। অপর দিকে গত রাত থেকে সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধিতে হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নে ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে পানি প্রবেশ করেছে। ঘরবাড়ি ও রাস্তা ঘাট তলিয়ে গিয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ২শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। চর সিন্দুর্নার মফিজার রহমান বলেন, গত রাত থেকে তিস্তা পানি বৃদ্ধি পেয়ে চর এলাকার বসতবাড়ি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। পরিবারগুলো ঘর থেকে বের হতে পাচ্ছে না। হাতীবান্ধার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, গতকাল থেকে ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দুইটি ওয়ার্ডের প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের ঘর বাড়িতে পানি প্রবেশ করে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, গজলডোবায় পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার মাত্র ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি কিছুটা কমে বিকেল ৩টা থেকে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
১৯ জুন, ২০২৪

এখনো বিপৎসীমার ওপরে সুরমা-কুশিয়ারার পানি
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি কোথাও উন্নতি হয়েছে, কোথাও অপরিবর্তিত আছে। তবে গতকাল শনিবার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পাশাপাশি সিলেট মহানগরীর বেশ কিছু বাসাবাড়িতে নতুন করে ঢুকছে পানি। এর ওপর সিলেট বিভাগে আগামী তিন দিনের বৃষ্টির পূর্বাভাসে নতুন করে বন্যার শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। তবে নতুন করে বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হবে না বলে আশা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা। ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ৭ উপজেলা ও সিলেট নগরী বন্যাকবলিত হয়। গতকাল নতুন করে প্লাবিত হয় নগরীর কিছু এলাকা। কয়েকদিন আগে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও নতুন করে বেড়েছে সিলেট পয়েন্টের পানি। এরই মধ্যে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবো সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, গতকাল সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার এবং জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে কুশিয়ারার দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর মধ্যে অমলসিদ পয়েন্টে ১৯৪ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। তবে সকাল ৬টা এবং ৯টায় সুরমার কানাইঘাট ও কুশিয়ারার দুটি পয়েন্টে পানি ১ থেকে ৩ সেন্টিমিটার কমলেও সুরমার সিলেট পয়েন্টে তা অপরিবর্তিত রয়েছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বাড়ায় গতকাল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে নগরীর উপশহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। এরই মধ্যে সিলেটের জন্য এসেছে আবহাওয়ার নতুন পূর্বাভাস। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি এবং ভারি বৃষ্টির খবর জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে নতুন করে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেনি। জেলার গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় পানি অনেকটা কমেছে। অন্যদিকে সিলেট সদর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। এদিকে বন্যার পানি আর অসহনীয় গরম—এই দুই ভোগান্তি নিয়ে দিন পার করছেন সিলেটের মানুষ। এ অবস্থায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত রোববার থেকে সিলেটে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছিল টানা হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি। তবে শুক্রবার থেকে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। গতকাল সেটি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিকেল ৪টায় সিলেটে ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। গরম ভ্যাপসা হওয়ায় বেড়েছে কষ্টের মাত্রা। বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হারুন মিয়া: জৈন্তাপুরে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে নদীভাঙনের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন মোটরসাইকেল মেকানিক হারুন মিয়া (৩৮)। তিনি উপজেলার ১নং লক্ষ্মীপুর গ্রামের কালাই মিয়ার ছেলে। গতকাল সকাল ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, হারুন মিয়ার বসতভিটার কিছুই অবশিষ্ট নেই। পাহাড়ি ঢলে নদীর পাড় ভেঙে সরাসরি হারুন মিয়ার বসতভিটাসহ আসবাব—সব নদীর স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা হারুন ও তার স্ত্রী শিরিন কোনোমতে ভাসমান একটি গাছের ওপর ভর করে প্রাণে রক্ষা পান। সুমাইয়া আক্তার শিরিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। রাত ৯টায় নদীর পানি হঠাৎ সড়কের ওপর দিয়ে তাদের উঠানে প্রবেশ করতে শুরু করে। কোনো কিছু বোঝার আগেই মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে মাটির রাস্তা ভেঙে পানি দ্রুতগতিতে এসে টিনের ঘর, ঘরে থাকা আসবাবসহ সব জিনিস ভাসিয়ে নিয়ে যায়। গরু বিক্রির ৯০ হাজার টাকা ছিল, সেটাও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। হতদরিদ্র হারুনের পুনর্বাসনের জন্য প্রসাশনের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম।
০২ জুন, ২০২৪

বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকে তিস্তার পানি প্রবল স্রোতে প্রবাহিত হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে দুই পাড়ের মানুষ। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে।  বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তার পানি দুপুর পর্যন্ত আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে কমার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে গতকাল তিস্তার দুই পাড়ের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মাইকিং করেন রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী রায়, কিন্তু মানুষজন তাদের ঘরবাড়িতে এখনো অবস্থান করছেন। শুধু চরাঞ্চলের কিছু পরিবার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।  তিস্তা নদীর অববাহিকার গড়াইপিয়ার এলাকার নয়ন মিয়া বলেন, ‘গতকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বড় নাকি বন্যা হবে, এই চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি নাই আমরা।’ স্থানীয় প্রশাসন গতকাল এসে সাবধান থাকতে মাইকিং করে গেছে। তিস্তা নদীর অববাহিকার ঘড়িয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মেম্বার মামুনুর রশীদ বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আমার এলাকার কিছু বাড়িঘরে পানি উঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।  কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী রায় উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ, গতিয়াশাম ও মাঝের চর এবং বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরহাটে নিজে নৌকাযোগে পরিদর্শন ও হ্যান্ড মাইকিং দিয়ে এলাকাবাসীকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা সজাগ থাকতে বলেছেন। এ ছাড়া তথ্য অফিসের পক্ষ থেকে নাজিমখাঁন ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমেও একই প্রচার করা হয়। জানা গেছে, ইতোমধ্যে ১৪টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভারতীয় অংশে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে এবং কুড়িগ্রাম জেলা তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা ক্যালকুলেশন করে দেখেছি তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যেতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
০৬ অক্টোবর, ২০২৩

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার আশঙ্কা
রংপুরের তিস্তা নদীদে হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি। ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসা এই পানিতে রংপুরের কাউনিয়া ও গংগাচড়া উপজেলার কয়েকটি এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। এদিকে গংগাচড়া  তিস্তা পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে সকাল ৯ টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। তবে প্রায় দুই ঘন্টা থেকে কাউনিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি সমতলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৯ টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির হয়েছে। ইতোমধ্যে কাউনিয়ার ঢুসমারা, গনাই, হয়বৎ খাঁ, আজম খাঁর চড় প্লাবিত হয়েছে। বন্যার এই পূর্বাভাস পাওয়ার পর বুধবার থেকে রংপুরের গংগাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসন তিস্তা নদীবেষ্টিত চর ও নিচু অঞ্চলের মানুষকে দ্রুত উঁচুস্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় মসজিদ থেকেও চলছে মাইকিং। সেই সাথে বিভিন্ন বিদ্যালয় প্রস্তুত করা হয়েছে। কাউনিয়া বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, ‘বালাপাড়া ইউনিয়নের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক আছি। যখন যেটা প্রয়োজন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।’ গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, ‘তিস্তার গংগাচড়া পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে লক্ষীটারী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি বাঁধের কিছু অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় লক্ষিটারীর পূর্ব অংশ প্লাবিত হয়েছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা রয়েছেন। ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে বালুর বস্তা ফেলে পানি আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’  তিনি বলেন, ‘বুধবার থেকে আমরা চরের মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করছি। বন্যায় যেন মানুষের জানমালের ক্ষতি না হয়, সে লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করছে। বন্যা স্থায়ী হলে ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।’ অন্যদিকে কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক বলেন, ‘কাউনিয়া পয়েন্টে সকাল ৯ টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ঢুস মাড়ার চড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে কৃষি জমিতে পানি উঠেছে। তবে এখনও বাড়ি ঘরে কোথাও পানি উঠেনি। কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। আমাদের সকল ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে।’
০৫ অক্টোবর, ২০২৩

যমুনাসহ তিন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
টাঙ্গাইলে জেলার সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) যমুনাসহ জেলার প্রধান তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সদর উপজেলার মাহমুদপুর, হুগড়া, কাতুলী,সেলিমপুর ও কাকুয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া ভূঞাপুর,গোপালপুর দেলদুয়ার, মির্জাপুর ও নাগরপুর উপজেলার আশপাশের কয়েকটি গ্রামে আজ ভোর থেকে যমুনা নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়বে। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ধর্মীয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে পাঁচ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশল মো.সাজ্জাদ হোসেন জানান, ‘আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টাঙ্গাইলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর থেকে পানি কমতে শুরু করবে।’
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

গোয়ালন্দে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে পানি বেড়েছে ১২ সেন্টিমিটার। এ নিয়ে গত চার দিনে পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৫২ সেন্টিমিটার পানি বাড়ল। গোয়ালন্দ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার (পানি পরিমাপক) সালমা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সালমা খাতুন জানান, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে উপজেলার নদীতীরবর্তী বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে প্রবল স্রোত বইছে। সেখানে চলাচলকারী ফেরিগুলো তীব্র স্রোতের মুখে স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। পারাপারে সময় বেশি লাগার ফলে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা অনেকটা কমে গেছে। তবে, গাড়ির চাপ কম থাকায় ঘাটে যানজট নেই। 
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

টাঙ্গাইলে বিপৎসীমার ওপরে তিন নদীর পানি
টাঙ্গাইলে সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। জেলার প্রধান তিনটি নদীর পানি এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভুঞাপুর উপজেলার কষ্টাপাড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে যমুনা নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পরবে। পাশাপাশি ডিআর-১১, ৪৯, পাটজাগ ও আউশ, ধানসহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এদিকে ভুয়াপুর উপজেলার পাটিতাপাড়ার সালাম, আলমগীর নয়নসহ কয়েজন জানান, নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথেই পাল্লা দিচ্ছে নদী ভাঙন।  গত দু’দিন বিশ পঁচিশ  টা বাড়ি নদীতে ডেবে যাচ্ছে।  অপরদিকে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

টাঙ্গাইলে বিপৎসীমার ওপরে তিন নদীর পানি
টাঙ্গাইলে সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। জেলার প্রধান তিনটি নদীর পানি এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভূঞাপুর উপজেলার কষ্টাপাড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে যমুনা নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়বে। পাশাপাশি ডিআর-১১, ৪৯, পাটজাগ ও আউশ, ধানসহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ভূঞাপুর উপজেলার পাটিতাপাড়ার সালাম, আলমগীর নয়নসহ কয়েজন জানান, নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই পাল্লা দিচ্ছে নদীর ভাঙন।  গত দুদিন ২০-২৫টি বাড়ি নদীতে ডুবে যাচ্ছে।  অপরদিকে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X